২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কাশ্মির নিয়ে মোদির ‘ফাইনাল সলিউশনে’ কী আছে

কাশ্মির নিয়ে মোদির ‘ফাইনাল সলিউশন’! - ছবি : সংগ্রহ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে কাশ্মির সমস্যার ‘ফাইনাল সলিউশন’ ঘোষণা করবেন। ‘ইউরেশিয়ান টাইমস’ গত ১২ সেপ্টেম্বর 'PM Modi will divide Kashmir in three parts before 2019 elections' শিরোনামে এই মর্মে একটি খবর প্রকাশ করে। এই সংবাদের লেখক একটি প্রশ্ন রাখেন : দিল্লি কি জম্মু ও কাশ্মিরকে ভাগ করতে যাচ্ছে তিন ভাগে : হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু, বৌদ্ধ ও শিয়া মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ লাদাখ এবং সুন্নি মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মির উপত্যকা? জম্মু ও কাশ্মিরের স্থানীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবর মতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে জম্মু ও কাশ্মিরের মানচিত্র পরিবর্তনে খুবই আগ্রহী। সূত্র উল্লেখ করে জম্মু ও কাশ্মিরভিত্তিক পত্রিকাটি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি তার প্রথম মেয়াদেই কাশ্মির সমস্যার সমাধান করতে চান। হতে পারে আগামী দু-এক মাসের মধ্যে তিনি কাশ্মিরকে তিন ভাগে ভাগ করে ফেলবেন। প্রত্রিকাটি বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, দিল্লি পরিকল্পনা করছে জম্মু ও কাশ্মিরকে তিন ভাগে ভাগ করার কথা। সব কিছু ঠিক থাকলে কাশ্মিরের মানচিত্রে পরিবর্তন আসবে এবং জম্মু, কাশ্মির ও লাদাখ বিবেচিত হবে ইউনিয়ন টেরিটরি হিসেবে।

রিপোর্টে দাবি করা হয়, এই বিভাজন অনেক বাধার সমাধান করবে। বিজেপি জানে, এ দলটি নিজে জম্মু ও কাশ্মিরে কোনো দিন সরকার গঠন করতে পারবে না। বিজেপি যদি সেখানে সরকার গঠন করতে চায়, তবে দলটিকে ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) কিংবা পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) ওপর নির্ভর করতে হবে। এ পরিস্থিতিতে এনসি বা পিডিপির সাথে ক্ষমতার ভাগাভাগি করে দিল্লি সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন ভারতীয় কর্তকর্তা দাবি করেন, তাই মোদি সরকার নির্বাচনের আগে কাশ্মিরকে ভাগ করে ফেলবে। উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মিরকে স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা দেয়া হয়েছে।

‘ফাইনাল সলিউশন’ কাজটি চুপিসারে করে ফেলা হবে। কারণ, একটি অশুভচক্রের কথা মনে করিয়ে দেয় ‘Final Solution of the Jewish Problem’ বিষয়টির মাধ্যমে, যার উল্লেখ রয়েছে হিটলারের জীবনী গ্রন্থ ‘মেইন ক্যাম্ফ’-এ। ওই ‘ফাইনাল সলিউশন’-এর ফল দাঁড়িয়েছিল ৬০ লাখ ইহুদির মৃত্যু এবং সৃষ্টি করেছিল সবচেয়ে কুখ্যাত বন্দিশিবির অচউইট্টজ। সম্ভবত হিন্দুত্ববাদের কিছু গোঁড়া অনুসারী কাশ্মির নিয়ে সে ধরনের ভাবনাই ভাবছে। অবাক হওয়ার ব্যাপার, কাশ্মিরে কাশ্মিরিদের সংখ্যালঘুতে পরিণত করার কথাই এরা ভাবছে! তা সত্ত্বেও এই বিভাজন সে ফল বয়ে আনবে না বলেই মনে হয়। বিপরীতক্রমে এটি কাশ্মিরিদের একটি ইউনিটে পরিণত করবে, যার শতভাগই হবে মুসলমান। জম্মু আগে কাশ্মিরের সাথে থাকায় যে গুরুত্ব পেত, তা হারিয়ে ফেলবে। জম্মু হিসেবে জম্মু ততটা বিদেশে পরিচিত নয়, এমনকি ভারতেও নয়। লাদাখের আলাদা তেমন কোনো স্বাধীন পরিচয়ই নেই। এর স্বাধীন স্বীকৃতি আছে ‘লিটল তিব্বত’ নামে। জম্মুর বিখ্যাত রাজনীতিবিদ বলরাজ পুরি মারা গেছেন আঞ্চলিক স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে। তার একটি গ্রহণযোগ্য পূর্বাবস্থান ছিল, কিন্তু কেউ তার কথায় আমল দেয়নি। কারো কারো মতে, এটি এই অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করত রাজ্যের সার্বিক বৈশিষ্ট্যের কোনো পরিবর্তন না করেই।

জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যকে তিনটি ইউনিয়ন টেরিটরিতে ভাগ করা ইউএন রেজুলেশন অনুসারে আগেকার জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের ফাইনাল ডিজপোজাল সম্পর্কিত মর্যাদায় পরিবর্তন আনবে। এ বিষয়টি এখনো জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের অ্যাজেন্ডার মধ্যে রয়েছে এবং জাতিসঙ্ঘের পর্যবেক্ষকেরা অব্যাহতভাবে সেখানে থাকবে। জনগণের মতামত না নিয়ে এককভাবে এই রাজ্যকে তিন ভাগ করা হবে জাতিসঙ্ঘের ম্যান্ডেট লঙ্ঘনের শামিল। স্বাভাবিকভাবেই এ জন্য প্রয়োজন হবে আর দেরি না করেই জাতিসঙ্ঘের হস্তক্ষেপ কামনা। আসলে অন্য দিকে উত্তরাঞ্চল হিসেবে পরিচিত এলাকার জনগোষ্ঠী এখন দাবি তুলেছে গিলগিট-বাল্টিস্থান নামে পাকিস্তানের পঞ্চম প্রদেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে। কিন্তু এ কাজটি পাকিস্তান সরকার করতে পারছে না। কারণ, এ বিষয়ে জাতিসঙ্ঘের রেজুলেশন রয়েছে। জানা গেছে, ভারতের উদ্যোগ পাকিস্তানের বিষয়টিকেও দুর্বল করে তুলবে। পাকিস্তান তাই সেখানে তাদের এক ধরনের স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিল, যেমনটি দেয়া হয়েছিল লাদাখের পার্বত্য জেলা উন্নয়ন কাউন্সিলকে।

সম্প্রতি একটি বিতর্কিত ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরাষ্ট্রমন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে নিউ ইয়র্কে। কিন্তু এরপর তা অপ্রত্যাশিতভাবে ভারতের পক্ষ থেকে আকস্মিক বাতিল করা কোনো ভালো লক্ষণ নয়। তা ছাড়া, দুই দেশের সেনাপ্রধান দেন এক ধরনের যুধ্যমানতুল্য বিবৃতি। আর তা সোজাসুজি বাধা হয়ে দাঁড়ায় ‘ফাইনাল সলিউশনের’ পথে। প্রধানমন্ত্রীর যে সমাধানের কথা শোনা গিয়েছিল, যদি সেই সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হতো, তবে তা শুধু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার লাগাম ছাড়া দ্বন্দ্বের অবসানই ঘটাত না, সেই সাথে পুরো উপমহাদেশের নতুন নানা অংশে বিভাজনেরও সূচনা হতো।

সাত দশক ধরে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মির সমস্যার সমাধান প্রশ্নে নিয়মিত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শুধু কথার যুদ্ধ চলেছে। আর এই কথার যুদ্ধের সূচনা আসলে হয়েছিল ১৯৪৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর। তখন নয়াদিল্লি জাতিসঙ্ঘে তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিষদে একটি তারবার্তা পাঠায়। তার বার্তায় জাতিসঙ্ঘ সনদের ৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অভিযোগ সরবরাহ করা হয় ১৯৪৮ সালের ১ জানুয়ারি। এই দিনে আন্তর্জাতিক সমাজ কাশ্মির সমস্যার বিষয়টিতে জড়িত হয়, যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানের জন্মের ৭৩ দিন পর। এ দুই দেশের মধ্য দিয়ে সুদীর্ঘ ঝড়োবক্তব্য চলে ১৩ দিন ধরে। এর মাধ্যমে দেশ দু’টি নিরাপত্তা পরিষদে ফ্লোরে জন্ম দেয় এ ধরনের এক ইতিহাসের।

এই সুদীর্ঘ বিতর্ক জন্ম দেয় একটি রেজুলেশন বা প্রস্তাবের। এই প্রস্তাবে জম্মু ও কাশ্মিরের মানুষকে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারের স্বীকৃতি দেয়া হয়। এটি নতুন নয় যে, জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ বলেছিল, ভারত এর অভিযোগে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিল : “that the people of Jammu and Kashmir would be free to decide their future by recognized democratic method of a plebiscite or referendum which, in order to ensure complete impartially, might be held under international auspices.” নয়াদিল্লি এ কথা বলেছিল জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে। এরূপ উল্লেখ করার পরও ভারত কাশ্মিরে এর সেনাবাহিনী পাঠিয়ে তা দখল করে নেয়।

জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে অনেক প্রস্তাব পাসের পর ১৯৪৯ সালের ৫ জানুয়ারির দুই পক্ষের উত্তপ্ত বক্তব্যের পর পাস হওয়া প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদ কাশ্মিরে গণভোট আয়োজনের একটি বিস্তারিত কৌশল তুলে ধরে। ভারত ও পাকিস্তান তা মেনে নেয় এবং তা হয়ে ওঠে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। কিন্তু সেই গণভোটের দেখা মেলেনি আজ পর্যন্ত। কেন হয়নি এই গণভোট? এ প্রশ্নের জবাব অনেক, যা একটি কলামের মাধ্যমে তুলে ধরা অসম্ভব। কাশ্মির সমস্যার সমাধান না হওয়ার ফলে ঘটে তিনটি যুদ্ধ। ঘটে আরো অনেক সামরিক সঙ্ঘাত। তবে এই সাত দশক দেশ দু’টি এই আন্তর্জাতিক ফোরামকে ব্যবহার করে আসছে তাদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ফ্লোর হিসেবে। অধিকন্তু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী সমস্যাটির সমাধান না করে আগ্রহভরে তা নিয়ে গেছেন জাতিসঙ্ঘে, আর সেই সাথে অবলম্বন করেছেন দীর্ঘসূূত্রতার নীতি। এরপর থেকে ভারতের পরবর্তী সবগুলো সরকারের কাশ্মির প্রশ্নে অব্যাহত রেখেছে এই বিলম্বন নীতি।

২০১৮ সালের ২৯ আগস্ট জাতিসঙ্ঘের ‘Maintenance of International Peace and Security’ অ্যাজেন্ডার আওতায় একটি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় উপমহাদেশের দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে। কিন্তু সেখানেও থেমে থাকেনি দুই দেশের মধ্যকার কথার যুদ্ধ। অথচ দুই দেশের মধ্যকার শত্রুতা কমানোর ব্যাপারে কিছু ইতিবাচক সিদ্ধান্ত এখানে হতে পারত। জাতিসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত আকবর উদ্দিন এই বিতর্কে অংশ নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধ মেটানোর কথা বলার পরিবর্তে শুধু অভিযোগের কথাই বলেছেন। তার কথা হচ্ছে, অনেকের অনেক পরামর্শ রয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় না নিয়ে শুধু জাতিসঙ্ঘের মধ্যস্থতার কথাই বলা হচ্ছে।

আসলে তার এই বক্তব্য এসেছে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি মালিহা লোদির বক্তব্যের জবাবে। তিনি জাতিসঙ্ঘের মাধ্যমে কলম্বিয়ার সফল মধ্যস্থতা এবং গ্রিস ও সাবেক যুগোশ্লাভ রিপাবলিক অব মেসিডোনিয়ার মধ্যকার সফল মধ্যস্থতার উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সমাজ সেখানেই ব্যর্থ হয়, যখন নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন মুলতবি করে রাখা হয়। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে কাশ্মির সমস্যাটির সমাধান না হয়ে থেকে গেছে নিরাপত্তা পরিষদের অ্যাজেন্ডায়। তিনি জরুরি ভিত্তিতে কাশ্মির ইস্যুটির মধ্যস্থতা করার দাবি তোলেন। মালিহা লোদি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ বিষয়টি মতামতের জন্য ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) রেফার করতে পারে কোনো আইনি সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য না হলেও। নিরাপত্তা পরিষদ জাতিসঙ্ঘ সনদের সপ্তম অধ্যায় অনুযায়ী, এর বাধ্যতামূলক কর্তৃত্ব প্রয়োগ করতে পারে বিষয়টি আইসিজের কাছে পাঠানোর ব্যাপারে। তখন আইসিজের সিদ্ধান্ত সব পক্ষের জন্য মানা বাধ্যতামূলক হবে, সে সিদ্ধান্ত কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে গেলেও। রাষ্ট্রদূত আকবরউদ্দিন পাকিস্তানি দূতের বক্তব্যের নিন্দা জানান। তিনি এটিকে একটি ব্যর্থ উদ্যোগ বলে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, বহু আগেই তা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

ঐতিহাসিকভাবে আমরা দেখেছি, দুই দেশের মধ্যকার প্রতিটি সংলাপ শেষ হয়েছে অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে। আর তখনই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চলেছে সামরিক সঙ্ঘাত। কিছু দেশের মধ্যস্থতায় কখনো কখনো চলছে দুই দেশের মধ্যে অস্ত্রবিরতি। অবশ্য এর ফলে কখনো কখনো বাঁচা গেছে যুদ্ধ থেকে। কিন্তু কাশ্মির সমস্যার সমাধান হয়নি সাত দশকে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এ সমস্যা শতাব্দী ছুঁবে। আর নয়, অনেক হয়েছে। এবার এ সমস্যার ইতি টানার চূড়ান্ত সময়। জাতিসঙ্ঘকে তার রেজুলেশন অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মিরে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব বাস্তবায়নের সাহসী উদ্যোগ নিতে হবে, যার মাধ্যম সেখানকার মানুষ তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার বাস্তবায়নের সুযোগ পাবে। জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস যথার্থই বলেছেন- ভারত-পাকিস্তান বিরোধ এখন পারমাণবিক যুদ্ধের ফ্লাশ পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। এই বিরোধ মেটানোর মধ্যস্থতার ব্যাপারে জাতিসঙ্ঘকে ‘বোল্ড অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ’ হতে হবে। বিশ্বের প্রতিটি শান্তিকামী মানুষ মনে করে কাশ্মির সমস্যা সমাধানে জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাব বাস্তবায়নে জাতিসঙ্ঘকে সাহসী ও সৃজনশীল হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। বিকল্প থাকলে এই সমস্যা সাত দশক গড়াত না। বিবেকবান মানুষ মনে করে, নরেন্দ্র মোদির তথাকথিত ‘ফাইনাল সলিউশন’ কাশ্মির সমস্যাকে আরো জটিল করে তুলবে। কাশ্মির নিয়ে ভারতের পাপের বোঝা আরো বাড়বে।


আরো সংবাদ



premium cement