২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জঙ্গিবাদের আদি অন্ত

- ফাইল ছবি

গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে জুমার নামাজের ৫০ জন মুসল্লিকে হত্যার পরই ২১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর ইস্টারসানডে প্রার্থনা সভায় চারটি গির্জা এবং সেই সাথে তিনটি হোটেলে সিরিজ বোমা হামলায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ২৫০ জন নিহতসহ পাঁচ শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এই হামলার কারণে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শেখ ফজলুল করীম সেলিমের নাতি, নিষ্পাপ শিশু জায়ান চৌধুরী নিহত হয়েছে এবং তার বাবা মারাত্মকভাবে আহত, যারা সপরিবারে শ্রীলঙ্কায় বেড়াতে গিয়েছিলেন।

এখন পর্যন্ত এ হামলার দায় কেউ স্বীকার না করলেও ‘মুসলিম উগ্রবাদী’ সংগঠনের প্রতি অঙ্গুলি তোলা হচ্ছে। তবে শ্রীলঙ্কান কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত নিশ্চিত করে কারো প্রতি অভিযোগ উপস্থাপন করেনি। শ্রীলঙ্কায় সরকার গঠন নিয়ে তীব্র মতবিরোধ আছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রচার করেছে। সিরিজ বোমা হামলার পর দেশটির পুত্তালুম জেলার একটি মসজিদে পেট্রলবোমা হামলা চালানো হয়। একই সাথে, বান্দারাগামা এলাকায় মুসলিম মালিকানাধীন দুটি দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলি বৌদ্ধরা শ্রীলঙ্কার পূর্বাঞ্চলে এ হামলা চালিয়েছে। তবে তাদের কাউকে আটক করা হয়নি।

২১ তারিখের দু’দিন পর হামলার দায় স্বীকার করেছে কথিত ইসলামিক টেস্ট, তবে কোনো প্রমাণ দেয়নি বলে শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষ মতামত ব্যক্ত করেছে। ২৩ এপ্রিল প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুযান বিজেবর্ধনে বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে গুলি করে হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতেই শ্রীলঙ্কায় ইস্টারসানডে উদযাপনের সময় ধারাবাহিক বোমা হামলা চালানো হয়েছে।’ শ্রীলঙ্কার ন্যাশনাল তাওহিদ জামায়াত (এনটিজে) এবং জামায়াতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়া নামক দুটি সংগঠন রয়েছে সন্দেহের তালিকায়। ২৪ এপ্রিল আমাক নিউজ এজেন্সি নামে পরিচিত প্রচার মাধ্যম থেকে সাতটি ছবি ছাপিয়ে হামলাকারীদের পরিচয় প্রদান করে আইএস হামলার দায় স্বীকার করে ‘প্রমাণপত্র’ জারি করেছে।

সন্ত্রাসবাদ বা জঙ্গিবাদ বা Terrorism পৃথিবীতে প্রায় ৫০০ বছরের পুরাতন সমস্যা। ল্যাটিন শব্দ 'Terrere' থেকে Terrorism শব্দের উৎপত্তি, যা ১৭৯৩-১৭৯৪ সালে ফ্রান্সে চলমান ছিল। রোমান সম্রাট ক্রুশবিদ্ধ করে গণহত্যার মাধ্যমে ঞবৎৎড়ৎরংস কায়েম করেন। ফ্রান্সে বিপ্লবের সময় কয়েক মাসে ২০ হাজারের বেশি মানুষকে হিলোটিন (Guillotine)-এর মাধ্যমে হত্যা করা হয়। জার্মানিতে হিটলারের নেতৃত্বে বৈষম্যমূলক আইন প্রণয়ন ও গণহত্যার মাধ্যমে ইহুদিদের নির্মূল করা হয়। আফ্রিকার রুয়ান্ডায় ৬ এপ্রিল ১৯৯৪ সালে তাদের প্রেসিডেন্ট বিমান হামলায় নিহত হওয়ার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই হুতুরা তুতসিদের লাখে লাখে হত্যার মাধ্যমে নির্মূল করে। তদানীন্তন পাকিস্তান সরকার ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা শুরু করলে মুক্তি যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়। দেশে দেশে রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্ষমতাহীনদের প্রতি সন্ত্রাস সৃষ্টি করা হয়েছে। অন্য দিকে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন অন্যায় অত্যাচারের প্রতিবাদে রাষ্ট্রকে অকার্যকর করার জন্য সন্ত্রাসী অনেক ঘটনা ঘটেছে।

নিউ ইয়র্কভিত্তিক Anti-Defamation League- এর জরিপ মতে- ‘২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সংঘটিত ৭১ শতাংশ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীরা এবং ২৬ শতাংশ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে মুসলিম চরমপন্থীরা।’ Institute for Economic and Peace of Australia মতে ‘সন্ত্রাসী হামলা দিন দিন বেড়েই চলেছে।’

