২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘বাবাকে বড্ড মনে পড়ছে’

-

গেমসে বিভিন্ন নামকরণে কারাতেরই জয়জয়কার। মূল কারাতের পর তায়কোয়ানডো ও উশুতে বাজিমাত করেছেন খেলোয়াড়রা। তবে উশুতে একটি স্বর্ণের প্রত্যাশা থেকেই গেল। কারাতে থেকে তিন স্বর্ণ, তায়কোয়ানডো থেকে মিলেছে একটি স্বর্ণ। তবে উশুতে স্বর্ণ না এলেও তিনটি রৌপ্যপদক এসেছে।
নানচুয়ান ও নানদা ইভেন্টে বাংলাদেশকে রৌপ্য উপহার দেন কক্সবাজারের মর্জিনা আক্তার। শ্রীলঙ্কার প্রতিযোগিকে হারিয়ে এই পদক জিতেন তিনি। ১৮.৯১ পয়েন্ট নিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন নেপালের লিমা ঘারতি। মর্জিনার ছিল ১৬.৩০। একই দিনে সিলেটের দীপ্তি দাস ও রাশেদ জয় করেছেন ব্রোঞ্জপদক।
রৌপ্যপদক জয়ে মর্জিনা মহাখুশি। থাকতে চান উশুকে ঘিরে। ভবিষ্যতে স্বর্ণ জিতে পোডিয়ামের জাতীয় সঙ্গীত বাজাতে চান। কক্সবাজার সিটি কলেজে পড়–য়া মর্জিনা পাঁচ বছর আগে বাবাকে হারান। এই বাবাই তার ধরে নিয়ে গিয়েছিল উশু কোচ ডিএম রুস্তমের কাছে। বলেছিলেন আমার মেয়ে যেন দেশের সম্মানে কাজে লাগে। সেই বাবাকেই স্মরণ করলেন পদক জেতার পর। চোখের কোণে জমা পানি গড়িয়ে পড়ার আগেই বললেন, ‘আজ বাবাকে বড্ড বেশি মনে পড়ছে। উনি থাকলে সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন।’
রুস্তমের পর নানা সময়ে সিদ্দিকুল, দিলদার হোসেন দিলুর কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে আরও বেশি অভিজ্ঞ হয়েছেন। গত ছয় মাসে উশুর কোচ রাসেল, রাজু ও শাকিলের প্রশিক্ষণের ফসল এই পদক। মর্জিনা জানালেন, ‘আরও ভালো করতে পারতাম যদি ফেডারেশন থেকে চীন অথবা চীনের কোনো কোচের কাছে দীক্ষা নিতে পারতাম। নেপাল এসএ গেমস উপলক্ষে গত ছয়মাস চীনে গিয়ে অনুশীলন করেছে।’
উশুর উন্নতীতে নিজস্ব একটি ভেনু চাইলেন এই রৌপ্যজয়ী খেলোয়াড়। বললেন এশিয়ান গেমসে গ্যারান্টি দিয়ে পদক জিততে পারব যদি আমাদেরকে সুন্দর পরিবেশে একটি ভেনু দেয়া হয়। বর্তমান কমিটির সবাই উশুর উন্নতীতে আন্তরিক। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক দুলাল স্যার একেবারেই অন্তপ্রাণ।
সিলেট সদরে বসবাস করেণ দীপ্তি দাস। নবম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় মামিকে নিয়ে সিলেট স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। বাহির হওয়ার পথে দেখেন উশু প্রাকটিস। ভালো লেগে যায়। খোঁজখবর নিয়ে পরদিন বড়বোনসহ এসে ভর্তি হন উশুতে। সেই শুরু। মাত্র দু’বছরে আন্তর্জাতিক পদক পেয়ে যাবেন সেটি স্বপ্নেও ভাবেননি। জাতীয় মিটে এবং মিনিস্টার কাপ উশুতে জিতেছেন স্বর্ণ। সেই বিশ্বাসেই এবার জিতলেন ব্রোঞ্জ। তার কথায়, ‘ খেলাটিকে মন থেকে ভালোবেসেছি। পিছু আর তাকাতে চাই না। খেলতে চাই আরও বড় আসরে। প্রস্তুতির জন্য আগে থেকে পরিকল্পনা করতে হবে উচ্চপদস্থদের। উশু শেখার পর আগে থেকে মানসিক শক্তি বেড়েছে।’
কুমিল্লার ছেলে ওমর ফারুক রুবেল পছন্দ করতেন সাঁতার। মামা অ্যাথলেটিকসের কোচ শাহাদাত হোসেনের হাত ধরে গিয়েছিলেন সাঁতারে ভর্তি হতে। বিকেএসপিতে উশু ডিসিপ্লিন নতুন সংযুক্ত হওয়ায় মনটা সেখানেই গেঁথে নিয়েছেন। ২০১৮ সালে বিকেএসপির পাঠ চুকিয়ে পড়ে রইলেন উশু নিয়ে। এবার গেমসে নানচুয়ান ইভেন্টে জিতলেন রুপা। আগামিতে আরও প্রতিষ্ঠিত হয়ে জিততে চান স্বর্ণ, ‘প্রাকটিসটা চালিয়ে যেতে চাই। দেশকে দেয়ার জন্য এখনো বহু কিছু বাকি।’

 


আরো সংবাদ



premium cement
পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু তানজানিয়ায় বন্যায় ১৫৫ জনের মৃত্যু বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৩ দেশে কাতার আমিরের সফরে কী লাভ ও উদ্দেশ্য? মধুখালীর ঘটনায় সঠিক তদন্ত দাবি হেফাজতের ফর্মে ফিরলেন শান্ত জামায়াতের ৫ নেতাকর্মীকে পুলিশে সোপর্দ যুবলীগ কর্মীদের, নিন্দা গোলাম পরওয়ারের চায়ের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার চুরি ঈশ্বরগঞ্জে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার ফারজানাকে সংবর্ধনা যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে‘ভিত্তিহীন' তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের মোদির মুসলিমবিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় সংখ্যালঘু নেতাকে বহিষ্কার

সকল