২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অবকাঠামোকে দুষলেন জেমি

-

নেপালি রেফারির শেষ বাঁশি বাজানোর সাথে সাথে উল্লাসে মাতেন বুরুন্ডির ফুটবলাররা। অন্য দিকে লাল-সবুজ জার্সীধারীদের মধ্যে রাজ্যের হতাশা। আবারো তাদের বিদায় বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনাল থেকে। কাল এই হারে বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে হতাশা ব্যক্ত করলেও খুশি দলের পারফরম্যান্সে। তার মতে, আমরা ভালো খেলেছি। বল পজেশন আমাদের বেশি ছিল। চান্সও বেশি পেয়েছি আমরা। কিন্তু আমরা গোল করতে পারিনি। অন্য দিকে বুরুন্ডি প্রাপ্ত চান্স কাজে লাগিয়েই ম্যাচ জিতে নিয়েছে। লাল-সবুজ ফরোয়ার্ডদের এই গোল মিসের জন্য কোচ দায়ী করেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অবকাঠামোকে। তার মতে, যারা জাতীয় দলে ফরোয়ার্ড পজিশনে খেলা খেলোয়াড়রা ক্লাব ফুটবলে তারা রাইটব্যাক। বা অন্য পজিশনে। কিভাবে তারা গোল করবে জাতীয় দলে।
এই ইংলিশ কোচের বক্তব্য, একজন খেলোয়াড় যদি ক্লাব পর্যায়ে ফরোয়ার্ড লাইনে না খেলে, গোল করার অভ্যাস তৈরি না করে তাহলে কিভাবে গোল করবে জাতীয় দলে। আপনারা কিভাবে তাদের কাছে গোল আশা করেন জাতীয় দলে। আমার মতে, অবশ্যই ঘরোয়া লিগে বিদেশী কমাতে হবে। বাংলাদেশের ফুটবলকে এই অবস্থা থেকে উন্নতি ঘটাতে হলে লিগের কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে হবে। জানান, আমি হতাশ দল ফাইনালে উঠতে না পারায়। আসলে দুই দলের গোল করার দক্ষতার ব্যবধানই ম্যাচে তফাৎ গড়ে দেয়। শুরুতেই মতিন মিয়ার ইনজুরি প্রসঙ্গে বলেন, তাকে আমরা মিস করেছি। তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে ওভাবে গোল হজম করা ঠিক হয়নি। এরপরও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সাদ উদ্দিন বিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়েও যে মিস করেছে তা গোল হলে পাল্টে যেত ম্যাচের চিত্র।
এদিকে বুরুন্ডির কোচ জসলিন বিপুভুসা বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল ফাইনালে যাওয়া। তা সম্ভব হয়েছে। তিন ম্যাচে আমাদের করা গোলের সংখ্যা ১০টি। এর মধ্যে সাতটিই জসপিনের। তবে আমাদের দল জসপিন নির্ভন নয়।


আরো সংবাদ



premium cement