২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কিপার কাম ব্যাটসম্যান হিসেবেই ভালো মুশফিক

-

এই টেস্টে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন মুশফিকুর রহীম। উইকেটকিপিং করলে তিনি ব্যাটিংও ভালো করেন। এতকাল সেটা ছিল পরিসংখ্যানে। গতকাল আরো একবার দেখা গেল, কিপিং ছাড়লেই তিনি ব্যাট হাতে বড় ইনিংস খেলতে পারবেন, এমন ধারণা সত্য নয়। টেস্ট ক্যারিয়ারের সব ক’টা শতক মুশফিক পেয়েছেন কিপার কাম ব্যাটসম্যান হিসেবেই। ভারতের সাথে আগের চার টেস্টের দুই সেঞ্চুরিও কিপার কাম মিডল অর্ডার হিসেবে। এ ম্যাচে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে ষাটের ঘরে গিয়েই থামতে হলো মুশফিককে।
তারপরও বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে সিরিজে একাই লড়াই করলেন মুশফিক। টি-২০ তে দলের সবাই যেমন আশার আলো জ্বালিয়েছেন টেস্টে তার রং রূপ সবই বিপরীত মেরুতে। একমাত্র ব্যতিক্রম মুশফিক। প্রথম ইনিংসে ১০৫ বলে চার বাউন্ডারিতে ও এক ছক্কায় ৪৩ রান দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫০ বলে সাত বাউন্ডারিতে ৬৪ রান করে অশ্বিনের বলে পুজারাকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন। অথচ সবাই ভেবেই নিয়েছি মুশফিক পারবেন ইনিংস বাঁচাতে। এর আগে হায়দরাবাদে এমনই অন্তিম মুহূর্তে ঠিক এই কাজটিই করেছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
আড়াই বছর আগে, ২০১৭ সালের ৯-১৩ ফেব্রুয়ারির হায়দরাবাদে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ফলোঅন এড়াতে প্রাণপণ লড়েছিলেন মুশফিকুর রহীম। সংগ্রামী শতক উপহার দিয়ে সেবার দলকে ফলোঅন থেকে রক্ষা করেছিলেন। গতকালও লড়লেন। মনে হয়েছিল ইন্দোরে হায়দরাবাদের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে পারবেন এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু এবার আর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটেনি। মুশফিক সেঞ্চুরি করতে পারেননি। ইনিংস পরাজয়ও এড়ানো সম্ভব হয়নি। ভারতের কাছে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট বাংলাদেশ হেরেছে এক ইনিংস ও ১৩০ রানের বড় ব্যবধানে। অথচ মুশফিকের দায়িত্বশীল ব্যাটিং মনের আয়নায় বড় করেই দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল সেই হায়দরাবাদ টেস্টের স্মৃতি।
যে ম্যাচে অধিনায়ক বিরাট কোহলির ডাবল সেঞ্চুরিতে (২০৪) ভারত ৬ উইকেটে ৬৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। জবাবে মুশফিকুর রহীমের একার লড়াইয়ে ফলোঅন এড়িয়েছিল বাংলাদেশ। ৩৮১ মিনিটে ২৬২ বলে ১৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় মুশফিকের উইলো ছুঁয়ে এসেছিল ১২৭ রানের চোখধাঁধানো এক ইনিংস। যে ইনিংসে ভর করেই ৩৮৮ রান করে ভারতকে আবার ব্যাটিংয়ে নামাতে সক্ষম হয়েছিল বাংলাদেশ।
গতকাল যিনি আট নম্বরে নেমে মুশফিককে সাপোর্ট দিয়েছেন, সেই মেহেদি হাসান মিরাজ আড়াই বছর আগে হায়দরাবাদের ম্যাচটিতে প্রথম ইনিংসেও মুশফিকের সাথে লড়াই-সংগ্রাম করেছিলেন। সপ্তম উইকেটে ৯৭ রানের জুটিও গড়েছিলেন। মিরাজের ব্যাট থেকে এসেছিল ৫১ রানের (১০ বাউন্ডারিতে) লড়াকু ইনিংস। গতকালও সুযোগ ছিল তেমন কিছু করার। সাধ্যমতো চেষ্টাও করেছেন। সেই টেস্টের মতো হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি। ৫৫ বলে পাঁচ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ফিরেছেন ৩৮ রানে। মুশফিক আর মিরাজের জুটিটি ছিল ৫৯ রানের। মুশফিকের ৬৪ রানের ইনিংসটি থামে তাতেই।


আরো সংবাদ



premium cement