২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফেরাতে হবে অর্জনগুলোকে

ফেরাতে হবে অর্জনগুলোকে - ছবি : সংগৃহীত

স্বাধীনতা লাভসহ গত প্রায় ৫০ বছরে বাংলাদেশ অনেক কিছু অর্জন করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, এসব অর্জনের পরও তাকে সুসংহত করা এবং ফলপ্রসূ করার ক্ষেত্রে জাতীয় নেতৃত্ব ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। এসব অর্জনকে উপলব্ধি করতে এবং গুরুত্ব দিতে নেতৃবৃন্দ সক্ষম না হওয়ায় আজো বাংলাদেশের জনগণ নানা দুর্ভোগ নিয়ে দিন যাপন করছে। দেশে স্থিতিশীলতা আসেনি, গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষিত হয়নি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো স্বমহিমায় উঠে দাঁড়াতে পারেনি, জনগণের অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য আসেনি। ১৬ কোটি মানুষ নিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি। যে অর্জনগুলো পাওয়া গিয়েছিল, তা সফলতা পায়নি বিধায় আমরা বারবার ঘুরেফিরে একই বৃত্তে ফিরছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমসাময়িককালে আরো যে সব দেশ পরাধিনতার গ্লানিমুক্ত হয়েছে; সেসব দেশ আমাদের পেছনে ফেলে বহুদূর এগিয়ে গেছে। আর আমরা আত্মকলহে লিপ্ত হয়েছি। নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আত্মশুদ্ধির কোনো প্রয়াস নেয়া হচ্ছে না।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর জাতীয় নেতৃত্ব দেশকে ‘সোনার বাংলায়’ রূপ দেবেন বলে জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য যে কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন ছিল, তা তারা গ্রহণ করতে সক্ষম হননি; বরং ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বে এক বিরাট অংশ দেশ গঠনের পরিবর্তে নিজেদের আখের গোছানোর চেষ্টায় ব্রতী হন। স্বাধীনতার পর একটি বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনের সঙ্কল্প ও প্রচেষ্টা থাকার কথা ছিল, মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ ইতিহাস এবং জাতীয় নেতৃত্ব ও জনগণের চরম আত্মত্যাগের কথা স্বাধীনতার পর ভুলে যাওয়া হয়েছিল। এসব স্মরণে রেখে দেশ গঠনের জন্য কর্মসূচি নিতে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়া হয়েছে। এর ফলে সুশাসনের পরিবর্তে অপশাসনে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। দেশের মানুষের মধ্যে স্বাধীনতার পর যে বিরাট আশাবাদ তৈরি হয়েছিল, পরবর্তীকালে দুর্ভিক্ষ, অনাচার, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে তা হতাশায় রূপান্তরিত হয়। নেতাদের ‘সোনার বাংলা’ নির্মাণের সব আশ্বাস ভেস্তে যায়। স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক সমাজ ও জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি- এই স্বপ্নে জনগণ ছিল বিভোর। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র কিছুকাল পরই সে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।

যেসব দেশ সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে মুক্তি অর্জন করে। মুক্তির পর সাধারণত দেখা যায়, সেসব দেশ অনির্বাচিত সরকারের দ্বারা কোনো আইনকানুন ব্যতিরেকেই শাসিত হতে থাকে। মানুষের ভোটাধিকার থাকে না, গণতন্ত্র নির্বাসিত হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এর ব্যতিক্রম ঘটে। যে সরকারের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়, তারা বিজয়ের পর অতি স্বল্প সময়ের মধ্যেই সংবিধান রচনা করে, তার অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন এবং নির্বাচিত সরকার গঠন করা হয়। সে সংবিধান ও নির্বাচন অবশ্যই আমাদের জাতীয় ইতিহাসে একটি ভালো অধ্যায় সংযোজন করে। এভাবেই বাংলাদেশের একটি সুন্দর সূচনা ঘটেছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই অর্জন আমরা বেশি সময় ধরে রাখতে পারিনি। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে চুরমার করে দেয়া হয়। আমাদের গর্বের সংবিধান থেকে মানুষের ভোটাধিক কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশকে একটি স্বৈরতান্ত্রিক দেশে পরিণত করা হয়। যে গণতন্ত্রের জন্য বাংলাদেশের সব মানুষ দীর্ঘ লড়াই করেছে, তার এমন করুণ পরিণতি হবে ভাবা যায়নি। এই অশুভযাত্রার যে সূচনা হয়েছিল, তার আর শেষ এখনো নেই।

গণতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত বাংলাদেশের সংবিধান বারবার সংশোধন করা হয়েছে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থে। সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন, সেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখানোর ফলে এখানে এখন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত নেই এবং সুশাসনের অভাবে মানুষ অধিকারহারা হয়েছে। সুশাসনের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে জবাবদিহিমূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও দেশে আইনের শাসন নেই বিধায় এখন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে কোনো জবাবদিহিতা নেই। রাষ্ট্রে জবাবদিহি নেয়ার প্রতিষ্ঠান হচ্ছে জাতীয় সংসদ। তাদের অন্যতম দায়িত্ব সুশাসন নিশ্চিত করা, ভালো আইন প্রণয়ন করা ও সরকারের ভুলত্রুটি নির্ণয় করে তাকে সঠিক পথে রাখা। কিন্তু বর্তমান সংসদের গঠনপ্রক্রিয়ায় ত্রুটি থাকায় তা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না। একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদে বিরোধী দলের কোনো সদস্য না থাকায় তা একদলীয় সংসদে পরিণত হয়েছে। সরকারদলীয় সদস্যদের মাধ্যমে সরকারের জবাবদিহি করা যায় না।

গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা হিসেবে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা অনেক বেশি কার্যকর। স্বাধীনতার পর এই শাসনব্যবস্থাকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা হিসেবে সঠিকভাবেই তৎকালীন সরকার বেছে নিয়েছিল। কিন্তু সংসদীয় গণতন্ত্রের যে চেতনা ও অনুভূতি, এর সাথে সেই সংসদের সদস্যদের চেতনা ও অনুভূতির সামঞ্জস্য ছিল না। তৎকালীন সরকারের ভেতর একটি কর্তৃত্ববাদী গ্রুপ ছিল, যে কারণে সংসদীয় গণতন্ত্র বারবার হোঁচট খেতে থাকে। ফলে দেশে বেশি দিন সংসদীয় ব্যবস্থা স্থায়ী হতে পারেনি, একই সাথে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে বিদায় নিতে হয়েছে। স্বাধীনতার পর এ দু’টি অর্জন ছিল প্রশংসনীয়, কিন্তু তৎকালীন সরকার তাকে ধরে রাখতে পারেনি। এ জন্য সংবিধানে একটি খারাপ সংশোধনী সংযোজিত হয়, সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী। এতে বহুদলীয় এবং সংসদীয় শাসনব্যবস্থার অপমৃত্যু ঘটে। এর ফলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চরিত্রের অবসান ঘটে ও একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়। পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হয়ে যায়। মানুষের পক্ষের স্বাধীন মত প্রকাশ ও পছন্দের অধিকার শেষ হয়ে যায়। পরে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী গৃহীত হলে বহুদলীয় ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হয় এবং পরবর্তীকালে পুনরায় সংসদীয় ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হলেও তা এখনো কার্যকর হয়নি। ফলে দেশে জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা নেই।

বাংলাদেশ জন্মের পর সংবিধানের অধীনে বিচার বিভাগ পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করেছিল। একটি গণতান্ত্রিক দেশে স্বাধীন বিচার বিভাগ জনগণের মৌলিক সব অধিকারের সংরক্ষক এবং সমাজে সুবিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয় বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকলে। সংবিধান প্রবর্তনের সময় একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ ও সে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধানে সব ব্যবস্থা ছিল। নিবর্তনমূলক কোনো আইন সংবিধানে ছিল না। সংবিধানে এমন বিধান সংযোজিত হয় যে, নির্বাহী বিভাগ মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, এমন কোনো আইন রচনা করতে পারবে না। মৌলিক অধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক এমন কোনো আইন যদি থাকে বা রচনা করা হয়, তবে মৌলিক অধিকারের সাথে সেই আইনের যতটুকু বৈপরীত্য, তার ততটুকু বাতিল হয়ে যাবে। এমন কঠিন শর্ত সংবিধানে সংযোজিত রয়েছে। কিন্তু সংবিধানের এই মৌলিকত্ব এখন আর বজায় নেই। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এখন আর শক্ত ভিত্তির ওপর অবস্থান করছে না। নিম্ন আদালতের নিয়ন্ত্রণভার নির্বাহী বিভাগ গ্রহণ করেছে। এ নিয়ে নির্বাহী বিভাগের সাথে বিচার বিভাগের দীর্ঘ দিন মন কষাকষি চলছিল। সম্প্রতি লক্ষ করা গেছে, উচ্চ আদালতের সাথে নির্বাহী বিভাগের বচসা চলেছে। এর ফলে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল যে, দেশের প্রধান বিচারপতিকে আগাম অবসরে চলে যেতে হয়েছে। এ থেকে এটাই মনে করা যেতে পারে, বিচার বিভাগ কতটা নাজুক অবস্থায় রয়েছে। অথচ রাষ্ট্রে তিন বিভাগ নির্বাহী, আইন ও বিচার সুসমন্বয় বজায় থাকা জরুরি ছিল। তিন বিভাগের সমন্বিত কার্যক্রমই বস্তুত রাষ্ট্রের সুস্থতার লক্ষণ। কিন্তু এর ব্যত্যয় ঘটলে রাষ্ট্রযন্ত্রে গোলযোগ দেখা দেবে। তিন বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ঘটলে নির্বাহী বিভাগের ওপর প্রধানত দায়দায়িত্ব বর্তাবে।

দেশের সাম্প্রতিক একটি অর্জন ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে সন্নিবেশিত করা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে অবাধ নির্বাচন চর্চার উদাহরণ অত্যন্ত কম। স্বাধীন বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসের সূচনা ১৯৭৩ সালে। সে নির্বাচন ছিল বস্তুত একদলীয়। দু-চারজন ছাড়া ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরাই সে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। তার পরও সে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। দেশে বহুবার নির্বাচন হয়েছে, কিন্তু সেসব নির্বাচনের কোনোটি অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়নি। ক্ষমতাসীনেরা প্রতিবার জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেননি। এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে প্রস্তাব এলো- নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকবে। তাদের অধীনে নির্বাচন হবে। এই দাবির সারবত্তা উপলব্ধি করে সে সময় রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং সাধারণভাবে তার প্রতি সমর্থন আসে। এ নিয়ে সংসদে এবং সংসদের বাইরে গণ-আন্দোলন শুরু হয়। অবশেষে সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা সংবিধানে সংযোজিত হয়। পরবর্তীকালে নির্বাচন এলে নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশা নিয়ে এই ব্যবস্থা কায়েম হয় তা সফল হয়।

দেশে বহুকাল পর প্রশ্নমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এটি একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এরপর যে কয় দফা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো নিয়ে তেমন কোনো প্রশ্ন সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু চমৎকার এই অর্জন স্থায়ী হয়নি। উচ্চ আদালত এ ব্যবস্থাকে বাতিল করে দেন। এরপর যত নির্বাচন হয়েছে তার সবই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।

এই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। আর তাতে অসহিষ্ণুতা ও অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। এখন দেশের জাতীয় নির্বাচন প্রায় সমাগত, এর পরিপ্রেক্ষিতে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার স্বার্থে পুনরায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি তুলেছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকার বিরোধী দলের এই দাবিকে অগ্রাহ্য করে তাদের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে বলে ঘোষণা করেছে। দুই পক্ষের এই ভিন্ন অবস্থানের কারণে ২০১৪ সালের মতো এবারো নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অথচ দেশের জনগণ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আশায় বুক বেঁধে আছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বও আগামীতে বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক এবং অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করে।

বাংলাদেশকে যদি একটি শান্তি ও স্বস্তির জনপদে পরিণত করতে হয়, তবে অতীতে যে অর্জনগুলো আমাদের হয়েছে, তাকে হারিয়ে যেতে না দিয়ে ফেরাতে হবে। প্রথমত, সংবিধানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। পরবর্তীকালে জনকল্যাণে যে বিধিব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেগুলোকে বহাল করতে হবে। সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন এবং তার অনুগামী যেসব বিধিবিধান গণতন্ত্র উন্নয়ন ও মানবাধিকারকে গুরুত্ব দেয়; সেগুলো পরিচর্যা করতে হবে। নির্ভেজাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিরঙ্কুশ করা জরুরি। ব্যক্তির চেয়ে দল, দলের চেয়ে দেশের স্বার্থকে উচ্চকিত করতে হবে। ন্যূনতম বিষয়ে জাতীয় ঐক্য রচনা করার ক্ষেত্রে সবাইকে অবদান রাখতে হবে। দলমত নির্বিশেষে যারা জাতীয় নেতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন, তাদের খাটো করা যাবে না। অনিয়ম-দুর্নীতির সমাধি রচনা করতে সমাজকে সুস্থ করে তোলা আবশ্যক। বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এক কদম এগিয়েছে। ক্ষমতাসীনদের ভাবতে হবে, কিভাবে দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা আসবে, যাতে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে। মনে রাখা দরকার, আওয়ামী লীগ সব মিলিয়ে অনেক ভুল করেছে; তার সংশোধন হওয়া উচিত।
ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement