২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গণতন্ত্র ও নির্বাচন

গণতন্ত্র ও নির্বাচন - ছবি : সংগৃহীত

গ্রিক ‘ডেমস’ অর্থাৎ জনগণ, আর ‘ক্র্যাসি’ বা তন্ত্র -এ দুই শব্দ নিয়ে গণতন্ত্রের উদ্ভব। সচেতন নাগরিক মাত্রই এ কথা জানেন। তাহলে গণতন্ত্রের অর্থ দাঁড়াচ্ছে- জনগণ পরিচালিত শাসনব্যবস্থা। এক কথায় বলা যায়, ‘জনগণতন্ত্র’। যদিও মার্ক্সবাদে এ শব্দটির নবতর ব্যাখ্যা আছে, তবুও সরলার্থে আমরা জনগণের শাসন বলেই প্রত্যয়টি গ্রহণ করছি। আর পৃথিবীব্যাপী খ্যাত আব্রাহাম লিঙ্কনের চিরায়ত সেই সংজ্ঞা ‘ডেমোক্র্যাসি অব দ্য পিপল বাই দ্য পিপল ফর দ্য পিপল’-এ জনগণকেই এই তন্ত্রের মালিক-মোক্তার বলা হয়েছে। প্রাচীন গ্রিক নগররাষ্ট্রগুলোতে স্বল্পজনসংখ্যার কারণে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল। কালক্রমে রাষ্ট্রের পরিধি ও জনসংখ্যা প্রবলভাবে বেড়ে যাওয়ায় সেই প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সে কারণে আধুনিক ‘প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে’র বিকাশ, লালন ও বাস্তবায়ন। আধুনিক গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় নির্বাচনকে গণতন্ত্রের সমার্থক বিবেচনা করা হয়েছে। একটি সংজ্ঞা এ রকম, ‘ডেমোক্র্যাসি ইন মডার্ন অ্যাজেস ইজ এ সিস্টেম অব গভর্নমেন্ট ইন হুইচ দ্য সিটিজেনস এক্সারসাইজ পাওয়ার ডিরেক্টলি অর ইলেক্ট রিপ্রেজেন্টেটিভস ফ্রম এমং দেমসেলভস টু ফর এ গভর্নিং বডি, সাচ অ্যাজ এ পার্লামেন্ট।’ যেহেতু অবশেষে সব মানুষের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ থাকছে না, সেহেতু আধুনিক গণতন্ত্রকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলে থাকেন ‘মেজরিটি রুল’ বা গরিষ্ঠের শাসন। এই গরিষ্ঠের শাসন প্রমাণ ও প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনব্যবস্থার উদ্ভব হয়েছে। যদিও নির্বাচনব্যবস্থার নানা ধরনের প্রক্রিয়া বর্তমান বিশে^ প্রচলিত আছে, তা সত্ত্বেও ‘জনগণের সম্মতি’র ক্ষেত্রে কোনো নীতিগত বিরোধ বা বিপত্তি ঘটেনি।

মূলত প্রখ্যাত মনীষীত্রয়- হবস, লক, রুশোর ‘সামাজিক চুক্তি’ মতবাদেই গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র নিহিত। আজকে বিশ^ব্যাপী স্বীকৃত সত্য এই, ‘সম্মতি ছাড়া শাসন নয়’। স্বীকৃত নির্বাচনব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে এই সম্মতির প্রকাশ ঘটে। অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় শাসনব্যবস্থা হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠিত আছে। এখন এতটাই অনিবার্য এই ব্যবস্থা যে, নিকৃষ্ট স্বৈরতন্ত্র থেকে নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রের ধ্বজাধারীরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের দাবি করে থাকেন। এখন রাষ্ট্রের নামের আগে গণতন্ত্র শব্দটি আরোপ করা হয়। যেমন- জার্মান ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক, ডেমোক্র্যাটিক কম্পুচিয়া এবং ডেমোক্র্যাটিক পিপলস রিপবিলিক অব কোরিয়া। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির সাংবিধানিক নামেও ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ শব্দ দ্বারা জনগণের নিরঙ্কুশ ক্ষমতার স্বীকৃতি রয়েছে। এই সেদিন আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি আগের চেয়েও অনেক মজবুত হয়েছে।

বাস্তবে কি তা মানুষ জানে, ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না। যা হোক, নির্বাচনব্যবস্থার মাধ্যমেই গণতন্ত্র পূর্ণপ্রতিষ্ঠা অর্জন করে, তাই নির্বাচন গণতন্ত্রের নিয়ামক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তৃতীয় বিশে^ গণতন্ত্র ও নির্বাচন কী অবস্থায় রয়েছে তা অনুমান করা যায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক মন্তব্য থেকে। কোনো কোনো রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আমাদের গণতন্ত্রকে বলছেন, ‘সিডো ডেমোক্র্যাসি’ অর্থাৎ কপট গণতন্ত্র। আবার ফরিদ জাকারিয়া বলছেন, ‘ইললিবারেল ডেমোক্র্যাসি’। আরেকজন বলছেন, ‘ওয়ানডে ডেমোক্র্যাসি’ বা এক দিনের গণতন্ত্র। বাংলাদেশে বিগত প্রায় ৫০ বছরে ১০টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ এখন নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্রের অনুশীলন, অনুসরণ ও অনুকরণ করে থাকে।

সৌভাগ্যের বিষয়, বাংলাদেশের জন্মের সাথে গণতন্ত্রের সংযোগ রয়েছে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাংলাদেশের জনগণের রায়কে অস্বীকার করার ফলে বাংলাদেশের উদ্ভব ঘটে। বাংলাদেশের রচিত সংবিধানে গণতন্ত্রের সর্বব্যাপী স্বীকৃতি রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই, বাংলাদেশের রাজনৈতিক এলিটরা গণতন্ত্রকে তাদের আরোপিত শাসনব্যবস্থা এবং জীবনবোধে গণতন্ত্রকে ধারণ করেনি। এ দেশের প্রথম নির্বাচনেই জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ ও অপকৌশলের প্রমাণ পাওয়া যায়। নির্বাচনব্যবস্থায় জনগণের অংশগ্রহণকে অস্বীকার করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করা হয়। পরবর্তী সামরিক শাসনগুলোতে গণতন্ত্রের চর্চা ব্যাহত হয়। নিপাতনে সিদ্ধের ঘটনার মতো জিয়াউর রহমানের সময়কালে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র’ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। স্বৈরাচারকে বিতাড়ন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ১৯৯০ থেকে ২০১৮-এর কথিত গণতান্ত্রিক সময়কালে প্রায় তিন দশকে গণতন্ত্রের চর্চা ব্যাহত হয়। গণতন্ত্রের বদলে শক্তি প্রদর্শনের মহড়ায় আবার সামরিক বাহিনী হস্তক্ষেপের সুযোগ পায়। সামরিক বাহিনীর সাথে প্যাকেজ ডিলের আওতায় গণতন্ত্রের নামে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, গণতন্ত্রের চর্চার বদলে গণতন্ত্রের বিনাশসাধন তাদের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়।

একজন মার্কিন বিশেষজ্ঞ ডেভিড লেনড্রি গণতন্ত্রায়নের পথে ক্ষমতাসীনদের দু’টি বিচ্যুতি চিহ্নিত করেন। প্রথমত, জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত নির্বাচনকালীন সরকার তথা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপ সাধন। এতে গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনপদ্ধতির অবসান হয়। দ্বিতীয়ত, কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা। গণতন্ত্রের পরিবর্তে একক সিদ্ধান্তব্যবস্থা বা কর্তৃত্বপূর্ণ আরোপিত হওয়ার ফলে গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্যাবলি শাসনব্যবস্থায় অনুপস্থিত থাকে। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনব্যবস্থা এই কর্তৃত্ববাদী প্রবণতা সূত্রে মৌলিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থার তৃণমূলপর্যায়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনব্যবস্থার পরিবর্তে দলীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা উল্লেখ করা যায়। এভাবে চৌকিদার থেকে রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত সব পদ-পদবি ও কর্তৃত্ব নিছক দলীয় পরিচয়ের মাধ্যমে নির্ণিত হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর বিধি মোতাবেক ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদের নির্বাচন আয়োজন করা হয়। এই নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়া তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। শক্তি প্রয়োগ ও ছলে-বলে-কৌশলে একতরফা তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করে। ৩০০ আসনবিশিষ্ট জাতীয় সংসদে ১৫৩ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীকালে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নপর্যায়ের নির্বাচনগুলোও কারসাজি এবং কারচুপির মাধ্যমে দখল করা হয়। ২০১৮ সালের এই সময়ে যখন আরেকটি জাতীয় নির্বাচন সমাগত, তখন একই রণকৌশলে তারা জয়লাভ করতে চাচ্ছে। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিগত ১০টি নির্বাচনের ফলাফল যদি বিশ্লেষণ করা হয় তাহলে দেখা যায়, নিরপেক্ষ নির্বাচনব্যবস্থা একেবারে অকার্যকর হয়ে পড়েছে।


যে গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থার মাধ্যমে গণতন্ত্র ও নির্বাচন একে অপরের পরিপূরক হয়ে দাঁড়ায়, বিশ্লেষণে দেখা গেল বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার বিপর্যয় ঘটেছে। বিশ্বের সব দেশে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন এবং স্বকীয় ক্ষমতায় বলীয়ান। বাংলাদেশ সংবিধানের ১১৮(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য ক্ষমতায়িত। কিন্তু কার্যত নির্বাচন কমিশন সর্বতোভাবে দায়িত্ব পালনে সরকারের ওপর নির্ভরশীল। তাদের নিজস্ব কোনো অর্থায়নব্যবস্থা এবং পৃথক সচিবালয় নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় তাদের একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে কাজ করার স্বাধীনতা থাকায় তারা নিজেদের মতো ব্যবস্থা নিতে পারে। অপর দিকে, একটি রাজনৈতিক সরকারের সময় তারা রাজনীতির অপশিকারে পরিণত হন। বিশেষ করে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্ষমতাসীন দলের কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার কাছে তারা অসহায় হয়ে পড়েন। নির্বাচন কমিশন গঠনের ব্যাপারে পূর্বেকার সরকারগুলো নিরপেক্ষ ও পেশাদারি মনোভাবের ব্যক্তিদের নিয়োগ করত। তার ফলে দায়িত্ব পালনে তারা পেশাদারিত্বের মনোভাব দেখিয়েছেন। অপর দিকে, ক্ষমতাসীন সরকার দৃশ্যত একটি উন্মুক্ত প্রস্তাবের মাধ্যমে কমিশন নিয়োগ করলেও তাদের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন দল ও তাদের মিত্রদের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক কারসাজির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হচ্ছে। রাজনীতিবিদ বুদ্ধিজীবী রিজভী আহমেদ নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারার দুটো কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। প্রথমত, কমিশন কর্মকর্তাদের নিয়োগ যেহেতু একটি দলীয় সরকারের আনুগত্যের ভিত্তিতে হয়ে আসছে, ক্ষমতাসীন সরকারের আদেশ-নিষেধ অস্বীকার করার সাধ্য তাদের নেই। দ্বিতীয়ত, নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা তখনি নিশ্চিত হতে পারে, যখন দায়িত্ব পালনে তাদের অবাধ স্বাধীনতা দেয়া হবে। ক্ষমতাসীন দল যখন নির্বাচনে জয়ী হতে নিশ্চিত না হয় তখনি তারা নানা ধরনের কারসাজি করে এবং নির্বাচনী ফলাফল প্রভাবিত করে। সম্প্রতি খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব প্রমাণিত হয়েছে। এখানে নিপীড়ন, নির্যাতন এবং অবশেষে মাস্তান বাহিনীর মাধ্যমে নীরব সন্ত্রাস ঘটেছে। কমিশন সরকারের বশংবদ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। এই নির্বাচন কমিশনের জন্য ছিল একটি টেস্ট কেস। এরা সে পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন যে এই কমিশনের অধীনে হওয়া নিরাপদ নয় তা তারা প্রমাণ করেছে।

নির্বাচন যেহেতু সম্মতির স্মারক, সুতরাং গণতন্ত্রের কার্যকারিতার জন্য এটি একটি অনিবার্য বিষয়। নির্বাচন একটি অব্যাহত প্রক্রিয়া যা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকতা দান করে। নির্বাচন একটি জবাবদিহিতার প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সরকার জনগণের কাছে তার জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেয়। গণতন্ত্রকে কার্যকর, অর্থবহ ও ধারণযোগ্য করার জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তরে নিয়মিত নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। উন্নয়নশীল দেশের যেখানে যেখানে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকতা পরিলক্ষিত হয়, সেসব দেশে নিয়মিত নির্বাচন হয়ে আসছে। যেমন- ভারত ও মালয়েশিয়া। তবে নির্বাচনটি হতে হবে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য। স্বৈরাচার নিয়ন্ত্রিত দেশগুলোতে যে গণতন্ত্রের মহড়া প্রদর্শিত হয় তা কখনোই সত্যিকার নির্বাচন নয়, গণতন্ত্রও নয়। এতে জোর করে ক্ষমতায় থাকা যায় বটে, তবে তার শেষ পরিণতি ভালো হয় না। হোসনি মুবারক বা মুয়াম্মার গাদ্দাফি তথাকথিত উন্নয়নের গণতন্ত্র দিয়েছিলেন। কিন্তু একসময় তা বুমেরাং হয়েছে। কারণ, মানুষ শত কষ্ট ও দৈন্যের মধ্যেও গণতন্ত্রকে ধারণ করে। আর বাংলাদেশের মানুষ স্বভাবগতভাবেই গণতন্ত্রী। এ দেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য ১৯৬৯, ১৯৭১ এবং ১৯৯০ সালে আন্দোলন সংগ্রামে এবং অবশেষে যুদ্ধে জয়ী হয়েছে। টি এইচ গ্রিনের ভাষায়, ‘ডেমোক্র্যাসি মে লুজ মেনি ব্যাটলস বাট উইনস দি লাস্ট’।

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com

 


আরো সংবাদ



premium cement