২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

জোটের রাজনীতি

জোটের রাজনীতি - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির পর নির্বাচনের মাধ্যমে এ যাবৎকাল তিনটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। এ তিনটি দল হলো আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। এ তিনটি দলের কোনোটিই ক্ষমতায় থাকাকালীন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয় লাভে ব্যর্থ হয়নি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি- এ দু’টি দল দলীয় সরকারবহির্ভূত নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয় সরকার গঠনে সমর্থ হয়।

২০০৮ সাল-পূর্ববর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নির্বাচন কমিশনের সাথে নিবন্ধিত হওয়া বাধ্যতামূলক ছিল না। ২০০৮ সালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে সংশোধনীর মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নির্বাচন কমিশনের সাথে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪০টি। এছাড়া ৭৫টি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের আবেদন প্রক্রিয়াধীন থাকাকালীন নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ৭৩টি আবেদনপত্র নামঞ্জুর করা হয় এবং দু’টির আবেদন অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের পর্যায়ে রয়েছে।

বর্তমানে একটি রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হতে হলে অপরাপর শর্ত ছাড়াও তিনটি প্রধান শর্তের যেকোনো একটি পূরণ করতে হয়। এ প্রধান শর্তগুলো হলো- (ক) বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টি হওয়ার পর অনুষ্ঠিত যেকোনো সংসদ নির্বাচনে দলটি অন্যূন নিজ দলীয় নির্বাচনী প্রতীকে একটি আসনে বিজয়ী হয়েছে অথবা (খ) বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টি হওয়ার পর অনুষ্ঠিত যেকোনো সংসদ নির্বাচনে দলটি নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়ে প্রদত্ত ভোটের ৫ শতাংশ লাভে সমর্থ হয়েছে অথবা (গ) দলটির কার্যকরী কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ অন্যূন দশটি জেলায় প্রশাসনিক জেলা কার্যালয় এবং পঞ্চাশটি উপজেলা অথবা মেট্রোপলিটন থানায় কার্যালয় রয়েছে। রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত নয় এমন ব্যক্তি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে পারেন; তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হলে তাকে রিটার্নিং অফিসারের বরাবর দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক-শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের তালিকা দাখিল করতে হয়। যদিও এরূপ প্রার্থী অতীতে কোনো সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে থাকলে সে ক্ষেত্রে স্বাক্ষরের তালিকা দাখিলের আবশ্যকতা নেই।

বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে এমন রাজনৈতিক দল হলো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। জাতীয় পার্টি অতীতে তৃতীয় ও চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে সমর্থ হলেও এরপর বিতর্কিত দশম সংসদ নির্বাচন ছাড়া অপর কোনো সংসদ নির্বাচনে দলটির প্রাপ্ত আসনসংখ্যা চার-এর কোঠা অতিক্রম করতে পারেনি। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ১৯৯০ সাল-পরবর্তী একক ও বিএনপির সাথে জোটগতভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছে; তবে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেয়ে জোটগতভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলটির ফলাফল আসনসংখ্যার নিরিখে অধিকতর ভালো ছিল।

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলগুলোর একটি বড় অংশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটকে মহাজোট এবং বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটকে ১৮ দলীয় জোট নমে পরিচিত। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাথে যেসব দল জোটবদ্ধ এসব দলের অধিকাংশেরই শীর্ষস্থানীয় নেতারা জোটবদ্ধ না হয়ে এককভাবে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হলে তাদের বিজয়ী হওয়া দূরের কথা জামানত রক্ষাই যে দুরূহ- এ বিষয় কোনো সংশয় নেই।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানকালীন ২০ দলীয় জোট নামে অভিহিত ছিল। দশম সংসদ নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট অংশগ্রহণ করেনি। অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী যথাক্রমে মহাজোট ও ২০ দলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়। দশম সংসদ নির্বাচন কলুষতা ও কালিমায় পরিপূর্ণ থাকায় এবং এ নির্বাচনটিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট অংশগ্রহণ না করায় এ নির্বাচনে জনমতের প্রকৃত অবস্থান বিশেষ করে জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের প্রতি জনসমর্থন নিরূপণ সম্ভব হয়নি।

আমাদের দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোটবদ্ধ হলেও একই জোটের মধ্যে দেখা যায় মতাদর্শ ও রাজনৈতিক ভাবধারার দিক হতে বিপরীত মেরুতে থাকা দল নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া অথবা ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার জন্য জোটবদ্ধ হয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘ দিন ধরে দু’টি ধারা স্পষ্ট। এর একটি হলো সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ ভাবধারা এবং অপরটি জাতীয়তাবাদ ও ইসলামি ভাবধারা। সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ ভাবধারায় বিশ্বাসী এমন কিছু দল অতীতে আওয়ামী লীগের সাথে জোটবদ্ধ থাকলেও বর্তমানে তাদের অবস্থান ভিন্নতর।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে বর্তমানে যে সাংবিধানিক বিধান রয়েছে তা অনুসরণ করে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সংসদ বহাল থাকাবস্থায় ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি পূর্বে ভেঙে না দিয়ে থাকলে প্রথম বৈঠকের তারিখ হতে পাঁচ বছর অতিবাহিত হলে সংসদ ভেঙে যায়। অপর দিকে মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে এবং মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হয়। দশম সংসদের প্রথম অধিবেশন ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে হিসাবে দশম সংসদ মেয়াদ পূর্ণ করলে একাদশ সংসদ নির্বাচন ২৮ জানুয়ারি ২০১৯-এর পূর্ববর্তী ৯০ দিন অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর ২০১৮ হতে ২৮ জানুয়ারি ২০১৯-এর মধ্যবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে হবে।

বাংলাদেশের অতীতের নির্বাচনগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায় একাদশ সংসদ নির্বাচনটি সংবিধানের বর্তমান ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীন সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হলে এর ফলাফল ক্ষমতাসীনদের অনুকূলে যাবে না এমনটি আশা করার সঙ্গত কোনো কারণ দেখা যায় না। এ বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে ক্ষমতাসীন মহাজোটের বাইরে এবং ১৮ দলীয় জোটের বাইরে অবস্থানরত এমন অনেক ছোট ছোট দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে জোটবদ্ধ হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। বাম ঘরানার রাজনীতিতে বিশ্বাসী এমন আটটি দলের সমন্বয়ে একটি জোটের ইতোমধ্যে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এ জোটটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অর্থবহ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বপক্ষে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। দেশের বরেণ্য কিছু ব্যক্তির প্রচেষ্টায় মিশ্র রাজনৈতিক মতাদর্শ ও ভাবধারায় বিশ্বাসী এমন কিছু রাজনৈতিক দল সমন্বয়ে দু’টি জোট গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এ জোট দু’টিও নিরপেক্ষ সরকারের অধীন অর্থবহ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে সোচ্চার। নবগঠিত এ জোট তিনটির দাবি ও আকাঙ্ক্ষা সাথে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের দাবি ও আকাঙ্ক্ষা অনেকটা অভিন্ন।

নবগঠিত এ তিনটি জোটের শীর্ষ নেতারা বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের সাথে জোটবদ্ধ না হয়েও অর্থবহ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জোটটির কাছে হতে প্রার্থী মনোনয়নে ছাড়প্রাপ্ত হলে নবগঠিত জোটের শীর্ষ নেতারা নির্বাচনে বিজয় লাভে সমর্থ হবেন দেশের সচেতন জনমানুষ এমন ধারণা পোষণ করেন।

বাংলাদেশে বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে যে দু’টি দলের এক বা একাধিক প্রার্থী নিজ দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়ে বিজয়ী হওয়ার যোগ্যতা রাখে এ দু’টি দল হলো জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী। অতীতের নির্বাচনগুলোর ফলাফল বিশ্লেষণে ধারণা করা যায় আগামীতে সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে এ দু’টি দলের প্রাপ্ত ভোট পৃথকভাবে প্রদত্ত ভোট সংখ্যার পাঁচ শতাংশের নিচে হবে না। এ কারণেই বিভিন্ন নির্বাচনের পূর্বে দেখা গেছে আমাদের দেশের বড় দু’টি রাজনৈতিক জোট বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বনে এ দু’টি দলকে নিজ শিবিরে রাখতে চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে ইসলামপন্থী ৫০ ঊর্ধ্ব দল জোটবদ্ধ হলেও এ দলগুলোর অধিকাংশই নামসর্বস্ব। আর এ কারণে এ জোটের প্রভাবের চেয়ে এককভাবে জাতীয় পার্টির প্রভাবের বিষয়টি অধিক গুরুত্ববহ।

ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন যে সুষ্ঠু হয় না এ বিষয়ে বিরোধী দলে থাকাবস্থায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থান অভিন্ন। এ দেশের সাধারণ জনমানুষের একটি বড় অংশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিরোধী দলে অবস্থানকালীন অভিমতের সাথে সহমত পোষণ করে।

সম্প্রতি দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের বাইরে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, যুক্তফ্রন্ট ও বামপন্থী কয়েকটি দল সমন্বয়ে গঠিত জোট বিএনপি ও জনদাবির সাথে একাত্ম হয়ে নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে। উল্লিখিত দু’টি জোটের প্রতি সম্মিলিত জনসমর্থন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর তুলনায় নগণ্য হলেও জোটভুক্ত এসব দলের নেতৃত্বে যারা রয়েছেন তারা জাতীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মানিত। এ কথাটি অনস্বীকার্য যে, উল্লিখিত জোটের নেতৃস্থানীয় কেউ স্বীয় অবস্থান থেকে অপর কোনো দু’টি বৃহৎ জোটের সমর্থন ছাড়া নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হলে তাদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

বিগত শতকের ’৯০-পরবর্তী আমাদের দেশে দলীয় সরকারবহির্ভূত সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এবং সরকার গঠনে জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ। আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে অতীতের মতো এ দু’টি দলের ভূমিকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, পাশাপাশি দশম সংসদ নির্বাচন বিতর্কিত হওয়ার কারণে একাদশ সংসদ নির্বাচনকে বিতর্কমুক্ত রেখে প্রকৃত অর্থেই অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারলে এর ফলাফলের ওপর দু’টি দল এবং নবগঠিত দু’টি জোটের সমর্থন যুগান্তকারী প্রভাব ফেলার ইঙ্গিতবহ।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
E-mail: iktederahmed@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত

সকল