২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বাংলাদেশ রানার্সআপ টাইব্রেকারে হেরে

ভারত ০ (৫) : ০ (৩) বাংলাদেশ
-

বাংলাদেশ দলের পেনাল্টি স্পেশালিস্ট অধিনায়ক শামসুন্নাহার। ভুটানের বিপক্ষেও তিনি পেনাল্টি শটে গোল করেছিলেন। কিন্তু গতকাল ফাইনালে টাইব্রেকারে তিনি যে প্রথম শটটি নেন সেটা প্রতিহত হয় ক্রসবারে। এই মিসের খেসারতই দিতে হলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা দলকে। আবারো অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা সাফের রানার্সআপ তারা। কাল ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে টাইব্রেকারে বাংলাদেশকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখল ভারত। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্যতে শেষ হলে সরাসরি এই স্পট কিকের নির্দেশ। গত বছরও এই মাঠে ভারতের কাছে ফাইনালে ০-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। কাল হারের ফলে হলো না লালসবুজদের শিরোপা পুনরুদ্ধার। যা তারা পেয়েছিল ২০১৭ সালে এই ভারতকে ঢাকায় হারিয়ে।
ইনজুরড শাসসুন্নাহারকে একাদশে রেখেই কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন কাল ফাইনালের একাদশ সাজান। ফাইনাল খেলার সুযোগ পান লিগ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে গোল করা স্বপ্না রানীও। বয়স্ক ভারতীয়রা শুরু থেকেই বাংলাদেশ দলের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে। কিন্তু লালসবুজ কিশোরীদের প্রতিরোধের মুখে পাত্তাই পাচ্ছিল না প্রতিপক্ষরা। বাংলাদেশ আগে ঘর গুছিয়ে এরপর পাল্টা আক্রমণের কৌশলে খেলা শুরু করে। রিপা, রোজিনারা অপেক্ষায় ছিলেন ডিফেন্স চেরা। প্রথমার্ধে এই সুযোগ অসেনি। বিপরীতে ভারতীয়রা দু’টি গোলের চান্স পায় এই অর্ধে। দু’টি প্রচেষ্টাই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ম্যাচের তিন মিনিট বয়সে প্রিয়াংকা গোলের ভালো সুযোগ পেয়ে যান। তার সামনে শুধু গোলরক্ষক রুপনা চাকমা। কিন্তু এই ভারতীয় ফুটবলারের শট যায় পোস্টের বাইরে। ৪১ মিনিটে লিন্ডা কমের শট চলে যায় পোস্টের বেশ দূর দিয়ে। প্রথম পঁয়তাল্লিশ মিনিটে বাংলাদেশ তেমন কোনো চান্সই পায়নি। তবে বিরতির পরপরই দারুণ সুযোগ আসে বাংলাদেশের সামনে। রোজিনার ক্রস ভারতীয় গোলরক্ষকের হাত ফসকে বেরিয়ে যায়। শাহেদা আক্তার রিপা ছুটে গিয়ে সেই বলে পা লাগানোর সময়ই তা প্রতিহত করেন বিপক্ষ কিপার আদ্রিজা সারকেল।

৫৪ মিনিটে আমিশা বক্সালের শটও লক্ষ মিস করে। এর পরের মিনিটেই মাঠের ফ্লাডলাইটের আলো নিভে যায়। এবারের সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা ফুটবলে এই নিয়ে চারবার খেলা চলাকালে বিদ্যুৎ চলে যায়। বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচ এই কারণে দুইবার বন্ধ ছিল। আগে এমনটা ঘটেনি। তাই আয়োজকদের উচিত ছিল সন্ধ্যায় এই ম্যাচ না দিয়ে দিনের আলোতে খেলাটি সম্পন্ন করা। ২০ মিনিট পর জ্বলে উঠে ফ্লাডলাইট। তবে দক্ষিণ পশ্চিম পাশের খুঁটির ফ্লাডলাইট আর জ্বলেনি। ওই অন্ধকার প্রান্তেই ছিল ভারতীয় পোস্ট। এক পাশের এই অন্ধকারের মধ্যেই খেলা পুনরায় শুরু হয়। আগেও পুনরায় বিদ্যুৎ আসার পর ওই খুঁটির বাতি আর জ্বলেনি। ফের খেলা শুরুর আগে দুই দলের ফুটবলাররা মোটা জ্যাকেট পরে ওয়ার্মআপ করে পরে খেলতে নামে।
৬৩ মিনিটে বাংলাদেশ ম্যাচের প্রথম সহজ সুযোগ পায়। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও রোজিনা তা গোলরক্ষকের গায়ে মেরে নষ্ট করেন সুযোগ। ৮৮ মিনিটে ভারতের লিন্ডা কম বলে পা লাগাতে না পারলে বেঁচে যায় বাংলাদেশ।
গোলশূন্য নব্বই মিনিট শেলে সরাসরি টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হয় এই ফাইনাল। এতে ভারতের সবাই গোল করলেও বাংলাদেশের রোজিনা, নাসরিন এবং আফেইদা গোল করেন। ভারত তাদের পঞ্চম শটে গোল করে জয় নিশ্চিত করায় শেষ শট নেয়া হয়নি বাংলাদেশের। তবে বুড়ি দের বিপক্ষে বাংলাদেশের মেয়েরা যা খেলেছে তা প্রশংসনীয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement