২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সৌদি আরবে কি নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটছে?

সৌদি আরবে কি নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটছে? - ছবি : সংগ্রহ

মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নেতা, সৌদি আরবের ক্ষমতাধর রাজপুত্র মোহাম্মদ বিন সালমানের আলোচিত অধ্যায়ের কি পরিসমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে? খ্যাতনামা সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির ‘হত্যাকাণ্ড’কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এ বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। তুরস্কের রাষ্ট্্রীয় এজেন্সি নিশ্চিত করেই বলেছে, খাশোগি ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পর ২ ঘণ্টার মধ্যেই তাকে হত্যা করা হয়। পরে তার লাশ ৭ মিনিট ধরে টুকরো টুকরো করে কূটনৈতিক ব্যাগেজে সৌদি আরব নিয়ে যাওয়া হয়। সৌদি আরব শুরুতে এ বিষয়টিকে তুরস্কের ‘নির্জলা মিথ্যাচার’ বলে দাবি করলেও এখন বলা হচ্ছে, রিয়াদ হয়তো হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে নিতে পারে।

জামাল খাশোগির ঘটনায় বিন সালমানের দায় এড়ানো বেশ কঠিন। অন্তত তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, খাশোগির সম্ভাব্য হত্যার পুরো ঘটনাটিই তার বেঁধে দেয়া ছক অনুসারে সাজানো ছিল। আর এই ছক বাস্তবায়নে ১৫ জনের যে দলটি সৌদি আরব থেকে ইস্তাম্বুলে উড়াল দেয়, তার অন্তত দু’জন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। দেশে-বিদেশে একাধিকবার তাদের দেখা গেছে যুবরাজের পাশে। শুধু তা-ই নয়, ১৫ জনের ১১ জনই সৌদি নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য। তিনজন বিন সালমানের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত। একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ।

তুর্কি কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের কাছে খাশোগি হত্যার ‘অডিও-ভিডিও প্রমাণ’ও রয়েছে। খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর থেকে তুরস্ক বলছে, ওয়াশিংটন পোস্টের এ কলাম লেখক কনস্যুলেটের ভেতরে খুন হয়েছেন। আর এই খুনের সাথে সৌদি আরব থেকে দু’টি পৃথক ব্যক্তিগত বিমানে আসা ১৫ জনের একটি দল জড়িত। সিএনএনকে তুর্কি কর্তৃপক্ষ এই ১৫ জনের পাসপোর্টের স্ক্যান কপি পাঠায়। এ দলটি ২ অক্টোবর খাশোগির নিখোঁজ হওয়ার দিন কনস্যুলেটে প্রবেশ করে এবং ওই দিনই ফিরে যায়।

জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে এমন কিছু তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটছে, যাতে মনে হচ্ছে সৌদি শাসনব্যবস্থায় বড় কোনো পরিবর্তন ঘটতে পারে। বিশেষত দেশটির ১৬ মাস ধরে দাপটের সাথে সব কিছু নিয়ন্ত্রণকারী এবং পাশ্চাত্যে ‘এমবিএস’ হিসেবে খ্যাত ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের পতন ঘটতে পারে। এর অর্থ অবশ্য এ নয় যে, সৌদি আরবে সৌদ পরিবারের শাসন শেষ হয়ে যাচ্ছে অথবা বাদশাহ সালমান ক্ষমতা হারাচ্ছেন।

আবদুল আজিজ বিন সউদ প্রতিষ্ঠিত রাজতন্ত্রের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে এত দিন চলে আসছিল সৌদি আরব। দেশটিতে নতুন ক্রাউন প্রিন্স বা বাদশাহ হওয়ার জন্য চারটি বিষয় ভিত্তি হিসেবে কাজ করত। এর মধ্যে ছিল সৌদি রাজপরিবারের সমর্থন, সৌদি প্রভাবশালী ওয়াহাবি-সালাফি ধারার ধর্মীয় নেতৃত্বের সমর্থন, সৌদি আরবের সাধারণ জনগণের সমর্থন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন। কিন্তু মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার জন্য চার ভিত্তির মধ্যে কেবল মার্কিন প্রশাসনের সমর্থনই তিনি পেয়েছিলেন।

জামাল আদনান খাশোগির নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মনে হচ্ছে, বিন সালমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতিপ্রণেতাদের সমর্থনও হারিয়েছেন। ৩৩ বছর বয়সী এই উচ্চাভিলাষী তরুণ রাজপরিবারের ক্ষমতাধরদের প্রশাসন থেকে বিদায়, বন্দী এবং তাদের অনেকের অর্থসম্পদ জব্দ করার মাধ্যমে সৌদি পরিবারে একজন চরম অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন আগেই। আধুনিকতা ও সংস্কারের নামে ‘ওয়াহাবিবাদী’ ধারার যে ধর্মীয় রীতিনীতি বিশ্বাস ও কৃষ্টি শতাব্দীকাল ধরে সৌদি আরবে চর্চা হয়ে আসছিল, তাতে আঘাত দিয়ে ধর্মীয় নেতৃত্বের আস্থা হারিয়েছেন তিনি। ইয়েমেনের যুদ্ধ, কাতারের বিরুদ্ধে অভিযান, ইসরাইলকে সমর্থন, মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে অবস্থানÑ সব মিলিয়ে সৌদি আরবের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অপছন্দের ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন বিন সালমান। যুক্তরাষ্ট্র বা পাশ্চাত্যের সমর্থনটি এত দিন অবশিষ্ট ছিল। জামাল খাশোগির ঘটনার পর মনে হচ্ছে, তিনি সে সমর্থনও হারিয়েছেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের বড় বড় বিনিয়োগকারী সৌদি আরবের বিনিয়োগ সম্মেলন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এটিও একটি বড় ধরনের ওয়ার্নিং সিগন্যাল।

জামাল খাশোগির মতো একজন বহুলপরিচিত সৌদি সাংবাদিকের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সব কিছু পাল্টে যাচ্ছে বলে মনে হলেও বিন সালমানের ক্ষমতার শিকড় বেশ আগে থেকে ছিন্ন হওয়া শুরু করেছে। খাশোগির ঘটনার আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক অনুষ্ঠানে আমেরিকার সমর্থন ছাড়া দুই সপ্তাহও সৌদি শাসকেরা টিকতে পারবে না বলে উল্লেখ করেন। বিন সালমান এর জবাবে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই সৌদি আরব ছিল। তিনি আরো বলেছেন, সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নগদ টাকা দিয়ে অস্ত্র কেনে। এর বাইরে বাড়তি কোনো অর্থ তারা যুক্তরাষ্ট্রকে দেবে না। এর পরপরই জামাল খাশোগির ঘটনাটি ঘটেছে।

যতদূর জানা যায়, খাশোগির আশঙ্কা ছিল, সৌদি কনস্যুলেটে তার ওপর বিপদ হতে পারে। এ জন্য তার তুর্কি বাগদত্তা যার হাতে নিজের মোবাইল রেখে গিয়েছিলেন, তাকে বলে রেখেছিলেন, তিনি না ফিরলে বিষয়টি যেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের উপদেষ্টা ইব্রাহিম কালিনকে অবহিত করেন। খাশোগির বাগদত্তা সেটি করেছেন। মিডলইস্ট আইয়ের তথ্য অনুযায়ী, খাশোগির সাথে একটি অ্যাপল অ্যাপস ছিল, যার সাথে বাইরে তার মোবাইলের গোপন সংযোগ ছিল। সেই মোবাইল ডিকোড করে তার সাথে যে আচরণ করা হয়েছে, তার রেকর্ড উদ্ধার করা হয়।

মার্কিন এস্টাবলিশমেন্ট সম্ভবত মনে করেছে, বিন সালমান যেভাবে নিজ দেশ, রাজপরিবার, জনগণ এবং আঞ্চলিক অংশীদারদের মধ্যে অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন; তাতে এই ব্যক্তিকে সৌদি বাদশাহ করে খুব বেশি দূর এগোনো যাবে না। ফলে তার প্রতি যে সমর্থন মার্কিন এস্টাবলিশমেন্টের ছিল, সেটি সম্ভবত এখন আর নেই। জামাল খাশোগির ঘটনার ব্যাপারে শুধু ট্রাম্প ব্যাখ্যা দাবি করেননি। ব্যাখ্যা দাবি করেছেন ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানির নেতারাও। পুরো পাশ্চাত্যই সম্ভবত এমবিএসকে পরিত্যাগ করতে চাইছে। ট্রাম্পের সর্বশেষ বক্তব্যটিও এ ক্ষেত্রে হতে পারে তাৎপর্যপূর্ণ। হত্যার রেকর্ডকৃত কথোপকথনের প্রমাণ চাওয়া হয়েছে জানিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত নই এমন কিছু রয়েছে। হয়তো আছে, সম্ভবত আছে।’ ট্রাম্প জানান, সৌদি আরব ও তুরস্ক সফরে থাকা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর কাছ থেকে তিনি বিস্তারিত জানার আশা করছেন। সপ্তাহের শেষ দিকেই সত্য বেরিয়ে আসবে। তবে সৌদি আরবকে রক্ষার চেষ্টার কথা অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, না, কোনোভাবেই না। শুধু জানতে চাই সত্যিকার অর্থে কী ঘটেছে।

এ ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা চিন্তা করার মতো। প্রথমত, দুই সপ্তাহ আগে মোহাম্মদ বিন সালমান দুই দিনের কুয়েত সফরে যাওয়ার কথা ছিল। তিনি সেখানে একদিন পরে যান আর যাওয়ার পরপরই আমিরের সাথে এক বৈঠক শেষে ফিরে আসেন। এ বৈঠকটি বেশ বাগি¦তণ্ডার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। সৌদি আরব ও কুয়েতের সীমান্ত এলাকায় একটি অভিন্ন তেলক্ষেত্র রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, এ তেল ক্ষেত্র থেকে সৌদি আরব তেল উত্তোলন করে অর্ধেক রাজস্ব কুয়েতকে দেয়। জ্বালানি তেলের উৎপাদন কমানোর কারণে এ তেল ক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ ছিল। বিন সালমান এটি থেকে উৎপাদন নতুন করে শুরু করার প্রস্তাব দেন। কুয়েতের আমির তাতে সম্মতি দিলেও শর্ত আরোপ করেন যে, এ তেল ক্ষেত্রের জ্বালানি বাবদ ৯ হাজার মিলিয়ন ডলারের বকেয়া পাওনা কুয়েতের রয়েছে এবং সেটি পরিশোধ করতে হবে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিন সালমান কুয়েত ত্যাগ করেন। এরপর কুয়েত নিজের নিরাপত্তার জন্য তুর্কি সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে আঙ্কারার সাথে আলোচনা শুরু করেছে বলে একটি সূত্র উল্লেখ করেছে। এ ঘটনায় উপসাগরীয় অঞ্চলে ব্যাপক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

দ্বিতীয় ঘটনাটি হলো, রাশিয়ার একটি সামরিক প্রতিনিধিদলের সাথে বিন সালমানের সাক্ষাৎকার। আনুষ্ঠানিকভাবে এ সাক্ষাৎকারে সিরিয়ার শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এর মূল রহস্যটা পাওয়া যায় সৌদি সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা আল আরাবিয়ার মহাব্যবস্থাপক তুর্কি আদ দাখিলের এক নিবন্ধে। কয়েক দিন আগে প্রকাশিত এই নিবন্ধে তিনি বলেছেন, খাশোগিকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন যদি রিয়াদের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তাহলে তারা নিজেদের অর্থনৈতিক ছুরিকাঘাত করেই মূলত হত্যা করবে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে তেলের দাম বাড়ানো হবে। মার্কিন ডলারের পরিবর্তে চীনা মুদ্রায় তেল বিক্রি করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামরিক চুক্তি বাতিল করে দেশের নিরাপত্তার জন্য ডাকা হবে রাশিয়ার সেনা। এ লেখার পাশাপাশি সৌদি কর্মকর্তারাও বলছেন, খাশোগিকে কেন্দ্র্র করে রিয়াদের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে সৌদি আরব পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। কৌশলগতভাবে আমেরিকার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে চীন-রাশিয়া-ইরানের সাথে মৈত্রী করবে। রাশিয়াকে সৌদি আরবে সামরিক ঘাঁটি করতে দেবে রিয়াদ।

সৌদি কর্মকর্তাদের বক্তব্য ও লেখালেখিতে স্পষ্ট, মার্কিন প্রশাসনের সাথে তাদের মতানৈক্যের গভীরতা অনেক বেশি। এর মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেওর সাথে বাদশাহ সালমানের বৈঠক হয়েছে। এর পরও ওয়াশিংটনের বক্তব্যে বড় কোনো পরিবর্তন ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে না। বিন সালমান সম্ভবত মার্কিন প্রশাসনের আনুকূল্য হারিয়েছেন। প্রশ্ন হলো, তিনি সৌদি প্রশাসনে কি এতটা কর্তৃত্বের অধিকারী হয়েছেন যে, মার্কিন অক্ষ থেকে তিনি দেশটিকে রাশিয়ার বলয়ে নিয়ে যেতে পারবেন? এর জবাব নেতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বিন সালমান নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব ৪০ বছর বয়সী সৌদিদের বসিয়েছেন। সিনিয়র ও অভিজ্ঞরা প্রশাসন থেকে বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু সৌদি সামরিক ও বিশেষ বাহিনীতে এখনো আমেরিকার প্রভাব রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে এক সময়ের ক্ষমতাধর সৌদি রাজপুত্রদের প্রভাবও কম নয়। ফলে বিন সালমান চাইলেই সৌদি আরবের বলয়ে পরিবর্তন আনতে পারবেন বলে মনে হয় না।

এমন একটি ধারণা করা হয় যে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সফরে এই বার্তা থাকতে পারে যে, মার্কিন প্রশাসন বিন সালমানকে বাদ দিয়ে রাজপরিবারের নতুন কোনো উত্তরাধিকার চায়। বাদশাহ সালমানকে মেনে নেয়ার ক্ষেত্রে এখনো রাজপরিবার, ধর্মীয় নেতৃত্ব কিংবা আমেরিকার প্রশাসনে দ্বিমত নেই। দ্বিমত মুহাম্মদ বিন সালমানকে নিয়ে। এ বিষয়টি কাতারের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রকাশ হয়েছে। তিনি বলেছেন, এই অঞ্চলের স্থিতির জন্য সৌদ পরিবারের ক্ষমতায় থাকার প্রয়োজন রয়েছে। ভুলনীতির জন্য দায়ী ব্যক্তিরা ক্ষমতায় না থাকলে আর কোনো সমস্যা থাকে না।

মোহাম্মদ বিন সালমান সম্ভবত ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছেন। এখন তিনি বলয় পরিবর্তন করে ক্ষমতায় থাকতে পারার অবস্থাও হয়তো নেই। কিন্তু সৌদি প্রশাসনে তাকে পাল্টে নতুন ক্রাউন প্রিন্স নিয়োগ দানের বিষয়টি খুব সহজও নয়। সালমান সে জন্য অন্য এক পুত্রকে বেছে নিতে পারেন। কিন্তু রাজপরিবারের অন্য সদস্যরা সেটি কতটা গ্রহণ করেন তা দেখার বিষয়। আর বিন সালমানের পক্ষ থেকে সৌদি আরবের বলয় পরিবর্তনের যে হুমকি দেয়া হচ্ছে, তা কার্যকর হলে বিশ্বরাজনীতিতে অন্য রকম এক স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হতে পারে। তখন বিশ্ব এক নতুন সঙ্কটেও পড়ে যেতে পারে। তেল সরবরাহের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও তার পাশ্চাত্য মিত্ররা নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে এবং রাশিয়া ও সৌদি আরব মিলে তেলের মূল্য নির্ধারণে মূল ভূমিকা পালন করতে পারে।

এ রকম একটি পরিবর্তন সহজসাধ্য বিষয় নয়। এর চেয়ে বরং মোহাম্মদ বিন সালমানের অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে হচ্ছে। এক তিউনিসীয় যুবকের আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যে পরিবর্তন আসে সেরকম একটি বড় পরিবর্তনের সূচনা জামাল খাশোগির নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দিয়ে হতে পারে। আর এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ঘটনা হতে পারে ‘এমবিএস’ নক্ষত্রের অকাল পতন।
mrkmmb@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
বৃষ্টির জন্য দেশবাসীর প্রতি ইস্তিস্কার নামাজ আদায়ের আহ্বান আমিরে জামায়াতের সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে চুক্তি স্বাক্ষর করল তুর্কি, ইরাক, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ঢাকায় ‘হিট স্ট্রোকে এক ব্যক্তির মৃত্যু শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট ‘আমার শিশু মেয়েটির যে সর্বনাশ সে করেছে’ বান্দরবানের ৩ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজে মুসুল্লিদের ঢল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা মনে হয় পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়েছে সরকার : রিজভী চীনের দক্ষিণাঞ্চলীলের গুয়াংডংয়ে সর্বোচ্চ স্তরের বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান গ্রেফতার মুসলিম শ্রমিক হত্যায় হিন্দু নেতারা চুপ কেন : প্রশ্ন হেফাজত নেতা আজিজুল হকের

সকল