২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

এমন যেন না হয়

-

দেশ পরিচালনায় সরকার ও এর প্রশাসন কতটা সক্রিয় এবং রাষ্ট্রীয় নীতি-নির্দেশনা অনুসরণ করে চলছে, আর তাতে জনগণের কতটা কল্যাণ সাধিত হচ্ছে তা পরখ কবার যদি কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না থাকে, তবে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কোনো আশা করা যায় না। বাংলাদেশে এখন যে প্রশাসনিকব্যবস্থা কায়েম রয়েছে, তাতে এর ভালোমন্দ যাচাই পর্যালোচনার কোনো পরিবেশ ও ফোরামের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। সরকার ও এর প্রশাসনের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এমন জবাবদিহির অভাব থাকায় এখন নানা ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে। রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের কাজ যদি আলোচনা সমালোচনার ঊর্ধ্বে থাকে, তবে তাতে নির্বাহীদের মধ্যে অহমিকা সৃষ্টি করবে এবং তা একপর্যায়ে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের জন্ম দেবে।

যদি এভাবেই সব এগিয়ে যায়, তবে দেশে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটতে পারে। যার অনেক আলামত ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। গণতন্ত্রের মূল চেতনা- সুষ্ঠু ভোটব্যবস্থা, জবাবদিহি, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাসহ আরো বহু কিছু। কিন্তু এসব এখন হুমকির মুখে। আমাদের সংবিধানে সংযোজিত রয়েছে ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে।’ নির্বাহী বিভাগ এই ধারণাকে অনুসরণ করে চলে বলে মনে হয় না। নিজেদের ইচ্ছেমাফিক তারা পরিচালিত হয়ে থাকে। তাতে অনেক ক্ষেত্রে মনে হতে পারে দেশের মালিক জনগণ নয় বরং নির্বাহীরা।

জনগণকে দেশের মালিক বিবেচনা করে তাদের সন্তুষ্টি অর্জন নির্বাহীদের লক্ষ্য হওয়া উচিত হলেও তাদের কর্তব্য কাজে তার প্রতিফলন খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাদের এমন দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সমাজে বৈষম্যের সৃষ্টি হচ্ছে। নির্বাহী বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে একশ্রেণীর মানুষ এখন বিত্তবান হয়ে উঠছে। তারাই বলতে গেলে এখন রাষ্ট্রযন্ত্রের চালক। তারাই জাতীয় সংসদে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য বসেছেন। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, তাদের এক শ’ ষাট জনের বেশি হচ্ছেন উচ্চবিত্তের মানুষ। তাই শ্রেণীগত কারণে তারা স্বাভাবিকভাবেই সব কাজে তাদের স্বগোত্রের মানুষের পক্ষ নেবেন। তাদের স্বার্থ রক্ষা ও কল্যাণের জন্য তারা কাজ করবেন। এমন অবস্থা বজায় থাকলে কখনই সাধারণ মানুষের তথা দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের চাকা ঘুরতে পারে না। অবশ্য নির্বাচনে তাদের সমর্থনটা মূল্যবান, তখন তাই তাদের মন গলানোর মত বহু কথা তারা বলবেন।

বর্তমানে দেশ যে পথে অগ্রসর হচ্ছে তাতে পূর্বে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, শাসকদের মধ্যে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাবের জন্ম নিতে পারে। তার একটা নিদর্শন সম্প্রতি লক্ষ করা গেছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। শাসক শ্রেণী তাদের শাসনের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য নির্বাচনে গণতন্ত্রের প্রতি তথা জনগণের ভোট দেয়ার অধিকারের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধা দেখায়নি। রাতের আঁধারে গায়েবি ভোটে ভোট বাক্স ফুলে ফেঁপে উঠেছে। এমন ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়নি, বিজয়ী হয়েছেন ধনিক শ্রেণীর প্রতিভূরা। এভাবে গণতন্ত্রের যে অপমৃত্যু ঘটানো হয়েছে, তাতে আমাদের দেশের মানুষের বহু দিন আন্দোলন ত্যাগ তিতিক্ষার প্রতি যা কিনা অবজ্ঞা প্রদর্শন করার শামিল। কেননা, বাংলাদেশ মানুষ সেই পাকিস্তান আমল থেকে গণতন্ত্রের জন্য বহু আত্মত্যাগ স্বীকার করেছে। তাদের সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলন পর্যায়ক্রমে স্বাধিকার এবং সে থেকে স্বাধীনতার আন্দোলনের রূপ লাভ করে। একটি গণতান্ত্রিক দেশ পাওয়ার প্রত্যয়ে মানুষ অকাতরে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। কিন্তু সেই মহান আত্মত্যাগের মূল্য দেয়ার কোনো নিদর্শন এখন খুঁজে পাওয়া যায় না।

একটি গণতান্ত্রিক সমাজে স্বাধীন মতপ্রকাশের সুযোগ থাকা প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। কিন্তু এখন স্বাধীনভাবে সমাজের ক্ষত ও দমন পীড়নগুলো তুলে ধরতে তথা তা নিয়ে কথা বলতে কেউ সাহসী হচ্ছে না। এভাবে মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকার খর্ব হলে সমাজে ভীতি ও ক্ষোভের সৃষ্টি হবে। এমন ভীতির কারণে নাগরিকদের সুস্থ চিন্তার বিকাশ ঘটবে না। আর্শিতে যেমন কোনো বস্তুর পূর্ণ অবয়ব ভেসে ওঠে, তেমনি মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকলে সমাজের সব ক্লেদ অনিয়ম ও সেই সাথে নানা সম্ভাবনার কথা প্রতিভাত হয়ে উঠতে পারে। তাতে যারা নাগরিকদের দুর্ভোগ দূর করা দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে পারেন। কিন্তু এখন স্বাধীন মতপ্রকাশের ব্যাপারে প্রশাসনের অসহিষ্ণু এতটা যে, তাতে মনে হবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছার অভাব রয়েছে। আর এমন পরিস্থিতি থেকে এটাই ধরে নিতে হবে যে, দেশ একটি কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে। এখানে নাগরিক ইচ্ছা নয় বরং শাসকদের সব অভিপ্রায় কার্যকর হবে। এমন পরিস্থিতি আপাত নির্বাহীদের জন্য স্বস্তির হলেও পরে তা দেশ ও নির্বাহীদের জন্য খারাপ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

মানবিক মূল্যবোধের যে অবক্ষয় সমাজে এখন সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য দায় বহন করতে হবে প্রশাসন পরিচালনাকারীদেরই। কারণ, সমাজের মানুষের প্রতি তারা যে আচরণ করছে বিশেষ করে সরকারের যারা প্রতিপক্ষ তাদের প্রতি, তাতে সাম্য সুনীতির ধার ধারা হচ্ছে না। এমন কি তাদের যে সাংবিধানিক অধিকার সরকারের সাথে দ্বিমত করায়, তা কোনোভাবে সম্ভব হচ্ছে না। সরকারের সাথে ভিন্ন মত করা এবং সে আলোকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। আইনের সিদ্ধ পথে থাকার পরও তাদের প্রতি প্রতিহিংসার চর্চা করা হচ্ছে। শত শত বানোয়াট মামলা দায়ের করে নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। আইনকে তার সরলপথে চলতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হচ্ছে। আইন বলবৎকারী সংস্থাগুলো নীতিবোধ দিয়ে পরিচালিত হতে পারছে না। অথচ আইনের সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের থাকলেও তা কার্যকর নেই। আইনের পক্ষে যারা বিধান কার্যকরের নির্দেশ দেবে তারাও এখন বিবেকের চর্চা করে সঠিক সিদ্ধান্ত দিচ্ছে না। সমাজে নীতি ও বিধনাবলি প্রয়োগের যদি এমন অসহায়ত্ব দেখা যায় তবে তো সব কিছু ভেঙে পড়তে পারে। যা কারো কাম্য হতে পারে না।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের ১১৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০২ স্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে। দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি দেশের ভেতর বাংলাদেশ অবস্থান চতুর্থ। আর মধ্যআয়ের ৩০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২২তম। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দিক থেকে পিছিয়ে থাকার অর্থ এই দাঁড়ায় যে, এ দেশের মানুষ প্রশাসকদের খেয়াল খুশি অনুসারেই পরিচালিত হচ্ছে। জনগণ আইনের সুরক্ষা থেকে পিছিয়ে রয়েছে। আইনের শাসন পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা দি ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্টের রুল অব ল ইনডেক্স প্রতিবেদনে এসব তথ্য সন্নিবেশিত রয়েছে। আইনের শাসনবিষয়ক আটটি সূচকের ভিত্তিতে এই জরিপ করা হয়। সরকারি ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা, দুর্নীতির অনুপস্থিতি, নাগরিক মৌলিক অধিকার, নিয়ম নিরাপত্তা, নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতার প্রয়োগ, নাগরিক ন্যায় বিচার ও ফৌজদারি বিচারÑ এই আটটি সূচকের ভিত্তিতে তৈরি করা এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এই অবস্থান ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশের নাগরিকেরা কতটা সুশাসনের আওতায় জীবনযাপন করে থাকে।

বাংলাদেশের সংবিধান এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন এ দেশের জনগণের মৌলিক মানবাধিকার সংরক্ষণে পূর্ণ নিশ্চয়তা দিয়েছে বটে। কিন্তু বাস্তবে এসব নীতি-নির্দেশনা অনুসরণ করে তা প্রয়োগের মাধ্যমে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার প্রশাসনিক উদ্যোগ এখন লক্ষ করা যায় না। বরং এমন বহু ঘটনা ঘটছে, যা কিনা দেশের মানুষের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এসব অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকারের যে দায়-দায়িত্ব রয়েছে। তাদের ভূমিকায় তা মনে হয় না। বরং প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকাণ্ডের নাগরিকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় সরকারকে নীরব দেখা যায়। সরকারের এই অবস্থানকে তাই প্রশাসনের কার্যক্রমের প্রতি তাদের মৌন সমর্থনকেই প্রতিভাত করে তুলেছে। বাংলাদেশের এক বিরাট সংখ্যক মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে।

এসব মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না। অথচ আমাদের সংবিধানে এসব মৌলিক চাহিদা যেমন- ‘অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয় শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবন ধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা’ করার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু স্বাধীনতার প্রায় অর্ধশতাব্দী পরও এসব দিকনির্দেশনা উপেক্ষিত হয়ে আছে। একটি কল্যাণরাষ্ট্র গড়ায় প্রতিশ্রুতি সব রাজনৈতিক দলের কাগজকলমে রয়েছে, এমনকি নির্বাচনের সময় যে ইশতেহার তারা প্রকাশ করেন, তাতেও সেই ধারণাই দেয়া হয়। কিন্তু সেই ইশতেহার প্রকাশের পর নির্বাচনের বিজয়ী দল আর সেসব প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করে না। অথচ কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অঙ্গীকারই হওয়া উচিত রাজনীতির লক্ষ্য।

এসব ব্যর্থতার প্রতিকারের জন্য সামাজিক শক্তি ও সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিরামহীনভাবে এই নাগরিক সমস্যাগুলোর জন্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগে আন্দোলন গড়ে তুলতে সামাজিক সংগঠনগুলোর দায়িত্ব খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। সামাজিক সংগঠনের সভ্যরা সমাজের সচেতন মানুষ। তাদের বহু বিষয়ে সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনকে সচেতন করে তোলা এবং তাদের দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার বিষয়টি স্মরণে রাখতে হবে। সামাজিক সংগঠনগুলোর পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমগুলোর এ ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করা কর্তব্য। সংবাদকর্মীরা অনেক বেশি অবহিত মানুষ। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে অনিয়মগুলো রয়েছে তা তুলে ধরে তার সমাধানের পথেরও নির্দেশনা দিতে পারেন। কেননা, সংবাদকর্মীরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেশের সমস্যা ও তার সমাধানের পথগুলো সম্পর্কে অবহিত এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ থাকায় তার সমাধান তাদের কাছ থেকে জেনে নেয়া সম্ভব। সেই অভিজ্ঞতাই তারা সঞ্চারিত করতে পারেন। এভাবে সব শ্রেণীর মানুষের সম্মিলিত প্রয়াস যদি একত্র হয় তবে দেশের বহু সমস্যার সমাধানের পথ বেরিয়ে আসবে।

এই লেখার শেষাংশে এটাই বলব যে, আমাদের দেশে যার যে দায়িত্ব সেটা কেউই সঠিকভাবে পালন করছি না। এই দায়িত্বহীনতা আমাদের সবার। যার যার অবস্থান থেকে যদি সবাই তার ওপর অর্পিত কাজটি নিষ্ঠার সাথে পালন করেন; তবে সে সম্মিলিত প্রয়াস সব সমস্যার একটা ইতিবাচক পরিণতির দিকে নিয়ে আসবে। সবার ভেতর এমন বোধ জাগ্রত করার ক্ষেত্রে সমাজের বোদ্ধাশ্রেণী ও সমাজের নেতাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

একই সাথে যারা দেশে সুনাগরিক তৈরির কারিগর সেই শিক্ষক সমাজকেও ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশে মানুষের সমাজ নিয়ে সচেতনতা তৈরি জন্য আমাদের সমাজ বিজ্ঞানসংক্রান্ত পুস্তকাদিতে এ সম্পর্কে বিশেষ আয়োজন থাকতে পারে। এখানে একটা কথা উল্লেখ করা যেতে পারে, সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য চেতনা সৃষ্টি করা এবং মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের এসব দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। তাদের যদি মানুষের কল্যাণে নিবেদিত দেখতে পায় তবে সাধারণ জনগণ নিজেদের দায়িত্ব পালনেও সচেতন এবং আন্তরিক হয়ে উঠবে। সমাজে যেখানেই অনিয়ম অনাচার লক্ষ করা যায়, সেটা সেখানে নিষ্পত্তি না করে জমায়ে রাখলে সব জায়গায় অনিয়ম একত্র হয়ে দুরাচারের পাহাড় তৈরি করবে। আর সেটা যদি বিস্ফোরিত হয় তবে তা থেকে আমরা কেউ নিস্তার পাবো না। সমাজের অন্যায় অনিয়মকে ছোট বলে তা উপেক্ষা করা যাবে না। এই ছোট একসময় বড় হয়ে সমাজদেহকে রোগাক্রান্ত করে তুলবে। তখন তা সারিয়ে তোলার অবকাশ থাকবে না।
ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement