২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শ্রমিকদের নায্য অধিকার

শ্রমিকদের নায্য অধিকার - ছবি : সংগ্রহ

আমাদের দেশে শ্রমিকেরা নানাভাবে বঞ্চিত ও শোষিত হচ্ছে। বিশেষ করে শ্রমঘন শিল্প কারখানাগুলোতে বঞ্চনার মাত্রা আরো বেশি। স্বল্প মজুরি ছাড়াও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটে। চাকরির নিরাপত্তাও অনেক ক্ষেত্রে দুর্বল। তুচ্ছ কারণে চাকরিকালীন সুবিধা বা সার্ভিস বেনিফিট ছাড়া অনেকে চাকরিচ্যুত হন। বিশেষ করে, নারী শ্রমিকেরা সবচেয়ে সঙ্কটের মধ্যে থাকেন। এমনকি, অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে নারীদের কর্মপরিবেশ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।

শ্রমিকদের শোষণ ও বঞ্চনা যে শুধু আমাদের দেশেই হয় এমন নয়। শ্রমিকদের অবস্থা পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশেই ভালো নয়। ইউরোপের দেশগুলোতে শ্রমিকেরা অধিকার আদায়ের জন্য যতটা সঙ্ঘবদ্ধ আমাদের দেশে ততটা নয়। আবার শ্রমিক সংগঠনগুলো নানা ধরনের রাজনৈতিক স্বার্থে বিভাজনের মধ্যে থাকে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারে না; কিন্তু সরকার ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকেরা আন্তরিক হলে শ্রমিকেরা তাদের ন্যূনতম অধিকার পেতে পারে। এ ক্ষেত্রে নি¤œলিখিত বিষয়গুলোর দিকে তারা দৃষ্টি দিতে পারেন :
১. বেশির ভাগ দেশে শ্রমিকদের নি¤œতম মজুরি খুবই কম। আমাদের দেশে দেখি- তারা যা পাওয়ার কথা তার তিন ভাগের এক ভাগও পায় না। ন্যূনতম মজুরি কমপক্ষে সরকারি কর্মচারীদের নি¤œতম গ্রেডের সমান হওয়া উচিত। এর সাথে ঘর ভাড়া, চিকিৎসাভাতা যোগ হবে। কৃষিকার্যে নিয়োজিত শ্রমিকদের এবং গৃহকর্মীদের জন্য সরকারের উচিত বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

২. কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। নারী শ্রমিকদের ওপর পুরুষ শ্রমিক বা মালিকদের যৌন নির্যাতন সারা বিশ্বে এক বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারগুলোর পক্ষ থেকে এবং সংশ্লিষ্ট সবার এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
৩. নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য শিফট ব্যবস্থা যেখানে আছে সেখানে ১২ ঘণ্টার শিফট সকাল ৮টায় শুরু হয়ে রাত ৮টায় শেষ হতে হবে। ৮ ঘণ্টার শিফটের ক্ষেত্রে সকাল ৭টা-বেলা ৩টা এবং বেলা ৩টা-রাত ৯টা সীমার মধ্যে থাকা উচিত।
৪. রাতের শিফটের নারী শ্রমিকদের জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা থাকা উচিত। বাসস্থানের ব্যবস্থা সবার জন্য এবং বিশেষত নারী শ্রমিকদের জন্য অবশ্যই থাকা উচিত।
৫. কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের বিশ্রাম, নামাজ, নৈতিকশিক্ষা এবং সন্তানের মায়েদের জন্য শিশুগৃহের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।

রাসূল সা:-এর শিক্ষা অনুসারে শ্রমিকেরা আমাদের ভাইবোন, তাদের আমরা যেমন খাই, যেমন পরি তেমন পরতে দেয়া এবং তাদের কাজকে সহজ করে দেয়া আর তাদের প্রাপ্য সত্বর পরিশোধ করা উচিত। শ্রমিকদের কল্যাণ ও ন্যায্য পাওনার ব্যাপারে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকদের জবাবদিহিতা থাকা উচিত। কল্যাণ রাষ্ট্রে সরকার মালিকদের কাছে এই জবাবদিহিতা নিয়ে থাকেন। আবার মালিকেরাও নৈতিক দায়িত্ব ও আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার ভয় থেকে তার অধীনস্ত শ্রমিকদের সৎ জীবনযাপনের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
লেখক : সাবেক সচিব, বাংলাদেশ সরকার


আরো সংবাদ



premium cement
মৃত মায়ের গর্ভে জন্ম নিলো নতুন প্রাণ দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশে কেউ মারা যায়নি : পুলিশ সুপার হামাসকে কাতার ছাড়তে হবে না, বিশ্বাস এরদোগানের জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিক নিরাপত্তার উদ্যোগ ভালো লেগেছে : সীতাকুন্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১০ দেশের অংশগ্রহণে সামরিক মহড়া শুরু করল আরব আমিরাত গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ ৯ বছর পর সৌদি আরবে আসছে ইরানি ওমরা কাফেলা দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের হামলার নিন্দা হেফাজতে ইসলামের ভর্তি পরীক্ষায় জবিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক ও চিকিৎসক মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশীরা কারা? কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ২৫ দিন পর উদ্ধার যুবকের লাশ উদ্ধার

সকল