১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিতর্কিত বাউন্ডারির নিয়ম বাদ

-

দ্বাদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ৫০ ওভার ও সুপার ওভার টাই হওয়ার পরও ম্যাচে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারিতে এগিয়ে থাকার সুবাদে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। এতে বির্তকিত হয় বিশ্বকাপ ফাইনাল। তাই ‘ম্যাচে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি বেশি থাকলেই জয়ী হবে দল’- এমন নিয়ম বাদ-ই দিয়ে দিলো ক্রিকেটের প্রধান সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। অর্থাৎ সুপার ওভার টাই হওয়ার পরও কোনো দল ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি থাকলেই ওই দলকে জয়ী করা হবে না।
এ ক্ষেত্রে আইসিসি নতুন নিয়ম হচ্ছে, আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল বা ফাইনালে সুপারওভার টাই হলে আবার সুপার ওভারে খেলা হবে। সেখানেও টাই হলে, আবার সুপার হবে। এভাবে যদি প্রতি সুপার ওভারে টাই হয়, তবে সুপার ওভার চলতেই থাকবে। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে যে দল জিততে পারবে তারাই ম্যাচে জয়ী হবে।
সোমবার দুবাইয়ে আইসিসির সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এক বিবৃতিতে আইসিসি জানায়, ‘আইসিসি ক্রিকেট কমিটির সুপারিশ মেনে সুপার ওভার রেখে দেয়া হচ্ছে। তবে সুপার ওভারে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্বে কোনো ম্যাচ টাই হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করবে দলগুলো। তবে সেমিফাইনাল বা ফাইনালে সুপার ওভার টাই হলে আবার সুপার ওভার হবে। এভাবে চলতে থাকবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত ম্যাচটির ফল নির্ধারিত হয়।’
লর্ডসে গত ১৪ জুলাই বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪১ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৫০ ওভারে সব ক’টি উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান করে ম্যাচ টাই করে ইংলিশরা। ফলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ায়। সেখানে প্রথমে ব্যাট করে বিনা উইকেটে ১৫ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে ১ উইকেটে ১৫ রান করে নিউজিল্যান্ড। ফলে সুপার ওভারও টাই হয়। কিন্তু বিশ্বকাপে আইসিসির নিয়ম অনুসারে ম্যাচে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি থাকাতেই জয়ী হয় ইংল্যান্ড। যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত এই বিতর্কিত নিয়ম বাদ দিয়ে নতুন পথ বের করল আইসিসি।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল