২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পয়েন্ট অব নো রিটার্ন

পয়েন্ট অব নো রিটার্ন - ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ অস্থির রাজনীতির দেশ। এখানকার রাজনৈতিক আবহাওয়া প্রায় সবসময় উথাল-পাথাল থাকে। আর এখন যে সঙ্কট লক্ষ করা যাচ্ছে এবং তা যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তাতে মনে হয় পরিস্থিতি পয়েন্ট অব নো রিটার্ন পর্যায়ে চলে গেছে। এই পরিস্থিতি থেকে রাজনীতিকে ফিরিয়ে আনার কোনো উদ্যোগ কি আসলেই অসম্ভব? এমন এক অবস্থায় সবাইকে সংলাপে অংশ নিয়ে অবস্থা অবশ্য স্বাভাবিক করার পথও সহজ নয়। জাতীয় সংলাপের আয়োজন করে রাজনৈতিক আইনে বিরাজিত মতপার্থক্যগুলো দূর করার প্রস্তাব অনেক আগেই করা হয়েছিল। কিন্তু সে প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য হয়নি। তা ছাড়া দেশের বিরাজমান সঙ্কটে মধ্যস্থতা করার মতো কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ অথবা এমন সংগঠন বর্তমানে নেই। দেশে একটি সুশীলসমাজ রয়েছে বটে, কিন্তু সব মহলে নেই তাদের গ্রহণযোগ্যতা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা তাই শঙ্কিত হয়ে উঠছেন, রাজনীতির বদ্ধতা কিভাবে কাটবে।

সবচেয়ে বড় ভয়, মতপার্থক্যজনিত কারণে অসহিষ্ণুতা থেকে আমরা না আবার পরস্পর সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়ি। রাজনীতির পাত্র-মিত্রদের সে রকম মনোভাব এখন প্রাধান্য পাচ্ছে। আমরা যদি বিশেষ করে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিকে অগ্রাহ্য করি, তা হলে পরিণতি নিয়ে দায়বদ্ধ থাকতে হবে। এমন অবস্থার যেন উদ্ভব না হয় যে, আমরা আলোচনা করে নিষ্পত্তিতে পৌঁছতে না পারার ফলে পরিস্থিতি হিংসাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। তবে আন্তর্জাতিক সমাজ হয়তো মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসবে। কিন্তু এমন অবস্থার যদি সৃষ্টি হয় তা হবে গোটা জাতির জন্য লজ্জার বিষয়। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে যতটুকু অর্জন করেছে তার সব কিছু তখন ধুয়ে মুছে যাবে। স্বাধীনতার পর থেকে অনেক কিছু আমরা অর্জন করেছি। কিন্তু নিজেদের অযোগ্যতার কারণে তার বেশির ভাগই হারিয়ে গেছে। আর এ কারণে আমাদের সমস্যার কোনো শেষ নেই, সাঁতার কেটে চলছি কিন্তু কোনো কূলে উঠতে পারছি না। আমরা কি সমস্যার এই অচলায়তন কোনোভাবে ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারি না?

শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয় নিয়েই আমরা আটকে আছি। অথচ দেশের তাবৎ সমস্যা একে একে স্তূপীকৃত হয়ে উঠছে। নির্বাহী বিভাগ থেকে সজোরে বলা হচ্ছে, আমরা উন্নতি করছি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এখন যারা ক্ষমতাসীন এবং তাদের আশপাশের লোক, তাদেরই তরক্কি হচ্ছে হয়তো। দেশে সামগ্রিক অগ্রগতি হচ্ছে না। ‘উন্নতি’ কথাটির মধ্যে সামগ্রিকতা নেই। অথচ এখন দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রয়োজন। শান্তি, স্বস্তি, সচ্ছলতা, শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তার সমন্বয়েই প্রকৃত অগ্রগতি। হলফ করে কেউ কি বলতে পারবেন যে, দেশে এখন শান্তিশৃঙ্খলা স্বস্তি বজায় রয়েছে এবং সাধারণ মানুষ বৈষম্যের শিকার হচ্ছে না। আমাদের সংবিধান সব বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার। অথচ পত্রপত্রিকায় অসংখ্য খবর দেখা যায় যে, মানুষ নানাভাবে প্রশাসনের এবং ক্ষমতাশালী মহলের কাছ থেকে বৈষম্যের শিকার হয়ে মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যাদের বিষয়টি দেখার কথা, তাদের এ ব্যাপারে কোনো খেয়াল নেই। বিভিন্ন স্থানে খুন, গুম হওয়ার খবর প্রতিনিয়ত আসছে।

জীবনের নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার নেই। এ নিয়ে দেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছে। যাদের এ বিষয়গুলো শোনার এবং এর প্রতিবিধান করা দায়িত্ব, মনে হয় তারা যেন কানে তুলা দিয়ে আর চোখ বুজে আছেন। প্রশাসনের এই স্থবিরতা কোনোভাবেই কাটছে না। আরো উদ্বেগের বিষয় যে, প্রশাসন এখন রাষ্ট্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী না হয়ে ‘সরকারের কর্মচারী’ হয়ে উঠেছে। তাদের আচার-আচরণে এবং দৃষ্টিভঙ্গিতে রাজনীতির প্রভাব প্রকট। সাধারণ মানুষ বহু ক্ষেত্রেই এখন তাদের কাছ থেকে নিরপেক্ষ আচরণ পান না। তাদের স্বাধীন মত পোষণের অধিকার খর্ব হচ্ছে। এটা সুশাসনের অভাবকেই প্রমাণ করে। দেশের মূল শক্তি সাধারণ মানুষ, তা যেন এখন ভুলে যাওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মতামত এবং তাদের আকাক্সক্ষার প্রাধান্য পাওয়া বস্তুত সুশাসনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। আর রাষ্ট্রের মৌলিক নীতিই হওয়া উচিত মানুষের কল্যাণ। প্রজাতন্ত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই নীতির আলোকেই কাজ করতে হবে। তাদের কোনো দলের প্রতি আনুগত্য থাকতে পারে। কিন্তু প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে যখন তারা দায়িত্ব পালন করবেন, তখন অবশ্যই তাদের এই আনুগত্যের কথা ভুলে যেতে হবে। আর কোথাও না হোক, তাদের বিবেকের কাছে এ জন্য জবাবদিহি করতে হবে। আমলাদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কথা বলা হয়েছে। এমন ভূরি ভূরি নজির রয়েছে যে, নির্বাচনের সময় তারা দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করে থাকেন।

রাজনীতি ও আমলাতন্ত্র দুটোর অবস্থান পরস্পর থেকে দূরে হওয়া উচিত, কিন্তু এখন তা একাকার হয়ে যাওয়ার দশা হয়েছে। এমন অভিযোগ রয়েছে যে, সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। রাজনৈতিক পরিচয়ে বেছে বেছে নিয়োগের কথা শোনা যায়। যদি এ অভিযোগ সঠিক হয়, তবে প্রশাসনে মেধাবীদের প্রবেশ তো বন্ধ হয়ে যাবে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে প্রশাসনের দক্ষতা হ্রাস পাবে। আমলাতন্ত্র যদি দুর্বল হয়ে পড়ে, এর প্রভাব রাষ্ট্রযন্ত্রকে দুর্বল করে ফেলবে। মেধাবীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সরকারের নীতি আপসহীন হওয়া উচিত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে। ছাত্রসমাজ আন্দোলন করছে সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাপ্রথা সংস্কার করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগব্যবস্থাকে বিন্যস্ত করার জন্য। আন্দোলনের মুখে প্রথমে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের ব্যাপারে সরকারি আশ্বাস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এখন মনে হয় সে অবস্থান থেকে পিছু হটা হয়েছে। বিষয়টি তেমন জটিল নয় কিন্তু সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। এতে দেশের শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে হামলা মামলা হচ্ছে।

এই আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল শিক্ষকেরা সরকারি দলের সমর্থক ছাত্রদের দ্বারা নাজেহাল হচ্ছেন। লক্ষ করা যায়, দেশে ছাত্রদের যে বিভিন্ন আন্দোলন অতীতে হয়েছে, তাদের নিজস্ব কোনো ইস্যুতে ছিল না। রাজনীতি ছিল সে আন্দোলনের উপজীব্য। সাম্প্রতিককালে ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটা ছাত্রদের নিজস্ব বিষয় তো বটেই, তদুপরি এর সাথে রাষ্ট্রীয় একটি মৌলিক নীতির সম্পর্ক রয়েছে। তাই সব মহল থেকেই তাদের সাধুবাদ জানানো উচিত ছিল। কিন্তু ঘটেছে এর উল্টো। কোটা আন্দোলন যদি বিফল হয় তবে এতে শুধু মেধাবী ছাত্ররাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, রাষ্ট্র এর ফলে প্রশাসনে মেধাবী কর্মী চয়নে বিফল হবে।

সরকারপ্রধান দেশের উন্নতির কথা বলে থাকেন। হ্যাঁ, দেশটি ছোট বটে, যেখানে ১৬ কোটির ওপর মানুষের বসবাস, কৃষি জমির পরিমাণ কম, কোটি মানুষ বেকার, বিরূপ প্রকৃতি- এত সমস্যার পরেও আমরা অগ্রগতির কথা বলতে পারি। তা বিলাসিতা হবে না যদি সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে এবং দুর্নীতিমুক্ত হয়ে ন্যূনতম বিষয়ে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে কঠোর পরিশ্রম করি। তখন আমরা শান্তি সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যের দুয়ারে পৌঁছাতে পারব।

যদি আমাদের নেতৃত্ব সব ক্ষুদ্রতা সঙ্কীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে। বিভেদ বিভাজন দূর করে জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাতে এবং জাতির আস্থা অর্জন করতে পারেন, তবে অবশ্যই অগ্রগতি হতে পারে। রাজনৈতিক প্রশ্নে বিভেদ বিভক্তি থাকতে পারে, কিন্তু জাতীয় প্রশ্নে ঐক্য অপরিহার্য। আজ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে বিভাজন সৃষ্টি হয়ে আছে। দেশে জাতীয় নির্বাচন কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় হবে, তা নিয়ে মতের বিরাট দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সৎযুক্তিও এখন গ্রহণ করা হচ্ছে না। অবস্থা যদি এমনই হয়, তবে পারস্পরিক দূরত্ব দূরীভূত হবে কিভাবে? এখন জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে যে সঙ্কট তা বজায় রেখে আমরা অগ্রগতির পথে অগ্রসর হবো কেমন করে? এই সঙ্কট নিয়ে দেশ তো দীর্ঘপথ অতিক্রম করছে। এখন ঐক্যের সন্ধানে আর কত দূর যেতে হবে? যেসব নেতৃত্বের অসহযোগিতায় দিন দিন বিভাজন বাড়ছে, আর উন্নয়ন পিছু হটছে, এই জনপদে দুঃখ-কষ্ট নিয়ে বসবাসকারী কোটি কোটি মানুষের কাছে আমাদের এই নেতারা কি জবাব দেবেন? অথচ এ দেশের মানুষ সংগ্রামী, তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিশ্রমের স্বাক্ষর রেখেছে। এই অঞ্চল বিপুল খাদ্য ঘাটতির এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ছিল। তা আজ স্বনির্ভর। তাই এখানে অগ্রগতির আশা করা অবাস্তব নয়।

শুধু জাতীয় ঐক্য নির্মাণের ক্ষেত্রেই আমাদের নেতাদের একাংশ ব্যর্থ হননি। পৃথিবীর দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় আমাদের নাম শীর্ষপর্যায়ে। এই কলঙ্ক আমরা ঢাকব কিভাবে? দেশে এমন কোনো সরকারি, আধা সরকারি, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে এখন দুর্নীতি নেই। দুর্নীতিতে ছেয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে এখন জাতীয় কল্যাণ ও অগ্রগতির জন্য কাজ করা কিভাবে সম্ভব?

দুর্নীতির প্রধান কারণ, রাষ্ট্রীয়ব্যবস্থায় আজ আর কোনো জবাবদিহিতা নেই। সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় জাতীয় পার্লামেন্ট সরকারের জবাবদিহি নিয়ে থাকে। সেই জাতীয় সংসদের গঠন প্রক্রিয়ায় ত্রুটি থাকার কারণে এর পক্ষে তাদের দায়িত্ব পালন করা আদৌ সম্ভব নয়। যে সমাজ দুর্নীতিতে ছেয়ে থাকে, সেখানে উন্নয়ন বা অগ্রগতির চিন্তা বাতুলতা মাত্র। দুর্নীতির অবসানের জন্য কার্যকর উদ্যোগ আয়োজন বা পরিকল্পনার কথা শোনা যায় না। প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতা খুললেই দেখা যায়, দুর্নীতি আর অনিয়মের অনেক খবর। একটি সুখবরও পত্রিকার পাতায় খুঁজে পাওয়া যায় না। সরকারপ্রধান নিশ্চয়ই এটা জানেন যে, অগ্রগতির সাথে গণতন্ত্র ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই তাকে গণতন্ত্রের জন্যও কাজ করতে হবে। তাহলে তার উন্নয়নের আশা পূরণ হওয়া সম্ভব।
নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসবে, তার সাথে তাল মিলিয়ে পরিস্থিতি এর অনুকূল হয়ে উঠুক- এই কামনা সবার। এই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আজকের তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচন যদি সুষ্ঠুভাবে হতে পারে, তবে আশার সৃষ্টি হবে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে। সিটি নির্বাচনের প্রচারাভিযান শুরু হলে বিভিন্নপর্যায়ে নানা অনিয়মের এবং বিএনপি প্রার্থীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না বলে অভিযোগ এসেছে তিনটি সিটি থেকেই। সরকারের সাথে ভিন্ন মত পোষণকারীদের প্রতি ক্ষমতাসীনেরা বিরাগ থাকতে পারে। কিন্তু প্রজাতন্ত্র তো তা করতে পারবে না। বিভেদের মধ্যেই ঐক্য খুঁজতে হবে। আর একটি দেশে সবাই একই রকম চিন্তা করবে বলে আশা করা যায় না। বহু মত বহু পথ থাকবে- এটাই গণতন্ত্র। কিন্তু আজ আমরা গণতন্ত্র নিয়ে মহাসঙ্কটে রয়েছি। বহু মত ধারণ করার যে গণতান্ত্রিক অধিকার তা হুমকির মুখে। আর এ কারণে ভিন্নমত পোষণকারীদের প্রতি ক্ষুব্ধ ক্ষমতাসীনেরা। ভুলে যাওয়া উচিত নয়, কেউই চিরদিন ক্ষমতাসীন থাকতে পারবে না। ক্ষমতাসীনরাও কোনো একসময় ভিন্ন মত পোষণকারীদের কাতারে যাবেন। তখন তারাও বৈষম্যের শিকার হতে পারেন। তাই ক্ষমতায় থাকাকালে ভিন্ন মত পোষণকারীদের প্রতি গণতান্ত্রিক আচরণ করে উদাহরণ সৃষ্টি করা দরকার, যাতে একে ভবিষ্যতে নজির হিসেবে পেশ করা যেতে পারে। ভিন্ন মতের সাথে সহাবস্থান করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement