২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ওমানের ফুটবলে তিন বাংলাদেশী

ওমানে তিন ভাই জাফর, আলাউদ্দিন ও নিয়াজ আহমেদ : নয়া দিগন্ত -

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান। এই অঞ্চলের অন্য তেলসমৃদ্ধ দেশের মতো ওমানেও প্রচুর বাংলাদেশীর উপস্থিতি। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এরা দেশে টাকা পাঠান। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার ক্ষেত্রে এদের বিশাল অবদান। একই সাথে দায়িত্বপূর্ণ কাজের মাধ্যমে দেশের সুনামও বৃদ্ধি করছেন তারা। সুলতান শাসিত ওমানে প্রায় সাত লাখ বাংলাদেশী কাজ করছেন। কারো কারো মতে, এই সংখ্যা ১০ লাখ। রাজধানী মাসকাটে এদেরই তিন প্রতিনিধি জাফর আহমেদ, আলাউদ্দিন এবং নিয়াজ আহমেদ। এরা এখন ওমান ফুটবল ফেডারেশনের গুরুত্বপূর্ন অংশ। এদের আরেকটি পরিচয় এরা তিনজনই আপন ভাই। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সন্তান তারা। প্রথমে ওমান ফুটবল ফেডারেশনে চাকরি নেন জাফর। তার হাত ধরে অপর দুই সহোদরও এখন দেশটির ফুটবল ফেডারেশনে কর্মরত। গত পরশু বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে ওমান ফুটবল ফেডারেশনের গেঞ্জি গায়ে মাঠে হাজির তারা। এসে হাত মেলালেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপুর সাথে। এরপর এগিয়ে এলেন আরেক ভাই। পরে তৃতীয়জন। তবে অন্য বাংলাদেশীদের চেয়ে তাদের আলাদাভাবে মূল্যায়নের নেপথ্য ওরা যে ওমানের ফুটবলের সাথে সম্পৃক্ত। মেঝ ভাই জাফর কাজ করছেন অফিসার পদে।
বছর আটেক আগে জীবিকার তাগিদে ওমানে আসেন জাফর। দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের সাথে তার সম্পৃক্ত হওয়ার গল্পটা শোনালেন এভাবে। ‘আমি অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করতাম। সেখানে আমার কাজে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ওমান ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা আমাকে ফেডারেশনে কাজ করার প্রস্তাব দেন। আমিও রাজি হয়ে যাই। এর পর থেকেই আমি দেশটির ফুটবলের একটি অংশ হয়ে গেছি।’ জাফর ওমানের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটির মার্কেটিং বিভাগে কাজ করছেন জাফর। তিনি এই বিভাগের সহকারী ম্যানেজার। বাংলাদেশ-ওমানের এবারের বিশ্বকাপ ম্যাচের ব্র্যান্ডিংয়ের দায়িত্ব পড়েছে তার ওপরই। গত পরশু দুই দলের ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও সক্রিয় ছিলেন জাফর। ব্যাকড্রপ লাগানোসহ অন্য কাজ করতে দেখা গেছে তাকে।
গতকাল জাফরদের তিন ভাইয়ের জন্য অন্যরকম দিন ছিল। এক দিকে কাজের সূত্রে ওমানের পক্ষে থাকতে হবে। অন্য দিকে দেশ প্রেম। জাফর জানান, ‘আমার অনুভূতিটা মিশ্র। খুব ভালো লাগছে বাংলাদেশের ম্যাচে কাজ করতে পেরে। বাংলাদেশ হকি দল কয়েকবার ওমানে এলেও ফুটবল দল এই প্রথম এলো। নিজ দেশের খেলা ভিন্ন দেশের মাটিতে আয়োজনে ভূমিকা রাখতে পেরে গর্ববোধ করছি।’
জাফরের বড় ভাই আলাউদ্দিন ফেডারেশনের অফিসিয়াল ডেস্কে কাজ করছেন। ফেডারেশনের চিঠিপত্র চালাচালি করার কাজ তার। বাংলাদেশ দলের ওমান সফরের যাবতীয় কাগজপত্র তার হাত দিয়েই গেছে। অন্য দেশগুলোর ক্ষেত্রেও তাই হয়। আলাউদ্দিন বললেন, ‘আমার খুব ভালো লাগছে এই কাজ করতে পেরে।’ ছোট ভাই নিয়াজ এখনো নির্দিষ্ট কোনো দায়িত্ব পাননি। বড় দুই ভাইয়ের সহকারী হিসেবে কাজ করছেন।
ফুটবল ফেডারেশনে কাজ সম্পর্কে জাফর বলেন, এখানে সুযোগ-সুবিধা বেশি। যেমন বেতন বা ছুটি এসব ক্ষেত্রে। বাংলাদেশের ফুটবলকেও এরা বেশ গুরুত্ব দেয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement