২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

জাপানি গুরু আশাহারার ফাঁসি

জাপানি গুরু আশাহারার ফাঁসি - ছবি : সংগ্রহ

জাপানের ‘ওম শিনরিকিও’ গুরু শোকো আশাহারা বিশেষ ধর্মীয় মতবাদের জন্ম দিয়ে জাপান ও বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। জাপানে ধর্মবিশ্বাসীদের সংখ্যা কম। বস্তবাদী জীবনের প্রতি একসময়ে অনীহা দেখা দেয়ায় সেখানে আত্মহত্যার হারও বেশি। এই শ্রেণীর কাছে পরকাল, শেষ বিচার, সৃষ্টিকর্তা এসব বিষয় উপস্থাপন করায় অনেকে আশোহারার দলে ভিড় জমায়। তাকে আর্থিক সহায়তা দিতে থাকে। একসময় বিত্তে ও চিত্তে আশাহারা বলীয়ান হয়ে ওঠেন।
কিন্তু মানবতা ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ করায় তিনি হয়ে পড়েন ধিকৃত। তাকে ৬ জুলাই ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলতে হলেও হাজার হাজার জাপানিরা তার জন্য বিলাপ করছেন। আশাহারার সাথে ছয়জন সহযোগীকেও ফাঁসিতে ঝুলতে হয়েছে।

২০ মার্চ, ১৯৯৫ সালে জাপানের পাতাল রেলে বিষাক্ত সোরিন গ্যাস আক্রমণের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আদালত ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে আশাহারাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেন। গ্যাসে ১৩ জন মৃত্যুবরণ করে ও ছয় হাজার মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে, এর মধ্যে এক হাজার দীর্ঘ দিন কষ্ট ভোগ করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান নাৎসিরা এ মারাত্মক গ্যাস আবিষ্কার করেছিল। ওম শিনরিকিওর পাঁচ সদস্য ব্যস্ত সকালে জাপানের সাবওয়েতে সার্জিক্যাল মাস্ক পরে দ্রুত বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। তাদের প্রত্যেকের হাতে ছিল খবরের কাগজে লুকানো এক লিটার পরিমাণ তরল সেরিন গ্যাসের প্যাকেট। এর একটি ফোঁটাও মারাত্মক পরিণতির জন্য যথেষ্ট।

সাবওয়েতে হামলার পর জাপানি কর্তৃপক্ষ ওম শিনরিকিও গ্রুপের ওপর নজরদারি বাড়িয়ে সে দেয়। আশাহারার বিরুদ্ধে খুন ও হত্যার ১৩টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগও পাওয়া যায়। তাকে আরো কিছু অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হলো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ১৯৯৪ সালে জাপানের মাৎসুমোতো শহরে আরো একটি গ্যাস হামলায় আটজনের মৃত্যু। প্রথম বিচার পর্ব আট বছর ধরে চলে। বিচারকালে আশাহারা বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করত যার কোনো অর্থ খুঁজে পাওয়া যেত না। রায় ঘোষণার পর আশাহারার কৌঁসুলি দাবি করেন, দীর্ঘ দিন অন্তরীণ থাকার ফলে তার মস্তিক কাজ করছে না এবং মানসিক চাপের কারণে তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। ওই মামলায় একই সাথে শিনরিকিওর আরো ১১ জন সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

১৯৫৫ সালের মার্চে বাবার সপ্তম সন্তান হিসেবে আশাহারা জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রায় অন্ধ, খুব অল্প দেখতেন। ১৯৭৭ সালে বিশেষ বিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করলেও রেজাল্ট ভালো না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ব্যর্থ হন। পরে তিনি আকুপাংচার ও চীনা মেডিসিনের কেরিয়ার গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।

একপর্যায়ে আধ্যাত্মিক বিষয়ে জড়িয়ে পড়ে বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন ধ্যানের বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে থাকেন। তিনি তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্ম ও অতিপ্রাকৃত বিষয়গুলোয় গভীরভাবে অধ্যয়নের প্রচেষ্টা চালান। তাও জ্যোতির্বিদ্যা ও ধর্ম নিয়েও পড়ালেখা করেন। একই সাথে মহাপ্রলয় বা কেয়ামতের বিষয়গুলো সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করেন। ১৯৮৭ সালে হিমালয়ে তীর্থ যাত্রায় আসেন আশাহারা। তার আসল নাম সিজু মাৎসুমোসো, হিমালয়ে এসে নাম পাল্টিয়ে শোকো আশাহারা হলেন। ওই বছর তিনি একটি আধ্যাত্মিক দল গঠন করে নাম দেন ওম শিনরিকিও। ওম হিন্দুদের একটি পবিত্র ও নিদর্শন। ‘শিনরিকিও’ অর্থ চূড়ান্ত সত্য। স্বামী বিবেকানন্দ ‘ওম’কে ব্রহ্মাণ্ডের ও ঈশ্বরের প্রতীক বলেছেন। ‘ওম’ জপ ও ধ্যানের মাধ্যমে শান্তি আসে বলে হিন্দুরা বিশ্বাস করেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও যোগ ব্যায়ামও ‘ওম’ শব্দ দিয়ে শুরু করা হয়।

আশাহার হিন্দু দেবতা শিবের পুনর্জন্মগ্রহণকারী মানবদেবতা বলে নিজেকে দাবি করেছিলেন। তিনি শিষ্যদের ‘মুক্তির মহাসনদ’ দিতেন। একই সাথে তিনি বজ্রায়ন পাণ্ডুলিপি পাঠ শুনতেন এবং বাইবেল রপ্ত করতেন। ১৯৯২ সালে তিনি নিজেকে পুনর্জন্মগ্রহণকারী খ্রিষ্ট হিসেবেও প্রচার করেছেন।
আশাহারা হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের আধ্যাত্মিক বিষয়গুলো সংমিশ্রণ করে একটা ‘ককটেল মতবাদ’ তৈরি করে প্রচার শুরু করে দেন। ১৬ শতাব্দীর খ্রিষ্টান পাদ্রি নস্ট্ররাডামাসের বাণীগুলো যেখানে মহাস্রষ্টার প্রেরিত পুরুষ সম্পর্কে বক্তব্য রয়েছে সেগুলোও তিনি শিষ্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে থাকেন। ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি আশাহারার মতাদর্শ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এর মধ্যে তার শিষ্যসংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। অন্যান্য দেশেও তার কথিত মতাদর্শ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বেশি শিষ্যত্ব গ্রহণ করে রাশিয়ার লোকজন। সেখানে তার শিষ্য ছিল ৩০ হাজার। আশাহার ঘোষণা দেন- অচিরেই বিশ্বযুদ্ধ ও শয়তানি চক্রে নিপতিত হয়ে বিশ্বের জনগণ দারুণ দুর্ভোগের শিকার হবে এবং শুধু তার শিষ্যরাই বেঁচে যাবে।

আশাহারা আরো প্রচার করেন যে, তিনি বাতাসে ভেসে বেড়াতে সক্ষম এবং টেলিপ্যাথি জানেন। অর্থের বিনিময়ে শিষ্যরা তার গোসল করা পানি পান করত, এমনকি রক্তও পান করত। শিষ্যদের দিয়ে তিনি নিজের রক্ত পান করাতেন। জাপানের সবখানে ওম শিনরিকিওর বাণী ছড়িয়ে পড়ে। আশাহারা কথিত ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে, মহাবিশ্বের দশমগ্রহ পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে ভূমিকম্প ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হবে মানবসভ্যতার ধ্বংস বয়ে আনবে। উল্লেখ্য, বিজ্ঞানীরাও মাঝে-মধ্যে মহাকাশ ও ভূমণ্ডল নিয়ে এ জাতীয় কথা বলে থাকেন। এসব চমকপ্রদ বিষয় জাপানের শিক্ষিত ও ধনী জনগোষ্ঠীকে দারুণ আকৃষ্ট করে। ওই সময় ১৯৯০ সালে, শিষ্যদের নিয়ে জাপানের রাজনৈতিক বলয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে অবশ্য তিনি বিফল হন। জাপানি নির্বাচনে ওম শিনরিকিও চক্রের ফলাফল ছিল লজ্জাজনক।

ওম শিনরিকিও প্রথমে যোগ ব্যায়ামের স্কুল হিসেবে যাত্রা করে ১৯৮৭ সালে। সবাইকে ঢালাওভাবে সদস্যপদ বা শিষ্যত্ব প্রদান করা হতো না। ভালো লেখাপড়া জানা শিক্ষিত ও বিত্তবানেরা সদস্যপদ পেতেন। সাবওয়েতে আক্রমণের পর গোয়েন্দা সংস্থা জানতে সক্ষম হয় যে, ১৯৯০ সালের শুরুর দিকে ওম শিনরিকিও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি ও কেনার চেষ্টা করেছিল। সিআইএ জানায় যে, আণবিক বোমা তৈরির প্রাথমিক উপায়-উপকরণ সংগ্রহের নীলনকশাও ওরা সম্পন্ন করে। আশাহারা এ কাজে সফল হলে জাপানের শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করত মর্মে জাপানি গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন। আশাহারার দলে কেউ সদস্য হওয়ার পর কোনো কারণেই দল ত্যাগ করতে পারত না। তাহলে ওদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হতো। ওম শিনরিকিওর নীতি-আদর্শবিরোধী এক আইনজীবী ও তার পরিবারকে হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। শিষ্যত্ব গ্রহণের পর বিরোধীদের হত্যা করা যেন ছিল সাধারণ পদক্ষেপ। সাধারণত মোটর এক্সিডেন্টের মাধ্যমে বিরোধীদের হত্যা করা হতো। ১৯৯৫-এ টোকিওর পাতাল রেলে আক্রমণের পরেই আশাহারা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর লিড সংবাদে পরিণত হন।

জাপানে আরো অনেক ধর্মীয়, তাত্ত্বিক, তান্ত্রিক ও আধ্যাত্মিক দল রয়েছে। তাদের মোট সদস্য সংখ্যা দুই লাখের কম নয়। নামকরা সংগঠন হলো- হো-নো-হানা সাম্পিউগ্য, যাদের পোশাকি নাম হলো ‘পায়ের গুরু’, কেননা পায়ের পাতা দেখে সংগঠনের গুরুরা ভবিষ্যদ্বাণী করত। এ দলের নেতা, হোজেন ফুকোনাগা। তাদের মতে, যেসব লোকের পায়ের আঙুল ‘সঠিক’ নয়, তাদের প্রচুর অর্থের বিনিময়ে ‘স্বর্গের শক্তি’ গ্রহণ করতে হবে। জাপানিরা আধ্যাত্মিক উৎকর্ষের জন্য শিন্টো, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মমত অনুসারে বিবিধ ক্রিয়াকর্ম ও যজ্ঞ পালন করে। তবুও অনেকে পরিতৃপ্ত হতে না পেরে বিভিন্ন আধ্যাত্মবাদ খুঁজে বেড়ায়। এ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী প্রচলিত বিভিন্ন ধর্মমতের আচার-অনুষ্ঠান ও লোকজ বিশ্বাসকে একত্র করে প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করার চেষ্টা চালায়।
১৯৮৪ সালে টোকিওতে আশাহারা একটি ক্ষুদ্র ধর্মগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তারো তাকিমতু ওম বিরোধী এক আইনজ্ঞ। তিনি বিবিসির সাথে সাক্ষাৎকারে জানান সমাজের কিছু অসৎ চরিত্রের লোক ওম দলে ভিড়ে বিশ্বকে আরো ‘সুন্দর’ করার প্রতিজ্ঞা নেয়। তিনি পরে ওম সদস্যদের দ্বারা খুন হন। ফুমিহিরো জো দলের নতুন নেতা হওয়ার পর ঘোষণা দেন, আশাহারার দর্শনের যেসব মারাত্মক ও ক্ষতিকর দিক রয়েছে সেগুলো তারা ত্যাগ করবেন; তা সত্ত্বেও তিনি আশাহারাকে ‘ধ্যানের রাজগুরু’ মনে করতেন। সরকার এসব মতবাদকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। জাপান পাবলিক সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (পিএসআইএ) মতে ওম সদস্যরা একমাত্র আশাহারাকেই নেতা মনে করে। ১৯৯৫ সালে সদস্য কয়েক হাজার হলেও সেরিন গ্যাস আক্রমণের পর আস্তে আস্তে সংখ্যা কমতে থাকে।

তবে আশাহারার রায় কার্যকর না হওয়ায় লোকজন আবারো তার দলে ভিড়তে থাকে। তারা বিশ্বাস করতে থাকে, আশাহারা কোনো এক অলৌকিক কারণে ফাঁসির মঞ্চ থেকে উড়ে যাবেন। দেশব্যাপী আবার ওম গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে থাকে এবং উত্তর কোরিয়া জাপানে পরমাণু হামলা চালিয়ে সব ধ্বংস করে দেবে- এমন বিশ্বাস জাপানিদের মনে দানা বাঁধতে শুরু করে। তারা ভাবতে থাকে শোকো আশাহারার বাণী সঠিক। এ অবস্থায় সরকার ২২ বছর পরে হলেও ফাঁসি কার্যকর করেছে এবার।

জাপানি সাংবাদিক শোকো এগওয়া মনে করেন যে, তান্ত্রিক দল ওম শিনরিকিও জাপানে কোনো বড় হামলা চালাতে পারবে না। এ তান্ত্রিক দল ও তাদের ‘মতাদর্শ’ নিয়ে তিনি বই লিখেছেন। তিনি জাপানের বর্তমান সমাজকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করেছেন। এই সাংবাদিক সমাজের অস্থিরতার বিষয়গুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানান। এর একটি বড় বিষয় হলো, স্রষ্টা ও পরকাল। সমাজের অস্থিরতার জন্য তিনি অত্যাধুনিক ও যান্ত্রিক সভ্যতাকে দায়ী করেছেন। যা ইচ্ছে তা করার অবাধ স্বাধীনতা আর মনোবাসনা নিয়ন্ত্রণ করাসহ সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। শারীরিক সুখ গ্রহণ করতে করতে একসময় বীতশ্রদ্ধ হয়ে জাপানি আত্মহনন করছে। পরকাল আছে কি না, আত্মার শান্তির উৎস কী, এসব তারা এখন হন্য হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব, বাংলাদেশ সরকার ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement
এবারের আইপিএলে কমলা ও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে কারা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে : রিজভী রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য

সকল