২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

প্রসঙ্গ : সিরিয়া থেকে আমেরিকার সৈন্য প্রত্যাহার

-

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বেশ কিছু দিন আগে। এখনো সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়নি। এরই মধ্যে আমেরিকার চারজন সৈন্যকে হত্যা ও তিনজনকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। মানবিজের উত্তরে, ফোরাত নদীর পশ্চিম তীরে, যাকে আমেরিকার ‘নিরাপদ ঘাঁটি’ মনে করা হয়, সেখানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় এই সৈন্যরা প্রাণ হারায়। সাথে সাথেই আইএস হামলার দায় স্বীকার করেছে। এতদঅঞ্চলে অনেক ঘটনার দায় আইএস স্বীকার করে। পরে দেখা যায় ওরা ঘটনায় সম্পৃক্ত নয়, অর্থাৎ সংবাদ ভুয়া। চার বছর আগে তাদের সৈন্যরা মাঠে নামার পর সিরিয়ায় একই সাথে মৃত্যুবরণ করার ঘটনার মধ্যে এটাই বড়। দুই বছর ধরে আমেরিকা ও কুর্দি মিলিশিয়ারা সিরিয়ার মানবিজ নিয়ন্ত্রণ করছে। ঠিক এই স্থান থেকেই সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হওয়ার কথা, যার ঘোষণা ট্রাম্প গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর দিয়েছিলেন।

বোমা হামলার পর নিউ ইয়র্ক টাইমসের হেডলাইন ছিল ‘সিরিয়ায় আইএস সন্ত্রাসীদের আক্রমণে ৪ আমেরিকান সৈন্য নিহত হওয়ায় সৈন্য প্রত্যাহারে জটিলতা’। অপর সংবাদে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রত্যাহার পুনঃবিবেচনার জন্য রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের চাপ’। ডেমোক্র্যাট সিনেটর জ্যাক রিড, যিনি সিনেট আর্মড ফোর্স কমিটিরও সদস্য, জানান যে, মানবিজে সৈন্য প্রত্যাহর ‘কৌশলগত ভুল’।

এতসবের পরও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স বলেন, ‘দুই হাজারের মতো আমেরিকান সৈন্য দেশে ফেরত আনা হবে’। এই প্রত্যাহার নিয়ে ওয়াশিংটন দ্বিধাবিভক্ত। সিরিয়ায় যুদ্ধের ময়দানে রাশিয়া, ইরান ও তুরস্ক রয়েছে। এখান থেকে হঠাৎ সৈন্য প্রত্যাহার করে আমেরিকা শূন্যতার সৃষ্টি করবে, তা নিয়ে প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিস পদত্যাগ করেছেন। সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সরানোর জন্য আমেরিকা অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় করেছে। কিন্তু কোনো পরিবর্তন ছাড়া ‘আইএসদের পরাজিত’ করা হয়েছে ঘোষণা দিয়ে তার সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা অনেককে অবাক করেছে।

জন বোল্টন ও পম্পেও ‘আইএসের পূর্ণ পরাজয়’ এবং সিরিয়ায় ইরানের উপস্থিতির ‘যুৎসই’ সমাধান চান। এদিকে ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই ইসরাইল সিরিয়ায় ইরানি স্থাপনায় গোলা ও বোমাবর্ষণ করে চলেছে। আবার ঘোষণা দেয়া হয়েছে, ‘ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত সেনারা থাকবে।’ মনে হচ্ছে, তিনিই এখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট !

কারা বোমা হামলা চালিয়েছে? তারা কি আইএস? বোদ্ধারা বলছেন, মানবিজে কোনো আইএস নেই। এটি ‘কুর্দিদের স্বর্গরাজ্য’। বিশেষ করে আমেরিকান সৈন্য ও কুর্দিরা নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পর আইএসরা সরে গেছে বহু আগে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পকে একটি বার্তা দেয়া এই হামলার উদ্দেশ্য।

মানবিজে সুবিধাভোগী হচ্ছে কুর্দি বিদ্রোহীরা। আমেরিকান সৈন্য ফিরে গেলে তারাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে। কুর্দিরা বুঝাতে চায়, আইএস এখনও শেষ হয়নি। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গোপন অবস্থান নেয়া আমেরিকার ইতিহাসে মোটেই নতুন নয়। প্রেসিডেন্ট কেনেডি হত্যা থেকে শুরু করে নির্বাচনে জালিয়াতি পর্যন্ত বহু উদাহরণ রয়েছে। সিআইএ, মোসাদ এরা অনেক সময় নিজস্ব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে প্রশাসনের ওপর চাপ দেয়। গ্রাহাম গ্রিন তার প্রসিদ্ধ বই 'ঞযব ছঁরবঃ অসবৎরপধহ'-এ বলেছেন ১৯৫০ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় সিআই এ বোমাবর্ষণ নাটক সাজিয়েছে। মানুষ হত্যা ও বোমা হামলার আয়োজন সিআইএ’র জন্য নতুন কিছু নয়।

যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করবে বলার পর দুই মাস অতিবাহিত হয়েছে। তবে ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান মানবিজ অপারেশন বন্ধ করেছিলেন। তুরস্কের সরকারি মিডিয়ার সংবাদে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিভাগ সিরিয়া ইরাক সীমান্তে দুটি নতুন ছাউনি স্থাপন করেছে। সে আল আম্বর প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা রয়েছে যেখানে কোনো লোকালয় নেই। সেখানে বিশাল স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। প্রথম সামরিক ছাউনি উত্তর রুমানায়, রামাদির ৩৬০ কিলোমিটার দূরে। দ্বিতীয়টি রামাদির ৩১০ কিলোমিটার পশ্চিমে ও রুদবা শহরের পূর্বে, সিরিয়ার সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে। এই দুটি বড় ছাউনি ইরাক সরকারের সহায়তা ও সিরিয়ায় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। আইএস যাতে ইরাকে আবার ঢুকতে না পারে সে জন্য এই দুটি সেনাছাউনি কাজ করবে। এসব ছাউনিতে উচ্চ ক্ষমতার ইলেকট্রনিক ও ড্রোনের সমাবেশ করা হয়েছে।

৫ ফেব্রুয়ারি এরদোগান বলেন, ‘আমাদের ধৈর্যধারণের ক্ষমতা অসীম নয়।’ যুক্তরাষ্ট্র এখনো কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় মানবিজে এবং ফোরাতের পূর্ব পাড়ে হামলার তারিখ ঘোষণা করতে তুরস্ক প্রস্তুত। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যদি সন্ত্রাসীদের মানবিজ থেকে অপসারণ করা না হয়, তুরস্কের চুপ থাকার সময় পেরিয়ে যাবে। ‘তখন আমরা আমাদের হিসাব মতো ব্যবস্থা নেবো। কারো অনুমোদনের তোয়াক্কা করব না।’ ফোরাতের পূর্ব তীরের অধিবাসীরা যদি তুরস্কের সহায়তায় নিজেদের প্রশাসন চালাতে না পারে তবে আর কালক্ষেপণ নয়। মানবিজের জন্য অপেক্ষার সময় এক মাস। যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ করে এরদোগান বলেন, ‘কোনো অর্থনৈতিক অবরোধ আর কাজ করবে না।’ ‘ট্রাম্প মধ্যরাতে টুইট করেছিলেন, যদি তুরস্ক কুর্দিদের আক্রমণ করে তবে তাদের ধ্বংস করে দেয়া হবে।’ এরদোগান বলেন, ‘এই কথা আমার মনে আছে।’ উল্লেখ্য, মানবিজ ও ফোরাতের পূর্ব পাড়ের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী তুরস্কের আগমনের জন্য অপেক্ষারত।

আমেরিকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র জার্মানি, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ৬০ বছর ধরে সৈন্য রেখে আসছে। কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সিরিয়ার বেলায় কিসের এত ঝামেলা? তবে আমেরিকাকে সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা ও পুনর্গঠনের জন্য কাজ করতে হবে। কিন্তু সিরিয়ার উন্নয়নের জন্য আমেরিকা এক ডলারও খরচ করেনি। ইতঃপূর্বে ট্রাম্প সিরিয়ার পুনর্গঠনের জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছিলেন। সেখান থেকে কোনো খরচ করা হয়নি।

কেউ কেউ বলছেন, ‘আমেরিকা সৈন্য প্রত্যাহার করলে তা আরো অনেক সমস্যার জন্ম দেবে, অবস্থা আরো খারাপ হবে।’ ‘ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক আরো উত্তপ্ত হবে। ইরান ও ইসরাইলের মধ্যেও সামরিক সঙ্ঘাত শুরু হবে।’ মনে হয়, সিরিয়ায় আমেরিকার সেনাছাউনি থাকার মধ্যেই যেন বিশ্ব শান্তি নিহিত। ‘ইরানকে ঘায়েল করতে হলে সিরিয়ায় আমেরিকার থাকা দরকার।’ এই মতবাদে ‘তা’ দিচ্ছেন জন বোল্টন। তিনি মার্চ ২০০৩ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশকে প্ররোচিত করেছিলেন ইরাক আক্রমণের জন্য। পদত্যাগী জন ম্যাটিসের যুক্তি ছিল ওবামা ২০১১ সালে ইরাক থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করার পর আইএস পাকাপোক্ত হয়ে ইরাক ও সিরিয়ায় ঘাঁটি বানায় এবং খেলাফতের ডাক দেয়। তাই এই এলাকা কোনোভাবেই ছেড়ে দেয়া যাবে না। তাহলে ‘জিহাদি চেতনায় উজ্জীবিত’রা ইরাকি সৈন্যদের পরাজিত করতে সক্ষম হবে এবং আমেরিকার স্বার্থ ও কৌশলগত অবস্থান ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।’

সিরিয়ায় সৈন্য রাখার মুখ্য কারণ হলো, পূর্ব সিরিয়ায় কুর্দিরা অনেক স্থান দখল করে আছে। সেখান থেকে প্রয়োজনে আইএসদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যায়। ট্রাম্পের ‘ওয়ার টেবিল’ মনে করে সিরিয়া ৯৫ শতাংশ আইএসমুক্ত। ৫ শতাংশ আইএস এখনো সেখানে রয়ে গেছে। তাই হঠাৎ আমেরিকান সৈন্যরা চলে গেলে আইএস আবার সঙ্ঘবদ্ধ হবে ও ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ নেবে।

এদিকে কুর্দি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আমেরিকা ছাউনি বানিয়েছে। এই পদক্ষেপে তুরস্ক প্রতিবাদ করেছে। তুরস্ক চায়, বাফার জোন করে অঞ্চলটি আসাদের কাছে ছেড়ে দিতে। সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে প্রচুর তেল রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সে সম্পদও হস্তগত করতে চায়। এখান থেকে আসাদ সরকার প্রচুর রাজস্ব পেয়ে থাকে। আসাদ সরকার ভেঙে গেলে তাতেও যুক্তরাষ্ট্রের লাভ। তেলসম্পদ হস্তগত করতে তখন মোক্ষম সুযোগ পাওয়া যাবে। বোল্টন এ কথাটাই ট্রাম্পকে বুঝাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের আরো একটি উদ্দেশ্য রয়েছে; সিরিয়াকে বিভক্ত করে পশ্চিম সিরিয়া আসাদ সরকারের জন্য এবং সিরিয়ার উত্তরাংশ কুর্দিদের জন্য রাখা, যাতে ভবিষ্যতে উত্তর ইরাকের কুর্দিদের সাথে সংযুক্ত করা যায়। সিরিয়ার পূর্বাংশের ওপর ইরাকের পশ্চিমাংশের সুন্নিদের প্রভাব রয়েছে। আমেরিকা তার সেনাদের সিরিয়া ও ইরাকের সুন্নিঅধুষিত এই এলাকায় রাখতে চায়। এখানে সৈন্য রাখলে ইসরাইলি নিরাপত্তার জন্য বেশ সহায়ক হবে। বোঝা যাচ্ছে যে, আমেরিকার এখানে জড়িয়ে যাওয়া অনেকে পছন্দ না করলেও মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকাকে দীর্ঘদিন থাকতে হতে পারে।

সিবিএস সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, ‘অনন্তকালের যুদ্ধ’ শেষ করা দরকার। তার মতে, আমেরিকার যুদ্ধ হবে অল্প সময়ের, ফলাফল হবে বিজয়। তিনি যুদ্ধের বেহিসাবি খরচের বিপক্ষে। বিশেষ করে আফগানিস্তানের যুদ্ধ ১৮ বছরে পদার্পণ করেছে, ভিয়েতনাম যুদ্ধকেও ছাড়িয়ে গেছে। সিরিয়ার যুদ্ধের আট বছর পার হয়েছে। তবুও এ যুদ্ধ আদৌ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। ইসরাইলের স্বার্থে আমেরিকার অনেক ক্ষতি হয়েছে। আরো বড় প্রশ্ন, আমেরিকার সব সৈন্য প্রত্যাহার করলেই কি যুদ্ধ শেষ হবে? যাদের হাতে ক্ষমতা আসবে তারা দেশকে সামাল দিতে পারবে কি না। আমরা ইরাকে কী দেখলাম? আফগানিস্তান ও সিরিয়ার অবস্থা হবে আরো করুণ ও দুঃখময়।

এদিকে পেন্টাগন এক রিপোর্টে বলেছে, ‘ইরাকের শহরগুলোতে নিরাপত্তার লেভেল উন্নত হয়েছে। কিন্তু আইএস (দায়েশ) গ্রামীণ ইরাকে শক্তি অর্জন করেছে।’ আরো বলা হয়, ‘ইরাকের সরকারি বাহিনী সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এখনো যুক্তরাষ্ট্র ও কোয়ালিশন সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।’

সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে ৬১ শতাংশ আমেরিকান একমত। গত ডিসেম্বরের এক জরিপে দেখা যায়, সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে ৪৭ শতাংশ আমেরিকান অনিচ্ছুক। মাত্র ৩৭ শতাংশ সমর্থন করেন প্রত্যাহারকে। ট্রাম্প সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও তা করা হচ্ছে না। পেন্টাগনের রিপোর্টে সিরিয়ায় দায়েশের শক্তি অর্জনের কথাও আছে। পেন্টাগন চাইছে আইএসবিরোধী আরেকটি যুদ্ধ। মূলত রাশিয়া এবং ইরান ছাড়া প্রেসিডেন্ট আসাদ একদিনও ক্ষমতায় টিকতে পারবেন না। সৌদি আরব সিরিয়া যুদ্ধে আমেরিকাকে প্রচুর অর্থ জোগান দিচ্ছে। ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনে জেতার জন্য ‘ট্রাম্পকার্ড’ ছাড়তে চান; যেভাবে ওবামা ইরাক থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন তেমন।

নির্বাচনী তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। এখন আমেরিকার দীর্ঘতম যুদ্ধের পরিসমাপ্তি তাড়াতাড়ি টানতে চাচ্ছে। এতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু সিরিয়া যুদ্ধের মাত্রা ও পরিধি ভিন্ন। সিরিয়া ও ইরাক পরিস্থিতির সাথে ইরান জড়িত। ইরানকে কোনো সুযোগ দিতে আমেরিকা প্রস্তুত নয়। ট্রাম্পের ডেপুটিরা এ জন্য ইসরাইলি দর্শন কাজে লাগাতে ব্যস্ত। অর্থাৎ সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহার পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব, বাংলাদেশ সরকার ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement