২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আফগান যুদ্ধ চলবে

আফগান যুদ্ধ চলবে - ছবি : সংগৃহীত

আফগান যুদ্ধ ১৭ বছর ধরে চলছে, আমেরিকার সবচেয়ে দীর্ঘ যুদ্ধ। আফগানিস্তানে আমেরিকান সামরিক ঘাঁটি ও সরকারি সেনাদের ওপর চলতি মাসে তালেবান আক্রমণ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে। ডজন ডজন সরকারি সেনা ও সাধারণ মানুষ মরছে। এখন মা ও স্বজনদের আহাজারি ও শোকের মাতম চলছে। কেন আফগানরা এভাবে ‘কোরবানি’ হচ্ছেন? আফগানদের প্রশ্ন, কেন বিদেশীরা আজো এখানে? গত সপ্তাহে আফগানিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা জেনারেল জোসেফ ভোটেল বলেছেন, ‘আফগান যুদ্ধ চলবে’। তিনি আরো বলেন, ‘আমেরিকা সামরিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে তালেবানদের ওপর চাপ দেবে শান্তি আলোচনার জন্য।’

তালেবানও বলছে, বলপ্রয়োগ করা না হলে আমেরিকা শান্তি আলোচনার টেবিলে আসবে না। এ দিকে আফগানিস্তানে আরো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে এলেন জেনারেল স্কট মিলার। তিনি ২ সেপ্টেম্বর কাবুলে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের ২৩ হাজার সেনার দায়িত্ব নিয়েছেন। মিলার দুর্গম ও পার্বত্য এলাকায় যুদ্ধের ব্যাপারে দক্ষ কর্মকর্তা। ভোটেল জানান, তালেবানদের সাথে যুদ্ধে তারা কাবুলের আইএসকে জড়াচ্ছেন না। এমনও হতে পারে, আপাতত আইএসকে তালেবানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে। জাওজানের কয়েক শ’ আইএস যোদ্ধা এরই মধ্যে তালেবানের সাথে মিলেছে। এরা তালেবানের সাথে নাকি তালেবানের বিরুদ্ধে কাজ করবে, এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তালেবানরা আফগানিস্তানের ৭০ শতাংশ এলাকায় যুদ্ধ করছে। শান্তির জন্য ২০০৯ সালে তদানীন্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা ৭০ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছিলেন। ইউরোপীয় সৈন্য পাঠানো হয় আরো ৩০ হাজার। কিন্তু সেই থেকে সেখানে অশান্তি বেড়েই চলেছে। তালেবান ও আইএস উভয়ই মূলত পশ্চিমা সেনাদের উৎখাত চায়, এ জন্য তারা অনেক দিন ধরে ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আসছে। সমস্যা হলো, আইএস যোদ্ধারা নেতৃত্ব, মতবাদ ও রণকৌশল নিয়ে বিভক্ত। এরা আফগানিস্তানে অনেক মারাত্মক হামলা চালিয়েছে; তাদের লক্ষ্য আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন এবং শিয়া জনগোষ্ঠী ও শিয়া মসজিদ এলাকা।

আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর পেছনে খরচ হয়েছে এক ট্রিলিয়ন ডলারের ওপর। এ হিসাবও এক বছরের পুরনো। ন্যাটো বাহিনী শান্তি ও প্রগতির পরিবর্তে আফগানিস্তানকে টুকরো পাথরে পরিণত করছে। রাস্তাঘাট যা আছে, সেগুলো সোভিয়েত আমলে তৈরি করা; যেমন- সেচের নালা, খাল ও রুটি তৈরির ফ্যাক্টরি। আফগানিস্তানে এখন কিছু দৃশ্যমান সহায়তা আসছে চীন থেকে। ভারত থেকেও কিছু সাহায্য আসছে। দীর্ঘ দিনের ন্যাটো অবস্থান কাঁটাতারের বেড়া ও সেনাছাউনি বানানো ছাড়া কিছুই করেনি। এ হলো আফগানিস্তানে আমেরিকার ‘উন্নয়ন’। সিবিএসে ‘৬০ মিনিটি’ অনুষ্ঠান পরিচালনাকারী যুদ্ধ-সাংবাদিক সুন্দরী লারা লোগানকে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি বলেছেন, ‘আমরা, এমনকি নিজের রাজধানীকেও আর রক্ষা করতে পারছি না।’

বিশ্ব দেখেছে, ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর সাত মাসে বিশ্বে যত লোক হত্যা করেছে মার্কিনিরা, ওবামার আট বছরের শাসনামলেও এত লোক নিহত হয়নি। বেসরকারি সংস্থা এয়ারওয়ার এ তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ করেছে। ট্রাম্প ড্রোন যুদ্ধের মাধ্যমে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সোমালিয়া ও ইয়েমেনে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছে। ট্রাম্পের ড্রোন যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা ওবামা আমলের চেয়ে আট গুণ এবং বুশ আমলের চেয়ে ৮০ গুণ বেশি। এ পরিসংখ্যান ট্রাম্পকে একজন রেকর্ড ব্রেকিং ‘ওয়ার ক্রিমিনাল’ হিসেবে কুখ্যাতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ‘সন্ত্রাসী আস্তানায়’ ড্রোন হামলা করার অনুমতি দিয়েছে। এটি পাকিস্তান নামের রাষ্ট্রকে আক্রমণের সমতুল্য। আফগান রাষ্ট্রপ্রধান এর আগে বলে আসছিলেন, পাকিস্তানের জন্য তালেবান সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।

ট্রাম্পও মনে করেন, তালেবানদের পরাজিত করতে না পারার পেছনে পাকিস্তানের সহায়তা অনেক। তাই তিনি পাকিস্তানকে এক হাত নিতে চান। পাকিস্তানের কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত উপজাতীয় অঞ্চলে (ফাটা) ‘সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী’ অভয়ারণ্যগুলোতে ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে। এসব হামলায় আলোচিত হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতারাও মারা পড়ছেন। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাকিস্তানে নিরাপত্তাসহায়তা স্থগিত করেছেন। পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া বলেন, পাকিস্তানে আর্থিক অনুদান বন্ধ করার কোনো পুনর্বিবেচনা চায় না পাকিস্তান। সরাসরি ‘মিথ্যাবাদী’ বলে পাকিস্তানকে আক্রমণ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাকিস্তান বরং অভিযোগ করছে, ‘ভারতের মদদপুষ্ট হয়ে সন্ত্রাসীরা’ পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান সরাসরি এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে তা যুক্তরাষ্ট্রের অনুকূলে যাবে না। কেননা আফগানিস্তানের মাটিতে আমেরিকার বিরুদ্ধে চীন, রাশিয়া, ইরান, কাজাখস্তান ও তুরস্কও তৎপর। আফগানিস্তানের নির্জন পাহাড়ি এলাকা, পাকিস্তানসংলগ্ন ওয়াখান করিডোরে সামরিক ঘাঁটি বানাতে চায় চীন। এখানে চীনের স্বার্থ হলো, ইস্ট টার্কিশ ইসলামিক মুভমেন্টের (ইটিআইএম) উগ্রবাদী হিসেবে অভিহিত সদস্যরা ওয়াখান পার হয়ে নিকটবর্তী জিনজিয়াং এলাকায় প্রবেশ করতে পারে বলে মনে করছেন চীনা কর্মকর্তারা। ইরাক ও সিরিয়া থেকে আইএস যোদ্ধারাও মধ্য এশিয়া পার হয়ে একই পথে জিনজিয়াংয়ে পৌঁছাতে পারে। ওয়াখানে চীনের ঘাঁটি বানানোর উদ্যোগে আমেরিকা ও ভারত চিন্তিত ও শঙ্কিত। হিসাব-নিকাশে ভুল হলে যুক্তরাষ্ট্রকে শুধু যে আফগানিস্তান থেকে করুণ বিদায় নিতে হবে, তা নয়; ইরাক থেকেও চলে যেতে হবে। মধ্যবর্তী নির্বাচনে জেতার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আফগান যুদ্ধে বিজয় চাচ্ছেন। তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ কর্মসূচিও স্বদেশের নির্বাচনে বিজয়ের জন্য।

কিন্তু ১৭ বছর যে যুদ্ধে আমেরিকা বিজয় লাভ করেনি, সে যুদ্ধে মাত্র দু-এক মাসের মধ্যে কি চূড়ান্ত বিজয় অর্জন সম্ভব? বিতর্কিত ট্রাম্প মাদার অব অল বম্ব নিক্ষেপ করে বোঝাতে চেয়েছেন, চরম অবস্থা সৃষ্টি করতে পারেন, চাইলে। তার এক পূর্বসূরি জিমি কার্টারও বিজয় লাভের জন্য ইরানের খামেনিকে ধরে নেয়ার জন্য রাতের আঁধারে তিনটি সামরিক হেলিকপ্টারে বিশেষ কমান্ডো বাহিনী পাঠায়ে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সেসব কথা স্মরণ না করে ট্রাম্প ক্যাম্প ডেভিড প্রেসিডেন্সিয়াল রিসোর্টে আয়েশ করে বলেছেন, ‘দেখি কী করা যায়।’ অথচ তিনি সব সময় সমালোচনা করে আসছেন, আফগানিস্তানের যুদ্ধ আমেরিকার জন্য একটি ‘লুজিং ওয়ার’। ট্রাম্প শপথ নিয়েছিলেন, আফগানিস্তান থেকে সৈন্য সরিয়ে নেবেন। কিন্তু তিনি এখন বাহুবলে সেখানে বিজয় চাচ্ছেন। তিনি সিরিয়া ও ইরাকে ‘ট্রুপ লেভেল’ও কাউকে জানাচ্ছেন না। আইএস নিধনের নামে পুরো এলাকার যুদ্ধের খরচ নিচ্ছেন সৌদি আরব ও আমিরাত থেকে। আমেরিকার জনগণ ঢালাওভাবে মনে করে, আফগানিস্তান আমেরিকার স্বার্থের জন্য মোটেও কোনো ভীতিকর বিষয় নয়। তাহলে সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না কেন? এখন আমেরিকার একটিই ভয়, বিদেশী সৈন্যরা চলে গেলে কাবুলে আবার তালেবান শাসন ফিরে আসবে। আমেরিকা তালেবানদের সাথে আলাপের টেবিলে বসে কোনো সম্মানজনক সমাধান না খুঁজলে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা আরো কমবে, যা তার নির্বাচনের বিপক্ষেই যাবে।

তালেবানরা আক্রমণ শতগুণ বৃদ্ধি করেছে। তাদের হাজার হাজার সদস্য আহত ও পঙ্গু, হাজার হাজার বন্দী; তা সত্ত্বেও আরো হাজার হাজার তাদের দলে ভিড়ছে। তাদের এক কথা, বিদেশী সৈন্যদের চলে যেতে হবে। বলা হয়, আফগানিস্তানের উন্নয়নের জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে, যেন আফগান মেয়েরা স্কুলে যায়। স্বাস্থ্যসেবা, খাবার পানি এসব সমস্যার সমাধান হয়।

আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষের বিরাট অংশ সরকার ও যুদ্ধবাজদের চেয়ে তালেবানদের বেশি পছন্দ করেন। তাদের ছেলেমেয়েরা দলে দলে মাদরাসায় পড়ছে। এখানে তারা দেশপ্রেম, ইসলাম ও বিভিন্ন ট্রেডের ওপর শিক্ষা লাভ করে। সে দেশে সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ে শরিয়াহ আইন শিক্ষা একটি সাধারণ বিষয়। আমেরিকা চাইলেও এসব কিছু বন্ধ করতে পারবে না। কোনো পুতুল সরকারও এটিকে অনুমোদন করবে না। কথিত তালেবানি চিন্তা-চেতনা সাধারণ মানুষের মন-মগজে অনেকটা প্রবিষ্ট। আমেরিকা যদি মনে করে, তালেবানদের মেরে ভিয়েতনামের মতো অবস্থার সৃষ্টি করবে, তবে যুদ্ধবিগ্রহ আরো বেড়ে যাবে।

একটি বিষয় মনে রাখা দরকার, আফগান সরকারে অনেক ‘ওয়ার লর্ড’ ও ‘ড্রাগ ধনকুবের’ রয়েছে। এরা সরকার ও তালেবান উভয়পক্ষে কাজ করে। তাদের কুক্ষিগত করা এত সহজ নয়। এদের অনেকে যুদ্ধাপরাধসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। আমেরিকান ও ন্যাটো শীর্ষ অফিসারদের সাথেও তাদের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন এদের অপরাধের একটা বড় দিক। ট্রাম্প প্রশাসন ‘মানবাধিকার’, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ’ ও ‘নারীদের মর্যাদা’ রক্ষায় নাকি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তবে মনে হয়, আফগান জনসমাজে শান্তির সুবাতাস সত্বর বইছে না।

তালেবান ও সরকারের সাথে আলোচনা করে একটি অবস্থানে পৌঁছার জন্য তুরস্ক ও কাতার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু তালেবানরা ‘পুতুল’ সরকারের পদত্যাগ চেয়েছে। অস্ত্র ছেড়ে আলোচনায় এলে আমেরিকার হাতে ‘অনেক মূল্য দিতে হবে’ বলে তালেবান নেতারা আশঙ্কা করেছেন। কেননা কোনোভাবেই তারা বিদেশী সেনাদের বিশ্বাস করেন না। তুরস্ক এ দেশের উন্নয়ন চায়। সরকারকে তুরস্ক এক বিলিয়ন ডলার দিয়েছে ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে। কোনো সেনা মোতায়েন নেই দেশটিতে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল কোনো দেহরক্ষী ছাড়াই কাবুলের রাস্তায় হেঁটেছিলেন। তুরস্ক রাজনৈতিক উপায়ে আফগান ইস্যুর সমাধান চেয়েছে, কিন্তু আমেরিকা যুদ্ধের মাধ্যমে পরাস্ত করতে চেয়েছে তাদের। এখন তালেবানদের আক্রমণে সরকারি ও বিদেশী সেনাদের দিশেহারা অবস্থা। চীন আফগানিস্তানের ওয়াখান করিডোরে প্রশিক্ষণ শিবিরে নিশ্চয়ই ন্যাটোর বিরোধী পক্ষকে প্রশিক্ষণ দেবে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা উন্নতমানের অস্ত্রশস্ত্রও পাবে। ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন এবং চীনকে বিভিন্ন ইস্যুতে দোষী বানানোর যে চেষ্টা করছেন, এটি তারও একটি জবাব।
রাজনৈতিক সমঝোতাই একটি উপায় হতে পারে। হিলারি ক্লিনটনও ২০১১ সালে রাজনৈতিক সমাধান চেয়েছিলেন। কিন্তু সৈন্যসংখ্যা বাড়িয়ে যুদ্ধ চালু রেখে আফগানিস্তানে রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব নয়। গত কয়েক সপ্তাহে তালেবানরা প্রচণ্ড হামলা চালিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি সম্প্রতি কোরবানি ও ঈদে মিলাদুন্নবী সা: উপলক্ষে যুদ্ধ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি আগেও এ রকম করেছিলেন, কিন্তু তা টেকেনি। এখানে অবশ্য তিনি শর্ত দিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি শুধু তালেবানদের জন্য, অন্যান্য দলের জন্য নয়। ধারণা হচ্ছে, বিষয়টি আমেরিকার সাজানো। তালেবান, আইএস ও অন্য গোষ্ঠীগুলোকে পৃথক ও মুখোমুখি করার জন্য তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। তাই এই প্রস্তাবও টিকবে বলে মনে হয় না। এ দিকে তার মন্ত্রিসভার অনেকে পদত্যাগ করেছেন। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি হয়তো দুই কূল হারাবেন। বার্ষিক অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলার বরাদ্দ করা সত্ত্বেও তালেবান বিদ্রোহ দমন করা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, পাকিস্তানি তালেবান এবং পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে বিদ্রোহীরা এসে হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অনেক ড্রোন হামলা চালিয়েছে, এমনকি পাকিস্তানে আক্রমণ করার জন্যও প্রস্তুতি নিয়েছিল। পাকিস্তান এই চরম অবস্থার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা যায়। সদ্যপ্রয়াত মার্কিন নেতা জন ম্যাককেইন বলেছিলেন, ‘আমরা আফগানিস্তানে জয়লাভ করতে পারব না।’। তাহলে কেন এত বিপুল খরচ করে এত যুদ্ধ, এত মৃত্যু? অর্থাৎ ন্যাটো বাহিনীর সরে যাওয়াই উত্তম; অনেকটা ইরাকের মতো। সেখানেও দলাদলি ও যুদ্ধ চলছে। আফগানিস্তানেও হয়তো মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর বিদায়ের পর তেমন অবস্থা হবে।

ম্যাককেইন আফগানিস্তান ইস্যুতে তার ব্যক্তিগত পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেছিলেন। আফগানিস্তান-বিষয়ক জাতীয় প্রতিরক্ষা আইনের সংশোধনীর বিষয়ে জন ম্যাককেইন বলেছিলেন, ‘আমাদের সত্যকে গ্রহণ করতে হবে যে, আমরা আফগানিস্তানে পরাজিত হচ্ছি। এই স্রোত পাল্টাতে এখনই সঠিক সময়।’
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব,
বাংলাদেশ সরকার ও গ্রন্থাকার


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরে নিহতদের বাড়ি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী টিকটকে ভিডিও দেখে পুরস্কার, প্রভাব ফেলছে মানসিক স্বাস্থ্যে পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে: পাটমন্ত্রী মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে : সালাম নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ সচিব সৌরশক্তি খাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় জার্মানি ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি’ মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু দোয়ারাবাজারে শিশু হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২

সকল