২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মধ্যবর্তী নির্বাচনে ট্রাম্পের হারজিত

মধ্যবর্তী নির্বাচনে ট্রাম্পের হারজিত -

আমেরিকান যুক্তরাষ্ট্রে গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচন নানা কারণে ছিল বেশ আলোচিত। এই নির্বাচনে আমেরিকান ভোটাররা ৪৩৫ জন প্রতিনিধি সভার সদস্য এবং ১০০ সদস্যের সিনেটের এক-তৃতীয়াংশ নির্বাচিত করেছেন। এ ছাড়াও, ৩৬টি রাজ্যের গভর্নর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় একই সময়ে। অনেক রাজ্য আইনসভারও নির্বাচন হয় এ সময়ে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি দুই বছর পর পর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্টের চার বছর মেয়াদের মধ্যবর্তী নির্বাচন অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচন না থাকার কারণে। কিন্তু এবার ট্রাম্পের জন্য এই মধ্যবর্তী ছিল অনেক বড় চ্যালেঞ্জের।

এবারের নির্বাচনের সরকারি ফলাফল অনুযায়ী, রিপাবলিকানেরা সিনেটে জিতেছে আর ডেমোক্র্যাটরা প্রতিনিধি সভার নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে। এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানেরা কংগ্রেসের উভয় কক্ষ নিয়ন্ত্রণ করত। দৃশ্যত এই ফলাফলে আমেরিকান জনগণ এবং ভূগোলের মধ্যে স্পষ্ট একটি বিভাজন সৃষ্টি হলো। অধিক জনগণ ভোট দিয়েছে ডেমোক্র্যাটদের। আর অধিক এলাকার মানুষের রায় গেছে রিপাবলিকানদের পক্ষে। প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্ধারণ হয় জনসংখ্যার অনুপাতে আর সিনেটর নির্বাচিত হয়, ছোট-বড় নির্বিশেষে প্রতি রাজ্য থেকে দুইজন করে। সাধারণভাবে এবারের নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে গ্রাম আমেরিকার মানুষ রিপাবলিকানদের ওপর আস্থা রেখেছে। আর শহুরে নিকট অতীতের অভিবাসী আমেরিকানেরা আস্থা রেখেছে ডেমোক্র্যাটদের ওপর।

ডোনাল্ট ট্রাম্প প্রতিনিধি সভার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারালেও সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখতে পারায় বেজায় খুশি। ট্রাম্প নির্বাচন সম্পর্কিত তার প্রথম টুইটে বলেছেন, ‘আজ দুর্দান্ত সাফল্য এসেছে। এজন্য সকলকে ধন্যবাদ!’ যদিও হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স বলেছেন যে, এই নির্বাচনের ফলাফল ট্রাম্পের নীতিগুলোতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। তার মন্তব্যে স্পষ্ট রিপাবলিকানদের জয় হয়নি, বড়জোর পরাজয় কিছুটা হয়তো এড়াতে পেরেছে রিপাবলিকান শিবির। ট্রাম্পের উচ্ছ্বাসের একটি কারণ হতে পারে এই যে, তিনি হয়তো ধারণা করেছিলেন ফল যা হয়েছে তার চেয়েও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারত। কংগ্রেসের উভয় কক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে তার পক্ষে বাজেট ও বিল পাস করা আরো কঠিন হতে পারত।

এমনকি, তিনি মেয়াদপূর্তির আগে অভিশংসনের মুখোমুখি হতে পারেন বলে যে জল্পনা রয়েছে, তা থেকে বলা যায় তিনি এখন অনেকখানি মুক্ত। তিনটি আসনের ফলাফল আসার আগেই সিনেটে ৫১ আসন পাওয়ার স্বস্তিকর অবস্থায় রয়েছেন তিনি। যদিও এবার রিপাবলিকান আসনে নির্বাচন হয়েছে মাত্র আটটিতে, আর ডেমোক্র্যাট আসন ছিল ২৩টি। আরো দু’টি ছিল ডেমোক্র্যাট ককাসে বসা স্বতন্ত্র প্রার্থীর আসন। ট্রাম্পকে অভিশংসন করতে হলে সিনেটের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন, যেটি কোনোভাবেই পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না। অবশ্য প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করার চিন্তা খুব বেশি কংগ্রেসম্যানের আছে বলে মনে হয় না। বরং তারা দৃষ্টি দিচ্ছে ২০২০ সালের প্রতি, যখন ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন।

এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প বাড়তি ঝুঁকির মধ্যে ছিলেন এ কারণে যে, তিনি প্যারিস জলবায়ু চুক্তি, ইরানি নিষেধাজ্ঞা এবং ট্যারিফ যুদ্ধের মতো পদক্ষেপ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়েছেন। তার বর্ণবাদী কৌশলও ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে। এখন তার অবস্থা হতে পারে বারাক ওবামার শেষ মেয়াদের মতো। ওবামা দ্বিতীয় মেয়াদের শেষার্ধে কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষ নিয়ন্ত্রণ করত রিপাবলিকানেরা। তারা ওবামাকে কোনো বিলই পাস করতে দেয়নি। নানা দেন দরবার করে বাজেট পাস করতে হয়েছে তাদের। এখন ট্রাম্পের অবস্থা সে রকমই হতে পারে। তিনি অবশ্য কংগ্রেসকে এড়িয়ে নির্বাহী আদেশ দিয়ে সব কিছু করার কথা এর মধ্যে বলেছেন। ওবামাও শেষ দিকে এ পথে গিয়েছিলেন। ট্রাম্প ভদ্রতার ধার ধারেন না বলে সব কিছুতেই এ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে চাইতে পারেন। অবশ্য ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকানদের মধ্যে সংস্কৃতিগত ব্যবধান থাকায় হাতি মার্কা কাজ খচ্চরওয়ালারা সেভাবে নাও করতে পারে।

অনেকের পর্যবেক্ষণে এবারের নির্বাচনের ফলাফল মার্কিন জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগকে কমিয়ে আনতে একটি মাইলফলক হয়ে উঠেছে। ট্রাম্পের অভিবাসী বিরোধিতা এমন পর্যায়ে গেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করলে নাগরিক হওয়ার বিধানও তিনি পাল্টাতে চাইছেন। তিনি জার্মান থেকে আসা বাবা-মার সন্তান হয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পেরেছেন। কিন্তু অন্যরা দেশটিতে জন্মালেও নাগরিকই হতে পারবেন না এমন ব্যবস্থা তিনি করতে চাইছেন। ট্রাম্পবিরোধী পক্ষের ধারণা এবারের বিজয় ক্ষুদ্র মনে হলেও তা অভিবাসীদের জন্য ইতিবাচক ফল নিয়ে আসবে। এবার ইউরোপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অধিকতর সুবিধাজনক বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারে এবং আসন্ন বৈশ্বিক সঙ্কট এড়ানো যেতে পারে।

ট্রাম্পের জন্য এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হলো- তিনি হয়তোবা ২০২০ সালে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারবেন না। তিনি উচ্ছ্বাস দেখালেও এটি তার জন্য সব বিবেচনায় একটি খারাপ নির্বাচন ছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবির বিপরীতে গভীর বিশ্লেষণে মধ্যবর্তী নির্বাচন ডেমোক্র্যাটদের জন্য খুব ভালো বলে মনে হবে। পরের বছর দু’টি তাদের মার্কিন রাজনীতিতে অনেক বেশি ক্ষমতা থাকবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্বেগের বড় জায়গাটা হলো তার জন্য এখন ২০২০ সালে পুনরায় নির্বাচিত হওয়া খুবই কঠিন। এর পেছনে দু’টি কারণ দেখা যায়। প্রথমত, এবারের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা জনপ্রিয় ভোটে রিপাবলিকানদের ৭.১ পয়েন্টে পরাজিত করেছে। ২০১৬ সালে, হিলারি ক্লিনটন ট্রাম্পের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন মাত্র দুই শতাংশ। দুই বছরের ব্যবধানে ট্রাম্পের জনসমর্থনের পতন ঘটেছে পাঁচ শতাংশের বেশি। ১৯৯৪ সালে নির্বাচনের সময় রিপাবলিকানদের পক্ষে যে ৭.১ শতাংশ ব্যবধান ছিল, এবার সে মার্জিন ছাড়িয়ে গেছে। ২০০৬ সালে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে ব্যবধান ছিল ৮ শতাংশ; ২০১০ সালে ছিল ৭.২ শতাংশ আর রিপাবলিকানদের পক্ষে ২০১৪ সালে ব্যবধান ছিল ৫.৭ শতাংশ।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডেমোক্র্যাটরা প্রতিনিধি সভায় স্বস্তিকর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, বাড়তি সাতটি গভর্নর পদ জয় করেছে, রাজ্য আইন সভায় ৩৩০টি বাড়তি আসন পেয়েছে। এমনকি যে সিনেটে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে সেখানে তারা রিপাবলিকানদের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা পেয়েছে ৫৭ শতাংশ জনপ্রিয় ভোট আর রিপাবলিকানরা পেয়েছে মাত্র ৪২ শতাংশ।

নির্বাচনকালের জরিপ অনুসারে ট্রাম্পের অনুমোদন হার ছিল ৪৪ শতাংশ। ৫৫ শতাংশ ছিল তার বিপক্ষে। ২০১৬ সাল থেকে ট্রাম্প এবং তার দলটি সমর্থন হারানোর যে প্রবণতা তার সাথে নির্বাচনের ফলাফল সামঞ্জস্যপূর্ণ। অন্য অনেক প্রেসিডেন্টেরও অনুমোদন হার কমতে দেখা গেছে, কিন্তু ট্রাম্পের ক্ষেত্রে পতনের এই রেখা খুব একটা ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে না।

দ্বিতীয়ত, ২০২০ সালের যুদ্ধ ক্ষেত্রের জন্য রিপাবলিকানেরা মাটি হারিয়েছে বলে যে মূল্যায়ন করা হচ্ছে, তার যথেষ্ট ভিত্তি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য পশ্চিম/রুজভেল্ট এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে ডেমোক্র্যাটরা এবার যথেষ্ট শক্তিশালী ফল লাভ করেছে যেটি ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সিদ্ধান্তকারী হতে পারে। রুজবেল্ট/মধ্য পশ্চিম অঞ্চলে ডেমোক্র্যাটেরা পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, মিনেসোটা, ওহাইও এবং ওয়াইমিংয়ে সিনেটে জয় পেয়েছে বিশাল ব্যবধানে আর মিশিগান এবং মিনেসোটায় খুব বড় ব্যবধানে গভর্নর পদে জয় পেয়েছে।

ডেমোক্র্যাটরা এই অঞ্চলে সাত থেকে নয়টি প্রতিনিধি সভার আসন বাড়তি জয় করেছে। তারা আইওয়া গভর্নর প্রতিযোগিতায় ব্যবধান অনেক কমিয়ে এনেছে। ডেমোক্র্যাটরা এখন সেখানকার চারটি প্রতিনিধি সভা আসনের তিনটি নিয়ন্ত্রণ করে। যেহেতু এই অঞ্চলটিই কার্যত ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে বলে মনে করা হয়, তাই এখানে রিপাবলিকানদের গভীরভাবে প্রত্যাখ্যান করা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য একটি বিপজ্জনক উন্নয়ন হিসেবে দেখা হবে।