শ্রীলঙ্কার ইতিহাস অনেক রক্তঝরা। তামিল টাইগাররা ২৩ জুলাই ১৯৮৩ সালে ১৩ জন সৈনিককে হত্যা করে গৃহযুদ্ধের সূচনা করেছিল। ওই গৃহযুদ্ধ একনাগাড়ে ২৬ বছর চলার পর ২০০৯ সালে তামিল টাইগারদের নির্মূল করা পর গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটলেও একটি ‘পৃথক রাজ্য’ অর্জনের জন্য পুনরায় স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘোষণা তখনই তামিলরা দিয়েছিল।

ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, শ্রীলঙ্কার প্রথম রাজা ছিলেন রাজকুমার বিজয় সিংহ, যিনি ভারতের সিংহপুর থেকে বিতাড়িত হয়ে শ্রীলঙ্কা জয় করে তিনি রাজত্ব শুরু করেন। ১৯৯১ সালের ২১ মে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়– রাজ্যের শ্রীপেরামপুদ্যুরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীসহ ১৫ জনকে হত্যার ঘটনা শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের ‘প্রতিশোধ’ বলে ধারণা করা হয়। ১৯৯৩ সালে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রানা সিংহে প্রেমাদাসাকে তামিল টাইগাররা হত্যা করে কলম্বোতেই। ১৯৯৫ সালে নৌবাহিনীর জাহাজ ডুবিয়ে দিয়ে দুর্ধর্ষ বিদ্রোহীরা শুরু করে ‘তৃতীয় ইলম যুদ্ধ’। ২০০১ সাল পর্যন্ত চলতে থাকে প্রচণ্ড গৃহযুদ্ধ।

৫৪ বছর বয়সী তামিল টাইগার প্রতিষ্ঠাতা প্রভাকরণকে ২০০৯ সালে হত্যার (অ্যাম্বুলেন্সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালানোর সময়) মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকশে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ লাভ করলেও গৃহবিবাদের এখনো অবসান হয়নি; বরং গৃহবিবাদ বর্তমানে চরমে। মাত্র ছয় মাস আগে রাষ্ট্রপতি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন। এ নিয়েও চরম আভ্যন্তরীণ উত্তেজনা বিরাজমান। এবার সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ প্রধানও স্বরাষ্ট্র সচিবকে দায়িত্ব অবহেলার জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদ মতে ভারত ঘটনার চার দিন আগেই হামলার পূর্বাভাস শ্রীলঙ্কা গোয়েন্দাদের অবগত করেছিল।

জঙ্গি বা সন্ত্রাসবাদের ওপর বিশেষ গবেষণা করে DAVID RAPOPORT আন্তর্জাতিক Terrorism কে চারটি স্তরে ভাগ করেছেন। তার মতে, একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে ১৮৮০ সালে রাশিয়াতে প্রথম স্তরের সন্ত্রাসবাদ শুরু হয়, যা ১৯২০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। দ্বিতীয় সন্ত্রাসবাদী অভিযান শুরু হয় উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে, যা ১৯২০ শুরু হয়ে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত চলে। বামপন্থী চিন্তাধারায় রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ১৯৬০ থেকে ১৯৮০ পর্যন্ত তৃতীয় দফায় সন্ত্রাসবাদ অব্যাহত থাকে। ওই সময়ে পশ্চিম জার্মানির Red Army, ইতালির Red Brigades, ফ্রান্সের French Action Directe প্রভৃতি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন গড়ে ওঠে। তার মতে ১৯৭৯ সালে ইরানের বিপ্লব সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান দখলের কারণে ইসলামী ‘চরমপন্থী’ যুগের সূচনা হয়। ১৯৮৩ সালে ‘হিজবুল্লাহ’ নামক শিয়া সংগঠন গঠন এবং ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সাথে আমেরিকার ডড়ৎষফ ঞৎধফব ঈবহঃবৎ আক্রমণের মধ্যে দিয়ে চরমপন্থী ইসলামী সংগঠনের ব্যাপক আত্মপ্রকাশ ঘটে যার জন্য আলকায়েদাকে দায়ী করা হয়।

বর্তমান আন্তর্জাতিক বিশ্বে মানবতা বা নৈতিকতার কোনো স্থান নেই। রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে বন্ধুত্ব একটি মিথ্যা ও বানোয়াট কথা। এক রাষ্ট্রের সাথে অন্য রাষ্ট্রের সম্পর্কের মূলে স্বার্থ। ফলে সঙ্ঘাত (ঈড়হভষরপঃ) অথবা আপস (ঈড়সঢ়ৎড়সরংব)-এর মধ্যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক চলমান রয়েছে। ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানিদের গণহত্যাকে চীন ও আমেরিকা সমর্থন জানিয়ে, পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেছিল। এদিকে ভারত কাগজে কলমে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলেও ধর্মীয় সঙ্ঘাত অর্থাৎ মুসলিম নিধন ভারতেই বেশি হয়েছে। মোদি সরকার নিজেই মুসলিমবিদ্বেষী। সেখানে মোদিকে ঠেকাতে মমতা ব্যানার্জি (পশ্চিমবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রী) রাজনীতির স্বার্থে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ’ করেছেন। এগুলো সবই এক প্রকার নাটকমাত্র।

অপর দিকে, বৌদ্ধ ধর্মের মূলনীতি হচ্ছে ‘জীব হত্যা মহাপাপ’। অথচ মিয়ানমারে রাখাইনের মুসলমানদের হত্যা করতে তাদের দ্বিধা হয় না। মিয়ানমার রাষ্ট্র মুসলিম গণহত্যা চালাচ্ছে যার প্রতি সমর্থন দিচ্ছে চীন ও ভারত। এখানেও নিজ নিজ স্বার্থ জড়িত। এক্ষেত্রে মানবতা ও নৈতিকতার স্থান নেই। সেন্টমার্টিন দ্বীপ দখলকে কেন্দ্র করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত হতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা এই প্রবাল দ¦ীপটির নাম ছিল জাজিরা। অধিকমাত্রায় নারিকেল গাছ থাকায় পরবর্তীতে দ্বীপটি নারিকেল জিঞ্জিরা নামে অভিহিত হয়। ব্রিটিশ পর্যটক সেন্ট মার্টিন এখানে আগমনের পর থেকেই দ্বীপটি তার নাম অনুসারে পরিচিত হতে থাকে। অনেকের ধারণা, ওই পর্যটক একজন সাধু ছিলেন। দ্বীপটি লম্বা আট বর্গমাইল, পাশে কোথাও এক, কোথাও দেড় বা কোথাও আধা মাইল। দ্বীপটি একটি ইউনিয়ন এবং কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার অন্তর্ভুক্ত। সম্প্রতি মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়েছে যার উসকানি দিচ্ছে মিয়ানমার সরকার।

২৮১ কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার মধ্যে ৬৩ কিলোমিটারই পানিসীমান্ত, যার মিয়ানমারের লোলুপদৃষ্টি দ্বীপটির প্রতি রয়েছে। মিয়ানমার এখন দ্বীপটি নিজের বলে দাবি করার পর থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পাহারা জোরদার করেছে। সেন্টমার্টিন অর্থনৈতিক ও সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ; এছাড়াও এর পর্যটন গুরুত্ব হয়েছে। দ্বীপটির একটি অংশ ‘ছেঁড়া’ দ্বীপে এখনো কোনো জনপদ গড়ে ওঠেনি। দ্বীপটি রক্ষণাবেক্ষণে যতটুকু গুরুত্ব দেয়া দরকার ছিল বাংলাদেশ তা করেনি। তবে সম্প্রতি পর্যটক নিয়ন্ত্রিত সংখ্যায় রাখার ঘোষণা দিয়েছে। রোহিঙ্গা ও সেন্টমার্টিনকে নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতি যেকোনো সময় যেকোনো দিকে মোড় নিতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে প্রটেকশন দেয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব বা জাতিসঙ্ঘ কিংবা ওআইসির দুর্বল ভূমিকা অত্যন্ত দুঃখজনক। স্বার্থবাদী শাসনব্যবস্থার কাছে বিশ্বমানবতা আজ পদদলিত।

দীর্ঘদিন গবেষণা করে সন্ত্রাসবাদ বা জঙ্গিবাদের সর্বসম্মত সংজ্ঞা জাতিসঙ্ঘ দিতে পারেনি আজো। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর একটি সংজ্ঞা দিয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী তালিকা থেকে হিজবুল্লাহকে বাদ দেয়ার জন্য সুপারিশ করেছে। সন্ত্রাসবাদ বা জঙ্গিবাদ নির্মূল করা বা প্রতিবন্ধক সৃষ্টি জন্য আন্তর্জাতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে কোনো সংজ্ঞা এখনো প্রকাশিত হয়নি। কেউ অন্যায়কে প্রতিরোধ করার জন্য অস্ত্র হাতে নেয়, অন্য দিকে ব্যক্তিগত বা অন্যায় স্বার্থ আদায়ের জন্যও অস্ত্রধারীর অভাব নেই। তবে আমরা মনে করি, যেকোনো কারণেই জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে একজন নিরস্ত্র মানুষের ওপর অস্ত্রের আঘাতে হত্যা পৈশাচিক বর্বরতা এবং মানবতার চরম লঙ্ঘন। এটা কোনো নৈতিকতা বা আর্দশ হতে পারে না। এটা সভ্যতার জন্য কলঙ্ক।

ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা হজরত মোহাম্মদ সা: এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের শাসনামলে নিরস্ত্র ব্যক্তির ওপর হামলার কোনো নজির পাওয়া যায় না। মনে রাখা দরকার, ঘোষণা দিয়ে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ এবং নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালানো এক হতে পারে না। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখার জন্য অথবা নির্যাতন, অত্যাচার, অবিচারের প্রতিবাদে সন্ত্রাসবাদের সূচনা। মোট কথা নিরীহ নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করা সভ্যতার দুরপনেয় কলঙ্ক এবং চরম মানবতাবিরোধী।

লেখক : কলামিস্ট ও আইনজীবী (অ্যাপিলেট ডিভিশন)
taimuralamkhandaker@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement