২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পরিবর্তিত দল নিয়েও বাংলাদেশের ড্র

বাংলাদেশ ১(স্বপ্না) : ১ (আমিশা)ভারত
-

গুরুত্বহীন ম্যাচ। এরপরও জয়ের কোনো চেষ্টাই বাকি রাখেনি ভারত। বাংলাদেশের মতো তাদেরও একাদেশ পাঁচ পরিবর্তন। তবে ১-১ এ প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ভারত তাদের তিন সেরা খেলোয়াড় কিরণ, লিন্ডা কম এবং সুমাতি কুমারিকে মাঠে নামায়। বাংলাদেশ কোচ অবশ্য সেই পথে হাঁটেননি। বরং তিনি বিরতির পর তুলে নেন গত দুই ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হওয়া শাহেদা আক্তার রিপাকে। বিরতির পর খেলার সুযোগ দেন আরো দুই নতুন ফুটবলারকে। এই সাত নতুনের পারফরম্যান্স এতটাই ভালো ছিল যে, কাল তারা ঠেকিয়ে দিয়েছে ‘বুড়ি’দের নিয়ে গড়া ভারতকে। গতকাল ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৫ মহিলা সাফের এই ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়। অবশ্য ড্রতে ভারতীয় আধিপত্যের কোনো ক্ষতি হয়নি। বাংলাদেশের মতো তাদেরও পয়েন্ট সমান সাত। তবে গোল পাথর্ক্যে এগিয়ে থেকে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েই ফাইনালে গেছে তারা। আর গোলাম রাব্বানী ছোটনের দল রানার্সআপ হয়ে এখন খেলবে ফাইনালে। আগামী কাল সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ এবং ভারতের এই শিরোপা জয়ের লড়াই। উল্লেখ্য, ভারত তিন ম্যাচে ১৫ গোল দিয়ে হজম করেছে তিন গোল। ছোট শামসুন্নাহারের দল পাঁচ গোল দিয়ে খেয়েছে দুই গোল। তবে কালকের এই ড্র লালসবুজদের ফাইনালে আরো ভালো করতে উদ্বুদ্ধ করবে।
বাংলাদেশ কোচ আগেই বলেছিলেন, নেপাল এবং ভুটান গত দুই ম্যাচে খেলার সুযোগ করে দিয়েছিল ভারতীয়দের। কিন্তু আমরা অনূর্ধ্ব-১৫ সাফের গতবারের চ্যাম্পিয়নদের খেলতে দেবো না। আমাদের প্রেসিং ফুটবলের কাছে পাত্তাই পাবে না প্রতিপক্ষরা। কাল সে কথাই রেখেছেন শামসুন্নাহার, রিপা, স্বপারা। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই ভারতীয় বয়স্কদের পেছনে আঁঠার মতো লেগে থাকে বাংলাদেশ দলের ফুটবলারেরা। পাঁচ মিনিটেই গোলের সুযোগ আসে বাংলাদেশ দলের সামনে। বিপক্ষ কিপারের ভুলে বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান শাহেদা আক্তার রিপা। রিপা তাতে শট নিলেও ভারতের গোলরক্ষক আদরিজা সারকেল তা ধরে ফেলেন। ১৩ মিনিটে বাংলাদেশ গোলরক্ষক রুপনা চাকমা বল ক্লিয়ার করতে গেলে বল পায়ে লেগে বক্সের ভেতরে পড়ে। পরে অবশ্য রুপনা দখল নেন সেই বলের। ২০ মিনিটে ফের রিপা প্রতিপক্ষ শেষ প্রহরীর ভুলে বল পান। কিন্তু এবারো তার শট ফাঁকা পোস্টে না গিয়ে চলে যায় বাইরে। গোলরক্ষক তখন পোস্টে নেই। ২৪ মিনিটে খেলার ধারার বিপরীতে বাংলাদেশের জালে বল। থ্রো থেকে বল পেয়ে বাংলাদেশের বক্সে ক্রস করেন এক ভারতীয়। সেই বল ফাঁকায় থাকা আমিশা বাক্সলার কাছে এলে তিনি কোনাকুনি শটে পরাস্ত করেন আগুয়ান রুপনাকে।
অবশ্য খেলায় ফিরতে বেশিক্ষণ দেরি করতে হয়নি ছোটন বাহিনীকে। ২৬ মিনিটেই সমতা। ভারতীয় কিপারের নেয়া গোলকিক মাঝ রেখার কাছে এসে পড়ে বাংলাদেশ মিডফিল্ডার রুমি আক্তারের মাথায়। তিনি সে বলে যে জোরে হেড নেন তা গিয়ে পড়ে বক্সের সামনে থাকা স্বপ্না রানীর সামনে। ঠাকুরগাঁওয়ের এই খেলোয়াড় গায়ের সাথে লেগে থাকা দুই দীর্ঘদেহী ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠান। ৩৪ মিনিটে ভারতের লম্বা চওড়া গড়নের স্ট্রাইকার সাই সানকি বাংলাদেশ কিপারকে একা পেয়েও বল মারেন বাইরে। এতে প্রথমে ভুল রুপনারই। অবশ্য ৬৪ মিনিটে রুপনা কর্নার করেন সুনিতা মুন্ডার শট।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement