১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজনীতিতে বিদ্বেষ

রাজনীতিতে বিদ্বেষ - ছবি : সংগ্রহ

দেশের রাজনীতি এখন সুস্থ স্বাভাবিক নয়। এর মধ্যেই সরকারি দলের প্রধান প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এখন নানা সমস্যায় ঘুরপাক খাচ্ছে। তাদের এই সঙ্কট নিয়ে সবার সহানুভূতি প্রকাশ ভদ্রতার পরিচায়ক। ক্ষমতাসীনদের তৈরি নানা কৌশলের কারণে বিএনপির নেতা-নেত্রী ও কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে অসংখ্য সাজানো মামলায় তাদের স্বাভাবিক জীবন এখন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দলের বহু নেতা এ কারণে জেল জীবনযাপন করছেন। বহু গায়েবি মামলা দিয়ে তাদের বেঁধে ফেলা হয়েছে। এতে করে তারা এক দুঃসময় পার করছে। তাদের এই নাজুক অবস্থা নিয়ে সরকারি দলের নেতা-নেত্রীরা এখন সহমর্মিতা প্রকাশ করা তো দূরের কথা, বিএনপিকে নিয়েই ঠাট্টা উপহাস করছে। বলা হচ্ছে, বিএনপি এখন আর কোনো দল নয়। নিশ্চয়ই অনেকেই এখন এমন ভাবছেন যে, ক্ষমতাসীনদের তৈরি পরিবেশের কারণে কয়েকবার ক্ষমতায় যাওয়া বিএনপির এই দুরবস্থার জন্য শাসক দলের অনুতাপ বোধ করা উচিত। এ জন্যই যে, তাদের আমলে বিভিন্ন দলের অধঃগতি ঘটছে। ক্ষমতাসীনেরা কখনোই তাদের প্রতিপক্ষের অস্তিত্বকে ভালো নজরে দেখেনি। দূর অতীতে তারা ক্ষমতা ও কৌশল অবলম্বন করে তাদের সব বিরুদ্ধবাদীদের স্তব্ধ করে দিয়েছিল। এখন অবশ্য শক্তি নয়, নানা কৌশল প্রয়োগে একে একে সবাইকে নিস্তব্ধ করে দিচ্ছে। নির্বাহীদের এখন শাসন পরিচালনার মুখ্য অ্যাজেন্ডা হচ্ছে তাদের এককভাবে পথচলার জন্য সব প্রতিবন্ধকতা দূর করা। এমন একদর্শিতার কারণে তাদের নজরে আইনের প্রাধান্য নেই, সুশাসন নিয়ে কোনো তাগিদ অনুভব করা হচ্ছে না। সেবা নয় শাসনকে প্রাধান্য দেয়ার কারণে জনগণ কঠোরভাবে শাসিত হচ্ছে। দিনযাপনে শত সঙ্কট নিয়ে তাদের আহাজারির শেষ নেই। নিজেদের এমন শাসন কার্যক্রম অপ্রতিরোধ্য করার জন্য দলীয় লোকদের সব ধরনের সাহায্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। যাতে কোনো প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ উচ্চারিত না হয়। সেজন্য মানুষের পক্ষে সরব কোনো প্রতিবাদ করার সুযোগ এখন আর নেই। অথচ বাংলাদেশের সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে।’ সংবিধানের এই অনুচ্ছেদটি ব্যাপক ধারণা সম্বলিত। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই অনুচ্ছেদটি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে, দেশ এখন কোথায় অবস্থান করছে আর দেশের জনগণ সংবিধানের কতটা সুরক্ষা পাচ্ছে ও সরকার এই সংবিধান কতটা অনুসরণ করছে।

সংবিধানের এই ধারার শুরুতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে গণতন্ত্রের প্রতি। অথচ গণতন্ত্রের হাল অবস্থা নিয়ে উপরে কিঞ্চিৎ উল্লেখ করা হয়েছে। গণতন্ত্র বিপদগ্রস্ত হলে দেশের মানুষ তাদের অধিকার হারায় এবং মূক ও বধির হয়ে থাকতে হয়। সমাজে অবিচার-অনিয়মের প্রতিকার চাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। দেশের জনগণ এখন অনেকটা সেই স্তরে অবস্থান করছে। এমন একটি বদ্ধ সমাজে মানবাধিকারের সর্বজনীন চর্চার অবকাশ থাকতে পারে না। সমাজ ও রাষ্ট্রের হাল মানবাধিকারের ধারণা বিস্তৃত। বাংলাদেশের সংবিধানে এর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে জনগণকে নিজ মত পোষণ এবং সে অনুসারে রাজনৈতিক বা সামাজিক সংগঠন করার এবং সাংগঠনিক তৎপরতা চালানোর সুযোগ দেয়া আছে। এখন এমন সব তৎপরতা চালানোর ব্যাপারে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সমাজ ও রাষ্ট্রের হাল অবস্থা নিয়ে আলোচনা করে স্বাধীন মতপ্রকাশে সুযোগ এখন কমে আসছে। সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলতে পারার সৎ সাহস প্রকাশের অধিকার হারিয়ে যাচ্ছে। দেশের স্বাধীনসত্তার বিকাশের পথ রুদ্ধ হওয়ায় এখন জনগণের মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখানো হচ্ছে। উল্লিখিত অনুচ্ছেদে প্রশাসনের সব পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। তবে এ কথা বলার আর কোনো অবকাশ নেই যে, সংবিধানের এই চেতনাটিকে এখন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঁকি দেয়, যদি সংবিধানের নির্দেশনাকে আমলে নেয়া না হয় তবে কোন বিধিবিধান দিয়ে দেশ পরিচালিত হবে, দেশের সর্বোচ্চ আইনের মর্যাদা দেয়া হয়েছে সংবিধানকে। কিন্তু তার প্রতি যথাযথ সম্মান শ্রদ্ধা না দেখানো হলে এটাই মনে করতে হবে যে, আইনের শাসন এখন ততটুকুই কার্যকর রয়েছে যতটুকু নির্বাহীদের অনুকূলে যায়। ব্যক্তি-গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষা এবং তুষ্টির জন্য যেখানে আইন বলবৎ হয় সেখানে খুব কম মানুষই আইনের সুরক্ষা পেয়ে থাকে। অথচ প্রজাতন্ত্রের জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে যেখানে সংবিধানকে ভূষিত করা হয়েছে সেটার সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারী তো সবাই।

আইন কানুনের এমন ব্যত্যয় যেভাবে ঘটে চলেছে, তাতে সমাজ রাষ্ট্রে ভেঙে পড়ার দশা। আইন যেখানে সচল নয় সেখানে তা অমান্য করলে শাস্তির বিধান নিয়ে কোনো ভীতি থাকারও কারণ থাকে না। আর এমনটি সামাজিক শৃঙ্খলাকে বিনষ্ট করে। সে কারণে সমাজজীবনে নানা দুরবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের প্রায় অর্ধেক নাগরিক নারী। সেই নারীরা প্রতিদিন যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। নারী নির্যাতনের সাথে জড়িত থাকলে দুর্বৃত্তদের কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। এই ভয় বিরাজ করছে বলে মনে হয় না। কারণ, এসব অপরাধী মনে করে ক্ষমতা প্রভাব অর্থবিত্ত তাদের আইনের ঊর্ধ্বে উঠে যাওয়ার সুযোগ করে দেবে। এমন ভয়কে জয় করার কৌশল রপ্ত থাকার জন্য দুর্বৃত্তদের হাতে প্রতিদিন সড়কপথে অসংখ্য মানুষ খুন হচ্ছে। সমাজজীবন এমন দূষিত হয়ে পড়ার কারণে এক শ্রেণীর অপরাধী খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মিশিয়ে মানুষের প্রাণনাশের সাথে জড়িত রয়েছে। এসব অপরাধী দীর্ঘ সময় থেকে বিধিবিধানের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বহাল রয়েছে। এদের গায়ে টোকাটি পর্যন্ত পড়ে না। অথচ সমাজপতিরা আলো জ্বালিয়ে এদের সন্ধান করেন, আর সেই প্রদীপের নিচে নিরাপদে অবস্থান করে দুষ্কৃতকারীরা।

সব আইন-কানুন বিধি-বিধান এটাই বলে যে, দেশের মালিক দেশবাসী। তাদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রনির্বাহীদের দায়িত্ব। দেশের মানুষ যাতে শান্তি নিরাপত্তার মধ্যে বসবাস করতে পারে সেটা নিশ্চিত করাই নির্বাহীদের কর্তব্য। আর এই দায়িত্বকর্তব্য পালনের ব্যাপারে প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয় তার হিস্যা সমানভাবে বণ্টিত হচ্ছে না। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, দেশে ধনিক শ্রেণী মানুষের আয় ক্রমাগত বাড়ছে। পক্ষান্তরে নিম্ন আয়ের জনগণের উপার্জন প্রকৃত অর্থে হ্রাস পাচ্ছে। এতে শ্রেণীবৈষিম্য ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ রাষ্ট্রীয় নীতি হচ্ছে এই আয়বৈষম্য কমাতে হবে। একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের এই নীতি এখন প্রতিপালিত হচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় সম্পদ বণ্টনের এই ত্রুটি রেখেই নির্বাহী অগ্রসর হচ্ছে। জনকল্যাণের ধারণা তারা বহুদূর অবস্থান করছে।

সম্পদ ও ক্ষমতার কাছে যদি নতি স্বীকার করা হয়, তবে নীতি ও ন্যায়বিচার বহাল থাকবে না। সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের লক্ষ্য মানুষের কল্যাণ করার পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। এখন অবস্থাটা যেন তাই। দেশের কোথাও কোথাও কৃষক শ্রমিকের আহাজারিতে এটা উঠে আসছে যে, সমস্যা সুষ্টি হওয়ার আগে তা সুরাহার ব্যবস্থা করতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। রাষ্ট্রের জনগণকে সঙ্কটমুক্ত রাখার যে দূরদৃষ্টি সেটা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। যেসব পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে তা জনাশ্রয়ী নয়। বিশেষ করে যেসব পরিকল্পনা অনুসরণ করে রাষ্ট্রের কর্মপদ্ধতি প্রণীত হচ্ছে তাতে গলদ রয়েছে। কেননা, যাদের দেয়া তথ্য-উপাত্ত দিয়ে পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে তারা আসলে কতটুকু জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন। সেটা নিয়ে কথা আছে। প্রথা অনুসারে সংসদ সদস্যদের মাধ্যমেই তথ্য-উপাত্তগুলো সংগৃহীত হয়ে থাকে। কিন্তু এখন যারা সংসদ সদস্য তাদের প্রতিনিধিত্ব করাটা কতটা সঙ্গত তা বিবেচনার বিষয়। কেননা গত বছর ডিসেম্বর মাসে যে সংসদ গঠিত হয়েছে তার নির্বাচনের শুদ্ধ নিয়ে দেশে বিদেশে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ সে নির্বাচন মানুষের কাছে কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। কেননা মানুষের ভোট না পেয়েই তারা সবাই নির্বাচিত ঘোষিত হন। তাই তাদের তৃণমূল মানুষের সাথে সম্পর্ক থাকার কথা ওঠে না।

সেজন্য তাদের কাছে মাটি ও মানুষের তথ্য থাকাটা স্বাভাবিক নয়। রাজনীতিতে এখন যারা সম্পৃক্ত তারা প্রকৃতপক্ষে জনকল্যাণ বা কোনো নীতি-নৈতিকতার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়। বিশেষ করে যারা সরকারি দলের মার্কা নিয়ে সংসদে বসেছেন তাদের ব্যাপারে অভিযোগ রয়েছে তাদের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী বিত্তবান। সম্পদের পাশাপাশি এখন প্রভাব ক্ষমতা কব্জা করাই রাজনীতিতে তাদের যোগ দেয়ার কারণ। এই পরিস্থিতি যদি বহাল থাকে তবে রাজনীতির সাথে সাধারণ মানুষের সম্পর্ক শিথিল হয়ে পড়বে। প্রশাসন থেকে গণতান্ত্রিক আবহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে দেশে শাসন কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। প্রায় অর্ধশতাব্দী হতে চলল দেশ স্বাধীন হয়েছে। এত সময়েও দেশে কোনো পরিচালনাপদ্ধতি গড়ে তুলতে না পারাটা আমাদের রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতা।

আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে ক্ষমতাসীনেরা এককভাবে দেশের শাসন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার পথ অনুসরণ করছে। এতে দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ অবশ্যই থাকবে। আর তাতে সামষ্টিক উন্নয়নের বিষয়টি গৌণ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। উপরে তার কিছু নমুনাও উল্লেখ করা হয়েছে। এতে শাসনব্যবস্থা পিছিয়ে যাবে। যেমন অতীতে রাজন্যবর্গ এবং পরিষদ ছিল রাষ্ট্রে সব ক্ষমতা এবং বৈভবের অধিকারী। আর সাধারণ জনগণের ভালোমন্দের বিষয়টি গুরুত্ব পেত না। অবস্থাদৃষ্টিতে মনে হয় এখন সেই অবস্থায়ই প্রতিষ্ঠা পেতে চলেছে। সম্প্রতি দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অব্যবস্থার চিত্র ফুটে উঠেছে তাতে গোষ্ঠীশাসনের খারাপ দিকগুলোই মূলত চিহ্নিত হয়েছে। এর পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ মানুষের অন্ন বস্ত্র স্বাস্থ্য শিক্ষা ও আশ্রয়ের সংস্থান না হলে তাকে কিভাবে উন্নয়ন হিসেবে ধরা যায়। আর উন্নয়নের ধারণা নিছক কিছু প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়া নয়, সাথে থাকতে হবে গণতন্ত্র মানবাধিকার ও সুশাসন। এসবের সন্ধান তো খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে হলোটা কী।

দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে নির্বাহীদের ব্যর্থতা এখন অনিয়ম দুর্নীতির সব মাত্রা অতিক্রম করছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে বাংলাদেশের পরিচিতি এখন বিশ্বের অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে। আর দেশের ভেতরে এর কুফল হিসেবে দেখা দিয়েছে আর্থিক কেলেঙ্কারি। দেশের সব সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অর্থ লোপাটের অসংখ্য ঘটনা ঘটছে। যারা অর্থ লোপাট করছে এবং ঋণখেলাপি হচ্ছে তাদের কোনো শাস্তির বিধান নেই। বরং রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য পাচ্ছে। সুশাসনের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য আইনের সরল পথে চলা। নির্দোষীকে রক্ষা করা হলো আইনের উদ্দেশ্য। কিন্তু এখন বরং তার উল্টো অপরাধীরাই সহায়তা পাচ্ছে আর আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলদের বিপদেরই সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সমাজে এমন বৈষ্যমের চিত্র হরহামেশাই লক্ষ করা যাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে প্রতিদিন এমন বিপরীত কাহিনী পাঠ করতে হচ্ছে। বরং যা প্রকাশ পাচ্ছে তার চেয়ে অনেক বেশি ও মারাত্মক ঘটনা ভয়ভীতির কারণে উঠে আসছে না।

ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement