স্বর্ণের আফসোস নিয়েই সাগরের বিদায়
- ক্রীড়া প্রতিবেদক কাঠমান্ডু থেকে
- ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০
গলায় সোনার মেডেল পরতে না পারার আক্ষেপ নিয়েই বিদায় নিলেন নৌবাহিনীর সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর। গতকাল কাঠমান্ডুতে বসেই তিনি এই ঘোষণা দেন। এবারের আসরে চার গুণিতক এক শ’ মিটার ফ্রিস্টাইলে ব্রোঞ্জ জেতেন সাগর। আগে রৌপ্য ও ব্রোঞ্জের বাহার এনে দেয়া সাগর আফসোস নিয়েই বিদায় বলে দিলেন সাঁতারকে।
২০০০ সালে সাঁতারের পুলে নামা শুরু মাহফিজুর রহমান সাগরের। বাবা আজিজুর রহমান কাবাডি খেলোয়াড় ছিলেন। তবে ছেলে সাগরকে কাবাডি নয়, সাঁতারু হতেই উদ্বুদ্ধ করেন। ২০০১ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ভর্তি হন পাবনা সদর উপজেলার দ্বীপচরের এই ছেলে। ২০০৫ সাল থেকে জাতীয় পর্যায়ে সাঁতরানো শুরু করেন। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে পুলে ঝড় তুলেন নিয়মিতই। ঘরের মাঠে অনেক সোনা জিতেছেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক আসর থেকে আনতে পারেননি দেশের জন্য একটি সোনার পদকও। এই অপরাধবোধ কুরে কুরে খাচ্ছে সাঁতারু মাহফিজুর রহমানকে।
তাই দেরি না করে এবার আন্তর্জাতিক আসরকে বিদায় বলে দিলেন দেশের অন্যতম সেরা নৌবাহিনীর এই সাঁতারু। তার কথায়, ‘তিনটি সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমস থেকে দেশকে একটি স্বর্ণপদকও এনে দিতে পারিনি। একটা স্বর্ণজয়ের আক্ষেপ বহুদিনের। এটা খুব আক্ষেপের বিষয়। তাই আর আন্তর্জাতিক আসরে আর পুলে নামতে চাই না। তবে নৌবাহিনীর হয়ে ঘরোয়া আসর খেলব।’
প্রিয় ইভেন্ট ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল। তবে ক্যারিয়ারে সাঁতারের বিভিন্ন ইভেন্টেই খেলেছেন সাগর। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে লাল সবুজের পতাকা বহন করেন। মিরপুরস্থ সুইমিং কমপ্লেক্সের পুলে ঝড় তুলে ইতোমধ্যে ৬০টি স্বর্ণপদক জিতেছেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক আসর বা গেমসে কাক্সিক্ষত সেই সোনা জিতে আনতে পারেননি। ২০১০ সালে এসএ গেমসে পরিচিত পুলে ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল ও ৪ গুণিতক এক শ’ মিটার ইন্ডিভিজুয়াল মিডলেতে রূপা জেতেন। ব্রোঞ্জ জেতেন ৫০ মিটার ফ্রিস্টালে। ২০১৬ সালে গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত গেমসে সাতটি ব্রোঞ্জ জিতেছেন। এবার নেপালে মাত্র একটি ব্রোঞ্জ। সোনা জিততে না পারায় বড্ড আক্ষেপ সাগরের। সেই আক্ষেপ থেকেই এবার আন্তর্জাতিক আসরকে গুডবাই জানিয়ে দিলেন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা