২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

র‌্যাংকিং নিয়ে ভাবছেন না মাহমুদুল্লাহ

-

আজ রাতে রওনা হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যে দলের বিপক্ষে তাদের মাটিতে খেলতে যাচ্ছে, সেই পাকিস্তান টি-২০ র্যাংকিংয়ের এক নম্বর দল। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে সম্ভাব্য সব খোঁজখবর নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে প্রতিপক্ষের র্যাংকিং আর শক্তি নিয়ে ভাবার চেয়ে নিজেদের পারফরম্যান্সে গুরুত্ব দিচ্ছে টিম বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কত্ব পাওয়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মনে করেন, এখন প্রয়োজন পাকিস্তানের বিপক্ষে তৈরি হওয়া।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে টাইগার ক্যাপ্টেন জানালেন, ‘আমরা ৯ নম্বরে, ওরা ১ নম্বরে। টি-২০ তারা ধারাবাহিকভাবে খেলে আসছে। আমরা যেভাবে শেষ কয়েকটি সিরিজ খেলেছি, তাতে মনে হচ্ছে ভালো কিছু ম্যাচ উপহার দিতে পারব। ইনশা আল্লাহ আমরা সিরিজ জেতার চেষ্টা করব। বিপরীতে শেষ কয়েকটা সিরিজে পাকিস্তান হয়তো খারাপ করেছে। এমনিতে তারা শক্তিশালী দল এবং তাদের দেশে খেলা। দেশের মাটিতে শেষ সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরাজয়ে তাদেরও নিশ্চই কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে। তবে আমরা র্যাংকিং বিচার করছি না।’
পাকিস্তান সর্বশেষ ৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি জিতেছে, হেরেছে বাকি ৮টি। দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। তবে টাইগার কাপ্তানের মনযোগ নিজেদের দিকে, ‘আমাদের মনোযোগ দিতে হবে আমরা কতটা ভালো খেলতে পারি। এই টিমে যারা আছে তারা ভালো ফর্মে আছে। যদি সেরাটা খেলতে পারি তাহলে আমরা জিততে পারব।’
পাকিস্তান সফরের সিদ্ধান্ত নেয়া কতটা কঠিন ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ইনিশিয়ালি কিছুটা অবশ্যই টাফ ছিল। কারণ আমার ফ্যামিলিও কনসার্ন ছিল। বাট আমি আমার পরিবারের সাথে কথা বলেছি। ওরা রাজি হয়েছে। মুশির সিদ্ধান্ত আমিও সমর্থন করি। কারণ ফ্যামিলি একটা বড় ইস্যু একজন ক্রিকেটারের লাইফে।’
নিরাপত্তা বলয়ে খেলায় কোনো চিন্তা করছেন না মাহমুদুল্লাহ। দল নিয়েও খুশি তিনি, ‘এই মুহূর্তে ব্যক্তিগতভাবে আমি এতটুকু বলতে পারি দলের অন্য খেলোয়াড়রাও চিন্তিত না। কারণ এটা সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। আমরা এখন ওখানে খেলার কথাই চিন্তা করছি, কিভাবে ভালো পারফর্ম করতে পারব সেটিই বেশি চিন্তা করতে হবে। এই মুহূর্তে যারা স্কোয়াডে চান্স পেয়েছেন সবাই খুবই ভালো পারফরম্যান্স করেছে এই বিপিএলে। ব্যাটসম্যানরা সবাই রান পেয়েছে। বোলাররা সবাই উইকেট পেয়েছে। আমি সব কিছু নিয়ে খুবই কনফিডেন্ট। এবার ওখানে গিয়ে প্রয়োগ করার পালা।’
সাকিব নেই, মুশফিক নেই। তামিম এবং তার ওপরই দায়িত্ব বর্তাবে বলে মনে করেন মাহমুদুল্লাহ, ‘আমি এবং তামিম ব্যক্তিগতভাবে অবশ্যই অনুভব করি আমাদের দায়িত্ব একটু বেশিই থাকবে। বিশেষভাবে টপ অর্ডারে তামিমের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি মেটার করে। ও খুব ছন্দে আছে। আমার যে রোলটা থাকবে ব্যাটিংকে টেনে নিয়ে যাওয়া। আমি এই জিনিসটা করার চেষ্টা করব। আমার মনে হয় প্রতিটা খেলোয়াড়েরই দায়িত্ব থাকবে। অনেককে হয়তোবা ডিফারেন্ট ব্যাটিং অর্ডারে ব্যাটিং করতে হতে পারে। ওরা মেন্টালি চিন্তা করছে এবং তারা এটা মানিয়ে নেবে।’
দলে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে ভাবনাও কম নয় অধিনায়কের, ‘মিডল অর্ডারে অবশ্যই আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আফিফ লাস্ট সিরিজে মিডল অর্ডারে ব্যাট করেছে, বিপএলে টপ অর্ডারে অনেক ভালো করেছে। টপ অর্ডারের অনেককেও হয়তো লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে হতে পারে। এ জিনিসগুলো মানসিকভাবে ধারণ করা ও সে অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হবে। সৌম্য অনেক দিন ধরে খেলছে। আফিফ, বিপ্লব, নাইম শেখ নিউ কিড। কিন্তু তারা সবাই জানে তাদের কী করতে হবে, কী পরিস্থিতি সামলাতে হবে। দিনশেষে যার যেটুকু সুযোগ হবে সে যেন সেটুকু দিয়েই দলের জন্য কিছু করে। কারণ রেজাল্টটা আপনি কন্ট্রোল করতে পারবেন না । আপনি আপনার কৌশল, এফোর্ট কতটুকু দিচ্ছেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ।’
বোলাররাও যার যার জায়গা থেকে ভালো করবে বলে বিশ্বাস তার, ‘টি-২০ ক্রিকেটে যদি প্রোপার ভ্যারাইটির পেসার থাকে তাহলে ওটা বেশ সাহায্য করবে। বিপিএলে দেখেছি আমাদের পেসাররা বেশ ভালো করেছে, যারা সুযোগ পেয়েছে তারা এটা ডিজার্ভ করে। আল আমিন, সুহাস, রুবেল, মুস্তাফিজ অনেক ভালো করেছে। আমি খুব চিন্তিত না যে, আমাদের প্রোপার স্পিনার আছে কি নেই। আমার মনে হয় আমাদের এবারের মিশনে পেস বোলিং সাইডটা বেশ অভিজ্ঞ। পেস বোলারদের ওপর আস্থা রাখাই যায়।’
রিয়াদ এবারই প্রথম যাচ্ছেন না। ২০০৮ সালেও গিয়েছিলেন। সে হিসেবে উপমহাদেশের উইকেট নিয়েও ধারণা রয়েছে। ব্যাটসম্যানদের জন্য আদর্শ উইকেটই মনে করছেন রিয়াদ। সে ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানদের কাজটা বেশ ভালোভাবে করতে হবে বলে জানালেন।


আরো সংবাদ



premium cement