২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বনাম রাজনৈতিক নৈতিকতা

-

৬ ডিসেম্বর রাজনৈতিক দলের অজান্তেই স্বৈরাচার পতন দিবস চলে গেল। ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ এ স্লোগানটি বুকে ধারণ করে এরশাদের গুলিতে নূর হোসেনের প্রাণ গেলেও গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে কি? দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আগে দলের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে কি? গণতন্ত্রে যারা বিশ্বাসী বা বাহ্যিকভাবে হলেও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই, সংগ্রাম, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম প্রভৃতি চালিয়ে যাচ্ছেন; তারা কি নিজ বলয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সচেষ্ট রয়েছেন? Charity Begins at Home প্রতিষ্ঠিত প্রবাদটি সব মহলে সমাদৃত। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো কি সাংগঠনিক নিয়মে চলছে? সাংগঠনিক নিয়মনীতি-শৃঙ্খলা ও কর্মীর মূল্যায়ন জামায়াতে ইসলামী ও বাম দলগুলোর মধ্যে থাকলেও বড় দলগুলো এর ধারেকাছে নেই, বরং একে অপরকে কিভাবে ল্যাং মারবে এ ধরনের পরামর্শ ওপরতলার লোকদের কাছ থেকেই আসে, যারা (কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব) দেশব্যাপী নিজস্ব বলয় সৃষ্টিতে সচেষ্ট রয়েছেন।

অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ডের কথা উঠছে, কিন্তু প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে উঠছে আরো অনেক অনেক কথা, যা শুনলে রাজনীতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের ক্ষেত্রে টানাপড়েন শুরু হয়। বাণিজ্য অর্থাৎ রিমান্ড বাণিজ্য, কমিটি বাণিজ্য, গণগ্রেফতার বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্যের চেয়ে নমিনেশন বাণিজ্যের কথা রসালোভাবেই গ্রামগঞ্জের হাটবাজারে আলোচিত হয়, যা নিয়ে কথা বলা আমার আজকের লেখার উদ্দেশ্য নয়, বরং এ নিয়ে কথা বলতে উৎসাহ বোধ করি না, কারণ এসব বিষয় শুনতে শুনতে গা-সওয়া হয়ে গেছে। যারা রাজনীতিতে গুণগতমান উন্নয়নের কথা বলেন; তারাও এসব বাণিজ্যের অংশীদার অথবা নির্বোধ-নির্বাক হয়ে পড়েছেন, যা জ্ঞানপাপীর ভূমিকার সমতুল্য।

নির্বাচন কমিশনের ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ের এ জাতীয় নির্বাচন ছাড়াও দেশের ভাগ্য নির্ধারণ, সরকার গঠন, দেশবাসীকে নিরাপত্তাসহ লালন-পালন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রাষ্ট্রের অবস্থান সঠিক রাখাসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা হেলাফেলা হিসেবে দেখলে হবে না। পূর্বাপর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রাজনীতির মাঠে বিচরণ করা মানুষই রাজনৈতিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করত। কারণ, তারা জনগণের দাবিদাওয়া নিয়েই মাঠে থাকে, বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে শুকায় এবং তাদেরকেই নির্বাচন নামক ভোটের মাঠে লড়াই করতে দেখা যেত। কিন্তু সম্প্রতি বাস্তব দৃশ্য হচ্ছে ভিন্নতর। সরকারি দলে মধু বেশি, অন্য দিকে পুলিশি নির্যাতন নেই, মামলা-হামলার তো প্রশ্নই আসে না। ফলে হালুয়া-রুটির ভাগবাটোয়ারার জন্য সরকারি দলে নমিনেশন বিক্রির হিড়িক পড়েছে। কিন্তু বিরোধী দলেও নমিনেশন ফরম কম বিক্রি হয়নি।

এর কারণ, শেখ হাসিনা সরকারের দুঃশাসনে ভুক্তভোগী নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের ঢল নেমেছে নমিনেশন ক্রয়ের জন্য; এ বিষয়টি সাধারণ মানুষ একটি উৎসব বলেই মনে করছিল। কিন্তু উচ্চপর্যায়ে হেভিওয়েট প্রার্থীরা এমপি হওয়ার জন্য নির্বাচনী মাঠকে যেভাবে কোরবানির হাঠে পরিণত করেছেন, তা নিতান্তই রঙ্গমঞ্চের তামাশার মতো মনে হচ্ছে, যেমনটি সার্কাসের ‘সং’ নামক নটরাজদেরও হার মানায়। ১/১১ সরকারের একজন খলনায়ক লে. জে. (অব:) মাসুদউদ্দিন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না এলে পিঠের চামড়া থাকবে না।’ অথচ তিনি দাঁড়িয়েছেন লাঙ্গল মার্কায়। এ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, যা করছি শেখ হাসিনার নির্দেশেই করছি। (সূত্র : জাতীয় দৈনিক, তাং ৩-১২-২০১৮)। জাতীয় নির্বাচন এলে ওপরতলার নটরাজদের রাজনৈতিক চরিত্র কত প্রকার ও কী কী তা সহজেই অনুমান করা যায়। তাদের এ চরিত্রকে কোরবানির গরুর হাটের সাথে তুলনা করে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে নিজেকে ছোট করতে না চাইলেও এর চেয়ে ভালো উপমা দেয়া যথাযথ বলে মনে হচ্ছে না।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নমিনেশন পাওয়া দলের কর্মীর ন্যায্য অধিকার, দলের দায়িত্ব কর্মীকে নেতায় পরিণত করা ও কর্মীর পেছনে জনভিত্তি দাঁড় করানোর দায়িত্ব দলের। কিন্তু রাজনৈতিক দল সে কাজটি না করে দলীয় নেতৃত্ব পকেট ভারী করার খবর বিভিন্নভাবে চাওর হচ্ছে। নমিনেশন একটি স্বীকৃতি। এ স্বীকৃতি কাদের পাওয়া উচিত?

রাজনীতির মাঠটি দিনে দিনে যেন কোরবানির গরুর হাটে পরিণত হয়েছে। নিয়মনীতি ও আদর্শের এখানে কোনো বালাই নেই। গরুর হাট সব সময় জমে না, কোরবানির ঈদের সময় যতটা জমে। কাক্সিক্ষত মূল্যে গাবতলীর হাটে বিক্রি না হলে মিরপুরের হাটে তো হবেই। ফলে পাইকার বা দালালদের আশার অন্ত থাকে না। নিজে যে আদর্শকে বিশ্বাস করে তা বাস্তবায়নের জন্য মানুষ রাজনীতি করে। নীতিবান মানুষের জন্য আদর্শিক রাজনীতি লুটেরাদের জন্য যা ভিন্ন কথা। অর্থনীতিতে Demand and Supply বলে একটি সংজ্ঞা রয়েছে। সেই সংজ্ঞায় বলা হয়েছে- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা প্রভৃতি মৌলিক চাহিদা যখন একজন ব্যক্তির পূরণ হয়ে যায় তখন সে নাম/সুনাম ক্রয় করার চেষ্টা করে। অনুরূপ পার্লামেন্ট কী এবং পার্লামেন্টে কথা বলার যোগ্যতা আছে কি না-ই তা বিবেচনা না করে যার টাকা আছে, সেই কোরবানির হাটের মতো বিভিন্ন হাটে একটি টিকিটের জন্য ঘুরপাক খেতে থাকে। দলগুলোও তাদের লুফে নেয়, যাদের টাকা আছে এবং এ অবস্থায় টাকা বৈধ না অবৈধ তা পর্যালোচনার প্রয়োজন মনে করে না; যদিও নেতারা মুখে মুখে আদর্শ ও নীতিবাক্য আওড়াতে কম যান না।

সর্ষে যদি ভূত থাকে তবে রাজনীতির গুণগতমান বাড়ানোর কোনো প্রশ্নই আসে না। জাতি যাদের দিকে তাকিয়ে থাকে তাদের চরিত্র যদি হয় কলুষিত, অর্থাৎ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বা প্রার্থী বাছাইয়ে গুণগত বিষয় পর্যালোচনা বা বিবেচনা না করে ‘বিত্তমান’ হওয়াই বিবেচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে পড়ে, তবে গুণগতমান উন্নতির পরিবর্তে নি¤œদিকেই ধাবিত হবে এবং হচ্ছে। স্বৈরাচার ও দুঃশাসন ঠেকাতে হলে জনগণ লাগবে, জনগণ তখনই নামবে যখন নেতৃত্বের স্বচ্ছতা থাকবে। নেতার বক্তব্য ও ব্যক্তিগত চরিত্রের গুণগত ডিফারেন্স বোঝা বা উপলব্ধি করার ক্ষমতা নিশ্চয়ই জনগণের রয়েছে। জনগণ এখন ভাবাবেগে চলে না, বরং বাস্তবতায় বিশ্বাসী।

সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণ কেন মাঠে নামল না বা গণবিপ্লব বা গণবিস্ফোরণ কেন ঘটল না, এ নিয়ে জাতীয় নেতৃত্বের কাছে কোনো গবেষণামূলক তথ্য নেই। যদি থাকত তবে নিশ্চয়ই তা প্রকাশ পেত। মূলত এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে, এক দিকে জাতীয় নেতাদের সারশূন্য বক্তব্য অন্য দিকে সরকারের মিথ্যাচার, এ দু’টিই জাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে। একটি জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের মধ্যে যে আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন হওয়ার কথা, গ্রামগঞ্জে তা প্রতিফলিত হচ্ছে না। ইতঃপূর্বে নিকট অতীতে জনগণ নির্বাচন দেখেছে, যেখানে কেবল আদর্শিক ব্যক্তির চেয়ে দলগুলো ধনবানদেরই বেশি প্রাধান্য দিয়েছে। যার ফলে জনগণ শোষিত হয়েছে বারবার। পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় আদর্শের যেমন কোনো বালাই নেই, ঠিক তেমনি নির্বাচনের উদ্দেশ্য (রাষ্ট্রীয়) শাসনব্যবস্থায় নিজ, নিজের পরিবারের ও অনুগতদের ভাগ্য পরিবর্তনে নিজেকে অংশীদার করা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধান অতিথির ভাষণে ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত মহাসমাবেশে ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন, টাকাওয়ালাদের পেছনে ঘুরবেন না, আদর্শিক ব্যক্তি চাই। আদর্শবান ব্যক্তি তারাই যারা জনগণের সাথে সম্পৃক্ত, জনগণের প্রতি যার ত্যাগ ও সার্ভিস রয়েছে। কিন্তু দলীয় মূল্যায়নের বিষয়ে আদর্শবান ব্যক্তিরাই এখন আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হচ্ছেন। দলছুটেরাই প্রাধান্য পাচ্ছেন। এখন এ বিষয়টি ড. কামাল হোসেন কোন বিবেচনায় নেবেন?

দলে যখন বিপর্জয় নেমে আসে তখন আর ধনবানদের খুঁজে পাওয়া যায় না, কিন্তু ক্ষমতায় থাকাবস্থায় তারাই থাকে লুটপাটের প্রথমাংশে। রাজনীতিকে রাজনীতির পরিমণ্ডলে পরিমাপ করা উচিত এবং এর ব্যত্যয় হওয়ায় আজ লুটেরাদের কাছে রাজনীতি বশীভূত হয়ে পড়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ। যার জন্য জনগণকে সারা বছরই নাজেহাল হতে হয়। টেম্পোচালক, বেবিট্যাক্সি চালক, ফুটপাথের হকার, রাস্তাপাড়ের পিঠা বিক্রেতা থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের লোককেই দু’টি ট্যাক্স দিতে হয়। একটি সরকারি ট্যাক্স, অন্যটি সরকারি দলের জন্য ট্যাক্স। সরকারদলীয় ট্যাক্স আদায় হয় সরকারি দলের অনেক নেতাকে কেন্দ্র করে, যার ভাগবাটোয়ারা হয় ওই নেতার নির্দেশিত পথেই। জনগণ থেকে দলীয় ব্যানারে আদায় করা অর্থ নেতার তহবিলে জমা হতে থাকে পরবর্তী আরেকটি নির্বাচনের তহবিল গঠনের জন্য। এ সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলো মুখে মুখে অনেক নীতিকথা বললেও বাস্তবতা এর উল্টো।

রাজনীতির গুণগতমান উন্নয়নের জন্য জাতীয় নেতাদের মুখে মুখে চিঁড়া ভেজালে হবে না। জাতীয় নেতৃত্বের মনে যদি মুনাফেকি না থাকে, তবে তারা নিশ্চয়ই গুণগতমান উন্নয়নের জন্য দৃশ্যমান কিছু ভূমিকা রাখবেন। ভালো ফসল পেতে হলে ভালো বীজ অবশ্যই বপন করতে হবে। মাঠে-ময়দানে যাদের কোনো ভূমিকা নেই শুধু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ম্যানেজ এবং বিত্তবান হওয়ার কারণেই যদি এমপি পদে মূল্যায়িত হয়, তবে দল রাজপথের কর্মীদেরই অবমূল্যায়ন করল, যেমন কোরবানির হাটে বিশেষে গরুর দাম ওঠানামা করে। নিষ্ঠাবান কর্মী যদি মূল্যায়িত না হয় তবে দলে সুবিধাবাদী ও সুবিধাসন্ধানীদের পদচারণায় দলের ক্র্যাকডাউন কেউ ঠেকাতে পারবে না, যেমনটি এখন পারছে না।

সরকারের মূল শক্তি পুলিশ ও বিচার বিভাগ। এর পরিবর্তে বিরোধী দলের শক্তি হতে হবে জনগণভিত্তিক। জনগণকে সাথে নিয়ে যাদের মাঠে থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তারাই পারবে কেন্দ্র পাহারা দিয়ে জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে। দল ভারী আর পকেট ভারী এক কথা নয়। রাজনৈতিক দল হতে হবে কর্মীভিত্তিক এবং নেতৃত্ব উঠে আসতে হবে কর্মী থেকে। যদি তা না হয় তবে বিত্তবানদের কবলে দল বশীভূত হওয়ায় এখন কর্মী আর কর্মচারীর মধ্যে কোনো তফাৎ পরিলক্ষিত হয় না। ফলে লাখো কোটি জনসমর্থিত দলকেও পুলিশের বুটের তলায় পদদলিত হতে হয়। এর একমাত্র কারণ রাজপথে নিবেদিত, নিষ্ঠাবান ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে ধনবানদের প্রতি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আকৃষ্ট হওয়ার অপসংস্কৃতি।

নেতৃত্বের প্রতি যখন মানুষের হতাশা নেমে আসে তখন সে নেতৃত্ব অকার্যকর হয়ে যায়। কর্মীরা মাঠে নামে না। আন্দোলন সংগ্রামে বাস্তবমুখী ভূমিকার পরিবর্তে নেতাদের মধুবাণী শুনতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। আর সরকারি নির্যাতন থেকে বাঁচার দিন গুনতে থাকতে, কিন্তু নেতৃত্বের ফাঁকাবুলিতে যখন হতাশা নেমে আসে তখন তাদের পা আর চলে না। এখন পরিবারের একাধিক সদস্যের এমপি হওয়ার শখ অনেক প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে। অথচ ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন নেই। 
লেখক : কলামিস্ট ও আইনজীবী (অ্যাপিলেট ডিভিশন)
E-mail: taimuralamkhandaker@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
ফিলিপাইনে ব্রহ্মস পাঠাল ভারত, ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি চীনের মোকাবেলায় নতুন ডিভিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে! আবারো চেন্নাইয়ের হার, ম্লান মোস্তাফিজ 'কেএনএফ' সন্ত্রাস : সার্বভৌম নিরাপত্তা সতর্কতা অর্থনীতিতে চুরি : ব্যাংকে ডাকাতি পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার

সকল