২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

জর্দানে গণবিক্ষোভ কি আরেক আরব বসন্ত?

জর্দানে গণবিক্ষোভ কি আরেক আরব বসন্ত? - ফাইল ছবি

নতুন প্রস্তাবিত আয়কর আইন জর্দানে জনরোষ ও বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। কয়েক বছর আগে আরব বসন্তের ঢেউ ভালোভাবেই জর্দানের জনগণকে নাড়া দিয়েছিল। সাম্প্রতিক প্রতিবাদের পেছনেও এর হাওয়া অনুপ্রাণিত করেছে জনগণকে। জর্দানের প্রাকৃতিক সম্পদ অনেক কম। বহু দিন ধরে দেশটি বেকার সমস্যায় আক্রান্ত। কয়েক মাস আগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এসব পণ্যের ওপর আরো কর বাড়ানো হয়। এই বছরে জ্বালানি তেলের দাম পাঁচ দফা বাড়ানো হয়েছে, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৫৫ শতাংশ। নতুন আইনে দেখা যায়, জনগণ ১৫০ ধরনের কর ও বিভিন্ন সরকারি জরিমানার ফাঁদে পড়েছে। আইএমএফের কথামতো দ্রব্যমূল্য এবং নতুন করে কর বৃদ্ধির এই সরকারি সিদ্ধান্ত। ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ৭২ কোটি ৩০ লাখ ডলার ঋণ নেয়ার শর্ত অনুযায়ী অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে জর্দান। জনগণের সীমিত আয়ের ওপর নতুন কর আরোপে তারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

জনগণ মনে করে, সরকার তাদের সম্পদ ‘ডাকাতি’ করে নিয়ে নিচ্ছে। ইউনিয়নগুলোর পক্ষ থেকে সরকারপতনের ডাক দিলে পুরো দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। জর্দানের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ ফিলিস্তিনি, ৩০-৩৫ শতাংশ মূল জর্দানি, ১৫-২০ শতাংশ ইরাকি এবং বাদবাকি কিছু নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘু ও উদ্বাস্তু। এই পরিসংখ্যান ২০১০ সালের। জর্দান এখন শরণার্থী বা উদ্বাস্তুতে পরিপূর্ণ। বিদেশী সহায়তায় তাদের দেখভাল করতে হচ্ছে।

জনগণের বিশ্বাস তাদের কষ্টার্জিত টাকার ওপর সরকারি করারোপ করা হয়েছে। কিন্তু আমলা ও কর্মকর্তাদের দেখে তা মনে হয় না। দুর্নীতি, ঘুষ ও স্বজনপ্রীতি চরম আকার ধারণ করেছে। সরকারি লোকজন যেন সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছেন। তাদের চালচলন, গাড়িঘোড়া, বিদেশ ভ্রমণ ও বেতন-ভাতা দেখে মনে হয়, ওরা জর্দানে ভিন্ন দেশী লোক। গরিব জনগণের সাথে তাদের বিস্তার ফারাক। অথচ সাধারণের টাকায় এরা জাঁকজমকের সাথে চলছে। এরা এক ধরনের ‘এলিট শ্রেণী’। লোকজন মনে করে, মন্ত্রীসমেত সরকারি লোকদের উদরপূর্তি, তাদের স্ত্রীদের বিদেশী গয়না এবং পোশাক ক্রয়, সন্তানের বিশেষ সুবিধা ও বাড়িতে আদরের পশু পালন- এসবের জন্যই যেন কর প্রদান করতে হচ্ছে। তার পরও নতুন করে আইনে এর আওতা বাড়ানো হয়েছে। এতে জনগণ রোষে ফেটে পড়ে। জর্দানের অবস্থা এখন বিপ্লব-পূর্ব তিউনিসিয়ার মতো। মৃত্যুহার ২০ শতাংশ এবং বেকারত্ব ৪০ শতাংশ। সিরিয়া, ইরাক ও ফিলিস্তিনের উদ্বাস্তুতে ভরা। এখন সেসব আওয়াজ আবার ভেসে আসছে; ‘সামাজিক মাধ্যমের অবাধ ব্যবহার’, ‘নতুন চাকরি’, ‘দুর্নীতি রোধ’, ‘দিন দিন দরিদ্র হওয়া’ ইত্যাদি।

