তামিম আল আমিনের শতরান প্রস্তুতি ম্যাচ ড্র
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
বিসিবি একাদশ ও জিম্বাবুয়ের প্রস্তুতি ম্যাচে জিম্বাবুয়ের প্রাপ্তি বলতে শুরুর দিকে বোলিংয়ে প্রতিপকে বিপদে ফেলা। দ্বিতীয় দিনে মাত্র ৬৯ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে সফরকারীরা দুর্দান্ত শুরু করেছিল। কিন্তু খেলা যতই সামনে গড়িয়েছে, ততই পিছিয়ে পড়ে অতিথি দলটি। ম্যাচের পুরো কর্তৃত্ব নিয়ে নেয় বিসিবি একাদশ। প্রস্তুতি ম্যাচের প্রাপ্তি তানজিদ হাসান তামিম ও আল আমিনের সেঞ্চুরি।
প্রথম দিনে বিসিবি একাদশের পেসাররা পারেননি। তবে দ্বিতীয় দিনে জিম্বাবুয়ের পেসাররা বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠের উইকেট থেকে ঠিকই বাউন্স আদায় করে নিয়েছেন। ৭ উইকেটে ২৯১ রান করে প্রথম দিন ব্যাটিং অনুশীলন শেষে গতকাল বিসিবি একাদশ ৫ উইকেটে ২৮৮ রান করলে নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টা আগেই উভয় পক্ষের সমঝোতায় ড্র মেনে নেন।
জিম্বাবুয়ের তিন পেসার কার্ল মুম্বা, চার্লটন শুমা ও আইনশলে এনলভু গতকাল সকাল থেকেই বল করেছেন আক্রমণাত্মক লাইন-লেংথে। শরীর তাক করা বাউন্সারের সাথে ফুল লেংথ ডেলিভারির মিশ্রণটা ভালোই করতে পেরেছেন জিম্বাবুইয়ানরা। বিসিবি একাদশের ব্যাটসম্যানদের এলোমেলো করে দিতে এইটুকুই যথেষ্ট ছিল। প্রত্যেকে একটি করে উইকেটও পেয়েছেন। প্রথম ঘণ্টাতেই মোহাম্মদ নাঈম, মাহমুদুল হাসান ও শাহাদাত হোসেনের উইকেট হারায় বিসিবি একাদশ।
প্রথম সেশন শেষের আগে আরও ২ উইকেট হারায় তারা। পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন আকবর (১)। মারতে গিয়ে আউট হন পারভেজ (৩৪)। নাঈম ১১ রান করে পুল খেলতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে আউট হন। যুব বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করা মাহমুদুল হাসান জয় তিনে নেমে মাত্র এক রানে পেছনে ক্যাচ দেন বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে। আলগা শট খেলে মিডঅফে ক্যাচ দেন শাহাদত (২)। মধ্যাহ্নহ্নভোজের বিরতির আগ পর্যন্ত প্রথম সেশনে বিসিবি একাদশ করেছিল ২৬ ওভারে ৫ উইকেট ৮৪ রান।
এরপর গল্পটা ছিল ভিন্ন। জিম্বাবুয়ের পেসারদের বাউন্সার তোপের সামনে সাতে নেমে চিত্র পাল্টান বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তানজিদ হাসান তামিম। অধিনায়ক আল আমিনের সাথে ১৫৮ রানের জুটি গড়ে চা-বিরতিতে যান তানজিদ। তার ঝড়ো সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের বিপে শুরুর ধস সামলে ঘুরে দাঁড়ায় বিসিবি একাদশ। বয়সভিত্তিক দলে নিয়মিত ইনিংসের সূচনা করলেও তানজিদকে আজ নামতে হয়েছে সাতে। চাপের মুখে পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেন এই বাঁহাতি। জবাব দিয়েছেন পুল শট, ফুল লেংথের বলগুলোতে আগ্রাসী ড্রাইভ, ফিক, লফটেড শটে ছক্কা মেরে। ৪০ বলে করেন হাফ সেঞ্চুরি। এরপর এগোতে থাকেন সেঞ্চুরির পথে। নামের পাশে ৮১ বলে ৮৯ রান নিয়ে যান চা বিরতিতে। ফিরে এসে ৮৭ বলে পেয়ে যান সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ বলে ১৪ চার ও ৫ ছক্কায় ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
আল আমিন শুরু থেকে ছিলেন সাবধানী। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৪৫ বলে ১৬টি চারে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন। আল আমিন সেঞ্চুরি স্পর্শ করার পর দিনের খেলা ঘণ্টাখানেক বাকি থাকতেই দুই দলের সম্মতিতে ম্যাচের সমাপ্তি টানেন আম্পায়াররা। তানজিদ ১২৫ ও আল আমিন ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন। ষষ্ঠ উইকেটে ২১৯ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ছিলেন তারা। যুব বিশ্বকাপে খেলা ছয়জন ছিলেন বিসিবি একাদশে। এর মধ্যে শাহদাত বোলিংয়ে আর তানজিদ আলো ছড়ালেন ব্যাটিংয়ে।
তানজিদ হাসান তামিম। ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বগুড়ায় জন্ম নেয়া তামিমের প্রথম কাব উত্তরা ক্রিকেট কাব। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বর্তমানে শাইনপুকুরের হয়ে চুক্তিবদ্ধ। যুব ওয়ানডেতে ৩৩ ইনিংসে ৩০.৮৪ গড়ে করেছেন ১০১৮ রান। সেঞ্চুরি একটি (১১৭) হাফ সেঞ্চুরি আটটি। এবারের যুব বিশ্বকাপে ছয় ইনিংসে ২৭.৬৬ গড়ে করেছেন ১৬৬ রান। রয়েছে একটি হাফ সেঞ্চুরি (৮০)। বল করেননি একটিও। তবে ক্যাচ ধরেছেন চারটি। বিসিবি একাদশ নিশ্চয়ই সাহস জোগাবে জাতীয় দলকে। টানা পাঁচ টেস্টে হতাশাজনক পারফরম্যান্স করা বাংলাদেশ, মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপে ২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া টেস্টে নতুন করে শুরু করবে বলেই বিশ্বাস ক্রীড়াপ্রেমীদের।
সংপ্তি স্কোর :
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস : ৯০ ওভারে ২৯১/৭ ইনিংস ঘোষণা (মাসভাউরে ৪৫, কাসুজা ৭০, মুম্বা ৫৪*, শরিফুল ১/৪৫, শাহাদাত ৩/১৬)।
বিসিবি একাদশ প্রথম ইনিংস : ৫৯.৩ ওভারে ২৮৮/৫ (তানজিদ ১২৫*, আল আমিন ১০০*, পারভেজ ৩৪, এনডিলোভু ২/৫১, মুম্বা ১/৩৭, টিশুমা ১/২৩, মাটোমবডজি ১/৪৫)।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা