২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

জনমত যাচাইয়ে গণভোট কেন নয়?

জনমত যাচাইয়ে গণভোট কেন নয়? - ফাইল ছবি

গণতন্ত্রে বিশ্বাসী পৃথিবীর সব দেশে জনমত যাচাইয়ের জন্য গণভোট একটি স্বীকৃত ব্যবস্থা। একটি দেশের ভোটাধিকার প্রাপ্ত নাগরিকেরা নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী গণভোটে উত্থাপিত প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষে ভোটদান করতে পারেন। গণভোটে উত্থাপিত প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সমর্থিত হলে জনগণের রায় গণভোটের সপক্ষে হয়েছে বলে বিবেচিত হয়। অপর দিকে, গণভোটে উত্থাপিত প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নাকচ হলে জনগণের রায় গণভোটের বিপক্ষে গেছে বিবেচিত হয়।

১৯৭২ সালে যখন আমাদের সংবিধান প্রণীত হয়েছিল, তখন সংবিধানে গণভোট বিষয়ক কোনো বিধান ছিল না। পরে ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় ঘোষণাপত্র (পঞ্চদশ সংশোধন) আদেশ দ্বারা সংবিধানের প্রস্তাবনাসহ অনুচ্ছেদ নম্বর ৮, ৪৮, ৫৬, ৫৮, ৮০, ৯২ক এবং ১৪২ সংশোধনের বিষয়ে গণভোটের বিধান সংযোজিত হয়। উপরিউক্ত সব অনুচ্ছেদের সংশোধনী সংবিধানের সংশোধন বিষয়ক।

’৭২-এর বাংলাদেশ সংবিধানে উল্লেখ ছিল যে, সংবিধানের কোনো অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে হলে সংশোধনী প্রস্তাবটি সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সম্মতিদান-পরবর্তী সংশোধনীটি কার্যকর হবে।

দ্বিতীয় ঘোষণাপত্র (পঞ্চদশ সংশোধন) আদেশ, ১৯৭৮, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী দ্বারা সমর্থিত হয়েছে। দ্বিতীয় ঘোষণাপত্র আদেশে সংবিধানের প্রস্তাবনাসহ সাতটি অনুচ্ছেদ যথা ৮, ৪৮, ৫৬, ৫৮, ৮০, ৯২ক এবং ১৪২ সংশোধন বিষয়ে সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে গৃহীত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গণভোটে প্রেরণের বিধান সন্নিবেশিত হলেও সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী দ্বারা ৫৮, ৮০ ও ৯২ক এ তিনটি অনুচ্ছেদ সংশোধন বিষয়ে গণভোটের বিধান রহিত করা হয়। অতঃপর, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণভোটের বিধান রহিতকরত সংবিধানের প্রস্তাবনা প্রথম ভাগের সব অনুচ্ছেদ, দ্বিতীয় ভাগের সব অনুচ্ছেদ,

নবম ক-ভাগে বর্ণিত অনুচ্ছেদগুলোর বিধানাবলিসাপেক্ষে তৃতীয় ভাগের সব অনুচ্ছেদ এবং একাদশ ভাগের ১৫০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের অন্যান্য মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত অনুচ্ছেদগুলোর বিধানাবলি সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ কিংবা অন্য কোনো পন্থায় সংশোধনের অযোগ্য করা হয়। সুতরাং, সংবিধানের বর্তমান অবস্থান বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, সংবিধানের মৌলিক কাঠামোসহ প্রস্তাবনা এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাগের সব অনুচ্ছেদসহ একাদশ-ভাগের ১৫০ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধনের অযোগ্য। অর্থাৎ জাতির কোনো প্রয়োজনে সাধারণ যে পদ্ধতিতে সংবিধান সংশোধিত হয়ে থাকে, সে পদ্ধতিসহ কোনো ধরনের গণভোটের মাধ্যমে প্রস্তাবনাসহ উপরিউক্ত অনুচ্ছেদগুলোর বিধানাবলির কোনো ধরনের সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন, রহিতকরণ বা সংশোধন করা যাবে না।

আমাদের মূল, ’৭২-এর সংবিধানে সংবিধানের যেকোনো বিধান সংশোধন বিষয়ে সংসদের মোট সদস্যসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন আবশ্যক হতো। পরবর্তীকালে কিছু অনুচ্ছেদ সংশোধন বিষয়ে গণভোটের যে বিধান প্রবর্তিত হয়, ওই বিধান আংশিক সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী দ্বারা এবং অবশিষ্টাংশ পঞ্চদশ সংশোধনী দ্বারা রহিত করা হয়েছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী দ্বারা যেসব অনুচ্ছেদ সংশোধন অযোগ্য করা হয় তা সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের অধিক ভোটে গৃহীত হয়েছিল। সুতরাং ভবিষ্যতে জাতির প্রয়োজনে সংবিধানে গণভোটের বিধান সংযোজনসহ যেসব অনুচ্ছেদ ও প্রস্তাবনা সংশোধন অযোগ্য করা হয়েছে, তা সংশোধন করতে হলে সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের মাধ্যমে করা যে সম্ভব, তা পঞ্চদশ সংশোধনী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।

বাংলাদেশে ইতঃপূর্বে তিনবার গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত যাচাই করা হয়েছিল। প্রথমবার, গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি জনগণের আস্থা আছে কি না তা যাচাই করা হয়েছিল। দ্বিতীয়বার গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতি জনগণের আস্থা আছে কি না তা যাচাই করা হয়েছিল। তৃতীয়বার গণভোটের মাধ্যমে কর্মরত প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশের যে শাসনভার পরিচালনা করেছিলেন, তার প্রতি জনগণের সমর্থন আছে কি না তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। উল্লিখিত তিনটি গণভোটেই প্রদত্ত ভোটের বেশির ভাগ ভোট গণভোটে উল্লিখিত প্রস্তাবের সপক্ষে পড়ে। উপরিউক্ত তিনটি গণভোটে প্রদত্ত ভোটের হার নিয়ে জনমনে সংশয় থাকলেও গণভোটে উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সমর্থিত হতো না, এরূপ বিবেচনা করার অবকাশ বোধ করি সীমিত।

১৯৪৭ সালে যখন আমাদের এ উপমহাদেশ বিভক্ত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামক দু’টি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয় তখন নবগঠিত পূর্ব পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত বৃহত্তর সিলেট জেলায় গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সিলেট আসাম প্রদেশের একটি জেলা ছিল। সিলেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসাধারণ ছিল মুসলিম। সে সময় সিলেট পাঁচটি মহকুমা সমন্বয়ে গঠিত ছিল। এ পাঁচটি মহকুমা হলো সিলেট সদর, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও করিমগঞ্জ। সিলেটের পাকিস্তান বা ভারতে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ১৯৪৭ সালে যে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়, তাতে সেই জেলার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ পাকিস্তানের সাথে থাকার ব্যাপারে মতামত ব্যক্ত করে। গণভোট অনুযায়ী, সম্পূর্ণ সিলেট জেলা পূর্ব-পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও কী কারণে জনমতের প্রতি উপেক্ষা প্রদর্শনপূর্বক ওই জেলার করিমগঞ্জ মহকুমা ভারতের ভাগে দেয়া হয়েছে তা আজো রহস্যাবৃত।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মধ্যে বৃহত্তর সিলেট প্রাকৃতিক সম্পদে সবচেয়ে বেশি সমৃদ্ধ। সিলেটের প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো তেল, গ্যাস, পাথর, বালু, কাঠ, বাঁশ, বেত প্রভৃতি। তা ছাড়া, বাংলাদেশের চায়ের জোগানের প্রায় শতভাগ বৃহত্তর সিলেট থেকে আসে। অভ্যন্তরীণভাবে আমাদের দেশে যে কমলা উৎপাদন হয়, তারও বেশির ভাগ সিলেট থেকে আসে। সিলেট অঞ্চলে প্রচুর ধান উৎপন্ন হয়, যা তাদের চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলার ঘাটতি মেটাতে সহায়তা করে। সিলেট জেলার খালবিল-নদীনালায় প্রচুর মাছ পাওয়া যায়।

এগুলো এলাকার চাহিদা মিটিয়েও অন্যান্য জেলায় প্রেরণ করা হয় এবং বিদেশে রফতানি হচ্ছে। বর্তমানে বৃহত্তর সিলেটের সাত লক্ষাধিক লোক যুক্তরাজ্যে বসবাসরত। এদের অনেকে তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্ম পর্যন্ত বিস্তৃত। তা ছাড়া এ জেলার বহু লোক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স ও সুইডেনে বসবাসরত। বিদেশে বসবাসরত সিলেটের এসব নাগরিক প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রেরণ করে থাকে, যা দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত করা ছাড়াও বৈদেশিক মুদ্রার জাতীয় ভাণ্ডার স্ফীত করে চলেছে। অর্থাৎ, আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে সিলেটের অবদান অপরিসীম এবং এ অবদান ভোগের সুফলের পেছনে রয়েছে গণভোট। সে দিন গণভোটের মাধ্যমে সিলেট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত না হলে আমরা আজ অনেক ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে বঞ্চিত হতাম, যা আমাদের সম্মানজনক জাতি হিসেবে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলত।

ভারতবর্ষ বিভাজনের সময় মহারাজা বা রাজাশাসিত অঞ্চলগুলোর মহারাজা ও রাজাদের ভারত বা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বাধীনতা দেয়া হয়। সে সময় কাশ্মিরের রাজা ছিলেন হিন্দু এবং সেখানকার জনসাধারণের বেশির ভাগ মুসলিম। কাশ্মিরের জনসাধারণের ইচ্ছার বিপরীতে রাজা ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। রাজার সিদ্ধান্তের কারণে কাশ্মিরে প্রচণ্ড জন-অসন্তোষ দেখা দিলে বিষয়টি বিশ্বসংস্থা জাতিসঙ্ঘে উত্থাপিত হয় এবং জাতিসঙ্ঘে গৃহীত ৪৭ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী, কাশ্মির ভারত নাকি পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হবে সে বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়। সেখানে গণভোট অনুষ্ঠিত হলে ফলাফল কী হবে তা সবার জানা এবং ফলাফল ভারতের বিপক্ষে যাবে- শুধু এ কারণে জাতিসঙ্ঘের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও কাশ্মিরের জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ থেকে প্রায় ৭০ বছর বঞ্চিত হচ্ছে।

পৃথিবীর সভ্য ও গণতান্ত্রিক দেশগুলো জনমতকে শ্রদ্ধা করে থাকে। বিগত বছর স্কটল্যান্ড গ্রেট ব্রিটেনের অন্তর্ভুক্ত থাকবে নাকি স্বাধীন দেশ হবে, সে বিষয়ে গণভোট অনুষ্ঠিত হলো। গণভোটের আগে আশঙ্কা করা হয়েছিল, স্কটল্যান্ডের জনগণ স্বাধীনতার সপক্ষে রায় দেবে। কিন্তু সে আশঙ্কা সত্ত্বেও গ্রেট ব্রিটেনের শাসকদল জন-আকাক্সক্ষার বিপরীতে এই গণভোট অনুষ্ঠান থেকে পিছু হটে আসেনি। যদিও সামান্য ভোটের ব্যবধানে গণভোটে স্কটল্যান্ড গ্রেট ব্রিটেনের অন্তর্ভুক্ত থাকার পক্ষে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কিন্তু সে সিদ্ধান্তে স্কটল্যান্ডের জনসাধারণ কত দিন অটল থাকবে, সে বিষয়ে অনেকে সন্দিহান। তাই বলে গ্রেট ব্রিটেন কর্তৃক ভবিষ্যতেও স্কটল্যান্ডের ভাগ্যনির্ধারণী ব্যাপারে গণভোটের পথ যে রুদ্ধ হবে না, সেটি অনেকটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

গণতন্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসাধারণের সমর্থন নিয়ে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য সরকার পরিচালনা এবং অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন। আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বিজয়ী সরকারকে শাসনক্ষমতা না দেয়ার কারণে স্বাধীন জাতি ও দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেও অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও এ দেশে গণতন্ত্র ব্যক্তির ইচ্ছার হাতে অন্তরীণ। গণতন্ত্র বিকশিত না হওয়া এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশে দুর্নীতি ও নৈরাজ্য আজ সর্বগ্রাসী। দুর্নীতি, নৈরাজ্য ও অস্থিতিশীলতার কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়েছে ও হচ্ছে। আর এ কারণেই আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে ব্যর্থ। গণতন্ত্রে নির্বাচনে জয়-পরাজয় একটি দলের কার্যকলাপের ওপর নির্ভর করে। জনগণকে যদি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের মতামত ব্যক্ত করার সুযোগ দেয়া না হয়; সে ক্ষেত্রে একটি দেশের সরকার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত- এ কথাটি বলার সুযোগ নেই।

একটি সরকারের মেয়াদান্তে কোন ধরনের সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে আমাদের দেশে দীর্ঘ দিন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো স্থায়ীভাবে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে না পারার কারণে দলীয় সরকারের অধীনে এযাবৎকাল যতগুলো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, এর কোনোটি যে সম্পূর্ণরূপে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে- এ কথাটি বলা যাবে না। তা ছাড়া, ইতঃপূর্বে আমাদের বিভিন্ন দলীয় সরকারের অধীনে যেসব নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল, এর কোনোটিই জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারেনি। বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য গণতন্ত্র অপরিহার্য। যেকোনো ধরনের দমনপীড়নের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে অবদমিত করার চেষ্টা করা হলে তা পরিণামে ক্ষমতাসীনদের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে। আর তাই অন্তত এ কথাটি ভেবে কোন ধরনের সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- এ প্রশ্নে গণভোটের আয়োজন করে দেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা বাস্তবসম্মত নয় কি?

লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক
ঊ-সধরষ: রশঃবফবৎধযসবফ@ুধযড়ড়.পড়স


আরো সংবাদ



premium cement