২০১৬ সালের শুরুতে মুদ্রাস্ফীতির প্রশ্ন তুলে পেনশনারদের ভাতা এক হাজার ২০০ ডলার বৃদ্ধি করা হয়। জন সহায়তা খাত বাড়ানো হয় ৮০০ ডলার। ফলে পেনশন এক বছরে ৭ শতাংশ বেড়ে ১৭ হাজার ডলার থেকে ১৮ হাজার ২০০ ডলারে পৌঁছে।

২০১৮ সালেও পেনশন ১.৫৯ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা আসে। কনজিউমার প্রাইজ ইনডেক্স মতে, ২০১৭ সালে ১.৬ শতাংশ বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতি। জর্দানে এখন ৮৮ হাজার ৬৮৫ জন পেনশনার আর এক লাখ ১৪ হাজার ২৯৯ পোষ্য সরকারি পেনশন-ভাতা পাচ্ছেন। জর্দানে সরকারি কর্মকর্তার অবসরের বয়স পুরুষের ৬০ বছর এবং মহিলাদের বেলায় ৫৫ বছর।

কর বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সরকারের সব পলিসির বিরুদ্ধে তথা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে পরিণত হয়েছে। এবারের রমজান, ঈদ এসব ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রতিপালনের সময়ও জনরোষ চার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সরকার অবস্থা বেগতিক দেখে কর প্রদান নীতি বাস্তবায়ন স্থগিত রেখেছে। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণ নিষ্পেষিত হচ্ছে। আধুনিক জর্দানের ইতিহাসে এমন বিক্ষোভ-আন্দোলন আর দেখা যায়নি। অল্প সময়ের মধ্যেই ৪৬টি বিভিন্ন বিক্ষোভ সমগ্র জর্দানে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন পেশা ও দলের লোকজন এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। এটাকে আরেকটি ‘আরব বসন্ত’ বলে অনেকে প্রচার করছেন। ২০১১ সালের আরব বসন্তে অংশগ্রহণকারীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য এক বড় শক্তি।

জর্দানে সংবিধান দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ, রাজনৈতিক দল, এমনকি নির্বাচনও আছে। সংবিধানে বাদশাকে ‘বেশুমার ক্ষমতা’ দেয়া হয়েছে। তার কাজে কোনো প্রশ্ন রাখা যায় না। তিনিই প্রধানমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও বিচারকদের বাছাই করেন। তার দস্তখতই যথেষ্ট। এমন কি, তিনি সংসদ ভেঙে দিতে পারেন। তিনিই সেনাবাহিনীর প্রধান। আরব বসন্তের সময় বাদশা আবদুল্লাহর ভয় ছিল, মিসর ও তিউনিসিয়ার শাসকদের মতো বিদায় হতে হবে কিনা। তখন তিনি সংবিধান ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া ঠিক করার ওয়াদা করেন। কিন্তু ব্যাপক অনিয়মের কারণে সবচেয়ে বড় বিরোধী দল মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন করে। ফলে বাদশার দলই বিজয়ী হয়। যুক্তরাষ্ট্র জর্দানের রাজতন্ত্রকে রক্ষার জন্য ২০০ সামরিক পরামর্শক পাঠিয়েছে। কিন্তু পত্রিকায় সংবাদ বেরিয়েছে ‘দুই হাজার মার্কিন সেনা’র। তুরস্কের ইনসারলিক থেকে বিমানবাহিনীর বিমান ও সরঞ্জাম সরিয়ে জর্দানের আল আজরাকে আনা হয়।

জর্দানের প্রশাসনে তিনটি বিষয় কাজ করছে। রাজকীয় দরবার, মুখাবারাত বা গোয়েন্দা বাহিনী এবং সরকার। নীতিনির্ধারণে কেউ স্বাধীন নয়। প্রত্যেক মন্ত্রীকে রিমোটে বার্তা প্রদান একটি চলমান প্রক্রিয়া। এবার বাদশাহ এবং মুখাবারাত উভয়ে স্বাধীনভাবে জনগণের কাছে বার্তা দিয়েছেন, জর্দানের জন্য যা মোটেই শুভ নয়।

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম কারাক শহরে জনগণ ফুঁসে ওঠে। সরকারি টাকায় গোয়েন্দারা কাজ করলেও এবার গোয়েন্দা বাহিনী সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছে যে, ‘সংস্কারের’ কাজ এখন নয়। এখানে একটি বিষয় মনে করার মতো; তা হলো, সিরিয়ায় আসাদের বিরুদ্ধে যখন জনগণ রাস্তায় নামে তখন তিনি তাদের সাথে কোনো আলোচনা করতে চাননি, তাদের কথা শুনতে চাননি। তিনি সেনাবাহিনী দিয়ে বলপ্রয়োগে তাদের মুখ বন্ধ করে দিলে সঙ্ঘাতযুদ্ধ সিরিয়াকে ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যায়। জর্দানের গোয়েন্দারা এ বিষয়ে সতর্ক। যদি সিরিয়া থেকে জর্দান শিক্ষা না নেয় তবে দেশটির অবস্থাও সিরিয়ার মতোই হবে। ইসরাইল চায়, জর্দানে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অরাজকতা শুরু হোক। এরপর গোলান হাইট ও পশ্চিম তীর মুহূর্তেই দখল করে সেখানে ইসরাইলি কর্তৃত্ব কায়েম করবে।

বাদশাহ আবদুল্লাহ জর্দান ইউনিভার্সিটির তরুণদের সাথে কথা বলেছেন এবং সার্বিক সঙ্কটের একটি সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে ঘোষণা দেন। এই তরুণরাও বাদশার আন্তরিকতা প্রমাণের জন্য নামকাওয়াস্তে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে যার নাম, সিভিল অ্যালায়েন্স। এখানে কোনো নামকরা রাজনীতিবিদ নেই। এদিকে, মুখাবারাত বাহিনী জনে জনে প্রশ্ন করতে থাকে। এ থেকে বোঝা যায়, সরকার ও গোয়েন্দা বাহিনী একসাথে কাজ করছে না। সিভিল অ্যালায়েন্স অনেকটা মিসরের স্বৈরাচারী সিসির ‘মিডিয়া ব্যাটালিয়নের’ মতো। মনে করা হচ্ছে, বাদশাহকে মিসর ও সৌদি আরব এ বিষয়ে তালিম দিয়েছে। মনে রাখতে হবে, জর্দানে মুসলিম ব্রাদারহুড বেশ শক্তিশালী। তারা সিভিল অ্যালায়েন্সে ঢুকে পড়লে বাদশা ইচ্ছেমতো কাজ করতে পারবেন না।

মুসলিম ব্রাদারহুড আট বছর ধরে নির্বাচন বর্জন করে আসছে। বিগত সাধারণ নির্বাচনে ২৩ আসনে লড়াই করে ১৫টি আসন পেয়েছে ব্রাদারহুড। একে ‘বিরাট অর্জন’ বলে আখ্যা দিয়েছে। জর্দানে ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্ট পার্টি পার্লামেন্টে সবচেয়ে শক্তিশালী জোট। দীর্ঘ দিন রাজনীতির মাঠে অনুপস্থিত থাকার পরও দেশটির জনগণের কাছে ব্রাদারহুড জনপ্রিয়। এ কারণে সৌদি আরবসহ কিছু আরব-আফ্রিকান দেশ ভীত। বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতির বেলায় এটাও একটি ফ্যাক্টর বলে অনেকে মনে করেন।

বাদশা সালমানের আমলে সৌদি আরবের সাথে পড়শি রাষ্ট্রের সম্পর্ক অনেক নিচে নেমে গেছে। জর্দানের ব্যাপারে সৌদিরা তেমন একটা চিন্তাভাবনা করে না বলে পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন। গত দুই বছরে জর্দান সৌদি আরব থেকে এক রিয়ালও পায়নি। সাধারণত বছরে এক বিলিয়ন ডলারের নগদ এবং তেল সহায়তা পেয়ে থাকে। সৌদি আরব, আমিরাত ও ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে জর্ডানি বাদশা আবদুল্লাহকে চাপ দিচ্ছে সৌদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে। আমিরাত ও সৌদি আরব চায় আম্মান ‘ইসরাইলের প্রবেশদ্বার’ হোক। তারা চায় পূর্ব জেরুসালেমে ফিলিস্তিনি রাজধানী করার দাবি জর্দান ছেড়ে দিক। এদিকে বার্ষিক হজের জন্য সৌদি আরব বাড়তি চার্জ ধার্য করেছে, এর বিরুদ্ধে জর্দানে মিছিল মিটিং হয়েছে।

আবদুল্লাহ এখন সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদের পক্ষ নিতে চান। জর্দান আল-আকসার অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করছে। পূর্ব জেরুজাসেমে ফিলিস্তিনিদের রাজধানী করার দাবি ত্যাগ না করলে জর্দান অভিভাবকত্ব হারাতে পারে। সৌদি আরবের কথা শুনলে জর্দান আবার নগদ রিয়াল ও তেল সহায়তা পাবে। আবদুল্লাহর পিতা বাদশাহ হোসেইনের একটি নিয়ম ছিল তর্জন গর্জন করা। তাকে ‘জর্দানের সিংহ’ বলা হতো। তিনি বলতেন নেতৃত্বের জন্য এটা করতে হয়। আবদুল্লাহ সেটি অনুসরণ করতে চান। বিক্ষোভ চলাকালে জনগণ তেলআবিবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিও তোলে।

জর্দানের বাদশা আবদুল্লাহ ‘শিয়া ক্রিসেন্ট’ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব মিত্রদের সতর্ক করেছিলেন। জর্দানে ৯৫ শতাংশ সুন্নি মুসলমান, কিছু শিয়া রয়েছে। আন্দোলনে তারাও সরকারবিরোধীদের সাথে রয়েছে। আবদুল্লাহ গত এপ্রিলে আরব লীগের বৈঠকের সময় সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে করমর্দন করেননি। এর ব্যাপক তাৎপর্য রয়েছে। আঞ্চলিক ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে ‘আমেরিকা-সৌদি আরব-ইসরাইল’ বলয় একটি বড় ফ্যাক্টর। তাই এখন জর্দান জ্বলন্ত কড়াইয়ের ওপর। বাদশা আবদুল্লাহ গত বছর চারবার ওয়াশিংটনে গেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এটা বোঝাতে যে, তিনি আমেরিকার পাশে রয়েছেন এবং জেরুসালেম পবিত্র নগরীর ওপর হাশেমীয়দের অভিভাবকত্ব প্রাচীন আমল থেকে রয়েছে এবং এটি সমগ্র মুসলিম উম্মাহর সাথে সম্পর্কিত।

এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে ‘ইমাম সমস্যা’। জর্দানে চার হাজার ৫০০ জন ইমাম দরকার। সরকার প্রতি বছর মিসর থেকে ৫০ জন করে ইমাম নিয়োগ দিতে চায়। কিন্তু জর্দানেও বহু ইমাম রয়েছেন। তাই ইমামরা দলবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ করে, সরকারকে বার্তা পাঠান যে, তারা শুক্রবার মসজিদে যাবেন না, খুতবা দেবেন না। তারাও এসে জনগণের বিক্ষোভে সমবেত হয়েছেন।

যা হোক, নগদ সহায়তা ছাড়া এ মুহূর্তে জর্দানের অর্থনীতিকে বাঁচানো সম্ভব নয়। সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, সৌদি আরব-আমিরাত ও কুয়েত নতুনভাবে ২.৫ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দিচ্ছে। এর আগে ইইউ প্রধান ফেদেরিকো মগরিনি ২৩.৫ মিলিয়ন সাহায্য দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কাতার ৫০০ মিলিয়ন সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছে। এই প্যাকেজের আওতায় কাতার জর্দানিদের ১০ হাজার চাকরি দেবে এবং জর্দানে পর্যটন ও অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। অথচ জর্দান কাতারভিত্তিক আলজাজিরার অফিস বন্ধ করে দিয়েছে অনেক দিন আগেই।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব, বাংলাদেশ সরকার ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement