১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নির্বাচনে গণতন্ত্রকে বিজয়ী হতে দিন

নির্বাচনে গণতন্ত্রকে বিজয়ী হতে দিন - ছবি : সংগ্রহ

সবাই অবহিত আছে, দেশে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর মাসেই হবে সে নির্বাচন। পাঁচ মাস পর অক্টোবর মাসে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং নির্বাচন হবে ডিসেম্বরে। সব মিলিয়ে বেশি সময় আর হাতে নেই। বাংলাদেশের সব মানুষ গভীরভাবে গণতান্ত্রিক। আর নির্বাচনকে তারা নিয়ে থাকে উৎসব হিসেবে। শহর বন্দর গ্রাম গঞ্জের মানুষ মেতে ওঠে আনন্দ-উল্লাসে। কিন্তু কখনো কখনো অবশ্য তাদের এই উৎসাহ উল্লাসের প্রকাশ ঘটে না। নির্বাচন যখন কূটরাজনীতির দাবাখেলায় ‘কিস্তি মাত’ হয়ে যায়। তখন নির্বাচনের মেলা ভেঙে যায়। জনগণ বিফল মনোরথ হয়। গত ২০১৪ সালে তাই হয়েছিল। নির্বাচনের মেলাও বসেনি, ভোটের ডঙ্কাও বাজেনি। জনগণ অবাক বিস্ময়ে দেখেছে তাদের সম্মতি ছাড়াই গদিতে বসেছে সরকার। তারাই দেশ চালাচ্ছে। গণতন্ত্রের এই পরাজয় সত্যিই বড় কষ্টের। অথচ একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পথ চলতেই বাংলাদেশের জন্ম, আর সে পথেই যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু আজো সেই যাত্রা সফল হয়নি। ১৯৯১ সাল থেকে আবার নতুন করে পথচলা শুরু, তা ২০১৪ সালে এসে চরায় আটকে গেছে। হতাশ হয়েছে দেশের মানুষ।

তাই আগামী নির্বাচনের আগে সবাইকে এই অঙ্গীকার করতে হবে যে, এবার কোনো দল নয়, গোষ্ঠী নয়, গণতন্ত্রকে বিজয়ী করতে হবে। ব্যক্তি গোষ্ঠী দলের ঊর্ধ্বে দেশ। এই প্রশ্নের কোনো ছাড় নয়। শুধু অঙ্গীকার করলেই চলবে না, এই অঙ্গীকারের আলোকে সবাইকে ভূমিকা পালন করতে হবে। অতীতে নির্বাচন নিয়ে গণতন্ত্রের যে করুণ পরিণতি ঘটেছে, তার জন্য যারা দায়ী তাদের তা এখন উপলব্ধি করে নিজেদের শুধরে নিতে হবে। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিশুদ্ধ হয়ে নতুন পথে চলতে হবে। এই নতুন পথে চলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ জাতীয় রাজনীতির গতিপথ তৈরি হবে। এই পথ রচনায় যদি আবারো অতীতের মতো ভুল করে ফেলা হয়, তবে ভবিষ্যৎ গড়ার সব আশা ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে। জাতীয় রাজনীতির পথ যদি ঠিক না হয়, সে ক্ষেত্রে দেশের সমস্যা মোকাবেলার ও উন্নয়ন সব কিছু ভেস্তে যাবে। ১৬ কোটি মানুষকে নিয়ে যে তরী ভেসে চলেছে, তাকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে এর মাঝি-মাল্লাদের শক্ত হাতে দাঁড় বাইতে এবং হাল ধরতে হবে। একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি এবং তাদের ভূমিকা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে।

উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের জন্য রাজনৈতিক সংগঠনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে সরকারে থাকা রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করছে নির্বাচনের সাফল্য। আওয়ামী লীগ প্রায় ১০ বছর ক্ষমতায়। তাদের অধীনে ২০১৪ সালে যে নির্বাচন হয়েছে, তা ছিল প্রশ্নযুক্ত ও প্রহসনমূলক। সে নির্বাচনের ব্যাপারে দেশে এবং দেশের বাইরে থেকে কোনো স্বীকৃতি আসেনি। তারপরও এর জের টেনে চলতে হচ্ছে। তাই আগামী নির্বাচনকে একটি অর্থবহ, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য সরকারি দল হিসেবে তাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং প্রশ্নমুক্ত করার ক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের বক্তব্য-বিবৃতি ও কার্যক্রমে আগামীতে একটি ভালো নির্বাচন করার কোনো আভাস-ইঙ্গিত নেই। এমনকি তারা রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টিতে কোনো অবদান রাখছে না বরং তাদের বক্তব্যে দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট আরো ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরকারি দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে যে বক্তব্য দেয়া হচ্ছে, তা রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত। সহমর্মিতা ও সহযোগিতা দেশে এখন বিরাজ করছে না। তাদের বক্তব্যে বিরোধী দলের নেতাদের প্রতি যে বাক্যবাণ ছুড়ে দেয়া হয়, তাতে রাজনৈতিক পরিবেশ সব সময় উত্তপ্ত হয়ে থাকে। নির্বাচনের ব্যাপারে সারা দেশের মানুষ এটাই আশা করে যে, অতীতে যা ঘটেছে তা ফেরানো যাবে না। কিন্তু আগামীতে জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে তার জন্য ক্ষমতাসীনদের কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশে বিরোধী দল মজলুম। তারপরও তাদের আগামী নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হতে পারে, সে জন্য কঠিন দায়িত্ব তাদের পালন করতে হবে। নির্বাচন যাতে ভালো হয়, সে লক্ষ্যে বিরোধী দলকে অব্যাহত চাপ সৃষ্টি করতে হবে। এ জন্য অবশ্য তাদের আত্মত্যাগ করতে হতে পারে। কেননা নির্বাচন নিরপেক্ষ করার জন্য তাদের প্রয়াসকে ক্ষমতাসীনেরা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ না করে নিপীড়নের পথ ধরেছে এবং ভবিষ্যতে তা অব্যাহত থাকবে, এ আশঙ্কা রয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি তুলেছে। তাদের এই দাবিকে প্রায় সব মহল থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে। অবশ্য এই দাবি নতুন নয়, ২০১৪ সালেও এই দাবি ছিল, তা অগ্রাহ্য হয়েছে। কিন্তু সরকারি দল অবশ্য এ দাবি কানে তোলেনি। তাদের অধীনেই নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। অথচ অতীত অভিজ্ঞতা বলে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দলের অধীনে কখনোই অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। এখন নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার না হলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়বে। অথচ দেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক সমাজ আগামী নির্বাচনকে সব দলের অংশ নেয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।

একটি ভালো নির্বাচনের জন্য যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেই নির্বাচন কমিশন নিয়ে জনগণের পুরো মাত্রায় আস্থা নেই। ২০১৪ সালে যে কমিশন ছিল তাদের সময় বিভিন্ন পর্যায়ের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তার একটির প্রতিও মানুষের আস্থা তৈরি হয়নি। এর ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন তাদের স্বাধীন নিরপেক্ষ সত্তাকে সমুন্নত করে তুলতে পারেনি। এই ভাবমর্যাদা সঙ্কট কমিশন এখনো কাটাতে পারেনি। অথচ দেশের সংবিধান এই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটিকে পূর্ণ ক্ষমতা, মর্যাদা ও স্বাধীনতা দিয়ে মানসম্পন্ন নির্বাচন করার সুযোগ দিয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই বাংলাদেশের মতো ক্ষমতাশালী মর্যাদাপূর্ণ নির্বাচন কমিশনের মতো অনুরূপ ক্ষমতা দেয়নি। কিন্তু তারপরও সে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মর্যাদা রক্ষা করে ভালো নির্বাচন করে চলেছে। তবে বাংলাদেশেও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন বাধামুক্তভাবে কাজ করে তাদের ভাবমর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। এখনো যদি অতীতের ব্যবস্থা ফিরে আনা হয় তবে হয়তো কমিশন তাদের হারিয়ে যাওয়া মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে পারে। এই গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি শক্তিশালী হওয়ার সাথে দেশে গণতন্ত্র মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারবে।

রাজনৈতিক সংগঠন কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠান নয়, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্তরে ক্ষমতাচর্চার অভিলাষ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যান। এটা অন্যায় নয়। তারা জনগণের দ্বারে যাবেন এবং দেশকে কী দিতে চান তা বলবেন, তাদের কর্মসূচি পেশ করবেন- এটাই স্বাভাবিক। জনগণ যাদের পছন্দ করবে তারা ক্ষমতার চর্চা করবেন। জনগণ পছন্দ করলে বিজয়ী হবে আর জনগণ যদি অন্যপক্ষের প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করে তবে তারাই ক্ষমতায় যাবেন। রাজনৈতিক জয়-পরাজয় দুটোই রয়েছে। এটা জেনেই রাজনীতিতে আসতে হবে; শুধু বিজয়ী হওয়ার মানসিকতা থাকলে চলবে না। জনগণের নেতিবাচক সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে হবে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু বাংলাদেশে গণতন্ত্রের এ বিষয়টি চর্চায় নেই। সবাই চায় ক্ষমতায় তাদের যেতেই হবে। হালে দেশে এ সমস্যাটি প্রকট।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন যারা ক্ষমতায় রয়েছে, তাদের ভাবভঙ্গি, বক্তৃতা-বিবৃতিতে এটাই প্রকাশ পায় যে, তাদের ললাটে বিজয়ের রাজটিকা অবশ্যই শোভা পেতে হবে। এ জন্য তারা নানা ছলছুতা এখন করছে। তাদের এসব আচরণে জনগণের পছন্দের বিষয়টি নিতান্ত গৌণ। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব লোকবল কম। তাই নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য সরকারি কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের ওপর নির্ভর করতে হয়। ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনকালীন এসব সরকারি লোকের ওপর প্রভাব ফেলে নির্বাচনকে তাদের অনুকূলে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালায়। এতে ভোট ব্যবস্থা আর নিরপেক্ষ থাকে না। নির্বাচনে এসব ব্যক্তির সহায়তায় বা তাদের অসহায়ত্বের সুযোগে ভোট কেন্দ্রে এমন পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে থাকে, যেখানে আর কোনো নির্বাচনের পরিবেশ থাকে না। এরই সাথে শক্তিধর এবং প্রভাবশালীদের সমর্থক দুর্বৃত্তরা নির্বাচন কেন্দ্রের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে। এতে সাধারণ ভোটারদের পক্ষে আর ভোট কেন্দ্রের কাছে ঘেঁষা সম্ভব হয় না। এমন প্রক্রিয়ায় যারা বিজয়ী ঘোষিত হয়, তাদের কাছে আর জনগণ ভালো-মন্দের বিষয়টি একেবারেই গৌণ হয়ে পড়ে। তারা মনে করে নিজ বাহুবল ও প্রতিপত্তিতে তারা বিজয়ী হয়েছে। তাদের কারো কাছে জবাবদিহি করার মানসিকতা আর থাকে না। আজকে যেমন একটি সংসদ আছে, তাতে কিন্তু বিরোধী কোনো শক্তি নেই। সরকারকে তাই কোথাও কোনো প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় না। বাংলাদেশের প্রথম সংসদে যেমন কোনো বিরোধী কণ্ঠ ছিল না, আজো এই নবম সংসদের হাল অভিন্ন। তখনো ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ ছিল। আজো ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ।

জনগণের জীবনমান ও জীবনযাপনের উন্নয়নই রাজনীতির মূল লক্ষ্য হয়ে থাকে, কিন্তু আজ আর সেই উদ্দেশ্য বাংলাদেশের রাজনীতির লক্ষ্য নয়; অন্তত ক্ষমতাসীনদের বেলায়। বৈষয়িক অগ্রগতি বস্তুতে পূর্ণাঙ্গ উন্নয়ন নয়। উন্নয়নের ধারণার সাথে আরো বহু কিছু সংযুক্ত রয়েছে। উন্নয়ন অর্থ একটি শান্তিপূর্ণ নিরাপদ জীবনযাপনের অধিকার নিশ্চিত হওয়া। কিন্তু সেই ধারণা পোষণ করা হয় না। দেশের জনগণের জীবন এখন শান্তিপূর্ণ নয়, নিরাপদ তো নয়ই। সর্বত্র অন্যায়-অনিয়ম মানুষের জীবনের শান্তি বিঘিœত করছে। আর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এতটাই অবনতি ঘটেছে, যে কারো জীবন এখন নিরাপদ নয়; তাই বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার শেষ নেই। একটি স্বাধীন বিচারব্যবস্থার সাথে মানবাধিকারের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। কিন্তু এখন বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ন্যায়বিচারের ব্যাপারে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি একটা বড় বিষয়, নির্বাচন কমিশনকে এটা উপলব্ধি করতে হবে। বিশেষ করে নির্বাচনের সময় সব দল যাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সম্প্রতি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হতে পারে। কিছু দিন আগে খুলনায় অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারি দলের প্রার্থীর অনুকূলে অনিয়ম করা হয়েছে। সে নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী কর্মীদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। সেখানে সবার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ছিল না। আগামীতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যাতে কাউকে এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে না হয়, সে বিষয়টি কমিশনকে দেখতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিগত জাতীয় নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে। আগামীতে যদি জাতীয় আকাক্সক্ষা পূরণ না হয়, নির্বাচনে কোনো বিশেষ দল গণতন্ত্রকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়। তবে তা দেশের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে। দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে এবং অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্ব অনেক; সে কথা তাদের বোঝা উচিত।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল