১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

বাইরে থেকে নয়

-

প্রতিটি জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার ও উন্নয়ন অপরিহার্য। কিন্তু আমাদের প্রজাতন্ত্রে মনে হয় তা সবার জন্য নয়। কখনো কখনো ধারণা জন্মে, তা ব্যক্তি বিশেষের জন্য বা বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য বা বিশেষ রাজনৈতিক দলের জন্য একচেটিয়া। অথচ একটি সফল রাষ্ট্রের কর্ণধারদের লক্ষ্য হলো, এসবের বাস্তবায়ন। যারা সরকারের নেতৃত্ব দেবেন, তাদের এ বিষয়গুলো ধ্যানজ্ঞানে থাকা উচিত। কেননা গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার ও উন্নয়ন রাষ্ট্রের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। তাই অধিকারগুলো ভোগ করা নিয়ে জনগণ কতটা তৃপ্ত তার ওপর নির্ভর করে একটি সরকারের প্রকৃত সাফল্য। দেশের স্বাধীনতার প্রায় অর্ধশতাব্দী পার হতে চলল। কিন্তু এসব অধিকার ভোগের বিষয়টি মরীচিকা হয়ে আছে আজো।

এ নিয়ে উত্তপ্ত আলোচনা এবং অনেক সংগ্রাম আন্দোলন হয়েছে; কিন্তু পরিস্থিতির কোনো হেরফের হয়নি। এ নিয়ে বেসুমার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যারাই যখন জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আসীন হয়েছেন, তারপরই তারা সব ভুলে গেছেন। ফলে এখনো গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার ও উন্নয়নের যথার্থ কোনো ছোঁয়া এ দেশের জনজীবনে পড়েনি। তাই উৎকণ্ঠিত সুশীলসমাজ বারবার এসব বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এসব নিয়ে রাজনীতিকরা যখন কথা বলেন, তখন দৃশ্যত মনে হয় এ ব্যাপারে তাদের পেরেশানির কোনো শেষ নেই।

যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, জীবনের মর্যাদা ও উন্নয়নের জন্য, সে অঙ্গীকার আজো পূরণ হয়নি। এই জনপদের মানুষের অপরিসীম আত্মত্যাগের ফলে স্বাধীনতা এসেছিল। তৎকালীন নেতারা স্বাধীনতার-উত্তরকালে দেশকে সুখী মানুষের একটি ভূখণ্ড হিসেবে গড়ে তোলার ওয়াদা দিয়েছিলেন বারবার। তারা তার সূচনা সঠিকভাবে করলেও অচিরেই তাদের সক্ষমতার অভাব প্রকটভাবে দেখা দেয়। মানুষের জীবনে তাতে নেমে এসেছিল অবর্ণনীয় দুঃখকষ্ট। তাই এখন মানুষ ভগ্ন হৃদয় নিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ স্বাচ্ছন্দ্যের স্বপ্ন দেখার আর ভরসা পায় না। এমন হতাশায় নিমজ্জিত মানুষকে জাগিয়ে তুলে এগিয়ে নেয়ার জন্য যে নেতৃত্ব ও কর্মপন্থা প্রয়োজন, তা বাইরে থেকে আসবে না। আমাদের নেতাদের মধ্য থেকে আসতে হবে। তাদের পরিশ্রম ও সুষ্ঠু পরিকল্পনা নেয়ার মাধ্যমে জনমনে আশাবাদ জাগিয়ে তুলতে হবে। এর ভিন্ন কোনো পথ নেই।

প্রতিটি দেশের সর্বোচ্চ আইন হচ্ছে সে দেশের সংবিধান। এটাকে যথাযথ সম্মান দেখাতে এবং মান্য করতে সবাই বাধ্য। যেকোনো নাগরিকের সংবিধানকে অসম্মান ও অমান্য করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন বিধায় রাষ্ট্রক্ষমতায় যে সরকারই থাকুক না কেন, তাদের এই আইন মান্য করা, এর অনুগত হয়ে চলা এবং সর্বক্ষেত্রে সংবিধান প্রতিষ্ঠা ও কার্যকর করা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। তারা তা যথাযথভাবে পালন করবেন মর্মে শপথ নিয়েই ক্ষমতায় আসেন। এই পবিত্র শপথ পালনের ক্ষেত্রে এখন আন্তরিকতার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে ষোলোআনা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এই সংবিধান রচনা করেছিল তৎকালীন গণপরিষদ। তারা পরম যতœ ও মমতা দিয়ে এবং দেশের সব মানুষের পরম অভিব্যক্তি হিসেবে এই সংবিধান রচনা করেছিলেন। সেই পরিষদ অধিকতর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হিসেবে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করেছিল। আর সেই শাসনতন্ত্রে বা সংবিধানে গণতন্ত্রকে সর্বাধিক গুরুত্ব মর্যাদা দেয়া হয়েছিল। গণতন্ত্র চর্চার পথ হিসেবে নির্বাচনব্যবস্থাকে প্রশ্নমুক্ত করতে সংবিধান নির্দেশ দিয়েছে।

বাংলাদেশের শাসনতন্ত্রের ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে লিখিত রয়েছে- ‘প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে এবং প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হইবে।’ গণতন্ত্র শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানেরও চালিকাশক্তি হবে। এই সংবিধানের ৫৯ নম্বর অনুচ্ছেদে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে- ‘আইন অনুযায়ী নির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর প্রজাতন্ত্রের প্রত্যেক প্রশাসনিক একাংশের স্থানীয় শাসনের ভার প্রদান করা হইবে।’ উল্লেখ্য, গণতন্ত্র বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতির অন্যতম।

বাংলাদেশ নামক এই প্রজাতন্ত্রে গণতন্ত্রের প্রতি এত অধিক গুরুত্ব দেয়া সত্ত্বেও আজো বাস্তবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য করতে হচ্ছে লড়াই। গণতন্ত্রের প্রধান উপাদান হচ্ছে ভিন্ন মতপ্রকাশের অধিকার সংরক্ষিত থাকা, বাকস্বাধীনতা অক্ষুণœ থাকা, নির্বাচনে স্বাধীনভাবে পছন্দমতো ব্যক্তিকে ভোট দেয়ার সুযোগ। কিন্তু আজ এসব আর নেই। গণতন্ত্রের প্রাণতুল্য নির্বাচনে এখন জনগণের ভোট দেয়ার সুযোগ থাকে না এবং এর প্রয়োজনও পড়ে না। বিনা ভোটেই জাতীয় সংসদ গঠিত হচ্ছে। প্রকৃত জনপ্রতিনিধি ছাড়াই তা চালানো হচ্ছে। ফলে সংসদ এখন গতিহীনভাবে খুঁড়িয়ে চলছে। সেখানে নেই জনগণের অভাব অভিযোগ নিয়ে কোনো আলোচনা, বিনা ভোটে ‘নির্বাচিত’ হয়েছেন এমপিরা।

তাদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে বটে; কিন্তু এজন্য সেই প্রশাসনকে কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। বাংলাদেশের প্রায় জন্মলগ্ন থেকেই গণতন্ত্রের এই করুণ দশা। যারা গণতন্ত্র কায়েমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুন্দর সূচনা করেছিলেন, তাদের হাতেই অকালে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটেছিল। গণতন্ত্রের সব বৈশিষ্ট্যকে জলাঞ্জলি দিয়ে বেছে নেয়া হয়েছিল একদলীয় ব্যবস্থা। আজ আবার তাদের উত্তরসূরিদের হাতেই গণতন্ত্র কাহিল অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। এই দুরবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য সরকারের বিপক্ষের প্রায় সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ। একটি রুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তির দিশা হিসেবে জনগণ দেখছে এই ঐক্যকে। গণতন্ত্র উদ্ধারের এই প্রয়াসকে নস্যাৎ করে দিতে সরকারও বসে নেই। এখন এই লড়াইয়ে কোন পক্ষ বিজয়ী হবে, সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে। তবে ইতিহাস বলে বৃহত্তর ঐক্যের কাছে কর্তৃত্ববাদী শক্তি টেকে না।

একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে সুশাসন থাকা অত্যাবশ্যক। এ জন্য আইনের শাসন কার্যকর থাকতে হবে। সেজন্য সংবিধানে সংযোজিত হয়েছে ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।’ দেশে মানুষের কল্যাণের বহু আইন রয়েছে কিন্তু সেসব কার্যকর করে মানুষকে স্বস্তিতে বসবাস করার সুযোগ দেয়ার উদ্যোগ নেই। এ কারণে পদে পদে জনভোগান্তিরও শেষ নেই। বিভিন্ন সরকারি ও আধা সরকারি সংস্থার অফিসে মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হয়। উৎকোচ ছাড়া কাজ হয় না। সুশাসনের অন্যতম বিষয় হচ্ছে জবাবদিহিমূলক প্রশাসন কোথাও কিন্তু সেই জবাবদিহিতা এখন বজায় নেই।

রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান অঙ্গ, আইন সভা প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিয়ে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই দায়িত্ব। আইন সভার বিরোধী দলের সদস্যরা মন্ত্রীদের কাজের ত্রুটি বিচ্যুতির তদারকি করার কথা। এসব বিষয় নিয়ে সংসদে আলোচনার বহু সুযোগ রয়েছে। কিন্তু যে সংসদ বহাল আছে, তার গঠন যথাযথভাবে না হওয়ায়, এই সংসদে কোনো বিরোধী দল কার্যত নেই। এই মারাত্মক ত্রুটি নিয়ে প্রায় পাঁচ বছর সংসদ যেভাবে চলছে তাকে ‘চলা’ বলা যায় না। এ কারণে বলা যেতে পারে যে, এই রাষ্ট্রে সুশাসন থেকে মানুষ বঞ্চিত। রাষ্ট্রের এতবড় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অকার্যকর রেখে দেশের পরিচালকরা কিভাবে তাদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন? দেশে খাদ্যশস্যের বেআইনি মজুদ, চোরাচালান, ভেজাল পণ্য বাজারজাত করে মানুষকে চরম ভোগান্তিতে ফেলছে একশ্রেণীর সমাজবিরোধী ব্যক্তি। এসব দমন করার জন্য বহু আইন দেশে বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু তা প্রয়োগ করে এদের দমন করার কোনো উদ্যোগ নেই।

বাংলাদেশের সংবিধানে প্রথমে নিবর্তনমূলক কোনো আইন সন্নিবেশিত ছিল না। সংবিধানপ্রণেতারা সম্ভবত এই ধারণা থেকে তা করেননি যে, এতে মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ক্ষুণœ হবে। সংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত যে অধ্যায়টি রয়েছে তাতে বলা হয়েছে মৌলিক অধিকারের সাথে অসামঞ্জস্য আইন বাতিল হবে। সংবিধানের ২৬(১) নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘এই ভাগের বিধানাবলীর সহিত অসামঞ্জস্য সকল প্রচলিত আইন যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, এই সংবিধান প্রবর্তন হইতে সে সকল আইনের ততখানি বাতিল হইয়া যাইবে।’ ২৬(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- ‘রাষ্ট্র এই ভাগের কোন বিধানের সহিত অসামঞ্জস্য কোন আইন প্রণয়ন করিবেন না এবং অনুরূপ কোন আইন প্রণীত হইলে তাহা এই ভাগের কোন বিধানের সহিত যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ ততখানি বাতিল হইয়া যাইবে।’

অনুচ্ছেদ দু’টি উদ্ধৃত করা হলো এ জন্য যে, রাষ্ট্র তার সর্বোচ্চ আইনে মৌলিক মানবাধিকারের বিষয়কে কতখানি গুরুত্ব দিয়েছে তা বোঝানোর জন্য। রাষ্ট্রে নাগরিকদের যে মৌলিক পাঁচটি চাহিদা- অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য; তা পূরণের দায়িত্বও সরকারের। কিন্তু বাস্তবে রাষ্ট্রের যারা কর্ণধার, তারা এ বিষয়গুলোর ওপর তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় না। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংক্রান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার শেষ নেই। এখন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে হাল, তাতে নাগরিক জীবনের নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে। গুম হত্যা রাজনৈতিক হানাহানি ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণহীন। অথচ সংবিধানে মানুষের ‘জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা’ সংরক্ষণ করা হয়েছে। সংবিধান দেশে জনগণকে রাজনৈতিক সংগঠন এবং সভা সমাবেশ করার অধিকার দিয়েছে। কিন্তু বিরোধী দলের স্বাভাবিক কার্যক্রম এবং সভা সমাবেশ করার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নাগরিকদের ওপর নির্যাতন করছে। আইনের আশ্রয় লাভ করা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে।

সরকারি মহল থেকে বলা হচ্ছে, দেশে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু দেশের পত্রপত্রিকা উন্নয়ন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এর সাথে দ্বিমত করছে। তারা বরং বলছেন উন্নয়ন নয়, দুর্নীতিতে বাংলাদেশ তলিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দুর্নীতি পর্যবেক্ষণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে চিহ্নিত করছে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে। আর বিভিন্ন সরকারি অর্থনৈতিক সংস্থায় রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় মারাত্মক সব অর্থনৈতিক অনিয়ম ঘটছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে জনগণের যে অর্থ গচ্ছিত রয়েছে, তা থেকে অনিয়ম করে ঋণ দেয়া হচ্ছে। তদুপরি এসব ঋণের হাজার হাজার কোটি টাকা খেলাপি হয়ে পড়েছে।

কিন্তু দায়ী ব্যক্তিদের এ জন্য কোনো শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে না। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে যে অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে, সেখানে সঠিক দেখভালের অভাবে ব্যয় বরাদ্দ বাড়িয়ে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। দেশে ধনবানদের সংখ্যা স্ফীত হচ্ছে বটে, পক্ষান্তরে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা কমছে না। লাখ লাখ মানুষ বস্তিতে দিন যাপন করে। ঢাকার রাজপথে ঘুমায় বিপুল সংখ্যক মানুষ। দেশে তেমন বিনিয়োগ হচ্ছে না। ফলে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না, তাই সৃষ্টি হচ্ছে না নতুন কর্মসংস্থান। ফলে বেকারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব মানুষের অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের সুযোগ নেই। এ অবস্থা বিদ্যমান থাকার পরও উন্নয়নের কথা বলা সঙ্গত নয়।

একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্রে যারা ক্ষমতা চর্চা করবেন, অর্থাৎ পাবলিক লিডারদের, কাছ থেকে ভালো কিছু পেতে হলে দলগুলোর নেতাকর্মী নির্বাচনে বিশেষ যাচাই বাছাই করে নিতে হবে। তাদের শিক্ষা, সততা, ন্যায়নিষ্ঠা এবং আত্মত্যাগের পরিমাপের কথা ভাবতে হবে। তাদের অতীত ও বর্তমান কৃতকর্ম পরখ করে দলে নেয়ার কথা ভাবতে হবে। অথচ আজ দেখা যায়, রাজনৈতিক অঙ্গনে যারা সদর্পে বিচরণ করেন তারা সমাজের শ্রদ্ধাভাজন, সম্মানিত ও ভালো মানুষ হিসেবে স্বীকৃত নন। দেশ ভালো কিছু পেতে হলে এই প্রচলিত ব্যবস্থার পরিবর্তন অপরিহার্য। এই গ্রহণ বর্জনের ক্ষেত্রে দলগুলোর সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আর সময় ব্যয় করা উচিত হবে না। আমাদের সাথে আরো যেসব দেশ স্বাধীনতা পেয়েছে, তারা যোগ্য নেতৃত্বের কারণে আমাদের ফেলে বহুদূর এগিয়ে গেছেন। অথচ আমরা তা পারিনি।


আরো সংবাদ



premium cement
ভাড়া বেশি নিলে সেই বাস বন্ধের হুঁশিয়ারি মালিক সমিতির যুক্তরাষ্ট্রে প্রীতি ম্যাচে খেলা হচ্ছে না মেসির ঢাকায় কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযানে মূলহোতাসহ ৩৫ জন গ্রেফতার মে মাসে মেলবোর্নে নিউক্যাসলের মুখোমুখি হবে টটেনহ্যাম নোয়াখালীতে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় গ্রেফতার ৩ মেসি না খেলায় হংকংয়ের সমর্থকরা টিকেটের অর্ধেক অর্থ ফেরত পাবে অবন্তিকার অভিযোগ কে কে অবহেলা করেছে, তদন্ত করা হবে : জবি ভিসি গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে সৌদি ও মিসর যাবেন ব্লিঙ্কেন গাজায় ‘শতভাগ’ মানুষ ‘তীব্র খাদ্য সঙ্কটে’ : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাভালনির মৃত্যু : ৩০ রুশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ইইউ’র জীবাশ্ম জ্বালানির তহবিল বন্ধ করল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়

সকল