২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ড্র করেই ফাইনালে দক্ষিণাঞ্চল

-

কক্সবাজারের শেখ কামাল স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে শামসুর রহমানের সেঞ্চুরি ও নাসুম আহমেদের হাফ সেঞ্চুরির পর শেষ দিকে ফরহাদ রেজা ও শফিউল ইসলামের দৃঢ়তায় হার এড়াল দক্ষিণাঞ্চল। আর তাতেই অষ্টম বিসিএলের ফাইনালের টিকিট পেয়ে গেল চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। উত্তেজনা ছড়িয়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও জিততে পারেনি মধ্যাঞ্চল।
টুর্নামেন্টের পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে আছে দক্ষিণাঞ্চল। ১৯.৮৯ পয়েন্ট পেয়েছে ষষ্ঠবারের মতো ফাইনাল খেলতে যাওয়া দলটি। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ২৩.৪৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা পূর্বাঞ্চল। আগামী শনিবার হবে ফাইনাল।
লক্ষ্য বিশাল থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলের ফাইনালে উঠতে ড্রই দরকার ছিল। ৫০৭ রানের বিশাল লক্ষ্যের বিপক্ষে ছয় উইকেট হাতে নিয়ে শেষ দিনে দারুণ শুরু করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান শামসুর ও নাসুম। দৃঢ় ব্যাটিংয়ে তারা পার করে দেন দিনের প্রথম সেশন। ৭২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর দ্বিতীয় সেশনে ১৭৮ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন শামসুর। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এটি তার ২০তম সেঞ্চুরি। ১৩৯ রানের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ২৩০ বলে ১৮ চার ও এক ছক্কায় ১৩৩ রান করেন শামসুর।
তার বিদায়ের পর দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দক্ষিণাঞ্চল। দলকে কিছুটা স্বস্তি দেয় নাসুম আহমেদের সাবধানী ব্যাটিং। কিন্তু তৃতীয় সেশনের শেষ দিকে ২৪৬ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় ৮৫ রানের ইনিংস খেলা নাসুম প্যাভিলিয়নে ফিরলে দল বিপাকে পড়ে। টেকেননি অভিজ্ঞ আব্দুর রাজ্জাকও। তবে দশম উইকেটে ব্যাট হাতে দারুণ দৃঢ়তা দেখিয়ে শেষ ৯ ওভার কাটিয়ে দেন ফরহাদ রেজা ও শফিউল। ৯১ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন ফরহাদ ও ২৬ বলে ১ রানে শফিউল। মধ্যাঞ্চলের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন মিরাজ। তিনটি নেন শুভাগত হোম। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচসেরা হন নাসুম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
মধ্যাঞ্চল ইনিংস : ৮২.২ ওভারে ২৩৫ ও ১০৭ ওভারে ৩৮৫/৮ ইনিংস ঘোষণা।
দক্ষিণাঞ্চল ইনিংস : ২৮.২ ওভারে ১১৪/৪ ইনিংস ঘোষণা ও (আগের দিন ১৫৯/৪) (শামসুর রহমান ১৩৩, নাসুম ৮৫, ফরহাদ রেজা ২৭*, শফিউল ১*, মোস্তাফিজ ১/৪৮, মিরাজ ৪/১৩৬, শুভাগত ৩/৫৯)
ফল : ম্যাচ ড্র
ম্যাচসেরা : নাসুম আহমেদ

 


আরো সংবাদ



premium cement