২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ইংল্যান্ডে ‘হেট ক্রাইম’ ও মরিয়ম মোস্তফা

প্রতীকী ছবি - এএফপি

ব্রিটেনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ‘হেট ক্রাইম’, ঘৃণা ছড়ানো এবং সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে গেছে। কয়েক বছর ধরে এই অবাঞ্ছিত প্রক্রিয়া বেশ জোরদার হয়েছে। অবস্থা দেখে মনে হয়, একটি ‘হোয়াইট টেররিস্ট গ্রুপ’ বা সাদা চামড়া সন্ত্রাসী দল ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে বিদ্বেষ ও আক্রমণ চালাচ্ছে। পুলিশ বলেছে, নব্য নাৎসি দল ইয়র্কশায়ার, লিডস, ডিউসবারি ও বেটলিতে চরম দক্ষিণপন্থী দলের সাথে মিশে মুসলমানদের বিরুদ্ধে নৃশংসতায় নেমেছে। পুলিশ এ রকম ৪০ জন নব্য নাৎসিকে শনাক্ত করেছে। ব্রিটেনে মুসলিম জনসংখ্যা বর্তমানে ৩০ লাখের মতো এবং সে দেশে মুসলমানদের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।

যুক্তরাজ্য নব্য নাৎসি গোষ্ঠীকে দেশের জন্য ক্ষতিকর, ভীতিপ্রদ ও অনিরাপদ বলে মন্তব্য করেছে। এই দল ‘ন্যাশনাল অ্যাকশন’ নামে তাদের সন্ত্রাসী কাজকর্ম চালিয়ে আসছে। সরকার এই দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণাও করেছে। প্রমাণিত হয়েছে যে, ব্রিটিশ লেবার পার্টির সদস্য জো কক্সকে এরাই হত্যা করেছিল। কক্স চাইতেন ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে থাকুক এবং সিরীয় উদ্বাস্তুদের বেশি করে আশ্রয় দিক। হত্যাকারী শ্বেত আধিপত্যবাদী সন্ত্রাসী টমাস মেয়র। আদালতও ‘সন্ত্রাসী’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামার দারিদ্র্য বিমোচনের একটি সংস্থা প্রকাশ করে যে, মেয়রের সাথে ১৯৯৯ সাল থেকে ন্যাশনাল অ্যাকশনের যোগাসাজশ ছিল।

ব্রিটেনে মুসলমানেরা এখন নিয়মিত ‘হেট ক্রাইমের’ শিকার হচ্ছেন, এই জঘন্য অপরাধ দিন দিন বাড়ছে। সাদা চামড়ার অনেক ব্রিটিশকে বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ম্যানচেস্টারে আত্মঘাতী বোমা হামলার পর মুসলিমবিদ্বেষ ৫০০ ভাগ বেড়ে যায়। ম্যানচেস্টার পুলিশ আরো জানায়, এর আগে মুসলিমবিদ্বেষী অপরাধ ১৮৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল, যার পরিণামে হত্যা করা হয়েছে ২২ জনকে।

২০১৮ সালে ডেইলি টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সহিংসতায় লন্ডন নিউইয়র্ককে ছাড়িয়ে গেছে। লন্ডনে শুধু ছুরিকাঘাতেই ৪৬ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন, যেখানে নিউইয়র্কে গুলিসহ সব মিলিয়ে আহত হয়েছেন ৫০ জন। ফেব্রুয়ারি মাসে নিউইয়র্কে ১১ জনের প্রাণ ঝরে গেছে আর লন্ডনে ঝরেছে ১৫ জনের প্রাণ। মার্চে লন্ডনে ২২টি খুনের তদন্ত হয়েছে, নিউইয়র্কে তদন্ত হয়েছে ২১টি। আরেক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১৫ সালে ব্রিটেনে মুসলমানদের লক্ষ করে হামলা ও অপদস্থ করার ঘটনা ৩২৬ শতাংশ বেড়েছে। এসব হামলার প্রধান টার্গেট হচ্ছে হিজাব-বোরকা পরা মুসলিম মহিলারা। ওই বছর মুসলিমদের লক্ষ করে ১১২৮টি হামলা-হেনস্তার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনাগুলোতে ১৩ থেকে ১৮ বছরের শ্বেতাঙ্গ কিশোর তরুণেরা বেশি জড়িত। এসব বিদ্বেষমূলক হামলার শিকার যারা হচ্ছেন, তারা জানিয়েছেন, হামলার সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা ঠেকানোর কোনো চেষ্টা করে না। স্মর্তব্য, মোবাইলে আরবি হরফ লেখা দেখে নেপলসগামী তিন ভাইবোন সাকিনা, মরিয়ম ও আলীকে আইএস সন্দেহে বিমান থেকে নামিয়ে দেয়ার ঘটনা মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল।

ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসলামবিদ্বেষ বা বর্ণবাদী মন্তব্য শেয়ার করার অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া ১৫ জন কাউন্সিলরকে দলে পুনর্বহাল করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সৌদি নাগরিকদের ‘বালু চাষি’ এবং এশিয়ানদের ‘কুকুরের’ সাথে তুলনা করে মন্তব্য করার পরও অভিযুক্তরা দলীয় সদস্য পদ ফিরে পেয়েছেন। মুসলিমদের ‘কেভমেন’ বা গুহাবাসী এবং ‘সেক্স অফেন্ডার’ বা যৌন অপরাধী মন্তব্য করেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছিলেন এসব কাউন্সিলর।

লন্ডনের মুসলিম মেয়র সাদিক খানের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করছেন এরাই কনজারভেটিভ পার্টিতে এ ধরনের ইসলামবিদ্বেষী বা বর্ণচোরদের প্রতিরোধ করতে দলের ভেতর থেকে নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন দ্য কনজারভেটিভ মুসলিম ফোরামের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমিন। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর ইংল্যান্ডে হেট ক্রাইমের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৬০০ শতাংশ, মানে ৬ গুণ। ব্রিটেনের বার্মিংহামের বাংলাদেশী রেস্তোরাঁয় ‘গ্রাফিতি’ হামলা হয়েছে, ছয়টি মসজিদে গভীর রাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, এ মাসের ১৯ মার্চ নিউজিল্যান্ডের সন্ত্রাসী হামলার পর।

সেন্ট্রাল লন্ডনে মিসরীয় প্রকৌশলী ছাত্রী মরিয়ম মোস্তফাকে ১০ জন ব্রিটিশ মহিলা পিটিয়ে হত্যা করেছে। ১৮ বছর বয়সী মরিয়মকে লাঠি ও ঘুষি মেরে আহত করা হয়। নটিংহামের রাস্তায় তাকে মারধর করার পর সে দৌড়ে গাড়িতে উঠলে শ্বেতাঙ্গ ওই মহিলারা তার পিছু পিছু গাড়িতে উঠে আঘাত করে। গাড়ির জন্য অপেক্ষা করার সময়ও আঘাত করে তাকে। ‘বিশ্বের সেরা’ ব্রিটিশ পুলিশ এখনো এই বর্ণবাদী ও মুসলিম বিদ্বেষ ঘটনার নাকি কারণ খুঁজে পায়নি! মরিয়মের মৃত্যুর ফলে মিসরের জনগণ প্রতিবাদ জানায়। তাকে মারধরের দৃশ্য, যা বাসের পেছন থেকে তোলা হয়েছিল, সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। যারা তাকে মেরেছে তাদের সর্বশেষ কী হয়েছে এবং খুনের বিচারের অবস্থাও আর জানা যাচ্ছে না।

যুক্তরাজ্যের শিক্ষাঙ্গনগুলোতে প্রতি তিনজন মুসলিম শিক্ষার্থীর একজন ইসলামবিদ্বেষী হামলার শিকার, যারা ইসলামী পোশাক পরে তারা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকে বেশি। অর্ধেক মুসলিম শিক্ষার্থীই তাদের ধর্মের কারণে অনলাইনে হয়রানির শিকার হচ্ছে। যেসব মুসলিম শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হন, তাদের ৭৯ শতাংশই শুধু মুসলিম হওয়ার কারণে হয়রানির সম্মুখীন। শিক্ষার্থী ফাতিমা দিরিয়ে বলেন, তিনি জিলবাব (ইসলামী পোশাক) পরিধান করেন বলে দুই শিক্ষার্থী তার ছবি তুলে সেটিকে যৌনোদ্দীপক বানিয়ে প্রচার করেছে। এমন কি ছবিতে তারা চরম অশ্লীলভাবে লিখে দিয়েছে- ‘আমি পুরুষাঙ্গ পছন্দ করি’। যুক্তরাজ্যের ‘ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব স্টুডেন্টস’ জরিপ করে জানিয়েছে এসব তথ্য।

মুসলিমবিদ্বেষী অব্যাহত সন্ত্রাসের কারণে ৩৫০টি মসজিদের কর্তৃপক্ষ এবং মুসলিম সংগঠনগুলো ব্রিটিশ সরকারকে তদন্ত করে, দোষীদের শনাক্ত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। ব্রিটেনের মুসলিম কাউন্সিল বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরে ব্রিটেনের ইসলামোফোবিয়া দূরীকরণ এবং টরি পার্টি সদস্য ও সংসদ সদস্যদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার অনুরোধও জানিয়েছে।

লন্ডনের মেয়র সাদিক খান কনজারভেটিভদের ইসলামোফোবিয়ার সংজ্ঞা দিতে বলেছেন। তিনি থেরেসা মে’কে চিঠি দিয়ে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে দলের লোকদের সাথে বসে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আলাপ করতে। ব্রিটিশ মুসলিমদের নিরাপত্তার বিষয়ে সরকারের কী ভূমিকা, তাও তিনি জানতে চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, কনজারভেটিভ বা রক্ষণশীল কিছু সদস্য ব্রিটেনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছে। তার নিজের বিরুদ্ধেও ঘৃণা ছড়াচ্ছে। এসবের কী পরিণতি এবং কী বিচার হবে, তিনি তা জানতে চাইলেন। তিনি পার্লামেন্টে সর্বদলীয় সভা আহ্বান করাতে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, লেবার পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তাকে সমর্থন দিয়েছে; এখন থেরেসা মের পালা।

তিনি মে’কে প্রশ্ন রাখেন, তার দলের শাওন বেইলি তাকে (সাদিক খানকে) ‘লন্ডনিস্তানের পাগল মোল্লা’ নামে অভিহিত করে আর্টিকেল লিখে প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কী করেছেন বা করবেন তারও ব্যাখ্যা চেয়েছেন মেয়র। সাদিক খান বলেছেন, এসব লোক গত মেয়র নির্বাচনে জনগণ কর্তৃক ধিকৃত হয়ে থেরেসা মের রক্ষণশীল দলে কাজ করছে। কিন্তু গত ২৮ মার্চ থেরেসা মে ইসলামোফোবিয়াকে সংজ্ঞায়িত করতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ধারণা হয়, তিনি টোরি পার্টির কর্মকাণ্ড বিশেষ করে যারা ইসলামোফোবিক তাদের সমর্থন করেন।

এখন প্রশ্ন আসে, থেরেসা মে নিজে কি ইসলামোফোবিক বা ইসলামাতঙ্কে ভুগছেন? থেরেসা মে সিরিয়ার উদ্বাস্তু শিশুদের ফিরিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার করার পরও সে ওয়াদা রক্ষা করেনি। তার শাসনামলে ব্রিটিশ অর্থনীতির সূচক নিচে নেমে গেছে। দেশ ঋণগ্রস্ত হয়েছে বেশি, এখন তা ৮২ শতাংশ নেট। অর্থনীতিকে তিনি লেজেগোবরে করে ফেলেছেন। জনগণ এ কারণে ভুগছে। ব্রিটিশরা এখন নিউজিল্যান্ড পাড়ি দিতে ভিড় করছে বলে নিউজিল্যান্ডের পত্রপত্রিকা জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিক, যারা যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন, তারা বিভিন্ন আইনি মারপ্যাঁচে অস্থির। এখন যুক্তরাজ্যকে হয়তো এক লাখ অধিবাসীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এসবই সরকার প্রধান থেরেসার প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে হয়েছে। ইইউ নেতারাও মের আক্রমণাত্মক আচরণে নাখোশ।

ব্রিটিশ জনগণ ব্রেক্সিট বিষয়ে তার নীতির বিরোধী। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ভারতের প্রখ্যাত ইমলামী ব্যক্তিত্ব ড. জাকির নায়েককে ভিসা দেননি। তিনি বলেন, আমাকে ভিসা না দিলে করার কিছু নেই, তবে এর লিখিতভাবে এর কারণগুলো জানান। কিন্তু থেরেসা মে এ বিষয়ে কোনো লিখিত ব্যাখ্যা দেননি। মৌখিকভাবেও এর কারণ জানাননি। তার প্রশাসনিক যোগাযোগ দুর্বল, ফলে নেতৃত্বও দুর্বল। তিনি ক্ষমতায় থাকার জন্য দক্ষিণপন্থী দল ডিইউপির সাথে হাত মিলিয়েছেন। এটাকে লোকজন ‘উন্মাদের দল’ বলে থাকে। এই দলের সাথে থেরেসার সম্পর্কের পর উত্তর আয়ারল্যান্ডে সহিংসতা বেড়ে যায়। তার ব্যর্থতার ঝুলিতে এটিও জমা হয়েছে।

বলা হচ্ছে, তার দল ইসলামোফোবিয়া দ্বারা পুষ্টি লাভ করে। মুসলমানদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা, মুসলিম দেশগুলোতে খাবারসহ কোনো সহায়তা না দেয়া ইত্যাদি করা হয়েছে। উঠতি বয়সীরা এখন মদে আসক্ত হচ্ছে। লরা বুশ থেরেসা মেকে চাপ দিয়েছেন, শহরে অ্যালকোহল ফ্রি জোন করার জন্য। লরা ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করবেন পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখার জন্য। ব্যারোনেস সৈয়দা ভার্সি, প্রাক্তন পার্লামেন্টারিয়ান তিনি বলেন, ‘থেরেসা মে কিছুই শোনেন না, কোনো সমস্যা তিনি আঁচ করতে পারেন না।’ আরো বলেন, ‘তার মাথা বালিতে গুঁজে গেছে।’ সৈয়দা ভার্সি ব্রাইটন বা ব্রিটিশদের ইসলামভীতি প্রসঙ্গে বই লিখেছেন। ‘ঞযব ঊহবসু ডরঃযরহ: অ ঞধষব ড়ভ গঁংষরস ইৎরঃধরহ’ ভার্সি যখন মুসলিমবিদ্বেষ প্রসঙ্গে ভাষণ দিয়েছিলেন তখন থেরেসা তাকে সমর্থন করেননি। ২০১১ সালেই সৈয়দা ভার্সি অভিযোগ করেছিলেন, ইংল্যান্ডে মুসলিমবিদ্বেষ ‘ডিনার টেবিল টেস্ট’ উত্তীর্ণ হয়েছে। থেরেসা মে’র সেক্রেটারি অব স্টেট থাকাকালে বরিস জনসন বলেছিলেন, ‘ইসলামই সমস্যা’ এবং ‘ইসলামোফোবিয়া কুরআন অধ্যয়নের কারণে প্রকৃতিগত প্রতিক্রিয়া।’ থেরেসা এসব আপত্তিকর উক্তি কোনো প্রতিবাদ করেননি।

বর্ণবাদ ও ইসলামবিদ্বেষের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে। বর্ণবাদ, উগ্রপন্থা, ইসলামবিদ্বেষ ইত্যাদির বিরুদ্ধে মুসলমানেরা বড় বড় মিছিল করেছে। লন্ডন, কার্ডিফ ও গ্লাসগোর মতো বড় শহরে এসব বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। সংহতি জানানো হলো উদ্বাস্তু ও অভিবাসীদের অধিকারের প্রতি। বিক্ষোভকারীরা ‘অভিবাসী ও উদ্বাস্তুরা স্বাগত’, ‘বর্ণবাদী হামলা বন্ধ করো’ ইত্যাদি সেøাগান দেন। বর্ণবাদবিরোধী সংগঠন ‘স্ট্যান্ডআপ রেসিজম’ এমন বিক্ষোভের আয়োজন করে থাকে। এসব বড় বড় মিছিলে ব্রিটেনজুড়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে।

এসব বিক্ষোভে ব্যাপক সমালোচনা করা হয় ‘পানিশ অ্যা মুসলিম ডে’ বা ‘মুসলমানদের শাস্তি প্রদান করার দিন’ উদযাপনের। ব্রিটিশ ৩ এপ্রিলকে এই দিন হিসেবে বেছে নিয়েছে। মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর মৌখিক হামলা, নারীর হিজাব খুলে ফেলা, দৈহিক আঘাত, মসজিদে হামলা, এসিডের ব্যবহার, শূকরের রক্ত ও কর্তিত মস্তক মসজিদে ফেলা- এসব গর্হিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মুসলিমবিদ্বেষ প্রদর্শন, বিশেষ করে ৩ এপ্রিলে এসব কর্মকাণ্ড বেশি করার জন্য ইসলামোফোবিক দলগুলো এক হয়েছে। যারা এ ধরনের মুসলিমবিদ্বেষী বড় কোনো কাজ করবে, তাদের পুরস্কৃত করার স্পর্ধাও দেখানো হয়েছে। একটু পেছনে তাকালে দেখব, লন্ডনের মসজিদে শোকার্ত মানুষের সাথে প্রধানমন্ত্রী কথা বলার সময় একজন ভ্যানচালক মুসলমানদের ওপর গাড়ি তুলে দিয়ে বলে, ‘আমি সব মুসলমানকে হত্যা করতে চাই।’

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব, বাংলাদেশ সরকার ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় সাহায্য বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ আইসিজের দিল্লি হাইকোর্টে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ জামালপুরে সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ ‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা বছরে পৌনে ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু দূষণে

সকল