২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বৈষম্য টেনে আনে বিভাজন

বৈষম্য টেনে আনে বিভাজন -

‘উন্নয়ন’ ও ‘বৈষম্য’- আমাদের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও শিক্ষাবিদ মহলে প্রায়ই এ দু’টি শব্দ উচ্চারিত হতে শোনা যায়। একসময় পাকিস্তান প্ল্যানিং কমিশন ছিল বিশ্বের সেরা কমিশনগুলোর একটি। এখানে নোবেল লরেট আর্থার লুইস, কলিন ক্লার্কের মতো খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদেরা কাজ করেছেন। চার্লিস এস বেনসনের মতো শিক্ষাবিদেরা এডুকেশনাল প্ল্যানিং করেছেন। সেই প্ল্যানিং কমিশনে কাজ করতে পারা বিরাট সৌভাগ্যের ব্যাপার ছিল। কমিশনে সর্বনিম্ন পদ ছিল অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ, যা প্রাদেশিক ডেপুটি সেক্রেটারির সমতুল্য। ১৯৬৭ সালে ‘ইকোনমিক প্রবলেমস অ্যান্ড প্ল্যানিং ইন পাকিস্তান’ শিরোনামে একটি বই লিখি। এতে ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের উন্নয়নের ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করি। এ বই আমাকে প্ল্যানিং কমিশনে জয়েন করার পথ সুগম করে দেয়। তবে বইটি লেখার আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল : তদানীন্তন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্যের প্রকৃত চিত্র তথ্যপ্রমাণসহ তুলে ধরা। পশ্চিম পাকিস্তানি রাজনীতিকেরা যা বলতেন, তা যে তথ্যভিত্তিক ছিল না, সেটি আমি দেখানোর চেষ্টা করেছি। একসময় এ চেষ্টা পরোক্ষভাবে প্ল্যানিং কমিশন থেকে আমার বিদায়েরও পথ তৈরি করে। সে কথায় পরে আসছি।

প্ল্যানিং কমিশনের ফিসক্যাল মনিটরিং সেকশনে আমাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। আগে থেকেই আমার চিন্তা ছিল পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে যে বৈষম্যের কথা বলা হচ্ছে, তার ধরনটি খুঁজে বের করা। সরকার বলছিল, ‘পূর্ব পাকিস্তানের জন্য বাজেটের ৫৩ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। ফলে বৈষম্য ২৪ শতাংশ থেকে কমে আসবে।’ জয়েন করার পর মনের তাগিদে আমি ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত বাজেট বরাদ্দ ও ছাড়ের রেকর্ড অনুসন্ধান শুরু করলাম। এটা আমার দায়িত্ব ছিল না, ছিল কিছুটা কৌতূহল আর কিছুটা নিজের জন্মভূমি তথা পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি কী রকম বৈষম্য করা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা। দেখাতে চাচ্ছিলাম, বাজেটে পাকিস্তানের পূর্ব অংশকে কত বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে, আর কেন্দ্র কত ছাড় করছে। যদিও কাজটি আমি প্ল্যানিং কমিশনে জয়েন করার আগেই বই লেখার মাধ্যমে শুরু করেছিলাম, তবে সেখানে গিয়ে চূড়ান্ত রূপ দিয়েছিলাম।

অনুসন্ধানে নেমে দেখি, ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্টের এক্সপেনডিচার বাজেট বরাদ্দের বাইরে রেখে দেয়া হয়েছে। এই ব্যয় পশ্চিম বা পূর্ব পাকিস্তান খাতে বরাদ্দ না দেখিয়ে ‘কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয়’ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, এই বরাদ্দের পুরোটাই খরচ হচ্ছিল পশ্চিম পাকিস্তানে। পশ্চিম পাকিস্তানের বাজেট বরাদ্দের সাথে ওই অর্থ যুক্ত করা হলে পূর্ব পাকিস্তানের বরাদ্দ তার ধারে-কাছেও যেতে পারে না। পশ্চিম পাকিস্তানের বরাদ্দের সাথে ক্যাপিটাল এক্সপেনডিচার যুক্ত করে দেখা গেল, পূর্ব পাকিস্তানের জন্য কোনোভাবেই ৩৮ শতাংশের বেশি বাজেট ছাড় করা হচ্ছে না। আসলে ‘শুভঙ্করের ফাঁকি’ ছিল এটাই। অর্থাৎ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ৫৩ শতাংশ, কিন্তু ছাড় হচ্ছে ৩৮ শতাংশ। সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেহমান সোবহানসহ অনেকে বৈষম্য নিয়ে কথা বলছিলেন, কিন্তু সেগুলো পর্যাপ্ত ছিল না।

ফিসক্যাল মনিটরিং সেকশন ছিল প্ল্যানিং কমিশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমার সেকশনে তখন ড. মাহবুবুল হক ছিলেন জয়েন্ট চিফ ইকোনমিস্ট। পরে তিনি চিফ ইকোনমিস্ট হয়েছিলেন। তখন রায়হান শরিফ ডেপুটেশনে ডেপুটি চিফ হিসেবে আমার সেকশনে ছিলেন। অর্থমন্ত্রী যে কথা বলছেন, তার সাথে দ্বিমত করে তখন প্ল্যানিং কমিশনের জন্য একটি কনফিডেনশিয়াল নোট তৈরি করি। আমি নোটটি নিয়ে ডেপুটি চিফের কাছে গিয়ে বললাম- ‘স্যার, এটা আমার স্টেটমেন্ট।’ উনি পড়লেন। আমি তাকে ইনিশিয়াল দিতে বললে উনি রাজি হলেন না। বললেন, আপনি ওপরে পাঠিয়ে দিন। তখন আমি ডেস্কে ফিরে কী করা যায় তা নিয়ে অনেক চিন্তা করলাম। ভেবে শেষ পর্যন্ত নোটটি চিফ ইকোনমিস্টের কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য ও আমার বিশ্লেষণ পাশাপাশি তুলে ধরলাম। সে সময় প্ল্যানিং কমিশনের সদস্য হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান থেকে ছিলেন এফ রহমান। তার কাছেও নোটটি পাঠাই।

কাজটি আমি সম্পূর্ণরূপে নিজের উদ্যোগে করেছি। আমি দেখলাম, পূর্ব পাকিস্তানের সাথে অন্যায় করা হচ্ছে, সত্য কথা বলা হচ্ছে না। তথ্য-উপাত্ত বারবার যাচাই করে দেখেছি, ৩৮ শতাংশের বেশি পূর্ব পাকিস্তানের জন্য ছাড় করা হচ্ছে না। তখন ডা: সাত্তার মালিক প্ল্যানিং কমিশনের ইন্টারন্যাশনাল সেকশনের চিফ হয়ে আসেন। তার মাধ্যমে আমি নোটটি পূর্ব পাকিস্তনের চিফ সেক্রেটারি শফিউল আজমের কাছে পাঠাই। সে সময় কুষ্টিয়ার ডা: আব্দুল মোতালেব মালিক ছিলেন সিনিয়র কেবিনেট মিনিস্টার। আমি তার বাসায় গিয়ে তথ্যগুলো দিয়ে আসি। আমি চাচ্ছিলাম, পূর্ব পাকিস্তান যেন ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত না হয়।

এসব কাজ যখন করছি তখন হঠাৎ একদিন প্ল্যানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান এম এম আহমেদ আমাকে ডেকে পাঠালেন। তিনি প্রবীণ আইসিএস অফিসার, ভারত থেকে পাকিস্তানে এসেছেন। তার নামে তখন পাকিস্তানের প্রশাসন কাঁপত। প্রেসিডেন্ট নিজে তাকে কল করতেন। আমি ভাবলাম, চাকরি শেষ। তার কাছে গেলাম। তিনি আমার কাছে জানতে চাইলেন নোটটি কে লিখেছে? জবাব দিলাম, আমি। তিনি বললেন, এটা কি ঠিক আছে? বললাম, ঠিক আছে। সব ডেটা তুমি চেক করেছ? বললাম, হ্যাঁ। উনি প্রশ্ন করছিলেন, আর আমি হ্যাঁ, না উত্তর দিচ্ছিলাম। শেষে উনি বললেন, গো।
এরপর আমার ডাক পড়ে মাহবুবুল হকের কাছ থেকে। তিনি বললেন, ‘তোমাকে কে এটা সার্কুলেট করতে বলেছে?’ বললাম, ‘আমি নিজেই করেছি। স্যার, আমি তো ভালোই করেছি। সরকার পূর্ব পাকিস্তানের জন্য খরচ করছে, কিন্তু সেটি যাচ্ছে না; এটা তো সবার জানা উচিত।’

আমাকে নিয়ে পরিস্থিতি যে থমথমে, তা টের পাচ্ছিলাম। আমি যেহেতু ফিসক্যাল ডিসপ্যারিটি নিয়ে কাজ করেছি, তাই আমাকে পূর্ব পাকিস্তানের রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট চ্যাপ্টার ড্রাফট করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। আমাকে পরোক্ষভাবে বলা হয়েছিল, যেন আমি দেখাই, পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে বৈষম্য কমে গেছে। একদিন ড. মাহবুবুল হক আমাকে ডেকে বললেন, ‘তোমাকে যে রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট চ্যাপ্টার লিখতে বলেছি, সেটির কী অবস্থা।’ বললাম হ্যাঁ, লিখেছি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন- কী অবস্থা। আমি বললাম, ডিসপ্যারিটি বেড়ে গেছে, কমেনি। তিনি আমার কাছে ড্রাফটটা চাইলেন। আমি সেটি দিয়ে আসি। তিনি সেটি চিফের কাছে পাঠান। আমাদের পদগুলো ছিল অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ, ডেপুটি চিফ ও চিফ। চিফ হলেন জয়েন্ট সেক্রেটারি লেভেলের। তখন তিনি ছিলেন একজন পশ্চিম পাকিস্তানি, লাহোরে বাড়ি। তিনি দেখার পর আমাকে ডেকে পাঠালেন এবং বলেন, তোমাকে ইস্ট পাকিস্তান যেতে হবে, এক মাসের ট্যুর। তখন এটা ছিল বিশাল ব্যাপার। আমি তো মহাখুশি।

যা হোক, আসার সময় ডিসপ্যারিটির নোটটি সাথে করে নিয়ে আসি। এখানে এসে আমি আমার পুরনো সহকর্মীদের সাথে দেখা করেছি। তৎকালীন মুখ্য সচিব শফিউল আজমের সাথেও দেখা করেছি। তিনি আমাকে অভিনন্দন জানালেন আর সাহস দিলেন এ রকম একটি কাজ করার জন্য। বললেন, ‘দেখি, তোমাকে কে সরায়।’ তখন আমি কিছুটা সাহস পেলাম। সবার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছিলাম। আমার কিছু হলে তারা যেন আমাকে প্রটেকশন দেন।

যা হোক, দেশ থেকে কর্মস্থলে ফিরে গিয়ে দেখি, আমার ডেস্কে কোনো কাজ নেই। যে রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট চ্যাপ্টারটা লিখেছিলাম, সেটা আমার কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাকে ওএসডি করা না হলেও কোনো কাজ দেয়া হয়নি। আমার কাজটি দেয়া হয়েছে দুই কলিগ জাবেদ আসফার ও খালেদ একরামকে। জাভেদ ছিলেন চিফ সেক্রেটারি আসফার সাহেবের ছেলে। আর খালেদ একরামের শ্বশুর ছিলেন ফরেন মিনিস্টার। দু’জনই হার্ভার্ডের গ্র্যাজুয়েট। সে সময় হার্ভার্ড, অক্সফোর্ড বা এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা ছাড়া প্ল্যানিং কমিশনে অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ হওয়ার কথা কেউ কল্পনা করতে পারত না। আমিই শুধু বাংলাদেশী ছিলাম, যার ওই সব কোনো ডিগ্রি ছিল না। বাংলাদেশেরও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা ছাত্র। তা-ও আবার মাস্টার্সে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পাস করেছি, প্রথম শ্রেণী পাইনি। আমার অযোগ্যতার অভাব ছিল না। কিন্তু আমার মনোবল ছিল, খারাপ ছিলাম না ছাত্র হিসেবে। আগের পরীক্ষাগুলোতে স্ট্যান্ড করলেও এমএ-তে গিয়ে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। আল্লাহর কী মহিমা, হয়তো মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণী পেলে আমার জীবনে এসবের কিছুই ঘটত না। কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে হয়তো বিদেশে চলে যেতাম, তখন আমার জীবনের মোড় অন্য দিকে ঘুরে যেত।

জাভেদ ও খালেদ এসে আমাকে বলল, তোমার কাছে আর কী কাগজপত্র আছে, দাও। আমি তাদেরকে বললাম, দেখো, আমার তো হার্ভার্ডে যাওয়ার সৌভাগ্য হবে না, সাধারণ একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। তবে আমার পিএইচডি করার ইচ্ছা ছিল, যদি সম্ভব হয় দেখো, আমার জন্য কিছু করতে পারো কি না। আর যা লিখেছি তা পড়ে দেখো, পড়ে আমার প্রতি জাস্টিস করো। ভুল হলে আমাকে শুধরে দিও। শুধু আমার চাকরিটা খেয়ো না। তখন তাদের হাতেই তো পূর্ব পাকিস্তানিদের চাকরি ছিল।

তারা আমাকে অভয় দিলো এবং আমার ড্রাফটি পড়ল। পড়ে বলল, মান্নান তো ভুল করেনি। বরাদ্দ আরো কমে গেছে, ডিসপ্যারিটি আরো বেড়েছে। তারা আমার ড্রাফটটি শুধু সঠিক বলেই রায় দেয়নি। আরো বলল যে, মান্নান লিখেছে- পাকিস্তানের দুই অংশের বৈষম্য ৪৭ শতাংশ, আসলে ওটা হবে ৪৮ শতাংশ। তাদের এই স্বীকৃতির পর সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট ওই ড্রাফটটি পুড়িয়ে ফেলে। আর এই রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট চ্যাপ্টার বাদ রেখেই ফোর্থ-ফাইভ ইয়ার প্ল্যান প্রকাশ করা হয়েছিল। এখনো খোঁজ নিলে দেখা যাবে, পাকিস্তানের চতুর্থ-পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ‘আঞ্চলিক উন্নয়ন’ অধ্যায়টি অনুপস্থিত। তখন আমার ডিপার্টমেন্টের চিফ ড. মঈনুদ্দীন বাকাই আমার সম্পর্কে লিখলেন, ‘দিস অফিসার নিডস ফরেন ট্রেনিং’।

এই ঘটনা যেমন আমার পাকিস্তান থেকে বের হওয়ার পথ তৈরি করেছিল, তেমনি ওই দিনই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যাই যে, পাকিস্তান রাষ্ট্রটি আর টিকবে না। টিকিয়ে রাখার ইচ্ছা থাকলে আমার কাজটি জনসমক্ষে নিয়ে আসা উচিত ছিল। এরপর দ্রুত রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হতে থাকে। ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান বিদায় নেন। তিনি থাকলে হয়তো আমি তার কাছেই বিষয়টি উত্থাপন করতাম। তার কাছে পর্যন্ত পৌঁছার সুযোগ ছিল আমার। জাভেদ আর খালেদকে দিয়েই হয়তো বলতাম, তাকে সত্য কথাটা বলো। পাকিস্তানকে বাঁচাতে চাইলে এই বৈষম্য দূর করতে বলো। আসলে যেসব বড় কারণে পাকিস্তানের দুই অংশ এক থাকতে পারেনি, তার একটি ছিল- সত্যকে ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা। যে দিন ড্রাফট পোড়ানো হলো, সে দিনই আমি বুঝে গেলাম, এখানে আমার থাকা হবে না। পিএইচডি করার সুযোগ নিয়ে দেশের বাইরে চলে যাওয়ার জোর চেষ্টা শুরু করি। সেই সুযোগও এসে যায়। পিএইচডি করতে যুক্তরাষ্ট্র চলে গেলাম। ১৯৭১ সালে দেশে যখন মুক্তিযুদ্ধ চলছিল, তখন আমি সরাসরি এতে অংশগ্রহণের সুযোগ পাইনি; কিন্তু তার আগেই বর্তমানে বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ড থেকে হাজার মাইল দূরে বসে কেন এ দেশটির স্বাধীন হওয়া প্রয়োজন, তার কারণ খুঁজে বের করতে সমর্থ হয়েছিলাম।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড; সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ, ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক, জেদ্দা
hmct2004@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
গলাচিপায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ৩টি সংগঠনের নেতৃত্বে মানববন্ধন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ছেলে হারা মা সাথিয়ার কান্না যেন থামছেই না বৃষ্টির জন্য নারায়ণগঞ্জে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় প্রবাসী স্ত্রী থেকে প্রতারণার মাধ্যেমে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায়, ছাত্রলীগ নেতাকে শোকজ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটারের তালিকা চান হাইকোর্ট আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরো ৪৬ বিজিপি সদস্য উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে কুপিয়ে হত্যা কক্সবাজারে ট্রেন লাইনচ্যুত, যোগাযোগ বন্ধ গাজার অর্ধেক জনসংখ্যা ‘অনাহারে’ : জাতিসঙ্ঘ বেড়াতে নিয়ে প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

সকল