২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নির্বাচনোত্তর তুরস্ক

তুরস্ক এখন সামরিক প্রয়োজনের ৬০ শতাংশ সামগ্রী নিজের দেশেই প্রস্তুত করে - ছবি : সংগ্রহ

তুরস্কে গত ২৪ জুন প্রেসিডেন্ট ও সাধারণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট এরদোগান জিতেছেন। এ নিয়ে অনেক হিসাব-নিকাশ। একটি হিসাব এ রকম, ৫০ মিলিয়ন বৈধ ভোটের মধ্যে তিনি ২৬ মিলিয়ন ভোট পেয়েছেন, শতকরা হিসাবে যা ৫২.৬ শতাংশ। এরদোগান যে জিতবেন, এমন একটি ধারণা ভোটের ১৫ দিন আগে করা হয়েছিল। কলামটি নয়া দিগন্তে ছাপা হয়েছে। উৎসাহী পাঠকেরা নিবন্ধটি দেখে নিতে পারেন। ওই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করেছিলাম, কতৃত্ববাদী রাজনীতি ছাড়া পরিবর্তন হয় না; তবে তার জন্য জনসমর্থন দরকার। তুরস্কের নির্বাচন এরই যেন মোক্ষম উদাহরণ।

২০১৬ সালে এরদোগানকে ক্ষমতাচ্যুত করার যে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল, তার শিকড় অনেক দূর প্রসারিত। ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর গ্রেফতার করা হয় ৫০ হাজার লোক। গ্রেফতার হলেন অন্তত ১৩০ জন সাংবাদিক। সামরিক বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সাত হাজার। চাকরি হারিয়েছেন এক লাখ ৪০ হাজার শিক্ষাবিদ এবং সরকারি কর্মকর্তা। সেনাবাহিনীর যারা সেদিন ট্যাংকসহ নেমে পড়েছিল এবং পার্লামেন্টসহ বিভিন্ন সরকারি ভবনে যারা হামলা চালিয়েছিল, এমন হাজারো ‘গুলেনবাদী’কে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি প্রমাণের অভাবে। এ দিকে, কুর্দিদের সমর্থনকারী একটি অংশ রাজনৈতিকভাবে সক্রিয়। সেকুলার জনগোষ্ঠীও এই নির্বাচনে সক্রিয় ও তৎপর ছিল এরদোগানকে হটিয়ে দেয়ার জন্য। এই বিরাট দৃশ্যমান জনসংখ্যার ভোট এরদোগানের বিপক্ষে যাবে- পশ্চিমাদের এই ধারণা বদ্ধমূল ছিল। সেটা বাস্তব ছিল। নির্বাচনের আগে এরদোগান যে জয়লাভ করবেন, এমন কোনো সংবাদ তারা পরিবেশন করেনি; বরং তুরস্কের অর্থনীতি ও বেকারত্ব নিয়ে কথা বলেছেন, কথা বলেছেন লিরার অবমূল্যায়ন নিয়ে। পশ্চিমাদের এসব অতিরঞ্জন ও অপপ্রচার কোনো কোজে আসেনি। নির্বাচনের পর তারা এখন নতুন সুরে কথা বলছেন। হজরত আলী রা: বলেছিলেন, ‘শত্রু যখন তার সব কৌশল কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়, তখন সে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়।’ একটি বিষয় এরদোগান শিবিরকে মনে রাখতে হবে যে, ন্যাশনাল মুভমেন্ট পার্টি বা এমএইচপির সাথে দৃঢ়বন্ধনে না থাকলে সংসদে বিল পাস করা সম্ভব হবে না। কেননা, এরদোগানের একে পার্টি সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। যাদের সাথে জোট বেঁধেছেন তারা দলগতভাবে ভালো করতে পারেননি। বিরোধী দল শক্তিশালী সিএইচপি থেকে ১৪৬ জন নির্বাচিত হয়ে সংসদে দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। একে পার্টির এমপি নির্বাচিত হয়েছে ২৯৫ জন। কোয়ালিশন করতে ব্যর্থ হলে ৬০০ সদস্যের পার্লামেন্টে সমস্যা হবে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় এরদোগানের অনেক ক্ষমতা। সংসদের হাতে ক্ষমতা এখন কম। এরদোগান রাশিয়ার পুতিনের মতো বা চীনের শি’র মতো প্রচণ্ড ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্ট। এখন তুরস্কে নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রবর্তিত হবে। এরদোগানকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। জুডিশিয়াল রিফর্মেও হাত দিতে হবে।

গত বছরের রেফারেন্ডামে কিছু নতুন প্রশাসনিক পদক্ষেপে জনগণ সমর্থন জানায়। এগুলো এখন কার্যকর করা হবে। সেখানে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় ১৬ জন সদস্য থাকবেন। ফাইন্যান্স, মানবসম্পদ, বিনিয়োগ, ডিজিটাল ধারায় রূপান্তরিত হয়ে প্রেসিডেন্টের অধীনে কাজ করবে। বর্তমানের ৬৫টি বোর্ড একীভূত হয়ে ৯টি বোর্ড হবে। প্রেসিডেন্ট এর সভাপতিত্ব করবেন। আটটি ডাইরেক্টরেট থাকবে। এগুলোর পরিবর্তে বিরোধী দল নতুন কোনো পদ্ধতি দিতে পারেনি এবং এই সিস্টেমের খারাপ দিকও তুলে ধরতে পারেনি। আসলে এরদোগান-কারিশমা বেশি কাজ দিয়েছে। তিনি এখন তুরস্কের নতুন দিশারী।

প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মোহররেম ইনজি ৩০.৬ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন। তিনি একজন ভালো বক্তা। কথার কৌশল দিয়ে মানুষের মন জয় করার একটি কারিশমাটিক গুণ রয়েছে তার। ভোট বিশ্লেষণে দেখা যায়, তিনি তুরস্কের পশ্চিমের এলাকাগুলোতে বেশি ভোট পেয়েছেন। মধ্য তুরস্ক ও অন্য স্থানে তার ভোট নেই বললেই চলে। যেখান থেকে তুরস্কের রাজনীতি বিম্বিত হয়, সেখানে তিনি নেই। তাই এরদোগান বা একে পার্টির তাকে ভয় পাওয়ার তেমন কিছু নেই।

ইনজিকে সিএইচপি প্রধান নির্বাচিত করা হয়েছিল। তিনি এখন এরদোগানকে মেনে নিয়েছেন। একই সাথে জনগণকে সতর্ক করে দিয়েছেন একক কর্র্তৃত্বের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘আরো এক রাত আগে ভোটের ফলাফল’ মেনে বক্তব্য দেয়া উচিত ছিল। কেননা দেশী-বিদেশী কোনো কর্তৃপক্ষই ভোটে কারচুপি হয়েছে- এমন কোনো অভিযোগ করেননি। একে পার্টি ও তার জোটভুক্তরা এরদোগানকে ভোট দেয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করেছিলেন। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মোহররেম ইনজি ‘আমি ভোটের ফলাফল মেনে নিয়েছি। নির্বাচন খুব পরিছন্ন ও পক্ষপাতহীন হয়েছে। যিনি জিতেছেন তাকে সমর্থন না জানালে রাজনীতির প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে। এরদোগান সবার প্রেসিডেন্ট’ এ ধরনের কথা বলে ইনজি রাজনৈতিক পরিপক্বতা দেখিয়েছেন।

যে অর্থনীতির জন্য পশ্চিমারা এরদোগানের সমালোচনা করছেন, তারা মুদ্রার উভয় পিঠ দেখাচ্ছেন না। কেননা ম্যানিফেস্টো অনুসারে তুর্কি অর্থনীতিতে যে দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন আসার কথা, জনগণ তা প্রত্যক্ষ করেছে। দুই দশক ধরে তুরস্কের প্রবৃদ্ধির রেকর্ড লক্ষণীয়। জিডিপি মাথাপিছু পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তুরস্কের জনগণের বড় এক অংশ প্রান্তিক দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছে। তবে তুরস্ক এখনো শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে পরিগণিত হতে পারেনি। শিল্প কারখানার সার্বিক উন্নয়নে নতুন সরকারকে অধিক কাজ করতে হবে। তুরস্ক এরই মধ্যে বিশ্ববাণিজ্য ও বাজার অর্থনীতিকে সংযুক্ত করে চলতে শিখেছে। কয়েক বছরে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ বা এফডিআই বেড়েছে অভাবনীয়ভাবে এবং রফতানি বেড়েছে প্রশংসনীয়ভাবে। মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে এক সময় ১২.০ শতাংশে পৌঁছলেও তা এখন সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে এসেছে। এটা তুরস্কের এক বড় অর্জন।
অর্থনীতিবিদেরা জানেন, অনেক উন্নয়নশীল দেশগুলো উচ্চ আয় দেশের কাতারে শামিল হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। যেমন- ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইন্দোনেশিয়ার মাথাপিছু আয় ১০-১২ হাজার ডলারে নেয়ার জন্য চেষ্টা করছে। এ জন্য অন্যান্য নিয়ামকের সাথে শিল্পকারখানার আয় বৃদ্ধি করা খুবই জরুরি। তুর্কি অর্থনীতি এখনো মধ্যমানের জিনিস ও হাইটেক সামগ্রী উৎপাদনের জন্য আমদানি-নির্ভর দেশ। তুর্কিরা এখন ভালোমানের গাড়ি বানায়। এ জন্য বিভিন্ন পার্টস বিদেশ থেকে আনে। এটাও নিজ দেশে প্রস্তুত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। কেননা এই খাতে রফতানির বিপরীতে আমদানি বেশি। তুরস্কের এনার্জি সেক্টর বেশি ভালো নয়। দেশে ৭৫ শতাংশ এনার্জি ব্যবহার করা হয় আমদানি করে। নবায়নযোগ্য এনার্জি সম্পদ বৃদ্ধির জন্য এরদোগান ২০১৭ সালে প্রচুর বিনিয়োগ করায় এই খাতে সম্পদ তিন গুণ বৃদ্ধি হয়েছে। এনার্জি খাতের ৮ শতাংশ শুধু সৌরশক্তি ও বায়ুপ্রবাহ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক সেক্টরে তাড়াতাড়ি আরো উন্নয়ন আসবে, এমনই ধারণা করা হচ্ছে।

তুরস্ক হাইটেক প্রকৌশলে উত্তরণ ঘটাতে চায় তাড়াতাড়ি। এটা মূলত এরদোগানের দূরদর্শিতা। এই সেক্টরে তুরস্ক অত্যাধুনিক হাইটেক সরঞ্জাম বানাতে চায়। এ জন্য এরদোগান সিলিকন ভ্যালি, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র, স্যাটেলাইট, অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানসহ তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন নির্বাচনের বছরখানেক আগেই। এসবের বিরুদ্ধে কোনো তুর্কি কথা বলেননি। সবাই এটাকে সমর্থন দিয়েছেন। এসব কর্মকাণ্ডে এরদোগানের পক্ষে প্রচুর ভোট পড়েছে এবং এ জন্য নিরপেক্ষ লোকজন তাকে ভোট দিয়েছে। এসব এমন কর্মসূচি, যা শুধু ভোটের জন্য নয়, দেশের জন্য করা হয়েছে। এ বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নে রফতানি ১৯.৩ শতাংশ হতে পারে, যার মূল্য ৭.২৮৭ বিলিয়ন ডলার। ইউরোপে রফতানি শেয়ার ৫০.৯ শতাংশ, গত বছর যা ৪৫ শতাংশ ছিল। মে মাসে জার্মানি ১৩৫৭ বিলিয়ন ডলার, ইতালি ৮৮৫ বিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্য ৮৫৮ বিলিয়ন ডলারের দ্রব্য আমদানি করেছে।
পর্যটন খাতও তুরস্কের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য নিয়ামক। গত ৫ মাসে ১১.৫ মিলিয়ন বিদেশী পর্যটক এ দেশে এসেছেন। গত বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দর নগরী ইস্তাম্বুলেই বেশি পর্যটক আসেন। সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসেন রাশিয়া, জার্মানি ও ইরান থেকে। এরদোগান কুর্দিদের ওয়াইপিজির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার পর বিপুলসংখ্যক পর্যটক আসছেন বলে মন্ত্রণালয় মনে করছে। একই সূত্রে প্রকাশ, এ বছর এই সংখ্যা ৪০ মিলিয়ন হতে পারে। ২০২৩ সালের মধ্যে ৫০ মিলিয়ন পর্যটক আনার জন্য এরদোগান সরকার কাজ করছে। পর্যটন খাতে এ বছর তুরস্কের ৫০ বিলিয়ন আয় হওয়ার সম্ভাবনা।

তুরস্ক এখন সামরিক প্রয়োজনের ৬০ শতাংশ সামগ্রী নিজের দেশেই প্রস্তুত করে। ২০২০ সালের মধ্যে তা ১০০ শতাংশে উন্নীত করার কথা। এরদোগানের আমলেই এই উন্নয়ন হচ্ছে। এক দশক আগেও মাত্র ২৫ শতাংশ সমরাস্ত্র তুরস্ক প্রস্তুত করত। তুরস্কে তৈরি ‘অ্যাটাক’ হেলিকপ্টার পাকিস্তানে রফতানির জন্য চুক্তি হয়েছে। গত ১০ বছরে তুরস্কে সামরিক ও বেসামরিক খাতে অনেকবার সাইবার অ্যাটাক হয়েছে। ২০১১-১২ সালে সামরিক ও সরকারি খাতের অনেক ওয়েবসাইট বিকল হয়ে পড়েছিল। তাই নির্বাচনের পরপরই সাইবার সিকিউরিটি ক্লাস্টার, এসএসএম চালু করা হয়েছে। এরদোগান গত বছরেই এর কাজ শুরু করেছিলেন।
এরদোগান বলেছেন, জনগণ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। তিনি কুর্দি ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের কথা বলছেন। তুরস্কের সেনারা আফ্রিনের পর মানবিজে ঢুকেছে সিরিয়ায়। সেখান থেকে কুর্দিদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে মর্মে আমেরিকার সেনাকমান্ড বলছে। কুর্দি মোকাবেলা এরদোগানের এক বড় সমস্যা। কেননা কুর্দিদের মোকাবেলা করতে গিয়ে আমেরিকা ও ইসরাইলকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এ দু’টি দেশ অস্ত্র ও সম্পদ দিয়ে কুর্দিদের সহায়তা করছে। ওয়াইপিজিকে তুরস্ক অনেক আগেই সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েছে।

নির্বাচনের পরপরই যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি আলাপের জন্য সিনেটর পাঠিয়েছে। তুরস্কের সাথে কেমন সম্পর্ক থাকবে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য এরদোগানের সর্বশেষ মনোভাব জানাতে এমন পদক্ষেপ। ক্যুর পরফতেহ উল্লেহ গুলেনকে কেন্দ্র করে আমেরিকা-তুরস্ক সম্পর্কে চির ধরতে থাকে। আস্তে আস্তে উভয় দেশ পরস্পরবিরোধী বক্তব্য ও রাজনৈতিক বাক্যবাণ নিক্ষেপ করতে থাকে। ন্যাটোর সাথেও সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, কুর্দি ওয়াইপিজি, ইনসারলিক বিমানঘাঁটি, ডলার-লিরা, রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক এবং এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়, ইরানের সাথে সম্পর্কোন্নয়ন ও মিসাইল কর্মসূচি এবং পাকিস্তানের সাথে সামরিক চুক্তির কারণে আমেরিকা, ইউরোপ, ইসরাইল ও ন্যাটোর সাথে তুরস্কের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে হবে।

পশ্চিমা পত্রপত্রিকাগুলো এখন উপায় না দেখে এরদোগান ও তুরস্কের প্রশংসা শুরু করছে। প্রশংসার সময়ও কৌশলে ‘গণতন্ত্রের সূচক ভালো নয়’ এমন মন্তব্য করছে। এই পত্রিকাগুলো আমেরিকার বিতর্কিত গণতান্ত্রিক সিস্টেমের সমালোচনা করে না। বিভিন্ন দেশে যখন রাজতান্ত্রিক শাসকেরা বছরের পর বছর শাসন করে, তারা তাদের বিরুদ্ধে বলে না। মিসরের সিসির মতো স্বৈরাচারী শাসকদের বিরুদ্ধে কিছু বলে না। সেখানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের যে মৃত্যু হয়েছে, তার প্রতিকারের কথা বলে না। ‘এরদোগান তো আর চিরদিন থাকবেন না’ এ কথা বলেই এখন নিজেদের সান্ত্বনা দিচ্ছে। এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন আল-জাজিরার সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘পশ্চিমা মাধ্যমগুলো বরাবরই এরদোগান পরাজিত হবেন, এমন কথা তুলে ধরেন। কিন্তু তিনি রাজনীতিতে আসার পর গত ১৬ বছরে কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি।’ দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমা মাধ্যমগুলো উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পথ চলে, সত্যকে সামনে রেখে নয়।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব, বাংলাদেশ সরকার ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement
কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু

সকল