২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রোনালদো ও কেন’র হ্যাটট্রিক ইংল্যান্ড ও তুরস্ক চূড়ান্ত পর্বে

-

অপ্রতিরোধ্য ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠের ফুটবলে ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠ সময় কাটছে জুভেন্টাস সুপারস্টারের। গত বৃহস্পতিবার ইউরো বাছাইয়ের খেলায় দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকেই শিরোনাম বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। বল পায়ে রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক সেনসেশনের অপ্রতিরোধ্য নৈপুণ্য সত্ত্বেও আসন্ন ইউরোপীয় টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিতের ‘অপেক্ষা’ পিছু ছাড়েনি পর্তুগালের। তবে তার হ্যাটট্রিকের সুবাদে লিথুয়ানিয়াকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা ঠিকই পৌঁছে গেছে ২০২০ সালের মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের আসরে প্রতিনিধিত্বের ইঞ্চিদূরে। সফরের খেলায় পর্তুগালের একচ্ছত্র পারফরম্যান্সের দিনে লন্ডনের ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ডের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের ‘নায়ক’ সুপারস্টার হ্যারি কেন।
ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) ইতিহাসের এক হাজারতম আন্তর্জাতিক ম্যাচ ১৯ মিনিটের বিধ্বংসী এক স্পেনের হ্যাটট্রিককেই কেন স্মরণীয় করেছেন। আক্রমণভাগে তার দুর্দান্ত নৈপুণ্যের সুবাদেই ইংল্যান্ড আগামী ইউরোর চূড়ান্ত পর্বে উঠেছে ৭-০ গোলে মন্টিনেগ্রোকে বিধ্বস্ত করে। একই দিনে তুরস্কও নিশ্চিত করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরের প্রত্যাবর্তন। আইসল্যান্ডকে গোলশূন্য রুখে দেয়ার কৃতিত্বে নিশ্চিত হয়েছে তুর্কিদের ২০২০ সালের ইউরোর টিকিট।
‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে সার্বিয়া ৩-২ গোলের জয়োৎসব বৃদ্ধি করেছে পর্তুগালের আসন্ন ইউরোতে প্রতিনিধিত্বের উৎসবের প্রতীক্ষা। লিথুনিয়া সফরের আগে শিরোনাম দখলে নেয়া হালকা ইনজুরির গুঞ্জন বল পায়ের নৈপুণ্যেই পেছনে ফেলেছেন রোনালদো। দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের গোলসংখ্যার রেকর্ড নিয়ে গেছেন ৯৮-তে। সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড দখলে নেয়ার রেসে তার সামনে এখন কেবল ইরানি ফুটবল ইতিহাসের জীবন্ত কিংবদন্তি আলি দাই। জাতীয় দলের জার্সিতে তিনি ১০৯ গোল করেন। লিথুনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে পর্তুগিজদের এগিয়ে দেন
রোনালদো। ২২ মিনিটে কিছুটা দূর থেকেই বাঁকানো শটে গোল করে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি আদায় করেন তিনি। ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় পর্তুগাল। দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে বেনফিকা মিডফিল্ডার পিজ্জি গোল করে দলকে ৩-০ ব্যবধানে পৌঁছে দেন। ম্যাচের বয়স ঘণ্টার কাঁটায় পৌঁছানোর আগে ও পরে গনসালো প্যাসিয়ানসিয়া ও বার্নার্ডো সিলভার গোল ৫-০ ব্যবধানে পৌঁছে যায় পর্তুগাল। যথাক্রমে ৫৬ ও ৬৩ মিনিটে গোল দু’টি করেন তারা। ৬৫ মিনিটে গোল করে রোনালদো নিজের হ্যাটট্রিক পূরণের পাশাপাশি লিথুনিয়ার কফিনে শেষ পেরেকটিও পুরে দেন। পর্তুগালের হয়ে সর্বশেষ সাত আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১৩ গোল করার অবিশ্বাস্য সাফল্যের কৃতিত্ব রচনা করেছেন রোনালদো। খেলা শেষে পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস বলেন, ‘আমি জানতাম সে (রোনালদো) খেলতে পারবে। ওই খেলাই প্রমাণ করেছে রোনালদোর শারীরিক কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। এই নিয়ে সবার সন্দেহের অবসান ঘটেছে। যদিও ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনো সন্দেহই ছিল না। আমি সেটি জানিয়েও দিয়েছি।’ ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করা ইউক্রেনের দখলে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষস্থান। তিন-এ থাকা সার্বিয়ার চেয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে পর্তুগাল। বর্তমান ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নরা আগামীকাল গ্রুপের শেষ খেলায় লুক্সেমবার্গের মুখোমুখি হবে। ম্যাচটিতে জয়োৎসব নিশ্চিত করবে পর্তুগালের মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার আসরের অংশগ্রহণ। তবে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট অর্জনে ব্যর্থ হলে দেশটির সরাসরি মূল আসরে প্রতিনিধিত্ব বহুলাংশেই নির্ভর করবে ইউক্রেন-সার্বিয়া ম্যাচের ফলাফলের ওপর।

 


আরো সংবাদ



premium cement