২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

গাদ্দাফিতেও শেরেবাংলার ছোঁয়া

বাংলাদেশের ইনিংসে ৪৫ ডট বল
বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ও নাঈম : এএফপি -

ক’দিন আগেই শেষ হয়েছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। মিরপুর শেরেবাংলায় তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈমের ধীরগতির ব্যাটিং দেখেছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। সে ধারা বের হতে পারেনি কেউ। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-২০-তেও দেখা গেল একই চিত্র। এবার লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তাদের ব্যাটিং দেখলো বিশ্ববাসী। বিপিএলের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-২০তে ধীরগতির ব্যাটিং করেছেন বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার তামিম ও নাঈম।
ওপেনার দু’জনই বাঁ হাতি। বুঝাই যাচ্ছিল তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈমদের সামনে অফ স্পিনারদের কাজে লাগাবেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। টি-২০-তে মারমুখী হওয়ার যে প্রবণতা সেটি রুখে দেবেন অফ স্পিনার দিয়ে। থামিয়ে দেবেন চার ছক্কার সুযোগ। কিন্তু নতুন এই অধিনায়ক প্রয়োগ করলেন ভিন্ন কৌশল। দুই বাঁ হাতির বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে বল করালেন ইমাদ ওয়াসিমকে দিয়ে। তার পরও সুযোগগুলো নিতে পারেনি তামিম-নাঈম।
আরো অবাক করা ব্যাপার, তামিম-নাঈমের কেউই বাঁ হাতি স্পিনে হাত খুলে খেললেন না। পেস বোলিংয়ের সামনেও তাই করলেন, খেললেন ওয়ানডে মেজাজে। লাহোরে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম টি-২০ ম্যাচে আগে ব্যাট করে ওপেনাররা ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে করেন মাত্র ৩৫ রান। রানের গতি বাড়েনি পাওয়ার প্লের পরও। ৭১ রানের ওপেনিং জুটি হয় ১১ ওভারে। প্রচুর বল খেলে উইকেটে থিতু হলেও ইনিংস লম্বা হয়নি কোনো ওপেনারের। ৩৪ বলে ৩৯ রান করে রান আউট হন তামিম, ৪১ বলে ৪৩ রান করে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন নাঈম। পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন কম। ফলে হাতে ৫ উইকেট থাকা সত্ত্বেও ১৪১ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।
গত বিপিএলেও এই দুই ওপেনার ঠিক এমন ধীর গতিতেই রান তুলেছেন। ঢাকা প্লাটুনের হয়ে তামিম ইকবাল ১২ ইনিংসে মাত্র ১০৯.৩৯ স্ট্রাইক রেটে করেন ৩৯৬ রান। রংপুর রেঞ্জার্সের হয়ে নাঈম ১২ ইনিংসে ১১৫.৪৩ স্ট্রাইক রেটে করেন ৩৫৯ রান। বিপিএলে তামিমের ধীরগতির ব্যাটিং নিয়ে কোচ সালাউদ্দিন বলেছিলেন সে ক্রিজে থাকা মানে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করা। তামিম ঠিকই সময়মতো জ্বলে উঠবে। কিন্তু হলো না। এটিতো আর বিপিএলের প্রতিপক্ষ নয়। পাকিস্তান বলে কথা। টি-২০ ম্যাচে একই সাথে দুই ওপেনারের মন্থর ব্যাটিং দলের জন্য সুখবর বয়ে আনেনি। ৫ উইকেটের পরাজয়ই সেটির প্রমান। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা মুখিয়ে আছে পরবর্তী ম্যাচের দিকে। তামিম ও নাঈম ঠিকই টি-২০-তে জ্বলে উঠবেন।


আরো সংবাদ



premium cement