২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

রুমিন ফারহানার দুই মিনিট

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা - ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় সংসদে গত ১২ জুন বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে যোগ দিয়েছিলেন বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ও দলের সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। সংসদে যোগ দিয়ে প্রথম দিনই শুভেচ্ছা বক্তা হিসেবে কথা বলার সুযোগ নেন রুমিন। সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ কথা বারবার জানান দিচ্ছিলেন, মিস রুমিনের জন্য তার বরাদ্দ সময় মাত্র ২ মিনিট। কেন? দুই মিনিট কেন? আমরা তো এর আগে অনেক গল্প শুনেছিলাম। অনেক আহ্বান শুনেছিলাম। শুনেছিলাম, ৩০ তারিখে ঘোষিত হলেও ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে নির্বাচনের নামে বাংলাদেশে যে কলঙ্কিত ইতিহাস রচিত হয়েছে, তাতে যদি বিএনপি সংসদ সদস্যরা যোগ দেন তবে তাদের জন্য রয়েছে সুখবর। যথেষ্ট সময় পাবেন তারা। কথা বলবেন প্রাণ খুলে।

কিন্তু সে সুযোগ প্রথম দিনই পেলেন না ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। এই নির্বাচনে বিএনপিকে মাত্র ছয়টি আসন দেয়া হয়েছিল। যেন ভুল করে হিসাবের গোলমালে তারা এমপি হয়ে গেছেন। বাকি সবই দখল করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সারা বিশ্ব বলেছে এবং এখনো বলে যাচ্ছে, গত ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে নির্বাচনের নামে যে প্রহসন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। এমনকি এ সপ্তাহেই যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র পুনরায় বলেছে, বাংলাদেশে ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তাতে জনমতের প্রতিফলন ঘটেনি। নির্বাচন কমিশন প্রশাসন ও পুলিশ সরকারের নির্দেশে এমন নির্লজ্জভাবে ভোট কেটেছিল যে, স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল সারা বিশ্ব। তারা কেউ এমন নির্বাচন পৃথিবীর আর কোথাও দেখেনি।

আগের রাতে প্রশাসন ও পুলিশ মিলে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রেখেছিল। প্রথম দিকে নির্বাচন কমিশন বরাবরের মতো এই নির্বাচন নিয়ে ডুগডুগি বাজালেও, দেশে-বিদেশে অবিরাম সমালোচনার মুখে তারা শেষ পর্যন্ত স্বীকার করে নিয়েছে যে, আসলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। কার্যত আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হয়েছিল। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজেও বলেছিলেন, যাতে আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা না যায়, তার জন্য তিনি ইভিএম ব্যবস্থা চালু করবেন। অর্থাৎ, আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরায় যে কেলেঙ্কারি হয়েছে, সে কেলেঙ্কারি ঘুচিয়ে তিনি ইভিএমের ওপর নতুন দায় আরোপ করে নির্বাচনে তার কারচুপির ধারা অব্যাহত রাখতে চান। ইভিএম বিশ্বব্যাপী এখন এক পরিত্যক্ত যন্ত্র। এই যন্ত্রের সাহায্যে দূরনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে কাক্সিক্ষত প্রার্থীকে অনায়াসে ভোট দিয়ে দেয়া যায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ভেতরে ভেতরে এতটাই পক্ষপাতদুষ্ট এবং সরকারের পদলেহী যে, ভবিষ্যতেও সরকারি দলকে জেতাবার পথ তিনি খোলা রেখেছেন।

হোক। কিন্তু একে একে নির্বাচন কমিশনের সব দেউটি নিভেছে। মাহবুব তালুকদার প্রথম থেকেই নির্বাচন কমিশনের এসব আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমুখর ছিলেন। তারপর আমরা দেখেছি, নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন সবাই কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন যে, ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখ রাতেই সম্পন্ন হয়ে যায় এবং যেকোনো মূল্যে এটা রোধ করতে হবে। হাসির উৎসেরও বোধহয় একটা সীমারেখা আছে। কিন্তু আমাদের দেশের নির্বাচন কমিশনের যে হাস্যকর কর্মকাণ্ড তার কোনো সীমারেখা নেই। এরা বিষণœ ভোটারদের হাসাতে খুব পছন্দ করে। তাই কেউ কেউ এদের ভাঁড়দের আসর বলে অভিহিত করেছেন।

২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর তথা ২৯ ডিসেম্বর রাতে যে ভোট-ডাকাতি হয়েছে সে বিষয়টা এখন আর কারো অজানা নেই। বিশ্বব্যাপী ছিঃ ছিঃ আছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকেও লোকে ছিইছি বলে অভিহিত করেন। ব্যক্তিত্ব বলতে যা বোঝায় তার বিন্দুমাত্র তার চরিত্রে নেই। অথচ এ রকম একজন সাবেক যুগ্ম সচিবকে সরকারপ্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। সুতরাং সরকারকেও একগুচ্ছ ছিঃ দেয়া যায়।

এই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ওপর তাদের কর্তৃত্ব রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তারা বলেছে, আগের রাতে কারা ভোট দিলো, কিভাবে দিলো, কেন দিলো, এ বিষয়ে প্রশ্ন করার এখতিয়ার বা অধিকার ও ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। হায় অসহায় এই সেবাদাস নির্বাচন কমিশন। কেন নেই? সে কথার জবাব নির্বাচন কমিশন জনগণের কাছে দিতে বাধ্য ছিল। কিন্তু কমিশন তা দিতে পারেনি। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন পুলিশ ও প্রশাসনের এবং সরকারের হাতের ক্রীড়নক ছিল মাত্র। তাদের নিজস্ব কোনো শক্তি, সামর্থ্য, অস্তিত্ব ছিল না। এতেই খুব খুশি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।

বাংলাদেশের ইতিহাসে বিচারপতিরা কিংবা অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিবরা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু কোনো অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব (যেমন কে এম নুরুল হুদা) কোনো দিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেননি। এই নুরুল হুদা আবার ছিলেন বিএনপি ও বেগম খালেদা জিয়ার ঘোর বিরোধী। সে কারণে তাকে ২৫ বছরের যুক্তিতে অবসরে পাঠানো হয়। শেখ হাসিনা সরকার আবর্জনার স্তূপ থেকে তাকে তুলে এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব দিয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকারের আশা যেকোনো অবস্থাতেই এই সেবাদাস সরকারের সেবা করবেই।

আমরা শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার প্রশংসা করি। যত দিন কে এম নুরুল হুদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার আছেন, তত দিন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে সিটি মেয়র ও জাতীয় সংসদ সদস্য কেউই শেখ হাসিনার ইচ্ছার বাইরে নির্বাচিত হতে পারবেন না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা নির্বাচন কমিশনের ভুলে শত বাধা সত্ত্বেও বিএনপির ছয়জন নির্বাচিত হয়ে গেলেন, সেটা গ্রহণ করার কোনো কারণই ছিল না। প্রাথমিক পর্যায়ে বিএনপি এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিল। কিন্তু যে ৫-৬ জন নির্বাচিত হলেন, তাদের প্রায় সবাইকেই সরকার নিঃস্ব করে দিয়েছিল। তাদের ব্যবসাবাণিজ্য সবকিছু কেড়ে নেয়া হয়েছিল। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ওই এমপিদের কেউ কেউ শপথগ্রহণ করে ফেলেছিলেন। শপথ যখন নিয়েই ফেলেছেন, তাহলে চূড়ান্ত বিচারে তাদের আর শাস্তি দিয়ে কী লাভ! সুতরাং ৫-৬ জন লোক বিএনপির একটি ভাইটাল সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনতে বাধ্য করল।

মন্দের ভালো এই যে, বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি হয়ে এলেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। রুমিন ফারহানা ভাষা আন্দোলনের মহানায়ক অলি আহাদের মেয়ে। অলি আহাদ ঈর্ষণীয় রাজনৈতিক জীবনযাপন করেছেন। যেখানে অন্যায়, যেখানে অবিচার, সেখানেই তিনি প্রতিবাদ করেছেন। যারা ইতিহাস জানেন, তারা জানেন, বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা আন্দোলনে অলি আহাদের কী অসাধারণ অবদান রয়েছে! তিনি শুধু রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনকারীই ছিলেন না, ছিলেন একজন বড় মাপের রাজনৈতিক লেখকও। তার বিভিন্ন গ্রন্থ গবেষকদের কাছে আকর হিসেবে বিবেচিত হয়। তার সুযোগ্য সন্তান ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

তিনি গত ১২ জুন সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন এবং যোগ দিয়ে সংসদকে উত্তপ্ত করে তুলেছিলেন। না, তিনি সংসদে ওলটপালট করে দেয়ার মতো ক্ষমতা রাখেন না। কিন্তু কথা তো বলতে পারেন। ভুলে-ভালে যে ছয়জন বিএনপি সদস্য নির্বাচিত বলে ঘোষিত হয়েছেন, তার বাইরে সংরক্ষিত নারী কোটায় এমপি হয়েছেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। এরা শপথ নেয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও নেতারা সমস্বরে বলতে থাকলেন যে, আসুন, বিএনপির সংসদ সদস্যরা। আপনাদের কথা বলার যথেষ্ট সুযোগ দেয়া হবে। আপনারা এই ছয়জন এলেই সংসদ প্রাণবন্ত হয়ে যাবে। আসুন, আসুন। এই আহ্বান জানানোর কাতারে প্রধানমন্ত্রী নিজেও ছিলেন। জনগণ হেসেছে। সরকারের মুষ্টির বাইরে এভাবে যে ছয়জন নির্বাচিত হয়ে গেল, তাদের সরকার কেবলই ডাক পাড়ে। আসুন, আসুন, জাতীয় সংসদের দরজা আপনাদের জন্য খোলা। আপনাদের সব কথা বলতে দেবো। এসে সংসদকে প্রাণবন্ত করুন। অথচ এর সবই হাস্যকৌতুকের উপসর্গ ছিল মাত্র।

অতএব ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা স্পিকারের বেঁধে দেয়া ২ মিনিট সময়ের জন্য উঠে দাঁড়ালেন। সে কি তার উত্থান! যেমন সমুদ্রের ভেতরে হঠাৎ সাগরদেবী যেন জলতরঙ্গ রোধ করে উঠে দাঁড়িয়েছে। রুমিন নিজেও জানতেন, কী হবে। তবু তিনি তার শুভেচ্ছা বক্তব্য শুরু করেন। বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়।’ এ কথা বলা মাত্রই সত্যি সত্যি অনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা হৈ হুল্লোড় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। একে নাকি সংসদকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা বলে। দুই মিনিট সময় বেঁধে দিলেও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার বক্তব্য যাতে শোনা না যায়, তার জন্য আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-এমপিরা এমন চিৎকার চেঁচামেচি ও হাউকাউ করতে থাকেন যে, সংসদ কক্ষে কেউ রুমিনের বক্তব্য ভালোভাবে শুনতে পাননি। এ সময় স্পিকার সরকারি দলের সদস্যদের শান্ত হওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানান। কেউ কর্ণপাত করেননি। হ্যালো, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিগণ, রুমিনের বক্তব্য চলতে দিলেন না কেন?

ফ্লোর নিয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আজকের সংসদে আমার প্রথম দিন। যেকোনো রাজনীতিবিদের মতোই সংসদে আসা, সংসদে দেশের কথা, মানুষের কথা বলা আমার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য আমি এমন একটি সংসদের প্রতিনিধিত্ব করছি যে সংসদটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। নির্বাচনের পরপরই যদি আপনারা টিআইবির রিপোর্ট দেখেন, যদি আপনারা বিদেশী গণমাধ্যম দেখেন, যদি আপনারা বিদেশী পর্যবেক্ষকদের দেখেন, যদি আপনারা নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট দেখেন, আপনারা দেখবেন, এই সংসদটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। সুতরাং আমি খুশি হবো যদি এই সংসদের মেয়াদ আর এক দিনও না বাড়ে।’

তিনি বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, আমি এমন একটি সংসদে দাঁড়িয়ে আছি, যেই সংসদে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আপসহীন নেত্রী, গণতন্ত্রের জন্য যিনি বারবার কারাবরণ করেছেন, বাংলাদেশের মানুষের গণমানুষের নেত্রী, যিনি জীবনে কোনো দিন কোনো আসন থেকে কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি, সেই বেগম খালেদা জিয়া এই সংসদে নেই। তাকে পরিকল্পিতভাবে, একটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলায় আজকের ষোলো মাসের বেশি সময় আটকে রাখা হয়েছে। একজন আইনজীবী হিসেবে আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়ার মামলার যে মেরিট, তার শারীরিক অবস্থা, তার সামাজিক অবস্থান এবং তার যে বয়স, সব কিছু বিবেচনায় তিনি তাৎক্ষণিক জামিন লাভের যোগ্য।’ ‘সরকারের হুমকিতে আমাদের অ্যাকটিং চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন না। আমাদের শীর্ষ থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত একেকজনের নামে শত শত মামলা। মাননীয় স্পিকার, তিনি দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে সজ্জন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত’ - তিনি বলেন,

এই পর্যন্ত যাওয়ার পর সময় শেষ হওয়ায় স্পিকার তাকে ধন্যবাদ দিয়ে বক্তব্য শেষ করার কথা বলেন। স্পিকার বলেন, ‘বক্তব্য শেষ করুন। পরে আবার বলার সুযোগ পাবেন।’ ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা যতক্ষণ বক্তব্য দিচ্ছিলেন, আমরা সংসদ টেলিভিশনে দেখছিলাম, ততক্ষণ চেনা তো যায় না, আওয়ামী লীগ এমপিরা সম্ভবত জাতীয় পার্টি, মেনন পার্টি, জাসদ পার্টি, ইনু পার্টি, সব এমপি কেবলই চিৎকার চেঁচামেচি করছিলেন এবং খেল শুরু হো গিয়া। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার বক্তব্যের পর ফ্লোর নিয়ে প্রতিবাদ করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। সংসদ বেশ ভালো জায়গা। হ্যালো, সুজন সাহেব, ঈদে আপনার রেল যে কার্যকরভাবে চলল না, সংসদে সেই কৈফিয়ত দিন। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার কথার জবাব আপনার কাছে কেউ চায়নি। তবু সুজন বললেন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা শপথ নিয়ে নির্বাচনকে অবৈধ বলায় ১৬ কোটি মানুষকে অসম্মান করেছেন। তাই আমি তার বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানাচ্ছি। সুজন সাহেব, আপনি রেলের কাজে মনোযোগ দিন, যা আপনি বোঝেন না, সে বিষয়ে কথা বলবেন না।

আসলে, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার দুই মিনিটই সরকারের চেহারা স্পষ্ট করে দিয়েছে। যেহেতু এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, ফলে তারা যা খুশি তাই বলতে পারে। জনগণ কোনো একদিন এর প্রতিকার চাইবে। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা কতটুকু সফল হবেন জানি না, তবে, আপনার বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ।

লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
rezwansiddiqui@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement