২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

রাজনৈতিক বিপত্তির হাত ধরেই অর্থনৈতিক বিপর্যয়?

রাজনীতি
রাজনৈতিক বিপত্তির হাত ধরেই অর্থনৈতিক বিপর্যয়? - নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশের এক সময়ের আলোচিত জ্যোতিষী ‘মহাজাতক’ এখন মেডিটেশনের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে এর শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত করেছেন সারা দেশে। তিনি মনে করেন, মানসিক প্রশান্তি ও দুশ্চিন্তামুক্তি শারীরিক সুস্থতা ও প্রশান্তি আনার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখে। মেডিটেশনের সাথে ধর্ম বা আধ্যাত্মিকতার সংযোগ সাধন করে অনেক অসুখী মানুষের জীবনে প্রশান্তি ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখতে পেরেছেন তিনি। তার তত্ত্বের মূলকথা হলো, যখন যে অবস্থায় আছি মনে করতে হবে- ‘সুখে আছি, শান্তিতে আছি।’ এর চেয়েও তো খারাপ থাকতে পারতাম। এক চোখ কানা লোক অন্ধের কথা ভেবে মনে করতে পারেন, একটি চোখে অন্তত আমি দেখতে পাই। ভাড়ায় থাকা লোকটি বাড়িওয়ালার সুখের কথা না ভেবে রাস্তার পাশের আশ্রয়হীনের দুর্ভোগের কথা ভেবে নিজেকে সুখী ভাবতে পারেন। সুখানুভূতিই অনেক অসুখ দূর করে বলে হয়তো অনেকে মেডিটেশন থেকে উপকারও পাচ্ছে।

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার রাষ্ট্র চালানো, বিশেষত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় মহাজাতকের মেডিটেশনের থিওরিকে যেন পুরোপুরি প্রয়োগ করছে। সরকারের পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা বিকাশে কয়েক দশকের মধ্যে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ১৮০০ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বাংলাদেশের মাথাপিছু জাতীয় আয়। বেকারত্বের হার কমছে ধারাবাহিকভাবে। কর্মসংস্থান বাড়ছে। সুদের হার এক অঙ্কে নেমে আসছে। মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে অব্যাহত অগ্রগতি হচ্ছে। এছাড়া হচ্ছে ভৌত কাঠামোর উন্নয়ন। নিজের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করা হচ্ছে। একের পর এক ফ্লাইওভার হচ্ছে। রাজধানীতে পাতাল রেল/মনোরেলের কাজ হচ্ছে। শেখ হাসিনার নামে দেশে প্রথম ‘ওয়াই’ সেতুর উদ্বোধন হয়েছে। এই উন্নয়নের শোরগোল আর ‘ওম শান্তির’ মেডিটেশনের মধ্যে দু-চারজন অর্থনীতিবিদ ও সুশীল ব্যক্তি অবশ্য বিপত্তি ঘটাচ্ছেন।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত দুই যুগের বেশি সময় ধরে সম্পৃক্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেছেন, রাষ্ট্রের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে না। উপাত্তের দায়িত্বে নিযুক্ত প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওপর রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে উপাত্ত নিয়ে কারসাজি করা হচ্ছে বলে তার অনুমান। এর ফলে প্রকৃত ও বিশ্বাসযোগ্য ডাটা প্রাপ্তি কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই ডাটা দিয়েই নিরূপিত হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার, জিডিপির প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতির হার ইত্যাদি। পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতো একইভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রভৃতি সরকারি প্রতিষ্ঠান অর্থ সরবরাহ, ঋণের বিস্তৃতি, খেলাপি ঋণ, আমদানি-রফতানি এবং রাজস্ব আদায়ের হিসাব-নিকাশসহ নানা ধরনের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করছে।

এটা ঠিক, এসব প্রতিষ্ঠান নিজস্বভাবে পেশাদারিত্বের সাথে পরিচালিত হলেও সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ-পদোন্নতি সব সরকারই দিয়ে থাকে; কিন্তু তথ্য-উপাত্ত ও বাস্তব সম্মত যথাযথ না হলে সরকারের পক্ষে পরিণামদর্শী নীতি প্রণয়ন সম্ভব হয় না বলে মৌলিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব ঘটানোর চেষ্টা খুব একটা করত না অতীতের সরকারগুলো।

আকবর আলি খান নিজে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, অর্থসচিব এবং পরে কেবিনেট সচিব ও অর্থ উপদেষ্টা ছিলেন। ওই সময়ের অভিজ্ঞতার আলোকেই তিনি হয়তো বা এ কথা বলছেন। এখনকার তথ্য-উপাত্তের নানা অসঙ্গতির কারণেই তিনি পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওপর আস্থা আনতে পারছেন না। ৮ শতাংশের কাছাকাছি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পৌঁছে গেলে, ১৮০০ ডলারের কাছাকাছি মাথাপিছু জাতীয় আয় হলে, বেকারত্বের হার মাত্র ৪ শতাংশ হলে কর্মসংস্থানের জন্য এমন হাহাকার হওয়ার কথা নয়। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরির জন্য যে সংখ্যায় আবেদন পড়ছে তা পর্যবেক্ষণ করলে যে তথ্য মিলে, তার সাথে সামঞ্জস্য পাওয়া যায় না বেকারত্ব বা আধা বেকারত্বের সাথে সম্পর্কিত সরকারি পরিসংখ্যানের। এ কারণে তথ্য-উপাত্ত নিয়ে যে কারসাজি হচ্ছে, তা অনুমান করা এখন মোটেই কঠিন নয়।

গত কয়েক দশকে যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব দেশ বা অঞ্চলে অর্থনৈতিক ধস বা সঙ্কট দেখা দিয়েছে, তার বেশির ভাগের সূত্রপাত ঘটেছে ব্যাংক বা আর্থিক খাত থেকে। আর্থিক খাত তাদের প্রদত্ত ঋণ ফেরত না পাওয়ার কারণে ঋণদানে সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সাধারণভাবে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ দানের সময় স্থাবর সম্পদ আকারে যে অতিরিক্ত জামানত রাখা হয়, তা অতি মূল্যায়িত করে ঋণ দেয়া হয়। পরে ঋণ যখন খেলাপি হয়ে যায়, তখন এই জামানত নিলাম করে প্রদত্ত ঋণের সামান্য অংশই উদ্ধার করা যায়। ব্যাংক এতে দেউলিয়াত্বের মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়।

বাংলাদেশে জমির অতি মূল্যায়ন পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। যে জমির বাস্তব মূল্য ১০ কোটি টাকা, সেটির মূল্য ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত দেখানো হচ্ছে। এর চেয়েও ভয়াবহ প্রবণতা হলো, জাল দলিল দিয়ে ঋণ গ্রহণ। ঋণটি খেলাপি হয়ে পড়লে তখন এর শিকার হতে হয় জমির প্রকৃত মালিককে। অথচ ইতোমধ্যে ঋণগ্রহীতা লাপাত্তা হয়ে যায়। ব্যাংকও তার ঋণের টাকা আদায় করতে পারে না।

বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের বড় ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণ কয়েকটি পরিবার বা গোষ্ঠীর মধ্যে সীমিত হয়ে পড়ছে। রাজনৈতিক ক্ষমতার ছত্রছায়ায় থেকে এসব গোষ্ঠী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিজেদের কর্মচারী ম্যানেজারকে উদ্যোক্তা বানিয়ে, তাদের নামে প্রকল্প বানিয়ে ব্যাংকে জমা দেয়। আর প্রভাব খাটিয়ে কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়া ঋণ মঞ্জুর করা হয়। যেসব ব্যাংক কর্মকর্তা এই কাজে সহায়তা করেন, তাদের পদোন্নতি ঘটে। এভাবে পরিচালক আর ব্যাংকারদের মধ্যে যোগসাজশে একটি দুষ্টচক্র তৈরি হয়ে ব্যাংকের তহবিল শূন্য হয়ে পড়ে। সৎ ব্যাংকাররা হন বঞ্চিত । তদুপরি, নিরীহরা মামলার হয়রানিতে পড়ে যান।

এভাবেই এক সময় বাংলাদেশের আল-বারাকা ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে পড়েছিল। বারবার নাম পাল্টে এখন ‘ওরিয়েন্টাল ব্যাংক’ হওয়া প্রতিষ্ঠানটি আজ পর্যন্ত রুগ্ণদশা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত উদ্যোক্তা ৪০০ কোটি টাকার মতো বেনামি ঋণ বের করে নিয়েছিলেন। কিন্তু এর নিষ্পত্তি হয়নি এখনো। সেই ‘ফর্মুলা’ কমপক্ষে এক ডজন বেসরকারি ব্যাংকে প্রয়োগ হচ্ছে। বেনামি ঋণ নিয়ে সেখান থেকে একটি অংশ রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের দিয়ে, জনগণের বিপুল আমানত হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। ভুয়া প্রকল্প তৈরি করে ঋণ মঞ্জুরের পাশাপাশি নন-ফান্ডেড ঋণকে ফান্ডেড ঋণ বানানো আর বিশেষ বিবেচনায় সুদ বা মুনাফা মওকুফসহ নানা উপায়ে ব্যাংকের টাকা লোপাট করার হিড়িক পড়ে গেছে আজকের বাংলাদেশে।

ব্যাংকগুলোর অভিভাবক হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ব্যাংকের তদারকি ব্যবস্থা এখন এমন এক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে, এ প্রতিষ্ঠানটি কেবল প্রভাবহীন দুর্বল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানেই পরিদর্শন করতে পারে। নিজের কার্যক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণের চেয়ে রাজনীতির প্রভাব বেশি হওয়ার কারণে বিপুল রিজার্ভ চুরির নজিরবিহীন ঘটনাও বাংলাদেশ ব্যাংকে ঘটতে পেরেছে। হাজার কোটি টাকা রিজার্ভের খবর না থাকা, মূল্যবান স্বর্ণ মিশ্র ধাতুতে ‘পরিণত হওয়া’সহ নজিরবিহীন নানা খবর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

এর মধ্যে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) এক কর্মশালায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই খেলাপি ঋণের হার সবচেয়ে বেশি। ২০১৫ সালে যেখানে ৮.৪০ শতাংশ ছিল খেলাপি ঋণ, সেটি ২০১৭ সালে বিতরণ করা ঋণে ১০.৩১ শতাংশ হয়ে গেছে। প্রকৃত খেলাপি হিসাব করা হলে এই হার দ্বিগুণে উন্নীত হতে পারে। বড় ঋণগ্রহীতারা মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যাংক থেকে নিয়ে তা উৎপাদনশীল কাজে না লাগিয়ে পাচার, রাজনৈতিক উৎকোচ এবং অন্যান্য অনুৎপাদনশীল খাতে খরচ করে ফেলেন। এটি নিয়মিত রাখার জন্য নতুন প্রকল্প তৈরি করে আরো বড় অঙ্কের ঋণ নেয়া হয়। এভাবে নিশ্চিতভাবে খেলাপি হবে বিপুল অঙ্কের এমন ঋণকে নিয়মিত হিসেবে প্রদর্শন করা হচ্ছে। কোর্টে মামলা করে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ সুবিধা নিয়েও বড় অঙ্কের খেলাপি ঋণকে নিয়মিত দেখানো হচ্ছে। এর বাইরে অবলোপন করা হচ্ছে বড় অঙ্কের ঋণ। পাওনা হিসেবে আলাদাভাবে রক্ষিত এই ঋণকেও খেলাপির হিসাবে দেখানো হচ্ছে না।

এ তিন ধরনের খেলাপি ঋণের ভারে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের ভেতরটা অনেকটাই অন্তঃসারশূন্য হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে এই শূন্যতা আড়ালে থেকে যাচ্ছে। কিন্তু যখনই রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং আর্থিক খাতে প্রকৃত জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হবে, তখন ভেতরের সব গোমর প্রকাশ হয়ে পড়বে। ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের পরের বছরশেষে আওয়ামী লীগ যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছিল, বাস্তব হিসাবে তা ঠিক থাকেনি। এখন যে অর্থনৈতিক বিকাশের হার দেখানো হচ্ছে, তাও শেষ পর্যন্ত ঠিক থাকবে বলে মনে হয় না। অর্থনীতির আসল চেহারা উঠে এলে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের অঙ্ক অনেক ঊর্ধ্বে উঠে যাবে। জাতীয় অর্থনীতির সব খাতে পুনঃনিরীক্ষণ করা হলে নিম্নমুখী পরিবর্তনের চিত্র সব ক্ষেত্রেই দেখা যাবে।

এমন এক অবস্থায় গ্রিসের অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। সরকারের বাড়তি রাজস্ব আদায় এবং গণঋণের অঙ্ক কম দেখিয়ে জনতুষ্টির জন্য বেতনভাতা বাড়ানো হয়েছিল সেখানে। কিন্তু একপর্যায়ে আর পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব হয়নি। সঙ্কটের মুখে বছর বছর সরকারের পতন ঘটেছে। কৃচ্ছ্র সাধনের কর্মসূচি কার্যকর করতে গিয়ে উঠেছে জনগণের জীবনে নাভিশ্বাস। প্রায় কাছাকাছি ধরনের সমস্যা স্পেন ও ইতালিতেও দেখা গেছে।

বাংলাদেশে এখন যে অবস্থা, তার সাথে ইউরোপের ওসব দেশের পরিস্থিতির বেশ মিল রয়েছে। তবে সঙ্কটের গভীরতা এখানে অনেক বেশি। মহাজাতকের মেডিটেশনের তত্ত্ব অনুসারে ‘সুখে আছি’ মনে করলে মনস্তাত্ত্বিকভাবে দুঃখের অনুভূতি কিছুটা প্রশমিত হয়। কিন্তু অর্থনৈতিক বাস্তবতা মনস্তত্ত্ব দিয়ে সব সময় সেভাবে প্রভাবিত করা যায় না।

উন্নয়ন অগ্রগতি প্রবৃদ্ধির ব্যাপারে অতি প্রাকৃত চিত্র তুলে ধরে জনগণের মধ্যে অবাস্তব সুখানুভূতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে সরকার। কিন্তু এত কিছুর পরও জনগণের মত বা মন কোনোটাই সরকার জয় করতে পারছে বলে মনে হচ্ছে না। এ কারণে অংশীদারিত্বমূলক অবাধ মুক্ত নির্বাচনকে সরকার ভয় পাচ্ছে বলেই প্রতীয়মান হয়। এই ভয়কে শক্তি ও পীড়ন দিয়ে জয় করার ফলও খুব একটা ভালো হবে না। মালদ্বীপের সর্বশেষ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে ও ক্ষমতা হারিয়ে আব্দুল্লাহ ইয়ামিন বিষয়টি এখন তিক্তভাবে অনুভব করছেন। আমাদের নেতৃত্বো সে উপলব্ধি কবে হবে, কে জানে?।

mrkmmb@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement