১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গোলাপি বলে রোমাঞ্চিত মুমিনুল

-

টেস্ট মর্যাদা পাওয়া নতুন দুই দেশ আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড এখনো দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলেনি। এর বাইরে গোলাপি বলে টেস্ট খেলেনি কেবল বাংলাদেশ ও ভারত। তাদের অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে আগামী ২২ নভেম্বর। কলকাতার ইডেনে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচ নিয়ে রোমাঞ্চিত মুমিনুল হক। কলকাতা টেস্ট দিয়ে নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের ক্রিকেটে। প্রথমবারের মতো দিবা-রাত্রির টেস্টে গোলাপি বলে খেলার অপেক্ষায় উন্মুখ হয়ে আছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুমিনুল হক ও ভারতের দলনেতা বিরাট কোহলি।
মুমিনুলের ভাষায়, ‘আমরা যে কয়েক দিন ঢাকায় ছিলাম অনুশীলন করেছি, ভারতে আসার পর থেকে আর করা হয়নি। আমার মনে হয়, বিষয়টি আপনি যেভাবে উপভোগ করবেন, মানসিকভাবে সেভাবেই নিবেন। গোলাপি বলে আমার কখনো খেলা হয়নি। আর আমাদের দলে এমন কেউ এখানে নেই, যার এ ধরনের অভিজ্ঞতা আছে বা ধারণা আছে।’
ভারতের কেউ কেউ গোলাপি বলে প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন। তবে দল হিসেবে স্বাগতিকরা কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলায় উভয় দলেরই সমান সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ‘আমার দেশের জন্য, আমার দেশের খেলোয়াড়দের জন্য এটি ভালো সুযোগ। আমরা কখন আবার গোলাপি বলে খেলব, কখন আবার খেলা হবে, কোনো ধারণা নেই। এখন একটা সুযোগ পেয়েছি গোলাপি বলে খেলার। আমার মনে হয়, ঘাটতি কী আছে সেগুলো চিন্তা না করে ইতিবাচকভাবে ভাবা উচিত।’
শুধু কি মুমিনুল। গোলাপি বলে আগে কখনো খেলেননি কোহলি। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। ভারত অধিনায়ক কোহলিও গোলাপি বলে প্রথম টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত। ‘রোমাঞ্চকর। গোলাপি বলে আমি আগে খেলিনি। আমাকে এই বলে টেস্ট খেলার সুযোগ দেয়া হয়েছে, আমি তা চেয়েছিলামও। নতুন রঙের এই বলে খেলার বিষয়ে আমার মনস্থির ছিল। মনে হয়, সবার ক্ষেত্রেই বিষয়টি এক। নিয়মিত লাল বলে খেলার মধ্যে হঠাৎ করে গোলাপি বলে খেলতে গেলে আপনাকে অতিরিক্ত মনোযোগ দিতে হবে। একই সাথে রিফ্লেক্স নিয়েও কাজ করতে হবে। কারণ নেটে লাল বলে খেলতে খেলতে হঠাৎ গোলাপি বলে খেলতে গেলে বুঝে ওঠাটা কঠিন হয়ে যায়। ম্যাচের ক্ষেত্রে বিষয়টি একই। আমার মতে, টেস্ট ক্রিকেটকে রাঙাতে এটা নতুন একটা উপায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘মনে হচ্ছে, গোলাপি বল লাল বলের চেয়ে বেশি সুইং করে। কারণ বলের ওপরের পলিশটা গাঢ়, যার ফলে বলের চকচকে ভাবটা দ্রুত নষ্ট হয় না এবং বলের সিম অনেকটা সময় ঠিক থাকে। আমার মনে হয়, পিচে বোলারদের জন্য যদি অতিরিক্ত সহায়তা থাকে তা হলে ম্যাচে তারা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। বিশেষ করে পেসাররা পুরো ম্যাচেই ভালো করতে পারে। শিশির পড়লে ও ঔজ্জ্বল্যতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর পুরনো বল কেমন করবে, সেটি দেখাটা বেশ হবে। টেস্ট ক্রিকেটে মনোযোগ হারিয়ে ভালো করা সম্ভব বলে আমার মনে হয় না। এমনকি এক সেশন, এক ওভারের জন্যও নয়। লাল বলে আপনাকে লক্ষ্যে স্থির থাকতে হবে, সব ম্যাচে। আর গোলাপি বলের টেস্ট নিয়ে সবাই ভীষণ রোমাঞ্চিত।’


আরো সংবাদ



premium cement