২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

রাজ্জাকের ৭ উইকেটের পর চাপে দক্ষিণাঞ্চল

-

আব্দুর রাজ্জাকের বুড়ো হাতের ঘূর্ণিতে ভালো শুরুর পরও বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) ফাইনালে প্রথম ইনিংসে বেশি দূর যেতে পারেনি পূর্বাঞ্চল। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রাজ্জাকের স্পিন-ভেল্কিতে পূর্বাঞ্চল অলআউট হয়েছে ২৭৩ রানে। আগের দিন ২ উইকেট পাওয়া রাজ্জাক গতকাল নিয়েছেন আরো ৫ উইকেট। ৩২.৩ ওভারে বাঁ-হাতি স্পিনার ১০২ রান খরচায় নিয়েছেন মোট ৭ উইকেট। অবশ্য পূর্বাঞ্চলকে অলআউট করে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণাঞ্চলও ভালো অবস্থানে নেই। দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা দক্ষিণাঞ্চল থতৃতীয় দিন শেষ করেছে ৮ উইকেটে ১২৫ রানে। তবে প্রথম ইনিংসে ৪৮৬ রান থকরায় দক্ষিণাঞ্চল লিড নিয়েছে ৩৩৮ রানের। মেহেদী হাসান ৪১ ও তার সাথে ১ রানে অপরাজিত রয়েছেন অধিনায়ক রাজ্জাক।
৩ উইকেটে ১১০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে পূর্বাঞ্চল। মাহমুদুল হাসান ও আফিফ হোসেনের ব্যাটে ভালো শুরু পায় তারা। বড় ইনিংসের সম্ভাবনা জাগিয়েও রাজ্জাকের বলে ফিরে যান মাহমুদুল (৩৩)। তবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী তানজিদ হাসানকে নিয়ে দাঁড়িয়ে যান আফিফ। চমৎকার ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও পূর্ণ হয়নি, ৪৭ রানে তাকে থামান রাজ্জাক। এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের রান বাড়িয়ে গেছেন তানজিদ। রাজ্জাকের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৮৭ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় খেলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস। পরে রাজ্জাকের সামনে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারেননি। ২৭৩ রানে থামে পূর্বাঞ্চলের প্রথম ইনিংস।
২১৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা দক্ষিণাঞ্চল শুরুতেই পড়ে বিপদে। ২৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার এনামুল হক ১০ ও ফজলে মাহমুদকে ১ হারানোর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। জিম্বাবুয়ে টেস্ট থেকে বাদ পড়া মাহমুদুল্লাহ আরেকবার ব্যর্থ। দলের প্রয়োজনের সময়থ ওয়ানডাউনে নেমে ১১ বলে ১৭ রান করে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। দক্ষিণাঞ্চলে ধাক্কাটা আরো বেশি লাগে পরের ওভারেই শামসুর রহমান ১৬ রান করে ফিরে গেলে। এরপর শুধু আসা-পাওয়ার পালা; নুরুল হাসান ৮, আল-আমিন ৮ ও প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ফরহাদ রেজা করেন ৩ রান। ৫১ থরান দিয়ে বাঁ-হাতি পেসার আবু হায়দার নিয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের ৪ উইকেট। আর ২টি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ ও রুয়েল মিয়া।


আরো সংবাদ



premium cement