পাকিস্তান সফরে যাত্রাপথে ঝক্কি থাকছে বিসিবির
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
একবারের জায়গায় তিনবার। পাকিস্তান সফর নিয়ে উভয় বোর্ডের নানারকম কথাচক্রের পর অবশেষে সমঝোতা। সেটির ভিত্তিতেই তিনবার করে যেতে হবে পাকিস্তানে এবং খেলতে হবে তিনটি ভেনুতে। আগে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ও দু’টি টেস্টের কথা থাকলেও এবার যোগ হয়েছে আরো একটি ওয়ানডে। পাকিস্তান সফরে জটিল সূচির মতো যাত্রাপথে ঝক্কির পাশাপাশি বিপুল অর্থব্যয়ও থাকছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।
জটিল ভ্রমণের সাথে তিনবার যাওয়া-আসা করায় বিসিবির বিমান খরচটাও নেহাত কম হবে না। দুই বোর্ডের সমঝোতা (এমওইউ) অনুযায়ী, যে কোনো সিরিজ খেলতে গেলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ভাড়া সফরকারী দলকেই বহন করতে হয়। পাকিস্তান সফরে বিসিবিকে তাই বিমান ভাড়ায় খরচ করতে হবে ২ কোটি টাকারও বেশি।
সব মিলিয়ে ঢাকা থেকে লাহোরে যেতে লাগবে অন্তত ১২-১৩ ঘণ্টা। বাংলাদেশ দলকে জটিল এই ভ্রমণটা চার মাসে করতে হবে তিনবার। ভৌগোলিক দূরত্বে পাকিস্তান খুব বেশি দূরে না হলেও ফ্লাইটের শিডিউলের কারণে টাইগার দলকে তিনবার এই ক্লান্তিকর ভ্রমণ করতে হবে।
পাকিস্তান সফরের সূচি ঠিক হওয়ার পর বিসিবি রওনা দেয়ার দিনক্ষণও চূড়ান্ত হয়েছে। লাহোরে টি-২০ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দল রওনা দেবে ২২ জানুয়ারি। উপমহাদেশের অন্য দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটানে যেতে সরাসরি ফ্লাইট থাকলেও ঢাকা থেকে পাকিস্তানে যেতে হবে ঘোরাপথে। ঘোরাপথে যেতে দূরত্ব ও সময় বাড়ছে দ্বিগুণ।
একটি ট্রানজিট নিয়ে সেখান থেকে কানেকটিং ফ্লাইট ধরে পাকিস্তানের করাচি ও লাহোরে পৌঁছাতে হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ট্রানজিট হয় কলম্বো, ব্যাংকক, দুবাই ও দোহা। বিসিবির সাথে যেহেতু কাতার এয়ারওয়েজের চুক্তি রয়েছে। তাই বাংলাদেশ দল লাহোর যাবে দোহা হয়ে।
ঢাকা থেকে লাহোরের দূরত্ব ১৮০০ কিলোমিটারের বেশি নয়। দোহা হয়ে যাওয়ার কারণে পাড়ি দিতে হবে ৮ হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ। ঢাকা থেকে দোহা যেতে লাগবে ৫ ঘণ্টা। দোহা থেকে লাহোরে যেতেও প্রায় চার ঘণ্টা লাগবে। আর দোহায় ট্রানজিট থাকছে ২ থেকে ৫ ঘণ্টা। কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইট কিন্তু পাকিস্তানের ওপর দিয়েই যাবে। অর্থাৎ পশ্চিমে রওনা দিয়ে আবার পুবে ফিরে আসবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা