২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জেমি ডে’র অস্বস্তি

-

বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাই পর্বে ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। প্রথমার্ধে আশা জাগিয়েও শক্তিশালী ওমানের কাছে হারতে হয়েছে ৪-১ গোলে। আগের দুই ম্যাচের পারফরম্যান্সে এত বড় ব্যবধানে হারের প্রত্যাশা একেবারেই ছিল না। এত ব্যবধানের পরাজয় মানতে পারছেন না কোচ জেমি ডে।
হারের হতাশা নিয়ে গতকাল সকালেই দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। যন্ত্রণা থাকলেও শিষ্যদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট জেমি ডে। দেশে ফিরে ইংলিশ কোচ জেমি বলেন, ‘৪-১ গোলে হারাটা দুঃখজনক। কিন্তু এতে ছেলেদের দোষ দেয়া যাবে না, তারা তাদের সেরাটা দিয়েছে। তা ছাড়া প্রত্যেক খেলায় সামর্থ্যরে চেয়ে বেশি নৈপুণ্য তাদের কাছ থেকে আশা করা ঠিক হবে না।’ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ঘরের মাঠে কাতারের বিপক্ষে লড়াই করে হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর ভারতের মাটিতে জয়ের সমান ড্র নিয়ে ফেরে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। আগের দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স ওমান থেকে অন্তত ড্র করে ফেরার আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল। যদিও মাসকটের সুলতান কাবুস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়ার্ধে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। প্রথমার্ধে ওমানকে রুখতে পেরেছিল জামাল ভূঁইয়ারা। কিন্তু বিরতির পর স্বাগতিকদের একের পর এক আক্রমণে ভেঙে পড়ে সব প্রতিরোধ।
ফিফা র্যাংকিংয়ে ওমান ৮৪, আর বাংলাদেশ ১৮৪ নম্বরে। দুই দলের শক্তির ব্যবধান স্পষ্ট। জেমির কথায়, ‘ওমান আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে ভালো খেলাটাও কঠিন ছিল। যদি ম্যাচটি ড্র হতো, তাহলে সেটা হতো আশানুরূপ ফল। কিন্তু সবাইকে বাস্তবতা বুঝতে হবে। র্যাংকিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে লড়াই করাই কঠিন ছিল।’
কোচের সুরেই কথা বললেন গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা, ‘ওমানের সঙ্গে প্রথমার্ধে ভালো খেলে আমরা কোনো গোল হতে দেইনি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের ভুলের কারণে একের পর এক গোল হজম করেছি। কাতার ও ভারতের বিপক্ষে দল যেমন খেলেছে, সেটা এই ম্যাচে পুরোপুরি দেখা যায়নি। তবে এটাও মানতে হবে ওমান আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। তবে হারের ব্যবধান আরও কম হলে ভালো হতো।’ ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের আর কোনো ম্যাচ নেই। আগামী বছরের ২৬ মার্চ আফগানিস্তানকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ভালো করার প্রত্যয় এখন সবার মধ্যে।


আরো সংবাদ



premium cement