২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারত সফরে বোলিংয়ে দুশ্চিন্তা

-

চলমান জাতীয় ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের ব্যস্ততা স্বাভাবিক। তবে নির্বাচকদের নজর কিন্তু আগামী মাসের ভারত সফরের দিকেই। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ম্যাচ ছাড়াও রয়েছে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। কেমন হবে বাংলাদেশের এ সফর তা নিয়ে নির্বাচকদের দুশ্চিন্তারও অন্ত নেই। বিশেষ করে টেস্ট সিরিজের কথা চিন্তা করলে ভারত দুর্দান্ত ফর্মে। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো একটা দলকে পাত্তাই দিচ্ছে না তারা। এ ছাড়াও ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ জয়ের রেকর্ডও তাদের। ফলে একটা ম্যাচ জিততে যে কুড়ি উইকেট তুলে নেয়া প্রয়োজন সেটাতেই যে রয়েছে দুর্বলতা, সে দিকেই নজরটা বেশি প্রধান নির্বাচকের। তবে এটাও ঠিক, শুধু গতির বোলার বা ভালো স্পিন বোলার হলেই যে কুড়ি উইকেট নিয়ে জয় তুলে আনা সম্ভব সেটাও না। স্বল্প গতির বোলাররাও ভালো লেন্থে বল রেখে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করতে পারেন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলায়নি কোনো পেস বোলার। কারণ পেসারদের মানদণ্ডটা সুবিধা নয় বিধায় ছিল ওই প্ল্যান। কিন্তু এর খেসারতও গুনতে হয়েছে। বোলিংয়ে ভ্যারাইটি কমে গিয়েছিল। যার সুফল নিয়ে ম্যাচটা জিতেও গেছে আফগানরা। দুশ্চিন্তার সূচনা সেখানেই। ভারতের মাটিতে ভারত তো আরো বেশি শক্তিশালী। নির্বাচকদের চোখ এখন খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে। সেটা ব্যাটসম্যান ও বোলারদের সব ক্ষেত্রেই। আপাতত টেনশন পেস বোলারদের নিয়েই। নান্নু বলেন, ম্যাচে সফলতা পেতে ১৪০ কিলোমিটার গতির বোলারের প্রয়োজন নেই। ১২০ গতির বোলারও বুদ্ধিমত্তার সাথে বোলিং করলে ব্যাটসম্যানদের কন্ট্রোল করা সম্ভব। ভারতের মতো দলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের বোলারদের এক্ষুনি কুড়ি উইকেট তুলে নেয়ার ক্ষমতা রয়েছে এটা আমি বলব না। তবে আমাদের বোলাররা বেশ অভিজ্ঞ। এবং স্কিলও ভালো। এগুলো কাজে লাগাতে পারলে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা সম্ভবপর হবে।’ তিনি বলেন, ‘এ বিষয়গুলো সামনে রেখে কাজ চলছে। যেহেতু আপনি ২০ উইকেট নেয়ার কথা ভাবছেন। এটা বিদেশের মাটিতে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। তবে এ নিয়ে ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত লিগে কাজ চলছে।’
জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, ‘যদি সব কিছুতে পারফেক্ট নিশানা খুঁজে বোলিং করতে পারেন এবং সেটার পরিমাণ কতটুকু সেটা জানতে হবে। টেস্টম্যাচে এক সেশনে ৮৫-৮৭ শতাংশ সঠিক জায়গায় বল করতে পারলে অবশ্যই যে কোনো ব্যাটসম্যানকে চাপে রাখা সম্ভব।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের বোলারদের এ ক্ষমতা আছে। আমাদের কোচ এটা নিয়ে কাজ করে চলছেন। সামনে যে প্রস্তুতির সময় আসছে সেখানেও এমন প্ল্যান নিয়ে কাজ হবে। ফলে এসব অভিজ্ঞতা নিয়ে ভারতে যেতে পারলে খেলোয়াড়রা ভালো করবে।’
তবে এটাও ঠিক, ভারতের ব্যাটসম্যানরা দুর্দান্ত ফর্মে। নিজ মাঠে প্রতিপক্ষ যে দলই হোক না কেন থোড়াই কেয়ার করেন তারা। বরং নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে সেঞ্চুরির! তাদের বিপক্ষে ভালো বোলিং করা সত্যিকার অর্থেই কষ্টের ব্যাপার। এ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে ৯টি টেস্টম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে একটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ ভারতের মাটিতে। আর সব ম্যাচই হয়েছে বাংলাদেশে। তবু এতে সফলতা সব ভারতেরই। দুই টেস্টম্যাচ ড্র হয়েছে। বাকি সবগুলোতে জিতেছে ভারতই। তা ছাড়া ভারতের জয়ের মার্জিনও অনেক বেশি। ইনিংস ব্যবধানে রয়েছে তিনটি, ১০ উইকেটে দুই বার ও ৯ উইকেটে একবার। এ ছাড়া রানে জিতেছে দুইবার যার মধ্যে একবার ১১৩ ও শেষ ম্যাচে তাদের জয় ২০৮ রানে।


আরো সংবাদ



premium cement