২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নতুন বছরের কিছু ভাবনা

নতুন বছরের কিছু ভাবনা - ছবি : সংগৃহীত

প্রায়ই মনে হয় ভালো কথা এবং বাস্তবতার কথা, সব বলা হয়ে গেছে। ধর্মের কথা না-ই বা উল্লেখ করা হলো। যেমন, দু’টি উদ্ধৃতি দেয়া যায়। আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছেন, ‘বাস্তবতা একটি মোহ, অবশ্যই তা নিরবচ্ছিন্ন।’ আর চীনা ধর্মীয় গুরু তাওজি খ্রিষ্টের তিন শ’ বছর আগে বলেছেন, ‘নীরবতাই বড় শক্তির উৎস।’

এ দু’টি বক্তব্য সামান্য বিশ্লেষণ করলেই দেখা যাবে, এগুলো কত বেশি সত্য। অতীত ও বর্তমানের ইতিহাসেও এগুলো সত্য। হয়তো বা দু-একটি ব্যতিক্রম থাকতে পারে। আইনস্টাইন ছিলেন বিজ্ঞানী এবং বিজ্ঞানীরা হলেন নিবিড় দর্শক ও উপলব্ধিকারী। তাই তাদের উচ্চারণ সত্যকে সম্পূর্ণভাবে প্রতিফলিত করে।
অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করেন, মানুষ পাগলের মতো ক্ষমতা আর অর্থের পেছনে ছুটছে। অথচ তারা যন্ত্রণাক্লিষ্ট এ জন্য যে, তারা যা চাইছে তার নাগাল মিলছে না। তারা কখনোই ভাবতে পারে না যে, তারা যা চাইছে তা হয়তো ঠিক নয়। তাই এক কবি তার উপলব্ধি থেকে গেয়ে উঠেছিলেনÑ ‘যাহা চাই, তাহা ভুল করে চাই।’ সে জন্যই চাওয়ার যেমন শেষ নেই, ভুলেরও শেষ নেই। আর না পাওয়াতে শেষ নেই যন্ত্রণারও। এই যন্ত্রণা ও আকাক্সক্ষার পরিণতি কখনো কখনো অভাবনীয় ও অনাকাক্সিক্ষতভাবে শেষ হয়। এরই রেশ ধরে চলে সামাজিক অশান্তির ধারা। এর প্রতিবিধানের চেষ্টায় দেখা গেছে আবার নতুন অশান্তির পথ।
তাই শান্তির আকাক্সক্ষার শেষ হয় না এবং তার সাথে অশান্তিরও। নয়া বছরের সালতামামিতে সবাই এমন স্মৃতিচারণ করে আশা করেনÑ আগামী দিনগুলো ভালো হবে, শান্তির হবে।
লেখক, দার্শনিক; এমনকি সাধারণ মানুষ নয়া বছরে অথবা একটি নতুন পর্যায়ে সামনের সময়ে কী করা যায় বা উচিত, সে ব্যাপারে সঙ্কল্প করে বা সিদ্ধান্ত নেয়।
এমন সংক্ষিপ্ত সঙ্কল্পের একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন লেখক প্যাট্রিক জে কিজার। তা হলোÑ ১. তোমার সহজাত ক্ষমতাকে ভালো কাজে ব্যবহার করো, ২. তোমার প্রতিবেশীকে জানো, ৩. নতুন অভিযানের চেষ্টা করো, ৪. দীর্ঘ দিন বাঁচতে হলে কম টিভি দেখো, ৫. প্রতিদিন এক জিনিস শেখ, ৬. মুক্তহস্তে বখশিশ দাও, ৭. কাউকে ক্ষমা করো, ৮. লোকসান ও বিপদের ঝুঁকি নাও, ৯ নিজের অনুভূতির ওপর বিশ্বাস রাখো এবং ১০. গড়িমসি বা দীর্ঘসূত্রতা করো না।

কিজারের এই সংক্ষিপ্ত লিস্টটি যদি অনুসরণ করা যায়, অবশ্যই সুফল দেবে। তবে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রধান আইভান দিমিত্রিজেভিকের ৫০টি সঙ্কল্পের উপদেশ আরো সমৃদ্ধ। নয়া বছরের এই সঙ্কল্পগুলো যেকোনো মানুষের উপকারে আসতে বাধ্য, বলা চলে। এখানে কিছু উদ্ধৃত করা যায়। যেমনÑ ১. সুস্থ থাকার চেষ্টা করো; ২. তার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাও; ৩. কোনো কাজ করতে গিয়ে গড়িমসি করবে না; কারণ একবার এই অভ্যাস হলে আর বেরিয়ে আসা যায় না; ৪. মানসিক স্থিতি এবং কাজে মনোনিবেশ অত্যন্ত জরুরি; ৫. নতুন কারো সাথে দেখা হলে লজ্জা পরিহার করে নতুন কিছু জানার চেষ্টা করো। বিশেষ করে, যদি কোনো ভালো এবং জ্ঞানী ব্যক্তির সাথে দেখা হয়; ৬. সব সময় কর্মক্ষম থাকার জন্য নতুন কারো সাথে দেখা হলে তার বিষয়ে জানার চেষ্টা করা উচিত; ৭. প্রয়োজন হলে অজ্ঞাত বিষয়েও চেষ্টা করা উচিত; ৮. সৎ উপার্জন বৃদ্ধির চেষ্টা সব সময় করো; ৯. মার্জিত ও ভদ্র থাকার চেষ্টা করো, যেন সবাই জানে- তুমি ভালো মানুষ। সব দেশেই ভদ্রতা-সভ্যতা সমাজের অঙ্গ;

(১০) সব সময় চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করবে; ১১. জীবনে যে অবস্থায় আছো, তা নিয়ে সুখী থাকার চেষ্টা করো। এতে কিছু সময় নেবে। তবে অবশেষে শান্তি আসবে। একটি উপায় হলো ছোট ছোট বিষয়েই আনন্দিত হওয়ার চেষ্টা করা উচিত; ১২. ভালো ঘুমের চেষ্টা করবে। দিনে অন্তত চার থেকে আট ঘণ্টা ভালো ঘুমালে স্বাস্থ্য ও মন, দুটোই ভালো থাকে; ১৩. কখনো সিগারেট খেয়ো না অথবা ধীরে ধীরে তা ত্যাগ করো। এর জন্য মনকে শক্ত করতে হবে; ১৪. কম টিভি দেখো। এতে দিনে আরো বেশি কাজ করা সম্ভব; ১৫. বেশি পড়ো। বছরে অন্তত ২০টি বই পড়ো। এক দিকে যেমন এটা ব্রেনের সুস্থতা দেয়, অপর দিকে একে সমৃদ্ধ করে; ১৬. ভালো এবং জ্ঞানীদের সাথে যোগাযোগ রাখো। তাদের জীবন থেকে অনেক কিছু শেখার এবং উদ্বুদ্ধ হওয়ার সুযোগ থাকে;

১৭. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকো; সুন্দর, সহজ ও সরল জীবনযাপনের চেষ্টা করো। এতে শুধু মনই ভালো থাকে না, তার সাথে জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনাও সম্ভব; ১৮. ঋণমুক্ত থাকার চেষ্টা করো। ঋণ করাও একটা নেশা। আত্মসংযম শেখার চেষ্টা করতে হবে; ১৯. এ জন্য খরচ করতে হবে সাবধানে; ২০. একটি নতুন ভাষা শেখার চেষ্টা করা উচিত। কারণ, তাতে নতুন দিগন্তের সন্ধান পাওয়া যায়; ২১. দান করো এবং স্বেচ্ছাসেবক হও। তাতে নতুন মানুষের দেখা পাওয়া যাবে এবং নতুন কিছু শেখা যাবে; ২২. নতুন কিছু শিখ এবং শখের পেশা নির্বাচন করো; ২৩. কারো বিরুদ্ধে কোনো ক্ষোভ পুষে রাখবে না; ২৪. শখের ছোট্ট কিছু, যেমন বিড়াল বা এমন কোনো পশু পোষো, তাতে দায়িত্ববোধ শক্ত হয়; ২৫. যত পারো ভ্রমণ করো, এতে অভিজ্ঞতার সাথে মানসিক বিস্তৃতি ঘটে;