অন্য দিকে, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলটি ট্রাম্পের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল না। ২০১৬ সালে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে সবচেয়ে বড় তিনটি রাজ্য ছিল ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস এবং অ্যারিজোনা। এর বাইরে কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো রিপাবলিকান ঘাঁটি টেক্সাসে প্রতিযোগিতা লক্ষ করা গেছে। অ্যারিজোনার সিনেটে প্রতিযোগিতা ছিল খুব কাছাকাছি আর ডেমোক্র্যাটরা কলোরাডো, নিউ মেক্সিকো এবং নেভাদার গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে জয় পেয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়াসহ এসব রাজ্যে ডেমোক্র্যাটরা ১১টি বাড়তি আসন পেয়েছে। এখানে এমন একটি রাজ্যও রয়েছে যাতে এ বছর রিপাবলিকান সিনেট প্রার্থীই ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি বড় রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়া এবং টেক্সাসে রিপাবলিকান পার্টির অবস্থা বিপজ্জনক বলে মনে হচ্ছে এবার।

গত দুই বছরে সর্বদাই এ ধারণা ছিল, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উগ্র সাদা জাতীয়তাবাদ এবং অভিবাসীবিরোধী রাজনীতি এবং নীতিমালা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মেক্সিকান-আমেরিকান অংশগুলোতে তাকে মারাত্মকভাবে আঘাত করলেও রুজবেল্ট অঞ্চলে এটি তার এগিয়ে যাওয়ার চাবিকাঠি হবে। এবারের নির্বাচনে মনে হচ্ছে, ট্রাম্পের সেই চাবিতে জং ধরে গেছে। ট্রাম্পের খারাপটা ঠিকই দেখা যাচ্ছে; কিন্তু ভালোটা খারাপের দিকে যাচ্ছে।

রিপাবলিকানের সত্যিকারের খারাপ অবস্থা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর অংশে। এটি ট্রাম্পের জন্য অত্যন্ত সমস্যাযুক্ত উন্নয়ন। তিনি ইন্ডিয়ানা, মিসৌরি এবং টেনেসির মতো রিপাবলিকান লাল জোন এবং গ্রামীণ জায়গাগুলোতে জয়লাভের জন্য শেষ দিকে অভিবাসী ইস্যু ব্যবহার করেছেন। পরবর্তী মেয়াদে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার জন্য এ রাজ্যগুলো তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখানে দেখা গেছে তার অভিবাসী আক্রমণ তার পুনর্নির্বাচন সম্ভাবনাকে আঘাত করার জন্যই কাজ করেছে। ৭ নভেম্বর মধ্যবর্তী নির্বাচনোত্তর সংবাদ সম্মেলনের সময় ট্রাম্প দাবি করেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন তার জন্য ভালো।

কিন্তু বাস্তবে, এটি ছিল তার জন্য এক কথায় বিপর্যয়কর। জয়ের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ দেশের দুই অংশে সত্যিকারের দুর্বলতা ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য তাকে চরম অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে। হাউজের নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে পরবর্তী দুই বছরে ট্রাম্প কেবলই একজন দুর্বল রাষ্ট্রপতি প্রমাণিত হতে পারেন। অর্থনীতিতে বেশ খানিকটা অগ্রগতি আনার জন্য তার পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা কয়েক মাস আগে যা মনে করা হয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন হবে বলে এখন মনে হচ্ছে। মজার ব্যাপার হলো এবারের হাতি ও খচ্চর মার্কার নির্বাচনী প্রচারণায় একদিকে ছিলেন শ্বেতকায় ট্রাম্প, আর অন্য দিকে ছিলেন কৃষ্ণবরণ ওবামা। ট্রাম্প যে শ্বেতকায় শ্রেষ্ঠত্বের উচ্ছ্বাস জাগিয়ে ২০১৬ সালে জয় পেয়েছিলেন- তা এখন অনেকখানি দুর্বল হতে শুরু করেছে। তিনি আমেরিকান জ্যাত্যাভিমানকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করতে গিয়ে বিশ্বের সামনে এই জাতিটিকে হেয় করছেন বলে বেশির ভাগ আমেরিকান এখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন। ট্রাম্পের বড় ক্ষতিটা সম্ভবত এখানে।
mrkmmb@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement