২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঢাকা বিপর্যস্ত রাজশাহীর বিপক্ষে

দীর্ঘ দিন পর মাঠে নেমেছেন মাশরাফি ও তামিম
-

মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল, তিসারা পেরেরা, শহীদ আফ্রিদি, ওয়াহাব রিয়াজ। তারকা সমাহার ঢাকা প্লাটুনে। এত তারকা একসাথে এক দলের, সে দল দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করার কথা। কারণ প্রতিটি ক্রিকেটারই অভিজ্ঞ। শর্টার ভার্সনে তার অমন অভিজ্ঞতার বিকল্পও নেই। কিন্তু প্রথম ম্যাচে নিজেদের গুছিয়ে উঠতে পারেনি তারা। ফলে পরাজয় দিয়েই সূচনা দলটির রাজশাহী রয়্যালের বিপক্ষে। শুধু হারই নয়, বেশ বড় ব্যবধানেই, ১০ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটে হারতে হয়েছে। রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা পাত্তাই দেয়নি। বিশেষ করে আফগানিস্তানের হজরতুল্লাহ জাজাই, লিটন দাসের চমৎকার ওপেনিংয়ের পর শোয়েব মালিকের দায়িত্বপূর্ণ ব্যাটিং রাজশাহীকে এনে দেয় গুরুত্বপূর্ণ ও প্রেস্টিজিয়াস এক জয়।
অবশ্য মিরপুর শেরেবাংলায় অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে প্রথম ব্যাটিং করা ঢাকা চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তেই ব্যর্থ হয়। ১৩৪/৯ করেছিল তারা। এ রান নিয়ে ফাইট দিতে হলে বোলিংটা চমকপ্রদ হওয়া প্রয়োজন। মাশরাফিরা সেটা পারেনি। ফলে অনেকটা একচেটিয়া খেলেই জয়টা তুলে নিয়েছে আন্দ্রে রাসেলের দল। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে দুপুরের এ ম্যাচে রাজশাহী টসে জিতে প্রথম ব্যাটিং করতে পাঠায় তামিম, মাশরাফিদের। বেশ কিছু দিন পর মাঠে ফেরা তামিম ব্যর্থ সূচনাতেই। এনামুল বিজয়কে নিয়ে খেলতে নেমে দলীয় ১৫ রানে ৫ করে আউট হয়ে যান তামিম রাহীর বলে। ক্যাচটি লুফে নেন আফিফ। এরপর বিজয় ও ইভান্স মিলে ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু আন্দ্রে রাসেলের বৈচিত্র্যময় বোলিং অ্যাটাক দিয়ে অনেকটাই নার্ভাস করে ফেলে ঢাকাকে। আউট হতে থাকেন তারা একের পর এক। মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডারে ধস নামান তারা। এখানেই পিছিয়ে যায় ঢাকা। এ থেকে আর ফিরতে পারেনি। শেষের দিকে ওয়াহাব রিয়াজ ও মাশরাফি মিলে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেটাতে দলীয় স্কোর ১৩৪ পর্যন্ত যেতে সহায়তা করেছে। ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর আসে বিজয়ের ব্যাট থেকে। ৩৮ করেছিলেন তিনি। এরপর জাকের আলীর ২১, ওয়াহাব রিয়াজের ১৯, মাশরাফির অপরাজিত ১০ বলে করে ১৮ রান, উল্লেখ করার মতো। বোলিংয়ে আবু জায়েদ রাহী নেন দু’টি। এ ছাড়া তাইজুল, ফরহাদ রেজা, অলক কাপালী, বোপারা নেন একটি করে উইকেট। তবে এর মধ্যে আফ্রিদির আউট হওয়াটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ওই সময় তিনি যদি ৩-৪ ওভারও খেলে দিয়ে যেতে পারতেন, তা হলে দলের রানটা আরো উচ্চতায় চলে যেত।
এরপর ১৩৫ রানের সহজ টার্গেট সামনে রেখে খেলতে নামে দুই ওপেনার হজরতুল্লা জাজাই ও লিটন দাস। রাজশাহীর এ দুই ব্যাটসম্যানই ফ্রি স্ট্রোক খেলতে পছন্দ করেন। তবে এ দিন খেলেছেন দেখেশুনে। এদের পার্টনারশিপ ছিল ৬২ রানের। লিটন এ সময় আউট হন মেহেদির বলে। ২৭ বলে ৩৯ করেছিলেন তিনি। তবে এরপর জাজাই ও শোয়েব মালিক মিলে দলকে নিয়ে যান জয়ের লক্ষ্যে ১০ বল হাতে রেখেই। জাজাই করেন ৪৭ বলে ৫৬ ও শোয়েব মালিক ৩৬ বলে ৩৬। জাজাই তিন ছক্কা ও শোয়েব মালিক হাঁকান ১ ছক্কা। রবি বোপারা ম্যান অব দ্যা ম্যাচের জন্য নির্বাচিত হন। উল্লেখ্য, মাশরাফি এ ম্যাচে নেমেছিলেন ৫ মাস পর। বিশ্বকাপের পর আর কোনো ম্যাচে খেলেননি তিনি। লড়েছেন ইনজুরির সাথেও। তামিম আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেনি একমাত্র টেস্ট। এরপর নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ভারত সফর থেকে। ফলে বেশ কিছু দিন পর তিনিও ফিরেছেন এ ম্যাচ দিয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা প্লাটুন ইনিংস : ১৩৪/৯ (২০ ওভার), তামিম ৫, এনামুল ৩৮, ইভান্স ১৩, জাকের ২১, থিসারা ১, আরিফুল ৫, আফ্রিদি ০, মেহেদি ৬, ওয়াহাব ১৯, মাশরাফি ১৮ অপ:, আবু জায়েদ ২/৪৩, তাইজুল ১/২৩, ফরহাদ ১/১৪, অলক ১/১৮, বোপারা ১/১৫।
রাজশাহী রয়্যালস ইনিংস : ১৩৬/১ (১৮.২ ওভার) জাজাই ৫৬ অপ:, লিটন ৩৯, মালিক ৩৬ অপ:; মাশরাফি ০/১৮, মেহেদি ১/২৩।
ফল : রাজশাহী রয়্যালস ৯ উইকেটে জয়ী


আরো সংবাদ



premium cement
রিজওয়ানকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ব্র্যাডম্যান বললেন আফ্রিদি গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক্টরচাপায় নারী নিহত অভিযোগ করার পর ইনসুলিন ইঞ্জেকশন কেজরিওয়ালকে! হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা তালায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি পরিবারের মাঝে জামায়াতের সহায়তা প্রদান শেরপুরের মহাসড়ক যেন মরণ ফাঁদ বেনজীরের সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট আবারো বৃষ্টির শঙ্কা দুবাইয়ে, চিন্তা বাড়াচ্ছে ইউরোপ সিদ্ধিরগঞ্জে চোর আখ্যা দিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা মানিকগঞ্জে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে প্রকৌশলী নিহত ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী ছিলেন সমাজ বিপ্লবী

সকল