২৬. রান্না করতে শেখো এবং সংসারকে সুন্দর-শান্তিময় রাখার চেষ্টা করো; ২৭. প্রতিদিন নিজেকে আবিষ্কার করো, এটা জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আসে; ২৮. নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে; ২৯. নিজের সংস্কৃতি ও আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোকে জানার এবং তার সাথে সংযুক্ত হওয়ার চেষ্টা করবে; ৩০. বর্তমানের সোস্যাল মিডিয়ার সাথে যোগ দিতে পারলে দিয়ো, তবে সাবধান, এতে ডুবে যাবে না। শুধু সত্যিকারের ভালো বিষয়গুলোই এখান থেকে নেবে; ৩১. নিজেকে রক্ষার চেষ্টায় থাকবে, যাতে কেউ তোমার জীবনে হস্তক্ষেপ না করে; ৩২. রোমান্সকে পরিত্যাগ করো না।

এটা জীবনকে একঘেয়েমি থেকে বাঁচতে সাহায্য করে; ৩৩. স্মরণীয় দিনগুলোকে ভোলা উচিত নয়। কারণ, এগুলো সামনের দিনগুলোর পথ নির্মাণ করতে সাহায্য করে। নিজের স্মরণীয় দিনগুলো এর মধ্যে প্রধান; ৩৪. সামাজিক হওয়ার চেষ্টা থাকবে অব্যাহত। তখন কখনো নেতৃত্বও হাতে এসে পড়ে; ৩৫. সৃষ্টিশীল হওয়ার চেষ্টা হবে নিরবচ্ছিন্ন; ৩৬. কখনো রূঢ় হবে না। নিজেকে শিল্পসম্পন্ন ও রুচিমতভাবে প্রকাশ করবে; ৩৭. নিজের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতাকে জয় করবে। ভয়কে বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে ভালোভাবে চলতে হলে; ৩৮. নিজের ভাবনাগুলোকে লিখো। পারলে বই লিখো। দেখা যাবে, এই ভাবনাগুলো অমূল্য সম্পদ; ৩৯. স্বাস্থ্যকর অভ্যাসকে রপ্ত করতে হবে; ৪০. প্রচুর শাকসবজি খেতে হবে এবং পেট সুস্থ রাখতে হবে; ৪১. প্রতিদিন কিছু সময় ধ্যান করবে।

জ্ঞানীজনের এ উপদেশগুলো দেয়া হয়েছে নতুন বছরের জন্য। প্রশ্ন উঠতে পারে, নতুন বছর কী? কেন এর উৎপত্তি? বিশ্বব্যাপী এর স্মরণ হয় নানাভাবে। আর নতুন বছর এক দেশ থেকে অন্য দেশে পৃথক। কারণ, বছর নির্র্ধারণ করা হয় আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি নিয়ে। তাই এই পার্থক্য।

ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ইউরোপে এই প্রথা চালু হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫ সালে রোমে। তখন রোমান পঞ্জিকা বাদ দিয়ে জুলিয়ান পঞ্জিকা গ্রহণ করা হয়েছিল। রোমের একচ্ছত্র অধিপতি (ডিক্টেটর) জুলিয়াস সিজার নিজের নামে (জুলিয়ান) পঞ্জিকা প্রবর্তন করেন। রোমান পঞ্জিকা এর আগে সপ্তম শতাব্দীতে চালু করা হয়েছিল। সিজার জানুয়ারিকে বছরের প্রথম মাস ঘোষণা করেন। এর আগে মার্চ ছিল প্রথম মাস। সে হিসাবে মাসের নামের অর্থের সাথে মিলে যায়। যেমন সেপ্টেম্বর হলো সপ্তম মাস। ল্যাটিন ভাষায় সেপ্টম মানে সপ্তম, অক্টো মানে অষ্ট (অক্টোবর), নভেম মানে নয় (নভেম্বর), ডিসেম মানে দশ (ডিসেম্বর)। রোমান রাজা নুমা জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি (জানুয়ারিয়াস এবং ফেব্রুয়ারিয়াস) এই দু’টি মাসের নাম যোগ করেন। প্রথমে এগুলো বছরের শেষের মাস হলেও পরে তা প্রথম দিকে স্থাপন করেন। কেউ কেউ বলেছেন, এটা ১৫৩ খ্রিষ্টপূর্বে ঘটে। নতুন কনসাল (রাজা) ক্ষমতা গ্রহণ করলে তখন গণনা শুরু করত রোমানরা। পরে এটা জুলিয়াস সিজার চালু করেন। জুলাই নামটা তিনি নিজের নামের সাথে মিলিয়ে নেন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং পশ্চিমা বিশ্বের আধিপত্যের কারণে এই জুলিয়ান ক্যালেন্ডার বিশ্বব্যাপী গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এখনো বিভিন্ন স্থানে নয়া বছর নানা সময় বিভিন্ন নামে প্রতিপালিত হচ্ছে।

যেমন ইথিওপিয়ায় এটা প্রতিপালিত হয় ১১ সেপ্টেম্বর কষ্টিক মিসরের বন্যা শুরুর মাসে। এটাকে অতুঙা উৎসব বলা হয়। লেসোথোর সোথোরা (দক্ষিণ আফ্রিকা) নববর্ষকে ‘সেলেমো সা বাসোথো’ বলে ১ আগস্ট প্রতিপালন করে থাকে। তেমনিভাবে চীনাদের নববর্ষ সাধারণত জানুয়ারি ২০ এবং ফেব্রুয়ারি ২০-এর মধ্যে ‘ঘোরাফেরা করে’। কারণ, তারা চান্দ্রমাস অনুসরণ করে আসছে। ভিয়েতনামিরা তাদের নববর্ষ নগুয়েন ডান বা টেট জানুয়ারি ২০ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০-এর মধ্যে উৎযাপন করে। জাপানিরা নববর্ষ পালন করে ২ জানুয়ারি। কোরিয়ানদের নববর্ষ সেওলিয়াল অন্য সময়ে হলেও নববর্ষ ১ জানুয়ারিতেই উদযাপন করা হয়। কম্বোডিয়ার নববর্ষ চাউল চলাম থমে- এপ্রিল ১৩ বা ১৪তে। তারা তিন দিন ধরে এই নববর্ষ উদযাপন করে। প্রথম দিন- ‘মহা সংক্রাণ’, দ্বিতীয় দিন- ‘ভিরাক ওয়ানাবাত’ এবং তৃতীয় দিনÑ ‘ভিরাক লওরং’। ভারতে বিভিন্ন সম্প্রদায় এটা বিভিন্ন দিনে উদযাপন করে। তবে সরকারিভাবে ১ জানুয়ারিই প্রধান। এ ছাড়া দিওয়ালিসহ নানা অনুষ্ঠান বিভিন্ন প্রদেশে পৃথক পৃথক দিনে উদযাপিত হয়। বাংলাদেশসহ কয়েকটি স্থানে ১ বৈশাখ বর্ষের প্রথম দিন। মালয়েশিয়ার স্থানীয় অধিবাসীরা ‘পুথুভারতম’ উদযাপন করে মধ্য এপ্রিলে বর্ষ শুরু হিসেবে।

বর্ষ শুরু উৎসবের প্রধান লক্ষ্যচ্যুত হয় যখন রাজনীতির আমদানি ঘটে। এ অবস্থা আধুনিক সময়ে অত্যন্ত প্রকট। ফলে উৎসবগুলো প্রায়ই সামাজিক বিভক্তির সৃষ্টি করে থাকে। যদি সমাজের চিন্তাশীল অংশ ঐক্যবদ্ধভাবে এই আবর্ত থেকে বেরিয়ে না আসে, তখন উৎসব হয়ে উঠবে মানুষের যন্ত্রণার উৎস। উৎসবকে রাজনীতির অঙ্গনে টেনে আনার অন্যতম কারণ, এত সহজে অনেক মানুষকে একই স্থানে আনা সম্ভব। বর্ষ শুরুতে এই আবর্ত থেকে সবাই বেরিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ হবেÑ এই আশা রেখে আগামী অজ্ঞাত দিনগুলো সবাই সহজেই পাড়ি দিতে পারবে বলে প্রার্থনা করা যায়। অবশ্যই পরিবর্তন সম্ভব। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং তার মার্কিন কলোনি ১৭৫২ সাল পর্যন্ত মার্চ ২৫ নববর্ষ পালন করত। তবে এর পরিবর্তন ঘটল যখন ইউরোপের বেশির ভাগ দেশ ১ জানুয়ারিকে নববর্ষের প্রথম দিন হিসেবে মানতে শুরু করে গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকা চালু করেছিল। পারস্যে তিন হাজার বছর ধরে নওরোজ প্রথা চালু আছে। আলোর উৎসব, আতশবাজিসহ নানাভাবে দিনটি স্মরণ করা হয়। যেমন নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে উঁচুতে রাখা ১১৮৭৫ পাউন্ড (৫৩৮৬ কেজি) ওজনের লোহার বলটি ঠিক রাত ১১:৫৯ মিনিটে মাটিতে নামিয়ে এনে যখন ১২টায় স্পর্শ করে তখন আতশবাজিসহ নানা উৎসবে এই বৃহৎ স্কয়ারের সাথে দেশটি মেতে ওঠে। এই দৃশ্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া হয়।

আসলে অনাগত দিন নিয়ে যে উৎসব করা হয়, সম্ভবত তার মূলে হলো অজানার ভীতি। মানুষ আগামী সময়কে জানে না, বোঝার চেষ্টায় ভাবতে চায় উৎসবের মতো হোক। তাই এই আনন্দের আয়োজন। তবে কনফুসিয়াস যেমন বলেছেন, ‘সতর্ক ব্যক্তিরা ভুল করে না।’ আর মারকাস সিসারোর উপদেশ হলো, ‘তোমার নিজের চাইতে ভালো উপদেশ কেউ দিতে পারে না।’ তাই নিজের মধ্যে থাকলেই সবচেয়ে সুন্দর হয়ে ওঠা সম্ভব।

 


আরো সংবাদ



premium cement
থামছে না পুঁজিবাজারে পতন বিনিয়োগকারীদের আর্তনাদ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু: নাগাল্যান্ডে ভোটার উপস্থিতি প্রায় শূন্য কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির হাল ধরার কেউ নেই : ওবায়দুল কাদের পাবনায় ভারতীয় চিনি বোঝাই ১২টি ট্রাকসহ ২৩ জন আটক স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমার বিজিপির আরো ১৩ সদস্য পালিয়ে এলো বাংলাদেশে শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক মন্দিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে ২ ভাইকে হত্যা ইরানে ইসরাইলি হামলার খবরে বাড়ল তেল সোনার দাম যতই বাধা আসুক ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাবো : ডা: শফিকুর রহমান

সকল