খেলাতেই মনোযোগ নাজমুলের
- জসিম উদ্দিন রানা
- ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
২০১৭ সালে অভিষেক। কিন্তু টেস্ট খেলা হয়নি নিয়মিত। দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকা নাজমুলকে এই সময়টায় ছুড়ে ফেলে দেননি নির্বাচকরা। যার প্রতিদান দিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টেস্ট ক্যারিয়ারে শান্তর আগের সেরা ইনিংস ছিল ৪৪ রান। লাল বলের ক্রিকেটে এবারই প্রথম দেখা পেয়েছেন ফিফটির। সেই ফিফটিকে ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির পথেও নিয়ে যাচ্ছিলেন ২১ বছর বয়সী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু ম্যাজিক ফিগার থেকে ২৯ রান দূরে থাকতে চার্লটন টিসুমার বলে উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাবার গ্লাভসে বন্দী হন শান্ত। তার ১৩৯ বলে ৭১ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চারে।
তার টেস্ট অভিষেকটা ছিল একটু অপ্রত্যাশিত। ২০১৭ সালের নিউজিল্যান্ড সফরে মুশফিকুর রহীমের চোটের কারণে টেস্ট দলে সুযোগ মেলে শান্তর। কিন্তু এক টেস্টের পরই বাদ পড়তে হয় এই তরুণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। এরপর ২০১৮ সালে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে ফের সুযোগ হয়। তারপর আবার বিরতি। এ বছর জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে সুযোগ পান। দুই ইনিংসেই দারুণ ব্যাটিং করেন পাকিস্তানে, কিন্তু ইনিংস বড় হয়নি।
দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে বলেন, ‘এর আগে যখন খেলেছি, তখন একটা ভয় কাজ করত। খারাপ খেললে বাদ পড়ব। এখন মনে হচ্ছে দলে থাকব কি থাকবো না এটা আমার চিন্তার অংশ না। চেষ্টা করেছি প্রতিটি ম্যাচে ভালো খেলার। লম্বা সময় ধরে বিসিবির অধীনে ছিলাম। এইটা একটা পজিটিভ দিক। যখন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লাম তখন হাই পারফরম্যান্স দলে ছিলাম, ‘এ’ দলে ছিলাম। এটা একটা পজিটিভ দিক যে নির্বাচকরা আমাকে ওই জায়গাটায় সুযোগ দিয়েছে। আমি মনে করি প্রত্যেক প্লেয়ারেরই এই জায়গায় সুযোগ পাওয়া জরুরি।’
সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘অবশ্যই সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল, উইকেটটা যেহেতু ভালো ছিল। শুরুটা যেমন হয়েছিল ইনিংস বড় করা উচিত ছিল। আমাদের ব্যাটিংয়ের নির্দিষ্ট একটা প্ল্যান আছে। আমরা প্রথমে চিন্তা করছিলাম উইকেটটা কেমন আচরণ করছে সে অনুযায়ী খেলব। বিসিএল থেকেও আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি পেয়েছি। সেখানে বড় ইনিংস (২৫৩ রান) খেলার কারণে আজ আমার জন্য কিছুটা হলেও সহজ হয়েছে।’
লিডের ব্যাপারে বলেন, ‘আসলে এইটা বলা ডিফিকাল্ট। কারণ কালকে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। মুমিনুল ভাই, মুশফিক ভাই ভালো ব্যাটিং করছেন। যদি কন্টিনিউ করতে পারেন, ওটাই আমাদের জন্য বেনিফিট হবে।
ভালো খেলার কারণে ওয়ানডে দলেও ডাক পেলেন তিনি। শোনার পর বললেন, ‘ওয়ানডে দলে সুযোগ পাওয়ার কথা এখনই শুনলাম। আলহামদুলিল্লাহ্।থ যদি ওখানে সুযোগ পাই ভালো করার চেষ্টা করব। সবশেষ দুই তিন মাস ধরে আমাদের সুহেল স্যারের সাথে বেশ কথা হচ্ছে। ওনি একটা কথাই বলছেন যে, শুধু খেলাতে ফোকাস কর। বিশ্বাস করতে শিখ যে তুই এখানেও রান করতে করবি যেটা ঘরোয়াতে করিস। সেভাবেই শিখছি।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা