১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মানসিক প্রস্তুতিই সম্বল মুমিনুলদের

প্র্যাকটিসে নামার আগে মুশফিকুর রহীম হ এএফপি -

রাসেল ডমিঙ্গো, বিরাট কোহলির পর মুমিনুল হকও গোলাপি বলে প্র্যাকটিস ম্যাচ না খেলার আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন। একটা টেস্ট ম্যাচ খেলতে হচ্ছে নতুন আঙ্গিকে। যেটা দিবা-রাতে। গোলাপি বল। এ ম্যাচের জন্য তো প্রস্তুতি থাকতে হবে। চাইলেই তো আর মাঠে যেয়ে খেলে ফেলা যায় না; কিন্তু দুই দলের ক্রিকেটাদের এটা খেলতে হচ্ছে। বাংলাদেশের হেড কোচ স্পষ্ট করে বলেছিলেন, এমন এক ম্যাচ খেলার আগে অবশ্যই অন্তত একটা প্রস্তুতি ম্যাচের প্রয়োজন ছিল। এরপর ভারতের অধিনায়কের সাথে সুর মিলিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুমিনুল হকও। কাল ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা এ ম্যাচের আগে গোলাপি বলে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কোনো সুযোগই পেলাম না। অথচ ম্যাচ হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়ে আছে। ফলে এখন তো আমাদের আর কিছুই করার নেই। এখন এ ম্যাচের জন্য আমাদের একটাই উপায় সেটি হলো মানসিক প্রস্তুতি। তবে এটা সত্য যদি গোলাপি বলে টেস্ট ম্যাচ খেলতে হয় তাহলে অবশ্যই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে হবে।’
এটা ঠিক, বাংলাদেশ দল শুধু এ ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য কোনো ম্যাচ খেলাই নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটেও কখনো গোলাপি বলে ক্রিকেট খেলেনি। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের ব্যস্ততা শেষে ইন্দোরে খেলল তারা প্রথম টেস্ট ম্যাচ। ওই ম্যাচ তিন দিনে শেষ হওয়ার পর গোলাপি বল হাতে নিয়েছেন তারা। ইন্দোরে দুই দিন ওই বল নিয়ে ব্যাটিং বোলিং করেছেন। দিনে ও রাতেও পরখ করেছেন। এরপর সেখান থেকে কলকাতায় এসেও প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু সেটি শুধু নেটেই। এমনিতেই প্রথম টেস্টে বাজে পারফরম্যান্স ছিল টিম বাংলাদেশের। আর সেটি ব্যাটেই ছিল যত ব্যর্থতা। এতে ইনিংস ব্যবধানে হারতে হয়েছে। ওই বাজে পারফরম্যান্স মনেই রাখতে পারেনি তারা গোলাপি বলের প্রচণ্ড চাপে। তবু এটা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক। কারণ বাংলাদেশের জন্য এটা নতুন কোনো অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, ‘এ ম্যাচ ঘিরে আমাদের প্রস্তুতিটা ভালোই হয়েছে। আশা করি যেকোনো পরিস্থিতি মানিয়ে নেয়ার মতো মনমানসিকতা আমাদের রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এটা সবার (নিজের দল ও প্রতিপক্ষ ভারত) জন্যই নতুন এক অভিজ্ঞতা। ফলে সব ভুলে এখন কিভাবে সফলতা নিয়ে আসা যায় সে চিন্তাটাই সবার।’


আরো সংবাদ



premium cement