২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

‘যে কাউকেই হারাতে পারি’

ইনজুরড রশীদ খানের না খেলারও সম্ভাবনা
-

ফাইনালে কিছুটা হলেও নার্ভাস আফগানিস্তান। এ ম্যাচে অধিনায়ক রশীদ খানের না খেলারও সম্ভাবনাও রয়েছে। মূল কারণ সেখানেই। আসলে আফগানিস্তান শক্তির বিশাল অংশজুড়ে ওই স্পিন বোলার। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়ার পর আরো ভালো খেলছেন তিনি। কাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি এ মুহূর্তে বলতে পারছি না খেলব কি না। কিছু কাজ করছি। দেখি কী হয়। তবে কাল (আজ) এ ব্যাপারে চূড়ান্ত হবে।’ হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি। রশীদ খানের গলার যে টোন শোনা গেছে, তাতে তিনি খেলবেন এটা ধারণা করা গেছে। এরপরও ব্যতিক্রম হলে কী হবে, সে প্ল্যানটাও কষে রেখেছেন তারা। কারণ মোহাম্মদ নবি, মুজিব, শরীফরা তো আছেনই।
টানা দুই ম্যাচ হেরেছে তারা এ টুর্নামেন্টে। কিভাবে সেখান থেকে তারা উত্তরণ ঘটাবেন এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামের দুই ম্যাচ হেরেছি। এখন আমরা ঢাকাতে। এখানে কিন্তু দুই ম্যাচ আমরা জিতেছিলাম। আমি মনে করি, ম্যাচটা আমরা এনজয় করতে চাই। তা ছাড়া চট্টগ্রামে আমরা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করেছিলাম (গুরুত্বহীন ম্যাচ বিধায়)। তবে ফাইনালে আমরা সেরাটাই খেলব।’ বাংলাদেশে তারা একমাত্র টেস্টম্যাচ জিতেছে। টি-২০ ক্রিকেটেও ভালো খেলছেন। এর পেছনে কী কারণ কাজ করছে। রশীদ বলেন, ‘আসলে আমাদের কোনো মাঠ (আফগানিস্তান) নেই। ভালো কোনো ফ্যাসেলেটিজও নেই। আমরা টিকে আছি ন্যাচারাল ট্যালেন্টের ওপর। দলে প্রচুর ন্যাচারাল ট্যালেন্ট রয়েছে, যা অন্য সব দলে সচরাচর দেখা যায় না। এটাই আমাদের সাফল্যের বড় কারণ। কেননা তারা স্বাভাবিক খেলাটাই খেলছেন। সাফল্যও পাচ্ছেন। আমাদের অনেক অ্যাকাডেমি রয়েছে। আরো অনেক তরুণ খেলোয়াড় আসছে।’
স্পিন ভালো করছে বলেই আফগানরা ভালো করছে এখানে এমন কোনো কিছু কি? তিনি বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু পজিটিভ বিষয় খুঁজে পেয়েছি। স্পেশালি, ইব্রাহীম জারদানের টেস্টে অভিষেক হয়ে খুব ভালো খেলেছেন। রহমত শাহ টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন। আসগর আফগান খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছেন টেস্টে। এ ছাড়াও কায়েস অভিষেকে ভালো করেছেন। জাহির খানও অভিষেক হলো। অনেক কিছুই এখানে আমরা পেয়েছি। বড় কথা টেস্ট ও টি-২০ অনেক পার্থক্য দলে। যদিও মোহাম্মদ নবি তো সব ফরম্যাটেই খুবই অভিজ্ঞ। এ ছাড়াও রামানুল্লাহ গুরবাজ, ফারিদ মালিক, নভিন উল হক, এরা খুব ভালো খেলেছে।’ তিনি বলেন, টেস্টম্যাচ নিয়েও তারা কঠোর পরিশ্রম করেই এ পর্যায়ে এসেছেন। কারণ আসার পূর্বে দুবাই তারা একটা ক্যাম্প করেছেন। সেখানে কঠোর পরিশ্রম করেছেন সবাই। টি-২০ ক্রিকেটেও দলের খেলোয়াড়দের পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফলে ক্যাপ্টেন হিসেবে আমি খুবই হ্যাপি এদের নিয়ে। ট্রাই ন্যাশনের ফাইনালে নিজেদেরকে ফেবারিট মনে করেন কি না এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা বেশ ভালো ক্রিকেট খেলছি গত তিন চার বছর ধরে। ফলে আমরা যদি আমাদের সেরাটা খেলতে পারি, তাহলে বিশে^র যেকোনো দলকেই আমরা হারাতে সক্ষম। আমরা এ ম্যাচে চাই নিজেদের খেলা কন্টিনিউ করে যাওয়া।’

 


আরো সংবাদ



premium cement