২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

এবারো হাসেনি মুশফিকের উইলো

-

জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডেও হাসেনি মুশফিকের উইলো। নিষ্প্রভই থাকলেন মুশফিকুর রহীম। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের মিডল অর্ডার এ ব্যাটসম্যান বড় রান করতে পারেননি। গতকাল রাজশাহীর হয়ে খুলনার বিপক্ষে মুশফিক আউন হন ৪৪ রানে। ৬২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ওই রান করে মুশফিক সাজঘরে ফেরেন রাজ্জাকের বলে মেহেদীর হাতে ক্যাচ দিয়ে। ভারত সফরের আগে এটিই ছিল নিজেকে ঝালিয়ে নেয়ার শেষ সুযোগ।
রাজশাহী বিভাগ ছিল বিপদে। এ সময়ে একটি বড় ইনিংস বাঁচাতে পারত রাজশাহীকে। পাশাপাশি মুশফিক পেতেন বুক ভরা আত্মবিশ্বাস। কিন্তু চল্লিশের ঘর পেরুতে পারেননি মুশফিক। এর আগে প্রথম ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। টি-২০ দলে ডাক পাওয়া আল-আমিন হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হন প্রথম ইনিংসে। ফতুল্লায় ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ৭৫ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ২১ রান। দুই ইনিংসেই অফস্পিনার শুভাগতর বলে আউট হন। ভারতে ভালো সুখস্মৃতি নিয়ে যেতে পারছেন না মুশফিক।
তবে মুশফিক বরাবরই বড় ম্যাচের বড় তারকা। দলের প্রয়োজনে, চাপের সময়ে নিজের সেরা ক্রিকেট বের করে আনতে পারেন সহজে। একটি বিষয় তাকে আত্মবিশ্বাসী করতে পারে, শেষবার ভারত সফরে মুশফিকই ছিলেন দলের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান। এবারো ইনডোর ও ইডেনে তার ব্যাট হাসবে এমনটাই প্রত্যাশা।
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৬১ রান তোলে রাজশাহী। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৪৮ রান লিড নেয় স্বাগতিক খুলনা। ইমরুল কায়েসের ৯৩ রানের ওপর ভর করে স্বাগতিকেরা তোলে ৩০৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিং শুরু করে মুশফিকুর রহীমরা। তৃতীয় দিনে সফরকারীরা অল আউট হয় ১৭০ রানে। খুলনার হয়ে চারটি করে উইকেট নেন আল-আমিন ও আব্দুর রাজ্জাক। খুলনার সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৩। দিন শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ১৫ রান তোলে খুলনা। তৃতীয় দিন শেষে উইকেটে অপরাজিত আছেন সৌম্য সরকার (০) ও ইমরুল কায়েস (১১)।


আরো সংবাদ



premium cement