২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিচারকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য

বিচারকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য -

মানুষ একধরনের জীব বা প্রাণী যারা আইন, ধর্ম, শাসনব্যবস্থা সৃষ্টি বা আরোপ হওয়ার আগ থেকেই সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস শুরু করে। বিবেকবুদ্ধি বা উন্নত চিন্তা করার ধীশক্তি নেই এমন প্রাণীদের মধ্যে অনেক প্রাণীই গোষ্ঠীগতভাবে দলবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করে। প্রকৃতির নিয়মে তাদেরও দলপতি বা দলনেতা রয়েছে, যাদেরকে অন্যরা অনুসরণ করে। যেমন- রানী মৌমাছি, মাছের মধ্যে ‘মা’ রেণু প্রভৃতি। কথায় বলে সব হরিণে মৃগনাভি জন্মে না, সব সাপের মাথায় মণি সৃষ্টি হয় না। মানবসমাজে ‘শক্তি’ থেকে শাসকের (অর্থাৎ জোর যার মুল্লুক তার) এবং প্রতিশোধের প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সৃষ্টি হয়েছে বিচারব্যবস্থা। পর্যায়ক্রমে মানুষের বিবেকবুদ্ধি থেকেই উৎপত্তি হয়েছে বিচারব্যবস্থা পদ্ধতির উন্নয়ন ও ক্রমবিকাশ। বিবেকের বাস্তব প্রতিফলনের জন্য ‘শক্তি’ (বাহুবল) থেকে উৎপত্তি শাসক দলের সাথে লড়াই সংগ্রাম, কোথাও যুগের পর যুগ রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে বিচারব্যবস্থার সৃষ্টি ও উত্তরোত্তর বিকশিত হয়েছে। এ জন্যই বিচারব্যবস্থাকে থাকতে হয় স্বতন্ত্র অবস্থানে বিচারকেরা শাসকের তাঁবেদার বা শাসকের শাসনব্যবস্থার গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে না এবং এটাই বিচারব্যবস্থার সার্থকতা।

প্রতিষ্ঠিত প্রবাদ রয়েছে, ‘মানুষের বিবেকই শ্রেষ্ঠ আদালত’ এবং এ কথাও গণমানুষ দৃঢ়তার সাথে বিশ্বাস করে, ‘আদালতই মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল।’ বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত। সংবিধানের ৯৪(২) অনুচ্ছেদ মোতাবেক, সর্বোচ্চ আদালতের যিনি প্রধান তিনি শুধু সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নন; বরং তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি অর্থাৎ বাংলাদেশের যেখানেই মানুষের অধিকার শাসকের (রাজা, বাদশাহ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রীয় বেতনভুক নির্বাহী প্রভৃতি) হাতে গণমানুষের বা ব্যক্তির অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে, সেখানেই প্রধান বিচারপতির হাত সম্প্রসারিত হওয়ার ক্ষমতায় সাংবিধানিকভাবে তিনি ক্ষমতাবান। তবে কেউ শত প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করেই বিচারিক ক্ষমতা গণমানুষের জন্য প্রয়োগ করেন, কেউ নিজ ও নিজ পরিবারের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ জীবনকে বেশি প্রাধান্য দেন। কেউ ঝুঁকি গ্রহণ করেন, কেউ তাঁবেদারিতে তুষ্ট থাকেন।

কারো নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকে, কেউ দালালির খাতায় নাম লেখান অথবা ‘যেমনি চালাও তেমনি চলি’ এ মনোভাব নিয়ে গা ভাসিয়ে দেখে না দেখার ভান করে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে, আরাম-আয়েশে দিন কাটিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করেন। কেউ চোখবুজে অন্যায়-অবিচার হজম করেন, কেউ প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ান। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও কারো মেরুদণ্ড সোজা রাখেন, আবার কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই কারো মেরুদণ্ড এমনিতে নেতিয়ে যায়, এটা নির্ভর করে নির্দিষ্ট ব্যক্তির মানসিকতা, প্রজ্ঞা ও ব্যক্তিত্বের ওপর। কাকের মতো কেউ চোখবুজে নিজেকে আড়াল করে, কেউ বাঘের মতো তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে অতন্দ্র প্রহরীর মতো নিজ কর্তব্য ও দায়িত্বের প্রতি সজাগ থাকে। বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাসে ০৯-৩-১৯৭১ তারিখটি বিচার বিভাগের জন্য গৌরবোজ্জ্বল মাইলফলক হয়ে থাকবে।

কারণ, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পরম শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তিত্ব বিচারপতি বি এ সিদ্দিকী যদি পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে কুখ্যাত জেনারেল টিক্কা খানের শপথ গ্রহণ প্রত্যাখ্যান না করতেন, তবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিখতে আরো বেশি রক্তের প্রয়োজন হতো। তৎকালীন প্রধান বিচারপতির ভূমিকা স্বাধীনতা আন্দোলনকে যেমন ত্বরান্বিত করেছে, তেমনি বিচার বিভাগের সম্মানকেও করেছে গৌরবোজ্জ্বল। তবে বিচার বিভাগের কলঙ্কজনক ইতিহাসও রয়েছে, যার গণিত পরিমাণ কম নয়। আইনজীবীরা বিচারপতিদের প্রতি মাথা ঝুঁকিয়ে MY LORD বলে সম্বোধন করেন। বাংলা একাডেমি সম্পাদিত অভিধানে ‘LORD’ শব্দের অর্থ করা হয়েছে- (১) স্রষ্টা বা সৃষ্টিকর্তা, (২) সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি ও (৩) সর্বময় কর্তা প্রভৃতি। (সূত্র : পৃষ্ঠা ৪৫২)।

বিরোধী দলের বিরুদ্ধে গণহারে প্রতি থানায় সিরিজ আকারে গায়েবি মামলা হচ্ছে সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালের প্রথম দিন থেকেই; যার মধ্যে মৃত, হজ পালনের জন্য বা অন্য কোনো কারণে বিদেশে অবস্থানকারী মানুষও বাদ যাননি। বিকৃত রুচির ধর্ষকেরা যেমন বয়সের বাছ-বিচার করে না, তেমনি ৮৫-৯০ বছরের বৃদ্ধ, যারা দীর্ঘ দিন রোগশয্যায় মৃত্যুর দিন গুনছেন, তারাও গায়েবি বোমা মামলার আসামি থেকে বাদ পড়েননি। দৃশ্যত মনে হচ্ছে, মৃত ব্যক্তি যাদের কেউ কঙ্কালে পরিণত হয়েছেন, তারাও গোরস্থান থেকে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ বা অপসারণ চায়, মক্কা শরিফে গিয়েও সরকারের পতন কামনা করেছে- নতুবা তারা কেন নাশকতার পরিকল্পনা মামলার আসামি হবেন?

পুলিশের যিনি সর্বময় কর্তা, তিনি একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি। পিএইচডিধারী একজন রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তার নেতৃত্বাধীন পুলিশ বাহিনীর সত্যের অপলাপ এত নিম্নস্তরের হবে তা কল্পনা করলে ‘শিক্ষার’ প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কি জাগ্রত হয়? মামলার আসামি করলেও পুলিশের লাভ, ধরলেও লাভ, ছাড়লেও লাভ, রিমান্ডে নিতে পারলে আরো বেশি লাভ, ক্রসফায়ারের ভয়ে কাবু করতে পারলে আরো অধিকতর লাভ, অধিকন্তু রয়েছে হাইকোর্ট কর্তৃক জামিন লাভের পর একটার পর একটা জেলগেটে গ্রেফতার-বাণিজ্য, যা খুবই মুনাফাভিত্তিক। সরকারি দলের নেতাদের পেট ভরাতে দেশের কোনো কোনো ব্যাংক লোপাট হলেও, মামলাসংক্রান্ত ব্যবসায় জনগণের নাভিশ্বাস উঠলেও সুখ-শান্তি সগৌরবে মেডেল পাওয়ায় পোশাকি বা সাদা পোশাকিদের লাভ আর লাভ। বিষয়টি সম্প্রতি ফলাও করে পত্রিকায় ছাপা হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন সভায় বক্তৃতায় অভিযোগ এনেছে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হচ্ছে নিয়মিত। কিন্তু গোটা বিশ্ব সরকার বিরোধীদের ওপর সরকারের দমন নীতির জনগণের আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছে।

উল্লিখিত গায়েবি মামলাগুলো বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪-এর ১৫(৩) ধারা এবং ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উৎপাদন আইনের ৩/৪ ধারায় রুজু করা হয়েছে এবং হচ্ছে, যার শাস্তির সর্বোচ্চ বিধান করা হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। আসামি করা হয়েছে বিছানা থেকে উঠতে পারেন না সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী ব্যরিস্টার আমিনুল হক, সিনিয়র অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন, আ: রেজেক খানসহ সিনিয়র নাগরিকদের; যাদের এ দেশ ও জাতি গঠনে ব্যাপক ভূমিকা ও অবদান রয়েছে। শেখ হাসিনা বিনা ভোটে একতরফা নির্বাচনে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য যারা যারা প্রতিবন্ধক হতে পারে (গ্রাম ও ওয়ার্ড থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত) সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে, যাতে করে নির্বাচনকালীন সময়ে এসব ব্যক্তির রাষ্ট্রীয় অতিথির মতো জেলখানায় বসে সরকারি খরচে তিন বেলা খেতে হয়। অনেক প্রধান বিচারপতিই মামলার জট কমিয়ে আনার যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, আরো অধিক বিচারপতি নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন, আইনমন্ত্রী গলদধর্ম হয়ে কোর্টের একোমোডেশনের জন্য হন্যে হয়ে পড়েছেন। শেখ হাসিনা সরকারকে আবারো বিনা ভোটে পুনর্নির্বাচনের জন্য এত মিথ্যা ও মিথ্যার বাতাবরণের জন্য আইন-আদালতকে জবাবদিহিতায় ফেলে লাভ কী? বাকশাল গঠন অর্থাৎ একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করার জন্য সংবিধানে পুনরায় একটি সংশোধনী আনলেই তো রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে এত নাটকের আর দরকার হয় না। এখন সংশোধনী আনতে এত লজ্জা কেন? শেখ হাসিনা সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে নাশকতার এত নাটক মঞ্চস্থ করল, তার জবাবদিহিতা থেকে ভবিষ্যতে রক্ষা পাবে কিভাবে? ‘নিষ্ঠুর’ প্রকৃতি কি তাদের এই গায়েবি মিথ্যা নাটকের জবাব নেবে না?

দায়িত্ব ও কর্তব্যের দায় নিয়েই মানুষের জীবন এবং এ কারণে কেউ জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়। প্রকৃতির কাছে সবাইকেই জবাব দিতে হয়। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নিজেকে সরকারি ঘরানার ঘনিষ্ঠতা ও আনুগত্য প্রকাশে কোনো কৃপণতা করেননি। তারপরও প্রকৃতি বা নিয়তি তাকে ক্ষমা করেনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মামলায় জড়িতদের (সরকারের প্রতিপক্ষ) বিচার পাওয়ার অধিকার অনেকাংশেই তিনি সঙ্কুচিত করেছেন। যখন নিজেদের ওপর (অর্থাৎ বিচারপতিদের অপসারণ ও আদালত অবমাননা সম্পর্কিত) আঘাত এসেছে, তখনই ঘুরে দাঁড়ানোর মানসিকতা প্রদর্শন করেছেন, কিন্তু এর আগে সরকারবিরোধীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনা সরকার যে দমনপীড়ন নীতি প্রয়োগ করেছে, তা প্রতিরোধে আইনি কোনো ভূমিকা তিনি রাখেননি, তারপরও কি তিনি নিজ পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পেরেছেন? একজন প্রধান বিচারপতিকে কতটুকু পর্যন্ত অসম্মান করা যায়, তা-ও বর্তমান সরকার দেখিয়ে দিয়েছে, তাই নয় কি? ঘুরেফিরে অসহায় মানুষের মুখে একটি কথা উচ্চারিত হয় তা হলো- ‘আদালতই মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল।’ সরকারের নির্দেশনায় রাষ্ট্রীয় অর্থে লালিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মিথ্যা মামলা, হামলা, গুম, খুনের ভাগাড়ে মানুষ যখন নিমজ্জিত হতে থাকে তখন আশ্রয়স্থলে যদি আশ্রয় না পাওয়া যায়, তবে এ স্বাধীন দেশের নাগরিকেরা যাবে কোথায়? জনগণের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সংবিধান যে নিশ্চয়তা প্রদান করেছে, তার বাস্তব প্রতিফলন কি হবে না? সংবিধানকে প্রটেকশন দেয়ার দায়িত্ব কার?

প্রধান বিচারপতির কাছে সরাসরি অভিযোগ দায়ের করার রেওয়াজ বা নজির পৃথিবীতে রয়েছে। একজন কিশোরী ভারতের প্রধান বিচারপতিকে পোস্ট কার্ডে একটি চিঠি দিয়েছিল, সে চিঠি আমলে নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছিল- এ কথা প্রধান বিচারপতি নিশ্চয়ই জানেন। সরকার আইন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করায় দেশে পুলিশি রামরাজত্বের অবসান হবে কি না জানি না। তবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এ মর্মে জনগণকে রক্ষা করার কোনো কর্তব্য ও দায়িত্ব যদি থেকে থাকে প্রধান বিচারপতির, যিনি সংবিধানকে প্রটেকশন করাসহ ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য শপথ গ্রহণ করেছেন এবং সর্বপ্রকার ভয়ভীতি, অনুরাগ ব্যতিরেকে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের শপথও তার রয়েছে। সংবিধান ও আইন দিয়ে যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত ও ক্ষমতাবান। এ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের ভার বিচারপতিদের ওপরও পড়ে।

লেখক : কলামিস্ট ও আইনজীবী (আপিল বিভাগ)
E-mail: taimuralamkhandaker@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
নওগাঁয় ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় শিক্ষকের কারাদণ্ড চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে বোরকা ও নেকাব নিষিদ্ধ দলীয় প্রতীক না থাকায় নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়ার আশা উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে কুপিয়ে হত্যা মেট্রোরেলের জন্য ৫ বছরে ৫৭ হাজার কোটি টাকা চায় সড়ক বিভাগ সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতির অভিযোগ শ্রমিক নেতাদের সাজেকে ট্রাক উল্টে নিহত ৬ জাজিরায় আ’লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ জেল থেকে বেরিয়ে ফের শিশুপর্নোতে জড়ালেন শিশুসাহিত্যিক টিপু ঢাকাসহ জেলায় জেলায় ইসতিসকার নামাজে বৃষ্টি চেয়ে দোয়া হজ ব্যবস্থাপনায় প্রতিবন্ধকতা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

সকল