২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ঢাকাবাসী কেমন আছেন?

- ছবি : নয়া দিগন্ত

‘নিরাপদ ঢাকা’ গড়ার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা কিছু দিন আগে সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তির কাছ থেকে শোনা গেছে। এই দায়িত্বশীল ব্যক্তি বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট। তাই অনুমান করা যেতে পারে, তিনি ঢাকার আইনশৃঙ্খলার ওপর গুরুত্বারোপ করে থাকতে পারেন। পৃথিবীর বৃহৎ শহরগুলোর মধ্যে নিঃসন্দেহে ঢাকা একটি। তবে অন্য সব বড় শহরের নিরাপত্তার সাথে ঢাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা তুলনা করা যায় না। সেসব বড় শহরের নিরাপত্তার জন্য যে লোকবল ও আধুনিক ব্যবস্থা এবং যে নিয়মকানুন বিধিবিধান রয়েছে তার ধারেকাছেও ঢাকা নেই। এসব বিষয়ে যদি ব্যবস্থা নিয়ে ঢাকার নিরাপত্তা জোরদার করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয় সে ক্ষেত্রে ঢাকাকে নিরাপদ করার বিষয়টি হবে এখনকার সময়ের সাধারণ দাবি।

একটি রাজধানী শহরের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে তার নিরাপত্তা বিধান করা অবশ্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে নিরাপত্তাই একমাত্র নাগরিক সুবিধা নয়। এর বহু শাখা প্রশাখা রয়েছে। সেগুলোর উন্নতি করে ঢাকাবাসীর স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করা কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রধান কর্তব্য। নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে কথা উঠলে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি আসে তা হলো- জানমালের নিরাপত্তা, অর্থাৎ মানুষের নিরাপদে বসবাস করার পরিবেশ। এসব বিষয় নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর। ঢাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নগরবাসীকে কতটা সুরক্ষা দিচ্ছেন, হেফাজত করছেন, সেবক হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তারা কতটা সফল? এসব বিবেচনায় নিলে ঢাকাবাসী কোনোভাবেই তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারে না। তাদের তারা রক্ষক সেবক ও বন্ধু হিসেবে বিবেচনায় নিতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে মানুষের যে দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা তার পরিপ্রেক্ষিতেই তারা এসব বাহিনীর কাছে সাহায্য চাওয়ার চেয়ে যতটা দূরে থাকা যায়, ততটাই নিরাপদ বোধ করে।

এসব বাহিনীর সদস্যরা মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো এবং নিজেদের তাদের সেবক ভাবার পরিবর্তে ক্ষমতা-কর্তৃত্ব জাহির করেন। তা ছাড়া তাদের মানুষের সেবক হওয়ার মানসিকতা তৈরির জন্য যে শিক্ষা-প্রশিক্ষণ দেয়া উচিত তার কোনো বালাই নেই। তাই তারা এমন মানসিকতা নিয়ে কাজ করেন যে, শ্রদ্ধা-ভক্তি দেখানো নয়, শক্তি ও ক্ষমতা প্রয়োগ করেই মানুষের সাথে কাজ করতে হবে। এমন মানসিকতা পোষণকারী ব্যক্তিদের নিয়ে ঢাকার মানুষকে আরো নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দ জীবনযাপন করার সুযোগ দেয়া কী করে সম্ভব? একটি গণতান্ত্রিক দেশের এমন সব বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহি করতে হয়। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে তার কঠোর প্রতিবিধান হয়। একটি রাষ্ট্রের মৌলিক উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, সে রাষ্ট্রে মানুষের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা। আর সে ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যারা নিয়োজিত তাদের একটা বড় দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু এদের নিয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা হচ্ছে বেদনার। অথচ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এসব বাহিনীর সদস্যদের সেবা পেয়ে সেখানে মানুষ প্রীত ও আনন্দিত। ঢাকাকে নিরাপদ করার যে পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে, তার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে এসব বিষয় বিবেচনায় রাখা জরুরি।

তা না হলে এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য সফল হবে না। ঢাকা মহানগরীতে আনুমানিক এক কোটি ৮০ লাখের মতো মানুষের বসবাস। এর অর্ধেকই নারী। এই বিপুলসংখ্যক নারী এখন ঢাকায় কেমন আছেন? যৌন সহিংসতা, স্বাস্থ্যসেবাপ্রাপ্তি, নারীদের প্রতি সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি, অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা- এই চার মানদণ্ডে ঢাকার নারীরা কতটা নিরাপদ? আন্তর্জাতিক সংস্থা থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের কিছুকাল আগের একটি জরিপ অনুযায়ী, নারীদের জন্য ভয়ঙ্কর শহরের তালিকায় বিশ্বের যে ১৯টি মেগা সিটি রয়েছে, তার মধ্যে ঢাকার অবস্থান সপ্তম। এই শহরে নারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির চিত্র খুব খারাপ। নারীদের জন্য এই রাজধানী শহরের সংস্কৃতি আরো খারাপ। তবে স্বাস্থ্যসেবাপ্রাপ্তি ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাদের অবস্থা মন্দ নয়। বিশ্বজুড়ে এক কোটির বেশি জনসংখ্যার ১৯টি মেগাসিটিতে ওই জরিপ চালানো হয়েছে। মোটা দাগে চারটি বিষয়ে আমলে নিয়ে নারীদের জন্য ভয়ঙ্কর শহরের তালিকা করেছে সংস্থাটি।

এর মধ্যে যৌন সহিংসতা, ধর্ষণ অথবা যৌন হামলা ও হয়রানিসহ যৌন অপরাধের মধ্যে এই শহরে নারীরা বসবাস করতে পারেন কি না, এই প্রশ্নের প্রেক্ষাপটে খুব বাজে অবস্থা সামনে এসেছে। জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, বিশ্বের ১৯টি মেগাসিটির মধ্যে ঢাকার অবস্থান মেক্সিকো সিটির সাথে যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে। এ ছাড়া ঢাকায় নারীদের ছিনতাইসহ যানবাহনে যাতায়াতের সমস্যা রয়েছে। নারীদের জন্য ঢাকার সংস্কৃতির স্বরূপ প্রসঙ্গে প্রশ্ন ছিল ক্ষতিকর সংস্কৃতি বা কুসংস্কার থেকে নারীরা সুরক্ষিত কিনা। এর যে জবাব আসে তা খুবই ভয়াবহ। নিরাপদ ঢাকা গড়ার কথা বলে এটা প্রকারান্তরে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে যে, এখানে অভাব রয়েছে নিরাপত্তার। ভবিষ্যতে নারীদের কিভাবে সুরক্ষা দেয়া যায়, এ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাওয়া উচিত। নারী সমাজের স্বাচ্ছন্দ্য বা নিরাপত্তা বিধান করতে না পারলে তাতে পুরো জাতি নানাভাবে ভুগবে। নারীরা পরিবারে পরিচর্যা করে থাকেন, তাদের অবদানেই প্রতিটি গৃহ ও সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিত হতে পারে। নারীদের কষ্ট-দুর্ভোগ কমাতে না পারলে যে সমস্যার সৃষ্টি হবে সেটি পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রকে বিষম সমস্যায় ফেলবে। বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়ন ঘটেছে; কিন্তু নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করা যায়নি আজো। তাই এমন ক্ষমতায়ন কার্যত অর্থহীন বলে মনে করা যেতে পারে।

যে বাহিনী মানুষের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্বে, তাদের কাছ থেকে মানুষ অবশ্যই ন্যায়ানুগ ও সমতাভিত্তিক আচরণ কামনা করে। কিন্তু আমাদের দেশের সেসব বাহিনীর কাছ থেকে তেমন আচরণ পাওয়া যায় না। কিন্তু লক্ষ করা যায়, তারা সরকারের রাজনৈতিক মত-পথকে ধারণ করে চলেছেন। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে ভিন্ন মত পোষণের যে অধিকার ও সুযোগ রয়েছে তার প্রতি তাদের শ্রদ্ধা বা সম্মান দেখানোর পরিবর্তে তারা ভিন্ন মতাবলম্বীদের সাথে শত্রুতামূলক আচরণ করে থাকেন। পক্ষান্তরে এসব বাহিনী ক্ষমতাসীনদের প্রতি সমিহ ও শ্রদ্ধা দেখায়। রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক এমন দলীয় আনুগত্য দেখানোর কোনো সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও বাস্তবে সেটিই ঘটছে বারবার। এমনটি কোনো গণতান্ত্রিক দেশে কল্পনাও করা যায় না। দেশে এখন কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। এ কারণে এসব বাহিনী কোনো কিছুর পরোয়া করে না।

ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক আনুগত্যকেই প্রাধান্য দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালনের প্রস্তুতি হিসেবে তাদের দীর্ঘ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু কর্মে নিযুক্ত হয়ে মানুষের সাথে কিভাবে তাদের আচরণ করতে হবে, সে শিক্ষা তাদের দেয়া হয় বলে কার্যত মনে হয় না। পরাধীন আমলে এসব বাহিনীর আচরণ ছিল এক ধরনের প্রভুর মতো। আর এখনো তাদের সেই আচরণের পরিবর্তন ঘটেছে মনে হয় না। তাদের হাতে অস্ত্রসম্ভার তুলে দিলেই শুধু চলবে না, তাতেই জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না। সবাইকে বুঝতে হবে এই প্রজাতন্ত্রের মালিক সাধারণ মানুষ। তাদের সবাইকে সেবা দেয়ার জন্যই বিভিন্ন বাহিনীর সৃষ্টি। তাদের অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত করার কারণ আরো দক্ষতা-যোগ্যতার সাথে মানুষকে সুরক্ষা দেয়া। নিরাপদ ঢাকা গড়ার যে লক্ষ্যের কথা শোনানো হয়েছে, তাকে সার্থক করতে বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিতে হবে।

যেকোনো নগরীর নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব পাওয়া উচিত। কিন্তু এ ছাড়া আরো সব আয়োজন থাকতে হবে যাতে নগরবাসী স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করতে পারে। পৃথিবীর নির্মল পরিবেশ নিয়ে এখন ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। সে বিবেচনায় যদি ঢাকা নিয়ে কথা ওঠে, তাতে দেখা যাবে এই নগরীর মানুষ যে পরিবেশে বসবাস করে তা তাদের জীবনের জন্য হুমকির ব্যাপার। ঢাকার পরিবেশগত নিরাপত্তা বিধান করা এখন সব থেকে বেশি গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে। ঢাকার বাতাস, এই শহরের শব্দদূষণ, এর পানি প্রভৃতি মারাত্মকভাবে দূষিত। রাজধানীর সুপেয় পানি সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে ওয়াসা। সম্প্রতি ঢাকার পানির নিম্নমান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। পানির মানের প্রশ্নের পাশাপাশি, পর্যাপ্ত পানি পাওয়া নিয়ে ঢাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে। ওয়াসা মহানগরীর মানুষের জন্য যে পানি সরবরাহ করে, তা এই শহরে বসবাসকারীদের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। অথচ ঢাকা শহরের চারদিকে নদী রয়েছে। এসব নদীর পানির সুষ্ঠু ব্যবহার নেই।

ঢাকা নগরীর নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি ঢাকামুখী মানুষের এখন যে স্রোত, তা কমানো না গেলে ঢাকার মানুষের সুযোগ-সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। এই স্রোত কমানোর পথ আমাদের সংবিধানে সন্নিবেশিত রয়েছে। সংবিধানে রাষ্ট্রকে এমন তাগিদ দেয়া হয়েছে যে, শহর ও গ্রামে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রার মধ্যে যে বিরাট বৈষম্য রয়েছে, তা হ্রাস করতে হবে। এ দুই অঞ্চলে মানুষের জীবনযাপনের মধ্যে এই বৈষম্য ক্রমান্বয়ে যদি কমিয়ে আনা হয় এবং গ্রামের মানুষ যেখানে বসবাস করে সেখান থেকেই যদি শহরের সুবিধা ভোগ করতে পারে, শহরে এসে বসবাসের প্রবণতা কমে যাবে। শহর ও গ্রামাঞ্চলে জীবনযাত্রার মানে ব্যবধান কমিয়ে আনা গেলে তা জনস্রোত কমানোর একটা উপায় হবে। কিন্তু একমাত্র সমাধান নয় এটা।

গ্রামের জনগণের কাজের সংস্থান করতে হবে, তাদের আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠা করে বেকার জনগোষ্ঠীর হাতে কাজ তুলে দিতে হবে। পাশাপাশি, গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের চিকিৎসাপ্রাপ্তিকে সহজলভ্য করা জরুরি। নিজ বাসস্থানে থেকেই তারা যেন চিকিৎসাসেবা পাওয়া নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারে। কেননা, চিকিৎসার জন্য বহু মানুষ শহরে আসে। গ্রামাঞ্চলের অভিভাবকেরা যেন মনে করে যে, তাদের সন্তানদের এখানেই উপযুক্ত শিক্ষা সহজলভ্য। এসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি বড় শহরগুলোর বাইরে যে ছোট ও মাঝারি শহর রয়েছে, সেগুলোর নাগরিকসেবা উন্নত করা হলে এসব শহরেও গ্রামের মানুষ বসতি করতে পারে। কারণ বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য শহরমুখী হতে বাধ্য হচ্ছে। এর পাশাপাশি সেখানে উপযুক্ত শিক্ষা পাওয়ার সুযোগ তৈরি করতে হবে। বড় শহরগুলোর আশপাশে যে ছোট শহরগুলো রয়েছে, তার উন্নতি করাও জরুরি। যাতে গ্রামাঞ্চল থেকে শহরমুখী মানুষের স্রোত এসব নগরীতেও প্রবেশ করে। তাহলে বড় শহরের ওপর মানুষের চাপ হ্রাস পাবে।

সব মিলিয়ে এ কথাই বলতে চাওয়া হচ্ছে যে, দেশের সব স্থানেই সামঞ্জস্য রেখে উন্নতি নিশ্চিত করা উচিত। তা হলেই মানুষের স্থানান্তরিত হওয়ার কারণ ঘুচতে পারে। আমাদের পরিকল্পনাবিদদের এই আলোকে পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রয়াস পেতে অনুরোধ করছি। ঢাকায় মানুষের বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে শহরটি দ্রুত বিস্তৃত হচ্ছে। এর ফলে কিছু মানুষের মাথা গোঁজার ঠাই হচ্ছে বটে। কিন্তু ঢাকার অপরিকল্পিত বিস্তার হাজারো সমস্যার জন্ম দিয়ে চলেছে। শহরতলির এসব বাসস্থানে বহু সমাজবিরোধীর এখন আবাসস্থল। এরা ঢাকার আইনশৃঙ্খলার জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এদের জন্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে না পারা এক বিরাট সমস্যা। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার কোনো সুযোগ না থাকায় সেখানকার শিশু ও মহিলাদের জীবন ধারণ করাটা অত্যন্ত কঠিন। একটি আধুনিক বড় শহরে নাগরিকদের চিত্তবিনোদনের যথেষ্ট সুযোগ থাকে। এ বিবেচনায় ঢাকার তুলনা হয় না। এটা না থাকায় ঢাকার মানুষকে ক্লান্তিকর একঘেয়েমিপূর্ণ জীবনযাপন করতে হয়। এটা মানুষের সুস্থ থাকার অনুকূল নয়।

ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement